ভোলা সংবাদদাতা
ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার চর কলমী ইউনিয়নের দক্ষিণ মানিকা গ্রামের গৃহবধূ তানিয়া গতকাল মঙ্গলবার সকালে ভোলা ডায়াবেটিক হাসপাতালে এসেছেন তাঁর ১ মাস ২ দিন বয়সী শিশুপুত্র তানজিলকে নিয়ে। শিশুটির মা তানিয়া বলেন, ‘আমার শিশুসন্তানটি পা বাঁকা নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। শিশুর বয়স যখন ১০ দিন, তখন থেকে ভোলা ডায়াবেটিক হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছি।’ তিনি আরও বলেন, এ পর্যন্ত তিনবার পায়ের প্লাস্টার করেছেন চিকিৎসকেরা। এর জন্য ব্যয় হয়েছে ৬ হাজার টাকা। এরপর ৩ হাজার টাকা দিয়ে শিশুটির পায়ের অপারেশন করানো হয়েছে। এখন তাঁর শিশুপুত্র তানজিল অনেকটা সুস্থ বলে জানান মা তানিয়া।
একই উপজেলার দুলারহাট এলাকা থেকে ১০ দিনের শিশুপুত্র তাকরিমকে নিয়ে আসা মা রুমা আক্তার বলেন, ‘এলাকার মানুষের কাছ থেকে শুনে আমার শিশুসন্তানকে নিয়ে ভোলা ডায়াবেটিক হাসপাতালে এসেছি চিকিৎসা করাতে।’ রুমা বলেন, গর্ভ থেকে তাঁর ছেলে ডান পা বাঁকা নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। এখানে চিকিৎসা নিচ্ছে। চিকিৎসকেরা তাঁকে জানিয়েছেন, শিশুটির পায়ের প্লাস্টার করা হবে। এর জন্য লাগবে ৬ হাজার টাকা।
জন্মের এক সপ্তাহ পর থেকে চার বছর ধরে শিশু মারজানা ইসলাম মায়াকে ভোলা ডায়াবেটিক হাসপাতালে এসে চিকিৎসা করাচ্ছেন মা জান্নাতুল ফেরদৌস। তিনি জানান, জন্মগতভাবে দুই পা বাঁকা ছিল তাঁর শিশুকন্যা মায়ার। ২০২১ সাল থেকে দীর্ঘদিন চিকিৎসা করানোর পর এখন সুস্থ জীবন যাপন করছে। তবে এখনো নিয়মিত ব্যায়াম করতে হচ্ছে। জান্নাত জানান, প্রথমে তাঁর শিশুর পা তিনবার প্লাস্টার করা হয়েছে। এরপর অপারেশন করার পর এখন পায়ে বিশেষ ধরনের জুতা পরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সন্তানের সুস্থ হওয়ায় খুশি মা জান্নাতুল ফেরদৌস।
গতকাল ভোলা ডায়াবেটিক হাসপাতালে তানজিল, তাকরিম ও মারজানার মতো অনেক শিশু চিকিৎসা নিচ্ছে। অথচ তারা বাঁকা পা নিয়ে জন্মেছিল। তাই টাকার বিনিময়ে হলেও চিকিৎসার মাধ্যমে পায়ের স্বাভাবিক গড়ন ফিরে পাওয়ায় এসব শিশুর অভিভাবকেরাও বেশ উচ্ছ্বসিত।
এ বিষয়ে বাঁকা পা নিয়ে জন্ম নেওয়া শিশুদের চিকিৎসক ফিজিওথেরাপিস্ট অ্যান্ড কনসেটিভ প্র্যাকটিশনার মো. মাজহারুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘২০১০ সালে প্রথমে ভোলা সদর হাসপাতালে আমরা বাঁকা পা নিয়ে জন্ম নেওয়া শিশুদের এ চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু করেছিলাম। এরপর ২০১৯ সাল থেকে ভোলা ডায়াবেটিক হাসপাতালে এসব শিশুর চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’
মাজহারুল ইসলাম আরও বলেন, এ পর্যন্ত ৮৩৭টি (৩ বছরের নিচে) শিশুকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এখানে শিশুদের প্লাস্টার, অপারেশন ও বিশেষ ধরনের জুতা পরানো হয়। বাঁকা পা নিয়ে জন্ম নেওয়া শিশুদের ৯৫ ভাগ সফল হয়েছে বলেও জানান এই চিকিৎসক।
মো. মাজহারুল ইসলাম জানান, শিশুর দুই পায়ের জন্য ১০ হাজার টাকা ও ১ পায়ের জন্য ৬ হাজার টাকা নিয়ে এ চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। দুই পায়ের জন্য অপারেশন বাবদ সাড়ে ৩ হাজার ও এক পায়ের জন্য নেওয়া হয় ৩ হাজার টাকা। বাংলাদেশের ৩৩টি ক্লিনিকে চিকিৎসা দিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসছে ৩৮ হাজার শিশু।
