ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধি
নীলফামারীর ডিমলায় তিস্তা নদীর দুর্গম চরে নির্মাণ করা হয়েছে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৫০টি ঘর। বর্ষা মৌসুমে প্রকল্প এলাকায় পানি ঢুকে পড়ে। এতে বছরের প্রায় অর্ধেক সময়ই পানিবন্দী থাকতে হয় বাসিন্দাদের। তাঁদের অভিযোগ, অপরিকল্পিতভাবে চরের নিচু জায়গায় আশ্রয়ণ প্রকল্পটি নির্মাণ করা হয়েছে। যে স্থানে ঘরগুলো নির্মাণ করা হয়েছে সেখানে, বর্ষা মৌসুমে নদীর প্রবাহ আসে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চার বছর আগে উপজেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে কেল্লাপাড়া গ্রামে তিস্তা নদীর জেগে ওঠা চরে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৫০টি ঘর নির্মাণ করা হয়। জনপ্রতি ২ শতক জমিসহ একটি ঘর নির্মাণে বরাদ্দ ছিল ১ লাখ ৯১ হাজার টাকা।
স্থানীয়রা জানান, যে স্থানে ঘরগুলো নির্মাণ করা হয়েছে, সেখানে ১৫ বছর আগে নদীর প্রবাহ ছিল। পরে নিচু জায়গায় জেগে ওঠা চরে আশ্রয়ণের ঘরগুলো নির্মাণ করা হয়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রকল্প এলাকার চারদিকে তিস্তা নদী। পানিতে তলিয়ে আছে এলাকাটি। রয়েছে ভাঙন-আতঙ্কও।
আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দারা জানান, বর্ষায় প্রকল্পের চারপাশে কোমরপানি থাকে। ঘরের জানালা পর্যন্ত পানিতে ডুবে থাকে। যাতায়াতের রাস্তা নেই। বর্ষাকালে পানি-কাদায় এখানে চলাচল করা অসম্ভব হয়ে পড়ে।
প্রকল্পের বাসিন্দা শফিকুল ইসলাম বলেন, তিনি স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ওই আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরে বাস করেন। সামান্য বন্যাতেও নদীর পানি ঘরে ঢুকে পড়ে। তাঁরা জিনিসপত্র, চাল-ডাল, গবাদিপশু নিয়ে চরম বিপদে পড়েন।
বানেছা বেগম নামে একজন বলেন, ‘সরকার হামাক এমন জায়গাত ঘর দিছে, বছরের পাঁচ মাস পানিবন্দী থাকির নাগে। ছাওয়া গিলা স্কুল যাবার পায় না। বড় বান আসিলে হামাক ঘরোত পানিতে মইরবার নাগিবে।’
তিস্তা বাঁচাও নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদের কেন্দ্রীয় সদস্য সোহেল হাসান বলেন, ‘এই আশ্রয়ণ প্রকল্প ভূমিহীনদের জন্য বড় আশীর্বাদ হতে পারত। কিন্তু নিচু জায়গায় অপরিকল্পিত প্রকল্প বাস্তবায়নের কারণে সেটি সম্ভব হচ্ছে না। দিন শেষে তাদের উদ্বাস্তু হওয়ারই দশা হয়েছে। সেই সঙ্গে সরকারের কোটি টাকাও অপচয় হলো।’
ঝুনাগাছ চাপানি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান একরামুল হক চৌধুরী বলেন, ‘আমি চেয়ারম্যান হওয়ার আগেই সেখানে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরগুলো নির্মাণ করা হয়। তবে বাঁধের বাইরে নদীর চরে ওই ঘরগুলো নির্মাণ করা ঠিক হয়নি। বাঁধের ভেতরে ঘর নির্মাণ করলে এ সমস্যা হতো না।’
ঘর নির্মাণ কমিটির সদস্যসচিব উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মেজবাহুর রহমান বলেন, ‘প্রকল্পের জায়গা নির্ধারণের দায়িত্ব ভূমিসংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। তারা শুধু প্রকল্পের ঘর নির্মাণকাজ বাস্তবায়ন করেছেন।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাসেল মিয়া বলেন, ‘আমি এখানে যোগদানের অনেক আগে আবাসন প্রকল্পের ঘর নির্মাণ করা হয়েছিল। তবে প্রকল্পের বাসিন্দাদের সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান বলেন, কেন, কী কারণে নদীর চরে প্রকল্পের জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছিল, এ বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হবে। সেই সঙ্গে বাসিন্দাদের সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি
নীলফামারীর ডিমলায় তিস্তা নদীর দুর্গম চরে নির্মাণ করা হয়েছে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৫০টি ঘর। বর্ষা মৌসুমে প্রকল্প এলাকায় পানি ঢুকে পড়ে। এতে বছরের প্রায় অর্ধেক সময়ই পানিবন্দী থাকতে হয় বাসিন্দাদের। তাঁদের অভিযোগ, অপরিকল্পিতভাবে চরের নিচু জায়গায় আশ্রয়ণ প্রকল্পটি নির্মাণ করা হয়েছে। যে স্থানে ঘরগুলো নির্মাণ করা হয়েছে সেখানে, বর্ষা মৌসুমে নদীর প্রবাহ আসে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চার বছর আগে উপজেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে কেল্লাপাড়া গ্রামে তিস্তা নদীর জেগে ওঠা চরে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৫০টি ঘর নির্মাণ করা হয়। জনপ্রতি ২ শতক জমিসহ একটি ঘর নির্মাণে বরাদ্দ ছিল ১ লাখ ৯১ হাজার টাকা।
স্থানীয়রা জানান, যে স্থানে ঘরগুলো নির্মাণ করা হয়েছে, সেখানে ১৫ বছর আগে নদীর প্রবাহ ছিল। পরে নিচু জায়গায় জেগে ওঠা চরে আশ্রয়ণের ঘরগুলো নির্মাণ করা হয়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রকল্প এলাকার চারদিকে তিস্তা নদী। পানিতে তলিয়ে আছে এলাকাটি। রয়েছে ভাঙন-আতঙ্কও।
আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দারা জানান, বর্ষায় প্রকল্পের চারপাশে কোমরপানি থাকে। ঘরের জানালা পর্যন্ত পানিতে ডুবে থাকে। যাতায়াতের রাস্তা নেই। বর্ষাকালে পানি-কাদায় এখানে চলাচল করা অসম্ভব হয়ে পড়ে।
প্রকল্পের বাসিন্দা শফিকুল ইসলাম বলেন, তিনি স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ওই আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরে বাস করেন। সামান্য বন্যাতেও নদীর পানি ঘরে ঢুকে পড়ে। তাঁরা জিনিসপত্র, চাল-ডাল, গবাদিপশু নিয়ে চরম বিপদে পড়েন।
বানেছা বেগম নামে একজন বলেন, ‘সরকার হামাক এমন জায়গাত ঘর দিছে, বছরের পাঁচ মাস পানিবন্দী থাকির নাগে। ছাওয়া গিলা স্কুল যাবার পায় না। বড় বান আসিলে হামাক ঘরোত পানিতে মইরবার নাগিবে।’
তিস্তা বাঁচাও নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদের কেন্দ্রীয় সদস্য সোহেল হাসান বলেন, ‘এই আশ্রয়ণ প্রকল্প ভূমিহীনদের জন্য বড় আশীর্বাদ হতে পারত। কিন্তু নিচু জায়গায় অপরিকল্পিত প্রকল্প বাস্তবায়নের কারণে সেটি সম্ভব হচ্ছে না। দিন শেষে তাদের উদ্বাস্তু হওয়ারই দশা হয়েছে। সেই সঙ্গে সরকারের কোটি টাকাও অপচয় হলো।’
ঝুনাগাছ চাপানি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান একরামুল হক চৌধুরী বলেন, ‘আমি চেয়ারম্যান হওয়ার আগেই সেখানে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরগুলো নির্মাণ করা হয়। তবে বাঁধের বাইরে নদীর চরে ওই ঘরগুলো নির্মাণ করা ঠিক হয়নি। বাঁধের ভেতরে ঘর নির্মাণ করলে এ সমস্যা হতো না।’
ঘর নির্মাণ কমিটির সদস্যসচিব উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মেজবাহুর রহমান বলেন, ‘প্রকল্পের জায়গা নির্ধারণের দায়িত্ব ভূমিসংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। তারা শুধু প্রকল্পের ঘর নির্মাণকাজ বাস্তবায়ন করেছেন।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাসেল মিয়া বলেন, ‘আমি এখানে যোগদানের অনেক আগে আবাসন প্রকল্পের ঘর নির্মাণ করা হয়েছিল। তবে প্রকল্পের বাসিন্দাদের সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান বলেন, কেন, কী কারণে নদীর চরে প্রকল্পের জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছিল, এ বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হবে। সেই সঙ্গে বাসিন্দাদের সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি
বাল্যবিবাহ রোধ করতে কনের ন্যূনতম বয়স ১৬ বছর এবং বরের ১৮ বছর নির্ধারণসহ ১৬ দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মুসলিম নিকাহ রেজিস্ট্রার কল্যাণ সমিতি। আজ মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে আয়োজিত ‘বিবাহ ও তালাক রেজিস্ট্রারদের যৌক্তিক দাবিসংক্রান্ত’ সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি উপস্থাপন
৩২ মিনিট আগেচট্টগ্রাম নগরের পাঁচলাইশ এলাকার একটি বাসায় পরিবারের সদস্যদের জিম্মি করে দিনদুপুরে ডাকাতিচেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। এর আগে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে বাসার ভেতরে থাকা ডাকাত দলকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
১ ঘণ্টা আগেরাজশাহীতে অটোরিকশাকে একটি বাস চাপা দেওয়ার ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে চারজনে দাঁড়িয়েছে। গতকাল সোমবার মধ্যরাতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁদের মৃত্যু হয়।
২ ঘণ্টা আগেইবির শিক্ষার্থী ওয়ালিউল্লাহ এবং আল মুকাদ্দাসের সন্ধানের দাবি জানিয়েছেন ইবির শিক্ষার্থীরা। আজ মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে মানববন্ধন করেন দাওয়াহ অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ এবং আল-ফিকহ অ্যান্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
২ ঘণ্টা আগে