Ajker Patrika

তামাবিলে বন্ধ আমদানি-রপ্তানি

সিলেট সংবাদদাতা ও গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি
আপডেট : ১২ জানুয়ারি ২০২২, ১৩: ৪৩
Thumbnail image

গোয়াইনঘাটের তামাবিল স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রেখেছেন ব্যবসায়ীরা। বন্দরে অটো এসএমএস (স্বয়ংক্রিয় খুদেবার্তা) সফটওয়্যার চালুর প্রতিবাদে গত শুক্রবার থেকে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানান তাঁরা।

বন্দর কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের দুই পাশেই এত দিন চালু ছিল সনাতন পদ্ধতিতে মাপজোখ। এক সময় তামাবিল স্থলবন্দরের অবকাঠামোগত উন্নয়ন করলে স্থাপন হয় ওজন মাপার যন্ত্র। তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের পরামর্শে চলতি মাসের সাত তারিখ থেকে বন্দরে চালু হয়েছে অটো এসএমএস সফটওয়্যার। এতে প্রতিটি গাড়িকে নতুন করে পুরো আমদানির তথ্য দিতে হবে বন্দরে এসে।

অপরদিকে ভারতের অংশে বন্দরে ওজন মাপার যন্ত্র স্থাপন না হওয়ায় সেখানে সনাতন পদ্ধতিতে মাপজোখ করা হয়। তাই বাংলাদেশ ও ভারতের অংশে ওজনের পার্থক্য দেখা দেবে জানান ব্যবসায়ীরা। এতে ব্যবসায়ীদের জরিমানা দিতে হবে। দুই পাড়ে সমন্বয় না থাকায় তাঁদের ভোগান্তির শিকার হতে হবে জানান স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, অটো এসএমএস সফটওয়্যার চালুর কারণে ক্ষতির পরিমাণ বাড়বে। কেন না তথ্য নতুন করে দিতে হলে একটি গাড়ি বন্দর অতিক্রম করতে লাগতে পারে ১০ মিনিট সময়। এতে নির্ধারিত সময়ে ২০০ টির বেশি গাড়ি প্রবেশ করতে পারবে না বন্দরে। পণ্য নিয়ে প্রতিদিন সীমান্তে আটকে থাকবে ৫০০ গাড়ি।

এ ব্যাপারে তামাবিল পাথর, কয়লা ও চুনাপাথর আমদানিকারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মো. সরোয়ার হোসেন ছেদু বলেন, অটো এসএমএস সফটওয়্যার চালু করায় প্রতিটি গাড়িকে বন্দরে এসে নতুন করে তথ্য দিতে হচ্ছে। এ পদ্ধতি বেশ সময়সাপেক্ষ। পণ্যবাহী গাড়ি নির্ধারিত সময়ের বেশি সময় সীমান্তে আটকে থাকার সঙ্গে ওজনের তারতম্যের কারণে জরিমানা গুনতে হলে লো-কষ্ট পণ্য পাথর আমদানির খরচ দাঁড়াবে দ্বিগুণে।

তিনি আরও বলেন, আগে প্রতি মিনিটে অন্তত দুটি গাড়ি বন্দর পার হতো। কিন্তু এই সফটওয়্যার বসানোর পর থেকে একটি গাড়ি পার হতে ৮ থেকে ১০ মিনিট করে লাগছে। প্রতিদিন এই বন্দর দিয়ে ৮০০ থেকে ৮৫০টি গাড়ি পণ্য নিয়ে ভারত থেকে আসে। এ বন্দর দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ১০ হাজার টন পাথর আমদানি করা হতো। এ পদ্ধতি স্থাপনের ফলে প্রতিদিন ১০০ থেকে ১৩০টি গাড়ি পণ্য পরিবহন করতে পারবে। এতে ব্যবসায়ীরা যেমন ক্ষতির সম্মুখীন হবেন তেমনি সরকারও রাজস্ব হারাবে।

তামাবিল স্থলবন্দরের উপপরিচালক মোহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম ভূঞা বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশেই অটো এসএমএস সফটওয়্যার পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। সফটওয়্যার পদ্ধতি বন্ধ করা হবে কি না, এ বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত