Ajker Patrika

সৌদি আরবে নিহতের ৫ মাস পর প্রবাসীকে দেশে এনে দাফন

কমলনগর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৭ অক্টোবর ২০২২, ১৪: ৫৫
সৌদি আরবে নিহতের ৫ মাস পর প্রবাসীকে দেশে এনে দাফন

সৌদি আরবে মারা যাওয়ার পাঁচ মাস পর বাংলাদেশি প্রবাসী আবদুর রহমানের মরদেহ দেশে এনে দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে। গতকাল বুধবার সন্ধ্যার দিকে লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার উত্তর চর গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে মরদেহ দাফন করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন প্রবাসীর বাবা মো. হানিফ। 

এর আগে চলতি বছরের ১ মে সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদ এলাকার কোয়াইয়া থানার পুলিশ আবদুর রহমানের রক্তাক্ত মরদেহ তাঁর কর্মস্থল হারমোলিয়া এলাকার একটি খামার থেকে উদ্ধার করে। এর পাঁচ দিন পর মৃত্যুর খবর পায় তাঁর পরিবার। 

সৌদি আরবে অবস্থানরত স্বজনদের বরাত দিয়ে আবদুর রহমানের বাবা হানিফ ও ভাই কাশেম জানান, কাজ নিয়ে বিরোধের জেরে মালিকের এক আত্মীয় ও এক সুদানি সহকর্মী আবদুর রহমানকে হত্যা করেছেন। পরে গাড়িচাপায় মারা গেছেন বলে মিথ্যা প্রচার করেছেন। এ ঘটনায় পুলিশ এক সৌদি নাগরিক ও একজন সুদানি নাগরিককে আটক করে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর ছেড়ে দিয়েছে। পরে আবদুর রহমানের মৃত্যু নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে সৌদি দূতাবাস পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তরের উদ্যোগ নেয়। মৃত্যুর পাঁচ মাস পর মরদেহ এনে পারিবারিকভাবে দাফন করা হয়েছে। 

নিহতের মা লাকী বেগম বলেন, ‘অভাব-অনটনের কারণে এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে বাড়ির পাশের এক আত্মীয়ের মাধ্যমে ২০১৯ সালে ছেলেকে সৌদি আরবে পাঠাই। কিন্তু সেখানে গিয়ে আমার ছেলে জানতে পারে তাঁর চাকরি হচ্ছে মরুভূমিতে উট চরানো। এ কাজ করা তার পক্ষে মোটেও সম্ভব ছিল না। তবু বহু কষ্টে আমার ছেলে দুই বছর কাটিয়েছে।’ 

নিহতের মা আরও বলেন, ‘করোনার সময়ও আমার ছেলের কোনো ছুটি ছিল না। এরই মধ্যে কারণে-অকারণে মালিকপক্ষ তাকে মারধর করত। পরে নির্যাতন সইতে না পেরে একদিন সেখান থেকে পালিয়ে অন্যত্র চলে যায় এবং অন্য কাজে যোগ দেয়। সেখানে গিয়েও জানতে পারে তার কাজ হচ্ছে মরুভূমিতে ছাগলের খামারের শ্রমিক হিসেবে। পরে সেখানকার সুদানি সহকর্মীদের সঙ্গে তার প্রায়ই ঝগড়া হতো। পরে চলতি বছরের ১ মে রক্তাক্ত অবস্থায় আমার ছেলের মরদেহ পাওয়া যায়। এখন আমরা পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ছেলেকে হারিয়ে নিঃস্ব।’ 

নিহতের বাবা হানিফ বলেন, ‘আমরা সাধারণ মানুষ, কী করতে হবে জানতাম না। কিন্তু সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় ছেলের মরদেহ দেশে এনে মাটি দিতে পেরেছি। এখন আমরা দেশীয় দালাল ও সৌদির ওই খামারমালিকের বিচারের দাবি করছি। তবে আমরা মরদেহের সঙ্গে কোনো ধরনের ক্ষতিপূরণ পাইনি।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

চার মন্ত্রণালয় ও প্রতিষ্ঠানের সেবা ডিজিটাইজ করার নির্দেশ দিল সরকার

গত দশ বছর ভিসা না পাওয়ার কারণে বাংলাদেশে আসতে পারিনি: মাইলাম

মাগুরার শিশুটি এখনো অচেতন, চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন তারেক রহমান

ঈদে পুলিশের সহযোগী ফোর্স হবে বেসরকারি নিরাপত্তাকর্মী, পাবে গ্রেপ্তারের ক্ষমতা

তিন নারী আমার জীবনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ: তারেক রহমান

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত