Ajker Patrika

সংবাদ প্রকাশের পর তালতলীতে নির্মাণকাজ শুরু সেই ব্রিজের  

তালতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি
আপডেট : ১০ জানুয়ারি ২০২৩, ১৭: ৪৫
Thumbnail image

বরগুনার তালতলীতে এডিপি থেকে বরাদ্দের ব্রিজের কাজ না করেই তিন অর্থবছর আগে বিল উত্তোলন করে লোপাট করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এ নিয়ে দৈনিক আজকের পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর নজরে আসে প্রশাসনের। এরপর তড়িঘড়ি করে শুরু করা হয় ব্রিজ নির্মাণের কাজ। 

আজ মঙ্গলবার সরেজমিনে দেখা যায়, আয়রন ব্রিজ নির্মাণ প্রায় শেষ হয়েছে। এ সময় এলাকাবাসী সন্তোষ প্রকাশ করে জানান, আগে ব্রিজ নির্মাণ করলে কেমন হতো জানি না। তবে বর্তমানে ব্রিজটি খুব ভালো হয়েছে। এতে তাঁদের অনেক দুর্ভোগ কমে যাবে। সংবাদ প্রকাশিত না হলে ব্রিজটি নির্মাণ হয়তো হতো না বলে জানান তাঁরা। 

জানা গেছে, ২০১৯-২০ অর্থবছরের এডিপির আওতায় একটি প্যাকেজে টয়লেট, টিউবওয়েল ও আয়রন সেতুর জন্য ৬ লাখ ২৫ হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়। উপজেলার কড়ইবাড়িয়া ইউনিয়নের উত্তর ঝাড়াখালী গ্রামের আমজেদ বয়াতির বাড়ির সামনে একটি আয়রন সেতু নির্মাণ করার জন্য ৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। ওই এলাকার একটি পুরোনো আয়রন সেতুর মালামাল সংযুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। নির্মাণকাজ করার জন্য বরগুনার মেসার্স আকন্দ ট্রেডার্স ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টেন্ডার পায়। 

সেই আকন্দ ট্রেডার্সের প্রোপ্রাইটর মো. রেদোয়ান ঠিকাদারের কাছ থেকে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মিনহাজুল আবেদীন মিঠু ও তাঁর পার্টনার সোহেল কাজটি সম্পন্ন করে দেওয়ার কথা বলে চুক্তিতে নেন। এরপর নিয়ম অনুসারে তৎকালীন অর্থবছরের জুন মাসের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা। টয়লেট ও টিউবওয়েল নির্মাণ করা হলেও সেতুটি নির্মাণ না করেই জুন মাসের শেষে পুরো প্যাকেজের টাকা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এলজিইডি অফিসের সঙ্গে যোগসাজশে বিল উত্তোলন করেছে। এই প্রকল্পের কাজের তদারকির দায়িত্বে ছিলেন সহকারী প্রকৌশলী মুরাদ হোসেন। 

এ নিয়ে ‘কাজ না করে টাকা লোপাট’ শিরোনামে দৈনিক আজকের পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরপরে বিষয়টি নজরে আসে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের। এর পরিপ্রেক্ষিতে ওই আয়রন ব্রিজ নির্মাণকাজের মেসার্স আকন্দ ট্রেডার্সের পক্ষে ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক নির্মাণকাজ শুরু করান। 

ঠিকাদার থেকে চুক্তিতে নেওয়া কাজের সহকারী ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মিনহাজুল আবেদিন মিঠু বলেন, ‘আয়রন ব্রিজটি নির্মাণ করছি। আশা করি দু-তিন দিনের মধ্যে কাজটি শেষ হয়ে যাবে। ব্রিজ নিয়ে আর অভিযোগ থাকবে না।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘ব্রিজটি নির্মাণ করতে বরাদ্দের চেয়ে দু-তিন গুণ টাকা বেশি খরচ হয়েছে। ভালো মানের ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে।’ 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম সাদিক তানভীর বলেন, আজকের পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পরে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে ব্রিজ নির্মাণ করার জন্য তাগিদ দেওয়া হয়। বর্তমানে ব্রিজ নির্মাণ শুরু হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত