Ajker Patrika

করোনা পরীক্ষার কিট পাচারের অভিযোগ

রাজশাহী প্রতিনিধি
আপডেট : ২২ নভেম্বর ২০২১, ১৭: ১৯
করোনা পরীক্ষার কিট পাচারের অভিযোগ

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ল্যাবরেটরি থেকে করোনার নমুনা পরীক্ষার কিট পাচার করে দেওয়া হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। অভিযোগ ওঠার পর বিষয়টি তদন্তও করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তদন্ত কমিটি ল্যাব থেকে দুই বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তাকে সরিয়ে দেওয়ার সুপারিশ করেছে। একই সঙ্গে অভিযোগের উচ্চতর তদন্তের সুপারিশ করেছে কমিটি।

সম্প্রতি ল্যাবেরই কিছু কর্মী কিটের হিসাবে গরমিলের অভিযোগ তোলেন। বিষয়টি জানাজানি হলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ গত ৯ নভেম্বর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। কমিটির প্রধান করা হয় রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান শাহ আলমকে। সদস্যসচিব করা হয় হাসপাতালের উপপরিচালক (প্রশাসন) এম এ হান্নানকে। কমিটির সদস্য ছিলেন মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক খন্দকার মো. ফয়সল আলম। এই কমিটি গতকাল রোববার হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানীর কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ল্যাবরেটরির বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এস এম হাসান এ লতিফ এবং হামিদ আহমেদের বিরুদ্ধে কিটের গরমিল করার অভিযোগ উঠেছিল। তাঁরা দুজন বিভাগীয় ফরেনসিক ডিএনএ ল্যাবের স্টাফ। এই হাসপাতালের ল্যাব চালু করার জন্য ২০২০ সালের ২৮ মার্চ তাঁদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। হাসপাতালে ল্যাবরেটরির টেকনোলজিস্টেরা এই দুই বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অর্ধেক রিঅ্যাকশন ব্যবহার করে করোনা পরীক্ষার পর বাকি অর্ধেক সরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ করেছেন।

কিন্তু কাগজপত্রে ৪৯ হাজার ৪০০ কিটের মধ্যে প্রায় সবই ব্যবহার করার প্রমাণ রাখা হয়েছে। যাঁরা সাক্ষ্য দিয়েছেন, তাদের সাক্ষ্যে তাঁরা গরমিল করার দাবি করেছেন। এই তদন্ত কমিটি শুধু কাগজপত্রের ভিত্তিতে তদন্ত করেছে। তারা এই অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি। তবে সাক্ষ্যের ভিত্তিতে দুই বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তাকে অন্যত্র সরিয়ে দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বেসরকারি পর্যায়ে করোনার পরীক্ষার খরচ পড়ে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার টাকা। এই জন্য এই কিট বাইরে পাচার করার ব্যাপারে সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে। কিট ব্যবহার করে অনলাইনে যে ফরম পূরণ করতে হয় সেই ফরমে হাফ/ফুল রিঅ্যাকশন লেখার ঘর রয়েছে। সেখানে এই বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তারা ‘ফুল’ এর ঘর পূরণ করে পাঠিয়েছেন। তবে টেকনোলজিস্টেরা তাঁদের সাক্ষ্যে বলেছেন, কাগজপত্রে ফুল রিঅ্যাকশন লেখা হলেও হাফ রিঅ্যাকশন ব্যবহার করা হয়েছে।

বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এস এম হাসান এ লতিফ বলেন, করোনাকালে অতিরিক্ত কোনো সম্মানী ছাড়াই গত ১৯ মাস ধরে তাঁরা দায়িত্ব পালন করছেন। এত দিন তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠেনি। দীর্ঘদিন একসঙ্গে কাজ করার কারণে ভুল বোঝাবুঝির কারণে এমন অভিযোগ করতে পারে।

হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শামীম ইয়াজদানী বলেন, তদন্ত কমিটি কাগজপত্রে কোনো কিটের গরমিল পায়নি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী তাঁরা কিট ব্যবহার করেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত