নিজস্ব প্রতিবদেক, ঢাকা
বান্দরবানের থানচিতে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) নামের একটি সশস্ত্র সংগঠনের কর্মীদের কর্মকাণ্ডে আতঙ্কে দিন পার করছেন পাঁচ গ্রামের প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ।
স্থানীয়দের দাবি, তারা নির্ভয়ে চলাফেরা করতে পারছে না। জুমের ফসল বাজারজাতকরণ, পর্যটন শিল্প, শিক্ষাসহ তাঁদের স্বাভাবিক জীবনযাপনের নানা কর্মকাণ্ড প্রভাবিত হচ্ছে। এতে তাঁদের জীবনযাপন প্রায় স্থবির হয়ে পড়েছে।
গ্রামবাসীর অভিযোগ, কেএনএফ সদস্যরা তাঁদের গৃহপালিত পশুপাখি নিয়ে যায়। ভয়ে ছেলে মেয়েদের ঠিকমতো স্কুলে পাঠাতে পারেন না। বিভিন্ন রাস্তা বন্ধ করে রাখায় বাজারে নির্ভয়ে যাতায়াত করতে পারেন না। কেনাবেচা করতে পারেন না জুমের ফসলও।
থানচি উপজেলার তিন্দু ইউনিয়নের সালুক্যাপাড়া, বংকুপাড়া, সাক্রয়পাড়া, হাজরাইপাড়া, নেপিউপাড়া, লালদুসাংপাড়া, মতিলালপাড়া, সাজাইপাড়া, মংখয়পাড়া, খুংলাইপাড়া, পারাওপাড়া, হৈতেপাড়া, অর্জুনপাড়া, রেমংপাড়া, বদুন্যাপাড়া এবং থানচি সদর ইউনিয়নের সিংত্লাংপিপাড়া, থাংডয়পাড়া, সেরকরপাড়া, কাইতংপাড়া, কুংলাপাড়া, বোল্ডিংপাড়া, শাহজাহানপাড়াসহ অর্ধশতাধিক পাড়ার মানুষ এমন আতঙ্কে আছেন বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।
পাশের রুমা উপজেলার রেমাক্রী প্রাংসা ইউনিয়নের লুংওেয়ারপাড়া, পাইনোওয়ামপাড়া, সলোপিপাড়া, দুলিচাংপাড়া, থামলোপাড়ার বাসিন্দাদের দূরত্বের কারণে থানচি বাজার থেকে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনা-বেচা করতে হয়। থানচি বাজারে রুমার এসব পাড়া থেকে আসা কয়েক জন নারী ও পুরুষের সঙ্গে কথা হয়। সেখানকার অবস্থার কথা জানতে চাইলে তাঁরা প্রথমে কিছু বলতে চাইছিলেন না।
পরে নাম প্রকাশ অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান, কেএনএফ সদস্যদের আতঙ্কে তাঁদের আশপাশের প্রায় ৩০ থেকে ৩৫টি পাড়ার মানুষেরা ঠিকমতো কাজ করতে ও জুমে যেতে পারছেন না। কেএনএফ সদস্যরা এসে তাঁদের গরু, ছাগল, হাস, মুরগি এমনকি কুকুর পর্যন্ত নিয়ে যায়। ছেলে-মেয়েদের ঠিকমতো স্কুলে পাঠানো থেকে শুরু করে বাজারে নির্ভয়ে যাতায়াত করতে পারছে না অনেকে।
তিন্দু ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ভাগ্য চন্দ্র ত্রিপুরা বলেন বলেন, ‘আমাদের গ্রাম থেকে থানচি বাজারে যাওয়ার পথ ব্লক করে রেখেছে কেএনএফ সদস্যরা। তাই থানচি বাজার থেকে নাপ্পি, তৈল, মরিচ, ডাল, চাল, সারসহ নিত্য প্রয়োজনীয় ইচ্ছেমতো কিনতে পারছি না। পরিবহনের ব্যবস্থা না থাকায় গ্রামে মালামালও আনা সম্ভব হচ্ছে না।’
ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, ‘কেএনএফের সদস্যদের ভয়ে রাতে বা সন্ধ্যায় জরুরি প্রয়োজন হলে বাজারে যেতে পারি না। প্রতিবেশী হিসেবে একগ্রাম থেকে অন্য গ্রামেও যাওয়া যাচ্ছে না। তাই অনেকেই গ্রাম ছেড়ে শহরের বিভিন্ন আত্মীয়স্বজনের বাসায় আশ্রয় নিয়েছেন। এ ছাড়া নিজেদের জুম-বাগানে চাষ করা ফসল-ফলাদি বাজারে বিক্রি করতে পারি না। নিজের জমির চাষের জমি ইচ্ছে মতো কেনা-বেচা না পারলে স্থানীয়দের না খেয়ে মরতে হবে।’
ভাগ্য চন্দ্র ত্রিপুরা আরও বলেন, ‘কেএনএফ সদস্যদের উৎপাতের জন্য আমরা এত দিন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দিকে তাকিয়ে ছিলাম। কিন্তু সমস্যাটি জাতীয় ইস্যু। তাই আমরা আর শুধুমাত্র তাদের দিকে তাকিয়ে থাকব না। এলাকাবাসীদের নিয়ে আলোচনা করে শিগগিরই এ নিয়ে সমাধানের রাস্তা খুঁজে বের করব। প্রয়োজনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীরও সহযোগিতা নেব।’
এ বিষয়ে থানচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমদাদুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক কথা বলছি। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশনা পেলে আশা করি বিষয়টির সমাধান হয়ে যাবে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহা. আবুল মনসুর বলেন, ‘এলাকার শান্তির জন্য জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আলোচনা চলছে। শিগগিরই এ নিয়ে একটি কার্যকরী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
বান্দরবানের থানচিতে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) নামের একটি সশস্ত্র সংগঠনের কর্মীদের কর্মকাণ্ডে আতঙ্কে দিন পার করছেন পাঁচ গ্রামের প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ।
স্থানীয়দের দাবি, তারা নির্ভয়ে চলাফেরা করতে পারছে না। জুমের ফসল বাজারজাতকরণ, পর্যটন শিল্প, শিক্ষাসহ তাঁদের স্বাভাবিক জীবনযাপনের নানা কর্মকাণ্ড প্রভাবিত হচ্ছে। এতে তাঁদের জীবনযাপন প্রায় স্থবির হয়ে পড়েছে।
গ্রামবাসীর অভিযোগ, কেএনএফ সদস্যরা তাঁদের গৃহপালিত পশুপাখি নিয়ে যায়। ভয়ে ছেলে মেয়েদের ঠিকমতো স্কুলে পাঠাতে পারেন না। বিভিন্ন রাস্তা বন্ধ করে রাখায় বাজারে নির্ভয়ে যাতায়াত করতে পারেন না। কেনাবেচা করতে পারেন না জুমের ফসলও।
থানচি উপজেলার তিন্দু ইউনিয়নের সালুক্যাপাড়া, বংকুপাড়া, সাক্রয়পাড়া, হাজরাইপাড়া, নেপিউপাড়া, লালদুসাংপাড়া, মতিলালপাড়া, সাজাইপাড়া, মংখয়পাড়া, খুংলাইপাড়া, পারাওপাড়া, হৈতেপাড়া, অর্জুনপাড়া, রেমংপাড়া, বদুন্যাপাড়া এবং থানচি সদর ইউনিয়নের সিংত্লাংপিপাড়া, থাংডয়পাড়া, সেরকরপাড়া, কাইতংপাড়া, কুংলাপাড়া, বোল্ডিংপাড়া, শাহজাহানপাড়াসহ অর্ধশতাধিক পাড়ার মানুষ এমন আতঙ্কে আছেন বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।
পাশের রুমা উপজেলার রেমাক্রী প্রাংসা ইউনিয়নের লুংওেয়ারপাড়া, পাইনোওয়ামপাড়া, সলোপিপাড়া, দুলিচাংপাড়া, থামলোপাড়ার বাসিন্দাদের দূরত্বের কারণে থানচি বাজার থেকে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনা-বেচা করতে হয়। থানচি বাজারে রুমার এসব পাড়া থেকে আসা কয়েক জন নারী ও পুরুষের সঙ্গে কথা হয়। সেখানকার অবস্থার কথা জানতে চাইলে তাঁরা প্রথমে কিছু বলতে চাইছিলেন না।
পরে নাম প্রকাশ অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান, কেএনএফ সদস্যদের আতঙ্কে তাঁদের আশপাশের প্রায় ৩০ থেকে ৩৫টি পাড়ার মানুষেরা ঠিকমতো কাজ করতে ও জুমে যেতে পারছেন না। কেএনএফ সদস্যরা এসে তাঁদের গরু, ছাগল, হাস, মুরগি এমনকি কুকুর পর্যন্ত নিয়ে যায়। ছেলে-মেয়েদের ঠিকমতো স্কুলে পাঠানো থেকে শুরু করে বাজারে নির্ভয়ে যাতায়াত করতে পারছে না অনেকে।
