গাজীপুর প্রতিনিধি
গাজীপুর মহানগরীতে প্রেমিকার সঙ্গে ফেসবুক মেসেঞ্জারে চ্যাট করায় সিয়ামকে হত্যা করা হয়। হত্যার ছয় মাস পর গতকাল বুধবার রাতে লক্ষ্মীপুর জেলার মান্দারীবাজার এলাকা থেকে ঘটনার মূল হোতা মো. আরাফাতকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গ্রেপ্তারের পর র্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আরাফাত হত্যাকাণ্ডে নিজে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে হত্যার কারণ ও ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছেন।
এ বিষয়ে আজ বৃহস্পতিবার র্যাব-১, গাজীপুর স্পেশালাইজড কোম্পানি পোড়াবাড়ী ক্যাম্প কমান্ডার মেজর মো. ইয়াসির আরাফাত হোসেন স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
নিহত তরুণের নাম সিয়াম (২০)। তাঁর বাড়ি গাজীপুর মহানগরীর সদর মেট্রো থানাধীন ছোট দেওড়া এলাকায়।
গ্রেপ্তার মো. আরাফাতের বাড়ি গাজীপুর মহানগরীর সদর মেট্রো থানাধীন দক্ষিণ ছায়াবীথি এলাকায়।
মো. ইয়াসির আরাফাত হোসেন জানান, গত ২৭ এপ্রিল দুপুরে মহানগরীর সদর থানাধীন দক্ষিণ ছায়াবীথি সাকিনস্থ ফণিরটেক এলাকার নিরিবিলি মাঠের পূর্ব পাশে ধানখেতের কাছে এক তরুণের লাশ পাওয়া যায়। সংবাদ পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে। লাশের হাত, পা, গলা, মুখ কাপড় দিয়ে বাঁধা এবং মুখমণ্ডলসহ লাশের সারা শরীরে জখম ছিল। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়। মরদেহ দেখে স্বজনেরা পরিচয় শনাক্ত করেন। পরে এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা রুজু হয়।
তিনি জানান, গ্রেপ্তারকৃত আসামি প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে, সেতু (ছদ্মনাম) নামের এক মেয়ের সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ঘটনার পাঁচ দিন আগে সেতু গাজীপুর মহানগরীর নদর থানাধীন ছোট দেওড়া এলাকায় এক আত্মীয়ের বাড়ি বেড়াতে যায়। সেখানে তাঁর বান্ধবীর সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে সিয়ামের সঙ্গে পরিচয় হয়। এর পর থেকে তাঁদের মধ্যে ফেসবুক মেসেঞ্জারের মাধ্যমে চ্যাট হতো।
অন্যদিকে, ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী আরাফাত সেতুর ফেসবুক আইডি তাঁর নিজ মোবাইলে লগইন করে রাখেন। এ কারণে আরাফাত মেসেঞ্জার চ্যাটের সব বার্তা দেখতে পেতেন। এতে আরাফাতের মনে ক্ষোভ জমতে থাকে এবং সিয়ামকে হত্যার পরিকল্পনা করেন।
সে অনুযায়ী গত ২৬ এপ্রিল সন্ধ্যায় আরাফাত ওই মেয়ের মেসেঞ্জার থেকে আরাফাত নিজের পরিচয় গোপন করে সিয়ামের সঙ্গে চ্যাট করেন এবং ঘটনাস্থলে এসে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে বলেন। সিয়াম সেখানে গেলে আগে থেকে ওত পেতে থাকা আরাফাতসহ ১০-১৫ জনের একটি গ্রুপ সিয়ামের হাত-পা বেঁধে এলোপাতাড়ি চাপাতি, সুইচ গিয়ার চাকু দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে মরদেহ ফেলে পালিয়ে যায়।
জিএমপি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিয়াউল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে জানান, সিয়াম হত্যায় মামলা দায়েরের পর পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তিসহ বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে গত ৬ মে দুই শিশুসহ কিশোর গ্যাংয়ের ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে গাজীপুর মহানগর পুলিশ।
গ্রেপ্তার সবাই ৭ মে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আরাফাতের প্রেমিকা (যাকে কেন্দ্র করে ঘটনাটি ঘটেছে) তিনিও ১৬৪ ধারা মোতাবেক সাক্ষী হিসেবে বিজ্ঞ আদালতে জবানবন্দি দেন। জবানবন্দিতে সবাই মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে আরাফাতকে দায়ী করেছেন।
র্যাব কর্মকর্তা মেজর মো. ইয়াসির আরাফাত হোসেন আরও জানান, গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় র্যাবের আভিযানিক দল তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে জানতে পারে যে সিয়াম হত্যার প্রধান আসামি মো. আরাফাত লক্ষ্মীপুর জেলার মান্দারীবাজার এলাকায় আত্মগোপন করে আছেন। এ তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-১ এবং কুমিল্লার র্যাব-১১ লক্ষ্মীপুর জেলার মান্দারীবাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে।
পরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে মো. আরাফাতকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাঁর কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোন এবং নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়।
গাজীপুর মহানগরীতে প্রেমিকার সঙ্গে ফেসবুক মেসেঞ্জারে চ্যাট করায় সিয়ামকে হত্যা করা হয়। হত্যার ছয় মাস পর গতকাল বুধবার রাতে লক্ষ্মীপুর জেলার মান্দারীবাজার এলাকা থেকে ঘটনার মূল হোতা মো. আরাফাতকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গ্রেপ্তারের পর র্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আরাফাত হত্যাকাণ্ডে নিজে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে হত্যার কারণ ও ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছেন।
এ বিষয়ে আজ বৃহস্পতিবার র্যাব-১, গাজীপুর স্পেশালাইজড কোম্পানি পোড়াবাড়ী ক্যাম্প কমান্ডার মেজর মো. ইয়াসির আরাফাত হোসেন স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
নিহত তরুণের নাম সিয়াম (২০)। তাঁর বাড়ি গাজীপুর মহানগরীর সদর মেট্রো থানাধীন ছোট দেওড়া এলাকায়।
গ্রেপ্তার মো. আরাফাতের বাড়ি গাজীপুর মহানগরীর সদর মেট্রো থানাধীন দক্ষিণ ছায়াবীথি এলাকায়।
মো. ইয়াসির আরাফাত হোসেন জানান, গত ২৭ এপ্রিল দুপুরে মহানগরীর সদর থানাধীন দক্ষিণ ছায়াবীথি সাকিনস্থ ফণিরটেক এলাকার নিরিবিলি মাঠের পূর্ব পাশে ধানখেতের কাছে এক তরুণের লাশ পাওয়া যায়। সংবাদ পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে। লাশের হাত, পা, গলা, মুখ কাপড় দিয়ে বাঁধা এবং মুখমণ্ডলসহ লাশের সারা শরীরে জখম ছিল। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়। মরদেহ দেখে স্বজনেরা পরিচয় শনাক্ত করেন। পরে এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা রুজু হয়।
তিনি জানান, গ্রেপ্তারকৃত আসামি প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে, সেতু (ছদ্মনাম) নামের এক মেয়ের সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ঘটনার পাঁচ দিন আগে সেতু গাজীপুর মহানগরীর নদর থানাধীন ছোট দেওড়া এলাকায় এক আত্মীয়ের বাড়ি বেড়াতে যায়। সেখানে তাঁর বান্ধবীর সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে সিয়ামের সঙ্গে পরিচয় হয়। এর পর থেকে তাঁদের মধ্যে ফেসবুক মেসেঞ্জারের মাধ্যমে চ্যাট হতো।
অন্যদিকে, ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী আরাফাত সেতুর ফেসবুক আইডি তাঁর নিজ মোবাইলে লগইন করে রাখেন। এ কারণে আরাফাত মেসেঞ্জার চ্যাটের সব বার্তা দেখতে পেতেন। এতে আরাফাতের মনে ক্ষোভ জমতে থাকে এবং সিয়ামকে হত্যার পরিকল্পনা করেন।
সে অনুযায়ী গত ২৬ এপ্রিল সন্ধ্যায় আরাফাত ওই মেয়ের মেসেঞ্জার থেকে আরাফাত নিজের পরিচয় গোপন করে সিয়ামের সঙ্গে চ্যাট করেন এবং ঘটনাস্থলে এসে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে বলেন। সিয়াম সেখানে গেলে আগে থেকে ওত পেতে থাকা আরাফাতসহ ১০-১৫ জনের একটি গ্রুপ সিয়ামের হাত-পা বেঁধে এলোপাতাড়ি চাপাতি, সুইচ গিয়ার চাকু দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে মরদেহ ফেলে পালিয়ে যায়।
জিএমপি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিয়াউল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে জানান, সিয়াম হত্যায় মামলা দায়েরের পর পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তিসহ বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে গত ৬ মে দুই শিশুসহ কিশোর গ্যাংয়ের ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে গাজীপুর মহানগর পুলিশ।
গ্রেপ্তার সবাই ৭ মে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আরাফাতের প্রেমিকা (যাকে কেন্দ্র করে ঘটনাটি ঘটেছে) তিনিও ১৬৪ ধারা মোতাবেক সাক্ষী হিসেবে বিজ্ঞ আদালতে জবানবন্দি দেন। জবানবন্দিতে সবাই মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে আরাফাতকে দায়ী করেছেন।
র্যাব কর্মকর্তা মেজর মো. ইয়াসির আরাফাত হোসেন আরও জানান, গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় র্যাবের আভিযানিক দল তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে জানতে পারে যে সিয়াম হত্যার প্রধান আসামি মো. আরাফাত লক্ষ্মীপুর জেলার মান্দারীবাজার এলাকায় আত্মগোপন করে আছেন। এ তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-১ এবং কুমিল্লার র্যাব-১১ লক্ষ্মীপুর জেলার মান্দারীবাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে।
পরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে মো. আরাফাতকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাঁর কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোন এবং নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়।
চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় মোটরসাইকেল, অটোরিকশা ও একটি ট্রাকের ত্রিমুখী সংঘর্ষে দুই ভাইসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার (২৫ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টার দিকে উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের সিকদার দীঘির পূর্বপাড় চিপবাড়ী সড়কের মাথায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
১২ মিনিট আগেলক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দক্ষিণ হামছাদীতে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়ে লজ্জায় আত্মহত্যা করেছেন প্রবাসীর স্ত্রী (৩২)। তাঁর আট বছরের একটি মেয়ে রয়েছে। সেই মেয়েকে নিয়ে স্বামীর ঘরে মা-মেয়ে বসবাস করত। মেয়ের বাবা মালয়েশিয়াপ্রবাসী। মায়ের মৃত্যুর পর আট বছরের মেয়েটির ঠাঁই হয়েছে নানার বাড়িতে।
১৫ মিনিট আগেগাজীপুরে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা মো. নাসির উদ্দিন মৃধা জর্জকে (৪৫) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কালীগঞ্জ উপজেলার একটি রিসোর্ট থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে শ্রীপুর থানা–পুলিশ।
২৩ মিনিট আগেজাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি নুরুল হক নুর। আজ শুক্রবার বিকেলে কুমিল্লা নগরীর টাউন হল মাঠে ‘গণ-অভ্যুত্থানের জন-আকাঙ্ক্ষা ও রাষ্ট্র সংস্কার’ শীর্ষক এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
১ ঘণ্টা আগে