ভোলা ডায়াবেটিক হাসপাতালে বাঁকা পা নিয়ে জন্ম নেওয়া শিশুদের চিকিৎসার ব্যাপারে হাসপাতালটির বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মিয়া মোহাম্মদ ইউনুছ বলেন, ‘আগে ভোলা সদর হাসপাতালে এসব শিশুর চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু সেখানে সঠিকভাবে চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হয়নি। এ ছাড়া হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কিছুটা অবহেলা ও গাফিলতি ছিল। তাই ২০১৯ সালে আমরা ভোলা ডায়াবেটিক হাসপাতালের তৃতীয় তলায় এসব শিশুর চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দিয়েছি। পা বাঁকা নিয়ে জন্মগ্রহণ করা এসব শিশুর চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দিতে পেরে আমরাও আনন্দিত। কারণ, বুঝতে হবে, এসব শিশু সমাজের বোঝা নয়। চিকিৎসার মাধ্যমে শিশুদের পা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা সম্ভব হচ্ছে।’
এ বিষয়ে ভোলার বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ নাজিউর রহমান কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও ভোলা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি এম ফারুকুর রহমান বলেন, ‘ভোলা ডায়াবেটিক হাসপাতালে প্রতি মঙ্গলবার সকালে বাঁকা পা নিয়ে জন্ম নেওয়া শিশুদের চিকিৎসার জন্য সবচেয়ে বেশি প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করেছেন হাসপাতালটির বর্তমান নির্বাহী পরিচালক মিয়া মোহাম্মদ ইউনুছ। তিনি হাসপাতালে জায়গা দিয়ে একটি মানবিক কাজ করেছেন।’
ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার চর কলমী ইউনিয়নের দক্ষিণ মানিকা গ্রামের গৃহবধূ তানিয়া গতকাল মঙ্গলবার সকালে ভোলা ডায়াবেটিক হাসপাতালে এসেছেন তাঁর ১ মাস ২ দিন বয়সী শিশুপুত্র তানজিলকে নিয়ে। শিশুটির মা তানিয়া বলেন, ‘আমার শিশুসন্তানটি পা বাঁকা নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। শিশুর বয়স যখন ১০ দিন, তখন থেকে ভোলা ডায়াবেটিক হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছি।’ তিনি আরও বলেন, এ পর্যন্ত তিনবার পায়ের প্লাস্টার করেছেন চিকিৎসকেরা। এর জন্য ব্যয় হয়েছে ৬ হাজার টাকা। এরপর ৩ হাজার টাকা দিয়ে শিশুটির পায়ের অপারেশন করানো হয়েছে। এখন তাঁর শিশুপুত্র তানজিল অনেকটা সুস্থ বলে জানান মা তানিয়া।
একই উপজেলার দুলারহাট এলাকা থেকে ১০ দিনের শিশুপুত্র তাকরিমকে নিয়ে আসা মা রুমা আক্তার বলেন, ‘এলাকার মানুষের কাছ থেকে শুনে আমার শিশুসন্তানকে নিয়ে ভোলা ডায়াবেটিক হাসপাতালে এসেছি চিকিৎসা করাতে।’ রুমা বলেন, গর্ভ থেকে তাঁর ছেলে ডান পা বাঁকা নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। এখানে চিকিৎসা নিচ্ছে। চিকিৎসকেরা তাঁকে জানিয়েছেন, শিশুটির পায়ের প্লাস্টার করা হবে। এর জন্য লাগবে ৬ হাজার টাকা।
জন্মের এক সপ্তাহ পর থেকে চার বছর ধরে শিশু মারজানা ইসলাম মায়াকে ভোলা ডায়াবেটিক হাসপাতালে এসে চিকিৎসা করাচ্ছেন মা জান্নাতুল ফেরদৌস। তিনি জানান, জন্মগতভাবে দুই পা বাঁকা ছিল তাঁর শিশুকন্যা মায়ার। ২০২১ সাল থেকে দীর্ঘদিন চিকিৎসা করানোর পর এখন সুস্থ জীবন যাপন করছে। তবে এখনো নিয়মিত ব্যায়াম করতে হচ্ছে। জান্নাত জানান, প্রথমে তাঁর শিশুর পা তিনবার প্লাস্টার করা হয়েছে। এরপর অপারেশন করার পর এখন পায়ে বিশেষ ধরনের জুতা পরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সন্তানের সুস্থ হওয়ায় খুশি মা জান্নাতুল ফেরদৌস।
গতকাল ভোলা ডায়াবেটিক হাসপাতালে তানজিল, তাকরিম ও মারজানার মতো অনেক শিশু চিকিৎসা নিচ্ছে। অথচ তারা বাঁকা পা নিয়ে জন্মেছিল। তাই টাকার বিনিময়ে হলেও চিকিৎসার মাধ্যমে পায়ের স্বাভাবিক গড়ন ফিরে পাওয়ায় এসব শিশুর অভিভাবকেরাও বেশ উচ্ছ্বসিত।
এ বিষয়ে বাঁকা পা নিয়ে জন্ম নেওয়া শিশুদের চিকিৎসক ফিজিওথেরাপিস্ট অ্যান্ড কনসেটিভ প্র্যাকটিশনার মো. মাজহারুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘২০১০ সালে প্রথমে ভোলা সদর হাসপাতালে আমরা বাঁকা পা নিয়ে জন্ম নেওয়া শিশুদের এ চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু করেছিলাম। এরপর ২০১৯ সাল থেকে ভোলা ডায়াবেটিক হাসপাতালে এসব শিশুর চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’
মাজহারুল ইসলাম আরও বলেন, এ পর্যন্ত ৮৩৭টি (৩ বছরের নিচে) শিশুকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এখানে শিশুদের প্লাস্টার, অপারেশন ও বিশেষ ধরনের জুতা পরানো হয়। বাঁকা পা নিয়ে জন্ম নেওয়া শিশুদের ৯৫ ভাগ সফল হয়েছে বলেও জানান এই চিকিৎসক।
মো. মাজহারুল ইসলাম জানান, শিশুর দুই পায়ের জন্য ১০ হাজার টাকা ও ১ পায়ের জন্য ৬ হাজার টাকা নিয়ে এ চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। দুই পায়ের জন্য অপারেশন বাবদ সাড়ে ৩ হাজার ও এক পায়ের জন্য নেওয়া হয় ৩ হাজার টাকা। বাংলাদেশের ৩৩টি ক্লিনিকে চিকিৎসা দিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসছে ৩৮ হাজার শিশু।
ভোলা ডায়াবেটিক হাসপাতালে বাঁকা পা নিয়ে জন্ম নেওয়া শিশুদের চিকিৎসার ব্যাপারে হাসপাতালটির বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মিয়া মোহাম্মদ ইউনুছ বলেন, ‘আগে ভোলা সদর হাসপাতালে এসব শিশুর চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু সেখানে সঠিকভাবে চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হয়নি। এ ছাড়া হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কিছুটা অবহেলা ও গাফিলতি ছিল। তাই ২০১৯ সালে আমরা ভোলা ডায়াবেটিক হাসপাতালের তৃতীয় তলায় এসব শিশুর চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দিয়েছি। পা বাঁকা নিয়ে জন্মগ্রহণ করা এসব শিশুর চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দিতে পেরে আমরাও আনন্দিত। কারণ, বুঝতে হবে, এসব শিশু সমাজের বোঝা নয়। চিকিৎসার মাধ্যমে শিশুদের পা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা সম্ভব হচ্ছে।’
এ বিষয়ে ভোলার বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ নাজিউর রহমান কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও ভোলা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি এম ফারুকুর রহমান বলেন, ‘ভোলা ডায়াবেটিক হাসপাতালে প্রতি মঙ্গলবার সকালে বাঁকা পা নিয়ে জন্ম নেওয়া শিশুদের চিকিৎসার জন্য সবচেয়ে বেশি প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করেছেন হাসপাতালটির বর্তমান নির্বাহী পরিচালক মিয়া মোহাম্মদ ইউনুছ। তিনি হাসপাতালে জায়গা দিয়ে একটি মানবিক কাজ করেছেন।’
মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে প্রায় তিন কেজি শুকনা গাঁজা ও ৯ ফুট লম্বা একটি গাঁজার গাছসহ এক দম্পতিকে আটক করেছে পুলিশ। রোববার (২০ জুলাই) রাতে উপজেলার চিত্রকোট ইউনিয়নের নয়াগাঁও গ্রামে ওই দম্পতির নির্মাণাধীন বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পরিচালিত অভিযানে গাঁজা ও গাঁজার গাছ উদ্ধার করা হয়।
২১ মিনিট আগেসোমবার সকালে জেলা শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ওষুধ, খাবারসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দোকানপাট খুলতে শুরু করেছে। তবে কেউ কেউ এখনো পুলিশি তৎপরতায় উদ্বিগ্ন হয়ে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খোলার সাহস পাচ্ছেন না।
২৩ মিনিট আগেএ সময় হোটেলের মালিক মানিক মাঝি—যিনি পুলিশের তালিকাভুক্ত মাদক কারবারি এবং ম্যানেজারকে আটক করা হয়। রাতেই তাঁদের বিরুদ্ধে গৌরনদী মডেল থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়।
৩১ মিনিট আগেগতকাল রোববার বেলা ৩টায় মিরপুর ডিওএইচএসের ছয় নম্বর অ্যাভিনিউয়ের ১১ নম্বর রোডের একটি বাসায় এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। আজ সোমবার সকালে আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিউল ইসলাম।
৩৫ মিনিট আগে