তিন্দু ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ভাগ্য চন্দ্র ত্রিপুরা বলেন বলেন, ‘আমাদের গ্রাম থেকে থানচি বাজারে যাওয়ার পথ ব্লক করে রেখেছে কেএনএফ সদস্যরা। তাই থানচি বাজার থেকে নাপ্পি, তৈল, মরিচ, ডাল, চাল, সারসহ নিত্য প্রয়োজনীয় ইচ্ছেমতো কিনতে পারছি না। পরিবহনের ব্যবস্থা না থাকায় গ্রামে মালামালও আনা সম্ভব হচ্ছে না।’
ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, ‘কেএনএফের সদস্যদের ভয়ে রাতে বা সন্ধ্যায় জরুরি প্রয়োজন হলে বাজারে যেতে পারি না। প্রতিবেশী হিসেবে একগ্রাম থেকে অন্য গ্রামেও যাওয়া যাচ্ছে না। তাই অনেকেই গ্রাম ছেড়ে শহরের বিভিন্ন আত্মীয়স্বজনের বাসায় আশ্রয় নিয়েছেন। এ ছাড়া নিজেদের জুম-বাগানে চাষ করা ফসল-ফলাদি বাজারে বিক্রি করতে পারি না। নিজের জমির চাষের জমি ইচ্ছে মতো কেনা-বেচা না পারলে স্থানীয়দের না খেয়ে মরতে হবে।’
ভাগ্য চন্দ্র ত্রিপুরা আরও বলেন, ‘কেএনএফ সদস্যদের উৎপাতের জন্য আমরা এত দিন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দিকে তাকিয়ে ছিলাম। কিন্তু সমস্যাটি জাতীয় ইস্যু। তাই আমরা আর শুধুমাত্র তাদের দিকে তাকিয়ে থাকব না। এলাকাবাসীদের নিয়ে আলোচনা করে শিগগিরই এ নিয়ে সমাধানের রাস্তা খুঁজে বের করব। প্রয়োজনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীরও সহযোগিতা নেব।’
এ বিষয়ে থানচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমদাদুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক কথা বলছি। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশনা পেলে আশা করি বিষয়টির সমাধান হয়ে যাবে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহা. আবুল মনসুর বলেন, ‘এলাকার শান্তির জন্য জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আলোচনা চলছে। শিগগিরই এ নিয়ে একটি কার্যকরী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
গত বৃহস্পতিবার তদন্ত কমিটি মতলব উত্তর উপজেলার মেঘনা নদীর ষাটনল থেকে আমিরাবাদ পর্যন্ত পরিদর্শন করে। এ সময় তারা ষাটনল, ষাটনল বাবু বাজার, মোহনপুর ও এখলাছপুর এলাকা থেকে পানির নমুনা সংগ্রহ করে প্রাথমিক পরীক্ষার পর চূড়ান্ত পরীক্ষার জন্য ঢাকায় ল্যাবরেটরিতে নিয়ে যান।
২০ মিনিট আগেআজ সকাল থেকে জেলা বিএনপির সিদ্ধান্তকে প্রত্যাখ্যান করে ডাকা হরতালে ভোগান্তিতে পড়ে সাধারণ মানুষ। ভোরে বালিয়াডাঙ্গী চৌরাস্তার চারটি রাস্তায় বাঁশ-বেঞ্চ দিয়ে বন্ধ করে ঠাকুরগাঁও শহর থেকে উপজেলার প্রবেশপথ কালমেঘ বাজারে গাছ ফেলে হরতাল কর্মসূচি পালন করে বিএনপির নেতা-কর্মীরা। তাতে সড়কে চলাচল বন্ধ হয়ে গেলে...
৪১ মিনিট আগেবিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিসহ সাত দফা দাবিতে তৃতীয় দিনের মতো অনশন কর্মসূচি পালন করছেন রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, আজ শনিবার বিকেল ৪টার মধ্যে দাবি পূরণের ঘোষণা না দেওয়া হলে অনির্দিষ্টকালের জন্য ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) আওতাধীন এলাকায়...
২ ঘণ্টা আগেমাদারীপুরের ডাসারে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় আজিজুল হাওলাদার (৬০) নামের এক চায়ের দোকানির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার ধামুসা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
২ ঘণ্টা আগে