Ajker Patrika

মাদ্রাসাছাত্রকে হত্যার ঘটনায় থানায় মামলা, ৮ আসামি কারাগারে

পাথরঘাটা (বরগুনা) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৪ অক্টোবর ২০২৩, ২২: ১৫
মাদ্রাসাছাত্রকে হত্যার ঘটনায় থানায় মামলা, ৮ আসামি কারাগারে

বরগুনার পাথরঘাটায় মাদ্রাসাছাত্র হাসিবুল ইসলামকে অপহরণের পর হত্যার ঘটনায় আটজনের বিরুদ্ধে থানায় অপহরণ ও হত্যা মামলা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার মামলাটি দায়ের করেন নিহতের বাবা শফিকুল ইসলাম। 

এর আগে এ হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড আবদুল্লাহ আল নোমান ওরফে তানভীর ওরফে শিশু ফকিরসহ এজাহারনামীয় আট আসামিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। 

পাথরঘাটা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সাইফুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

মামলার আসামিরা হলেন আবদুল্লাহ আল নোমান ওরফে তানভীর ওরফে শিশু ফকির (১৯), তাঁর স্ত্রী মোছা তাহিরা (১৯), শ্বশুর মো. ইউনুছ মুন্সি (৬৫) শাশুড়ি রাহিমা (৫৫), স্ত্রীর বড় বোন মোছা তানজিলা (২৮), বড় ভাই আব্দুর রহিম মুন্সী (৩৫), ডা. মো. মিজানুর রহমান (৩৪), অটোরিকশাচালক আব্দুর রহিম কাজী (৪৮) ও অজ্ঞাতনামা অনেকে। 

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার রাতে মাদ্রাসাছাত্র হাসিবুল ইসলামকে (১৪) অপহরণ করে আসামি আবদুল্লাহ আল নোমান পাথরঘাটা পৌর এলাকার ২ নম্বর ওয়ার্ডে ডা. মিজানুর রহমানের ভাড়া বাসায় নিয়ে যায়। পরদিন সকালে তাকে শ্বাসরোধে ওই বাসাতেই হত্যা করা হয়। ডা. মিজানুর রহমান নোমানের মায়ের পরকীয়া প্রেমিক। ঘটনার সময় মিজানুর রহমান বরগুনায় অবস্থান করছিলেন। 

এ হত্যাকাণ্ডে নোমান একাই ছিলেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। পরে তাঁর স্ত্রীর বোরকা পরে প্লাস্টিকের ড্রামে ভরে লাশ তাঁর শ্বশুরবাড়ি এলাকায় নিয়ে যান। পরে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সহযোগিতায় লাশ কাক চিড়া ইউনিয়নের শিংড়াবুনিয়া এলাকার বেড়িবাঁধের পাশে একটি গর্তে ফেলে দেন। 

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক আলী হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শনিবার রাতে হাসিবুল ইসলাম নিখোঁজের ঘটনায় সাধারণ ডায়েরি করার পর থেকেই র‍্যাব, পুলিশ ও ডিবি উদ্ধারে অনুসন্ধান চালায়। পরদিন রোববার রাতে নোমানসহ ১০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়। এর মধ্যে ঘটনার সঙ্গে জড়িত ও এজাহারনামীয় আটজনকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পরে হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড নোমানকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।’ 

পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম হাওলাদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘটনার শুরু থেকেই পুলিশ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করেছে। ঘটনার মূল মাস্টারমাইন্ড আবদুল্লাহ আল নোমান ওরফে তানভীর ওরফে শিশু ফকিরকে গ্রেপ্তার করে তাঁর দেওয়া তথ্যমতে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নোমানকে জিজ্ঞাসাবাদ হাসিবুল ইসলামকে অপহরণসহ হত্যা ও লাশ গুমের ঘটনায় জড়িতদের আটক করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। আরও অধিকতর তদন্ত চলছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত