নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বাংলাদেশের প্রাত্যহিক জীবনে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড যেমন নাগরিকদের গা সওয়া হয়ে গেছে, ক্রিকেটারদের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়াও যেন নিয়মিত ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কদিন আগে বিপিএলে এ নিয়ে কম হইচই হয়নি। জাতীয় দলে খেলা ক্রিকেটাররা কঠিন শাস্তিও পাচ্ছেন এ ধরনের ঘটনায়। তবু তালিকা বড় হয়েই চলেছে। এ তালিকায় সর্বশেষ সংযোজন নারী ক্রিকেটার সোহেলী আক্তার। তাঁকে গতকাল আইসিসি পাঁচ বছরের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এ নিয়ে সাত বছরে বাংলাদেশের চার ক্রিকেটারকে নিষিদ্ধ করল আইসিসি। তবু কেন সচেতন হন না ক্রিকেটাররা?
একসময়ের বাংলাদেশের ক্রিকেটে সবচেয়ে বড় তারকা আশরাফুলের বিরুদ্ধে ২০১৩ সালে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএলে) ম্যাচ পাতানোর অভিযোগ ওঠে। পরে আশরাফুল এ বিষয়ে স্বীকারোক্তি দেন এবং জাতির কাছে ক্ষমা চান। পরে আশরাফুলকে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। ফিক্সিংয়ের সঙ্গে আশরাফুলের জড়িত থাকার ঘটনায় বিরাট ধাক্কা খায় বাংলাদেশের ক্রিকেট। আশরাফুল সেই নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ২০১৮ সালে সব ধরনের প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফিরলেও আগের সেই জায়গায় ফিরতে পারেননি। বছর পাঁচেক ক্রিকেট চালিয়ে এখন কোচিংয়ে যুক্ত আশরাফুল। সর্বশেষ বিপিএলে তিনি রংপুর রাইডার্সের সহকারী কোচ হিসেবে কাজ করেছেন।
তারকাখ্যাতিতে অনেক আগেই আশরাফুলকে ছাড়িয়ে গেছেন সাকিব আল হাসান। তবে এ ধরনের ঘটনায় তাঁর ওপর নিষেধাজ্ঞার খড়্গ নেমে আসবে, সেটা ছিল কল্পনাতীত। ২০১৮ সালে দীপক আগারওয়াল নামের এক বুকির কাছ থেকে তিনবার প্রস্তাব পেয়েও যথাসময়ে কর্তৃপক্ষকে জানাননি তিনি। সাকিব পরিষ্কার বুঝতে পেরেছিলেন আগারওয়াল তাঁর কাছ থেকে তথ্য নিয়ে জুয়ার কাজে তা ব্যবহার করবেন। তবে দুর্নীতিবিরোধী দল এসিইউকে যথাসময়ে না জানানো ছিল তাঁর অপরাধ। সাকিব নিজ থেকে সব দায় মেনে নিয়ে তদন্তের সময় সর্বোচ্চ সহযোগিতা করায় তিনি এক বছরের নিষেধাজ্ঞা পান। ২০১৯ সালের অক্টোবর থেকে ২০২০ সালের অক্টোবর পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফিরেও সাকিবের ক্যারিয়ারের শেষটা মসৃণ হয়নি। পরে রাজনীতিতে যোগদান, ক্ষমতার পটপরিবর্তনে সাকিব এখন দেশেও ফিরতে পারছেন না। গত ডিসেম্বরে তাঁর বোলিং অ্যাকশনও নিষিদ্ধ হয়েছে।
অনেক আগেই জাতীয় দলের বাইরে চলে গেছেন একসময়ের জনপ্রিয় ক্রিকেটার নাসির হোসেন। তাঁর বিরুদ্ধে আইসিসি দুর্নীতির অভিযোগ এনেছিল ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবি টি-টেন লিগে ২০২১ সালের আসরের ম্যাচে দুর্নীতির চেষ্টা করা হলেও সেটি ব্যাহত হয়—এমনটি জানিয়েছিল আইসিসি। গত বছরের জানুয়ারিতে নাসিরকে নিষিদ্ধ করার কথা জানায় আইসিসি। শাস্তির শর্ত পূরণ করতে পারলে আগামী ৭ এপ্রিল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নাসির ফিরতে পারবেন বলে জানায় আইসিসি।
গতকাল জানা গেল সোহেলীর শাস্তির খবর। ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ চলার সময়ে জাতীয় দলের এক সতীর্থকে মেসেঞ্জারে ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগে বেশ তোলপাড় হয় দেশের ক্রিকেট। দুই বছরের তদন্তে তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। তাঁকে আইসিসি পাঁচ বছরের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। তাঁর একসময়ের সতীর্থ, বাংলাদেশ নারী দলের সাবেক এক অধিনায়ক বলছিলেন, ‘আমি যেদিন প্রথম শুনেছিলাম, খুব ধাক্কা খেয়েছিলাম। মেয়েদের ক্রিকেটের সাধারণত এসব দেখা যায় না খুব একটা। কিন্তু এই শাস্তি ভালো হয়েছে। খুব দরকার ছিল। যারা এসব চিন্তা করবে, তাদের জন্য শিক্ষা। আমি কল্পনাও করতে পারি না, এ ধরনের কিছু ভাবতে! খুব খারাপ খেলছি, মেয়েদের ক্রিকেটে একটা বদনাম হয়ে গেল।’
ক্রিকেটাররা কেন ফিক্সিং-কাণ্ডে জড়িয়ে পড়ে, এর সুনির্দিষ্ট ব্যাখ্যা নেই বিসিবির পরিচালক, নারী বিভাগের প্রধান ও ক্রিকেট বিশ্লেষক নাজমুল আবেদীন ফাহিমের কাছেও। তিনি বলছিলেন, ‘উদ্দেশ্যমূলক হতে পারে, কেউ ব্যাপারটা পরিষ্কারভাবে না বুঝেও করতে পারে, কোন মাত্রায় এটি কতটা অসুবিধায় ফেলতে পারে, সেটি নাও বুঝতে পারে। সব কারণেই হতে পারে। আমরা সচেতনতা তৈরির চেষ্টা করি। ছেলেদের লিগে বারবার এসব কথা বলে আসছি। সামনে মেয়েদের প্রিমিয়ার লিগ শুরু হবে, সেখানেও আমরা এটা করব। যখনই আন্তর্জাতিক খেলা হয়, আইসিসি এটা করে, বিসিবিও সচেতন করে।’
তবু সচেতনভাবে বা অবজ্ঞায় অন্ধকারে পথে পা দিয়ে ফেলেন ক্রিকেটাররা। ফাহিমের আশা, ক্রিকেটাররা শিক্ষা নেবে এসব ঘটনা থেকে, ‘আশা করব, সবাই এখান থেকে শিক্ষা নেবে। ব্যাপারটা আমরা সমর্থন করি না, এখন থেকে যত দূরে থাকা যায়।’
বাংলাদেশের প্রাত্যহিক জীবনে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড যেমন নাগরিকদের গা সওয়া হয়ে গেছে, ক্রিকেটারদের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়াও যেন নিয়মিত ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কদিন আগে বিপিএলে এ নিয়ে কম হইচই হয়নি। জাতীয় দলে খেলা ক্রিকেটাররা কঠিন শাস্তিও পাচ্ছেন এ ধরনের ঘটনায়। তবু তালিকা বড় হয়েই চলেছে। এ তালিকায় সর্বশেষ সংযোজন নারী ক্রিকেটার সোহেলী আক্তার। তাঁকে গতকাল আইসিসি পাঁচ বছরের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এ নিয়ে সাত বছরে বাংলাদেশের চার ক্রিকেটারকে নিষিদ্ধ করল আইসিসি। তবু কেন সচেতন হন না ক্রিকেটাররা?
একসময়ের বাংলাদেশের ক্রিকেটে সবচেয়ে বড় তারকা আশরাফুলের বিরুদ্ধে ২০১৩ সালে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএলে) ম্যাচ পাতানোর অভিযোগ ওঠে। পরে আশরাফুল এ বিষয়ে স্বীকারোক্তি দেন এবং জাতির কাছে ক্ষমা চান। পরে আশরাফুলকে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। ফিক্সিংয়ের সঙ্গে আশরাফুলের জড়িত থাকার ঘটনায় বিরাট ধাক্কা খায় বাংলাদেশের ক্রিকেট। আশরাফুল সেই নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ২০১৮ সালে সব ধরনের প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফিরলেও আগের সেই জায়গায় ফিরতে পারেননি। বছর পাঁচেক ক্রিকেট চালিয়ে এখন কোচিংয়ে যুক্ত আশরাফুল। সর্বশেষ বিপিএলে তিনি রংপুর রাইডার্সের সহকারী কোচ হিসেবে কাজ করেছেন।
তারকাখ্যাতিতে অনেক আগেই আশরাফুলকে ছাড়িয়ে গেছেন সাকিব আল হাসান। তবে এ ধরনের ঘটনায় তাঁর ওপর নিষেধাজ্ঞার খড়্গ নেমে আসবে, সেটা ছিল কল্পনাতীত। ২০১৮ সালে দীপক আগারওয়াল নামের এক বুকির কাছ থেকে তিনবার প্রস্তাব পেয়েও যথাসময়ে কর্তৃপক্ষকে জানাননি তিনি। সাকিব পরিষ্কার বুঝতে পেরেছিলেন আগারওয়াল তাঁর কাছ থেকে তথ্য নিয়ে জুয়ার কাজে তা ব্যবহার করবেন। তবে দুর্নীতিবিরোধী দল এসিইউকে যথাসময়ে না জানানো ছিল তাঁর অপরাধ। সাকিব নিজ থেকে সব দায় মেনে নিয়ে তদন্তের সময় সর্বোচ্চ সহযোগিতা করায় তিনি এক বছরের নিষেধাজ্ঞা পান। ২০১৯ সালের অক্টোবর থেকে ২০২০ সালের অক্টোবর পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফিরেও সাকিবের ক্যারিয়ারের শেষটা মসৃণ হয়নি। পরে রাজনীতিতে যোগদান, ক্ষমতার পটপরিবর্তনে সাকিব এখন দেশেও ফিরতে পারছেন না। গত ডিসেম্বরে তাঁর বোলিং অ্যাকশনও নিষিদ্ধ হয়েছে।
অনেক আগেই জাতীয় দলের বাইরে চলে গেছেন একসময়ের জনপ্রিয় ক্রিকেটার নাসির হোসেন। তাঁর বিরুদ্ধে আইসিসি দুর্নীতির অভিযোগ এনেছিল ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবি টি-টেন লিগে ২০২১ সালের আসরের ম্যাচে দুর্নীতির চেষ্টা করা হলেও সেটি ব্যাহত হয়—এমনটি জানিয়েছিল আইসিসি। গত বছরের জানুয়ারিতে নাসিরকে নিষিদ্ধ করার কথা জানায় আইসিসি। শাস্তির শর্ত পূরণ করতে পারলে আগামী ৭ এপ্রিল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নাসির ফিরতে পারবেন বলে জানায় আইসিসি।
গতকাল জানা গেল সোহেলীর শাস্তির খবর। ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ চলার সময়ে জাতীয় দলের এক সতীর্থকে মেসেঞ্জারে ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগে বেশ তোলপাড় হয় দেশের ক্রিকেট। দুই বছরের তদন্তে তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। তাঁকে আইসিসি পাঁচ বছরের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। তাঁর একসময়ের সতীর্থ, বাংলাদেশ নারী দলের সাবেক এক অধিনায়ক বলছিলেন, ‘আমি যেদিন প্রথম শুনেছিলাম, খুব ধাক্কা খেয়েছিলাম। মেয়েদের ক্রিকেটের সাধারণত এসব দেখা যায় না খুব একটা। কিন্তু এই শাস্তি ভালো হয়েছে। খুব দরকার ছিল। যারা এসব চিন্তা করবে, তাদের জন্য শিক্ষা। আমি কল্পনাও করতে পারি না, এ ধরনের কিছু ভাবতে! খুব খারাপ খেলছি, মেয়েদের ক্রিকেটে একটা বদনাম হয়ে গেল।’
ক্রিকেটাররা কেন ফিক্সিং-কাণ্ডে জড়িয়ে পড়ে, এর সুনির্দিষ্ট ব্যাখ্যা নেই বিসিবির পরিচালক, নারী বিভাগের প্রধান ও ক্রিকেট বিশ্লেষক নাজমুল আবেদীন ফাহিমের কাছেও। তিনি বলছিলেন, ‘উদ্দেশ্যমূলক হতে পারে, কেউ ব্যাপারটা পরিষ্কারভাবে না বুঝেও করতে পারে, কোন মাত্রায় এটি কতটা অসুবিধায় ফেলতে পারে, সেটি নাও বুঝতে পারে। সব কারণেই হতে পারে। আমরা সচেতনতা তৈরির চেষ্টা করি। ছেলেদের লিগে বারবার এসব কথা বলে আসছি। সামনে মেয়েদের প্রিমিয়ার লিগ শুরু হবে, সেখানেও আমরা এটা করব। যখনই আন্তর্জাতিক খেলা হয়, আইসিসি এটা করে, বিসিবিও সচেতন করে।’
তবু সচেতনভাবে বা অবজ্ঞায় অন্ধকারে পথে পা দিয়ে ফেলেন ক্রিকেটাররা। ফাহিমের আশা, ক্রিকেটাররা শিক্ষা নেবে এসব ঘটনা থেকে, ‘আশা করব, সবাই এখান থেকে শিক্ষা নেবে। ব্যাপারটা আমরা সমর্থন করি না, এখন থেকে যত দূরে থাকা যায়।’
সান্তিয়াগো গিমেনেজ শৈশব থেকে ছিলেন ইতালিয়ান ফুটবলের ভক্ত এবং তাঁর পছন্দের ক্লাব এসি মিলান। ৩ ফেব্রুয়ারি সেই প্রিয় ক্লাবে পা রেখেছেন, চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন সাড়ে চার বছরের জন্য। কিন্তু নতুন চুক্তির সপ্তাহ দুয়েকও পার হয়নি, প্রিয় ক্লাবের হয়ে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগে প্লে-অফের ম্যাচ খেলতে তাঁকে যেতে হচ্ছে...
১ ঘণ্টা আগেপ্যাট কামিন্স-জশ হ্যাজলউড-মিচেল স্টার্ক একসঙ্গে অস্ট্রেলিয়াকে বিশ্বকাপসহ কত গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচেই না জেতালেন। তবে আসন্ন আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে এ পেসত্রয়ীকে পাচ্ছে না অস্ট্রেলিয়া। চোটের পড়ে আগেই ছিটকে গেছেন প্যাট কামিন্স ও জশ হ্যাজলউড।
১ ঘণ্টা আগেটানা দুই জয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজে এরই মধ্যে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে নিউজিল্যান্ড। আজ করাচিতে দেখা হচ্ছে স্বাগতিক পাকিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকার। এ ম্যাচে যারা জিতবে, তারাই পরশু ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলবে।
২ ঘণ্টা আগেহারের শঙ্কা প্রায় জেগে উঠল, ম্যাচের নির্ধারিত সময় শেষ হতে কয়েক মিনিটের অপেক্ষা। ইতিহাদ স্টেডিয়ামে ২-১ গোলে পিছিয়ে রিয়াল মাদ্রিদ। ঠিক তখনই যেন রক্তে মিশে থাকা ঘুরে দাঁড়ানোর সেই ঐতিহ্য মনে পড়ল লস ব্লাঙ্কোসদের। ৬ মিনিটের ব্যবধানে দুই গোল করে ৩-২ ব্যবধানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ল রিয়াল।
২ ঘণ্টা আগে