Ajker Patrika

রাজশাহীতে ডিবির হেফাজতে ২ পুলিশ সদস্য

রিমন রহমান, রাজশাহী
Thumbnail image

রাজশাহীতে পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) হেফাজতে রয়েছেন দুই পুলিশ সদস্য। প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার তথ্য-প্রমাণ পেয়ে তাদের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে বলে পুলিশের একাধিক সূত্র থেকে জানা গেছে। তবে বিষয়টি নিয়ে পুলিশ আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য দেয়নি। 

এই দুই পুলিশ কনস্টেবল হলেন শাহরিয়ার পারভেজ শিমুল ও আবদুর রহমান। দুজনই রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) সদর দপ্তরে কর্মরত। 

এরমধ্যে শাহরিয়ার পারভেজ শিমুল পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ের কম্পিউটার অপারেটর। গত বৃহস্পতিবার রাতে আলাদা আলাদা স্থান থেকে ডিবি পুলিশ তাদের ধরে কার্যালয়ে নিয়ে যান। সেই থেকে তারা সেখানেই আছেন। 

দুজনের মধ্যে শাহরিয়ার পারভেজ শিমুলের বাড়ি রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলায়। আর আবদুর রহমানের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জে। পরিবারের সদস্যরা এই দুই পুলিশ সদস্যের সঙ্গে ডিবি কার্যালয়ে দেখা করেছেন। তবে পরিবারের পক্ষ থেকেও এ বিষয়ে কেউ কিছু জানায়নি। 

আজ শনিবার সকালে নগরীর লক্ষ্মীপুর ঝাউতলা এলাকায় ডিবি কার্যালয়ে গিয়ে ওই দুই কনস্টেবল সেখানে থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে ভেতরে ঢোকার অনুমতি দেননি প্রধান ফটকে দায়িত্বে থাকা পুলিশ কনস্টেবল। ঢোকার জন্য তিনি ডিউটি অফিসারের অনুমতি নিতে ভেতরে যান এবং ফিরে এসে জানান, কার্যালয়ে ঊর্ধ্বতন কোনো কর্মকর্তা নেই। ডিউটি অফিসার কোনো বিষয়েই কথা বলতে পারবেন না। তাই ভেতরে ঢোকার অনুমতি নেই। 

পুলিশের দায়িত্বশীল একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে, অনলাইন এবং অফলাইনে প্রতারণার সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে দুজনকে ডিবি হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এ দুজন একটি প্রতারকচক্রের সদস্য বলে পুলিশের কাছে তথ্য এসেছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা করার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে আপাতত তাদের আটক কিংবা গ্রেপ্তার দেখানো হয়নি। 

ওই সূত্রের দাবি, খুবই বড় ধরনের অপরাধ করেছেন পুলিশের এ দুই সদস্য। তবে কী অপরাধ সে বিষয়ে কিছু জানাতে রাজি হয়নি সূত্রটি। সূত্রের দাবি, চক্রের আরও কয়েকজন নজরদারিতে রয়েছেন। সবার বিরুদ্ধেই ফৌজদারী অপরাধের মামলা করা হবে। 

আরএমপির মুখপাত্র জামিরুল ইসলাম শুক্রবার বিকেলে আজকের পত্রিকাকে বলেন, এ ধরনের কোনো তথ্য তার কাছে নেই। শনিবার বিকেলেও একই জবাব দেন তিনি। জামিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি কমিশনার স্যারের মুখপাত্র হিসেবে কথা বলি। এখন পর্যন্ত এ ধরনের কোনো তথ্য আমার কাছে আসেনি।’ 

আরএমপির গোয়েন্দা শাখার উপকমিশনার (ডিসি) দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত ডিআইজি কেএম আরিফুল হককে শুক্রবার রাতে ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি। শনিবার বিকেলে সাংবাদিক পরিচয় দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তিনি মোবাইল ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। পরে আবার ফোন করা হলে ধরেননি। 

বিষয়টি নিয়ে জানতে আরএমপি কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদারকে শুক্রবার ও শনিবার ফোন করা হয়েছে। তবে তিনি ফোন ধরেননি। তাই দুই কনস্টেবলকে হেফাজতে রাখার বিষয়ে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত