Ajker Patrika

রিজেন্টের সাহেদের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের মামলা গেল বিশেষ জজ আদালতে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৯: ৪৪
Thumbnail image

অর্থ পাচারের অভিযোগে রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ ওরফে সাহেদ করিম ও তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা বিচারের জন্য ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতে স্থানান্তর করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আজ রোববার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শান্ত ইসলাম মল্লিক মামলায় স্থানান্তরের এই নির্দেশ দেন।

আজ এই মামলায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) দাখিল করা অভিযোগপত্র (চার্জশিট) আদালতে উপস্থাপন করার পর আদালত এই নির্দেশ দেন। চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের উত্তরা পশ্চিম থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. লিয়াকত আলী এ তথ্য জানান।

এর আগে ১৬ ফেব্রুয়ারি সাহেদসহ তিনজন এবং সাহেদের তিন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইমের পরিদর্শক মো. মনিরুজ্জামান।

অভিযুক্ত অপর আসামিরা হলেন রিজেন্ট হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদ পারভেজ ও প্রতারণার সহযোগী কাজী রবিউল ইসলাম। এ ছাড়া সাহেদের রিজেন্ট হাসপাতাল লিমিটেড, রিজেন্ট কেসিএস লিমিটেড ও রিজেন্ট ডিসকভারি ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস লিমিটেড নামে তিন প্রতিষ্ঠানকেও অভিযুক্ত করা হয়েছে। সাহেদের বাবা সিরাজুল করিম মারা যাওয়ায় এবং হাসপাতালটির পরিচালক ইব্রাহিম খলিলের নামের কোনো অস্তিত্ব না থাকায় তাঁদের মামলা থেকে অব্যাহতির সুপারিশ করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা।

অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, ২০১৭ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে ৭ কোটি ৯০ লাখ ৩৭ হাজার ৬৭০ টাকা আত্মসাৎ করেন সাহেদ। এর বাইরে কোভিড-১৯ পরীক্ষার জাল সনদ সরবরাহ করে আরও ৩ কোটি ১১ লাখ ৯০ হাজার ২২৭ টাকা আত্মসাৎ করেন তিনি। সব মিলিয়ে তিন বছরে তাঁর প্রতারণালব্ধ অর্থের পরিমাণ ১১ কোটি ২ লাখ ২৭ হাজার ৮৯৭ টাকা। এর মধ্যে ৮ কোটি ৯৯ লাখ ২৭ হাজার ৮৯৭ টাকা তিনি ভোগবিলাসে খরচ করেন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, সাহেদের বিরুদ্ধে করোনার ভুয়া রিপোর্ট সরবরাহ, বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে প্রতারণা ও জালিয়াতি করে ১১ কোটি ২ লাখ ২৭ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগের প্রমাণ পায় সিআইডি। অবৈধভাবে অর্জিত টাকা বিভিন্নভাবে নামে-বেনামে বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পাচার করেন তিনি। পরে ২০২০ সালের ২৫ আগস্ট ১১ কোটি ২ লাখ ২৭ হাজার ৮৯৭ টাকা মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলাটি করেন সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক ইব্রাহিম।

২০২০ সালের ৬ জুলাই উত্তরায় সাহেদের রিজেন্ট হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে ভুয়া করোনা রিপোর্ট জব্দ করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। একই বছরের ১৫ জুলাই তাঁকে সাতক্ষীরা থেকে আটক করা হয়। এরপর তাঁর নামে প্রতারণা, অনিয়মের নানা অভিযোগ সামনে আসতে থাকে। পরে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সাহেদ ও তাঁর সহযোগীদের নামে একের পর এক মামলা দায়ের হয়। সাহেদের বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত ৩২টি মামলা হয়েছে। অস্ত্র আইনের একটি মামলায় সাহেদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দেন ঢাকা একটি ট্রাইব্যুনাল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত