কাজী ফারহান হোসেন পূর্ব
হ্যারি পটার তার ভয়কে জয় করার জন্য প্যাট্রোনাস এবং রিডিকুলাস নামক দুটি বিশেষ জাদু ব্যবহার করত। শুনলে অবাক হবে, এই জাদু শুধু বই বা ফিল্মে নয়, বরং বাস্তবেও হতে পারে ভয়কে জয় করার তরিকা। কিন্তু কীভাবে? এ নিয়েই আজকের আলোচনা।
এক্সপেক্টো প্যাট্রোনাম
হ্যারি পটার তার হগওয়ার্টসের তৃতীয় বর্ষে ভয়ানক ডিমেন্টর দ্বারা বারবার আক্রান্ত হচ্ছিল। ডিমেন্টররা মানুষের সুখ, আহ্লাদ, সবকিছু কেড়ে নেয় এবং হতাশাকে গাঢ় করে তোলে। মানুষের ইতিবাচকতা, বেঁচে থাকার ইচ্ছাই ডিমেন্টরদের প্রধান খাদ্য। এদের হাত থেকে বাঁচতে হ্যারি হন্যে হয়ে কোনো উপায় বের করার চেষ্টা শুরু করে এবং একপর্যায়ে তার প্রিয় শিক্ষক প্রফেসর রেমাস লুপিনের কাছ থেকে প্যাট্রোনাস চার্ম নামক একটি জাদু শিখে নেয়।
প্যাট্রোনাস চার্ম কীভাবে কাজ করে
প্যাট্রোনাস চার্মের মূল বিষয়টিই হচ্ছে তুমি যখন ভয় পাবে, তখন তোমাকে তোমার জীবনের সবচেয়ে আনন্দময় স্মৃতি মনে করতে হবে। সেই স্মৃতি রোমন্থন করে তুমি ওই মুহূর্তের সব সুন্দর অনুভূতি তোমার দেহ-মনে নিয়ে আসবে। বিজ্ঞান বলে, তুমি যখন যেই বিষয়টা প্রবলভাবে অনুভব কর, তখন তোমার মস্তিষ্কে ঠিক ওই ঘটনা ঘটলে, যে ক্রিয়াকলাপগুলো ঘটার কথা, ঠিক সেগুলোই ঘটে থাকে। দেহ-মন সবখানেই সেই সংকেত চলে যায় এবং তুমি ভালো অনুভব কর।
ইমরি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণা থেকে দেখা যায়, পাঠক যখন কোনো বই পড়ে, তখন সে বইয়ের নায়কের চরিত্রে নিবিড়ভাবে আবিষ্ট হয়। ফলে সত্যজিৎ রায়ের ফেলুদাকে খুব বীরত্বের সঙ্গে লাফ দিয়ে একটি গাড়িতে ওঠার ঘটনা পড়লে তোমার মস্তিষ্কে বাস্তবে লাফ দেওয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত অংশটি কাজ শুরু করে দেয়।
এখন তো বিজ্ঞানটা বুঝলে। তাহলে ভয় পেলে করণীয় কী?
ভয় পেলে করণীয়
তোমার জীবনে হ্যারির মতো ডিমেন্টররা হানা দেবে না। তবে ভয়, দুঃখ হানা দেওয়াটা খুবই স্বাভাবিক। তা ছাড়া কোনো কঠিন অঙ্ক, অনুশীলনী বা পরীক্ষার ভয় তো আছেই। এদের সামলানোর জন্য তুমি তোমার সবচেয়ে মজার বা আনন্দের স্মৃতি রোমন্থন করবে। এটা হতে পারে কোনো পুরস্কার পাওয়া, তোমার প্রতি কারও ইতিবাচক মন্তব্য, তোমার মা-বাবার সঙ্গে তোমার কোনো আনন্দময় স্মৃতি, খেলার মাঠের স্মৃতি অথবা তুমি যখন যে বিষয়টা নিয়ে ভয় পাচ্ছ তার একটা ইতিবাচক কল্পনা। যেমন তুমি পরীক্ষা দিতে ভয় করলে, খুব ভালো পরীক্ষা দেওয়ার কল্পনা; বক্তৃতা দিতে ভয় করলে, খুব সুন্দর ও মনোগ্রাহী বক্তৃতা দেওয়ার কল্পনা করবে। প্যাট্রোনাস চার্মে একটু নাটকীয়তা তৈরি করতে, ওই সময়ে মনে মনে হ্যারির মতো ‘এক্সপেক্টো প্যাট্রোনাম’ বলেও কাজটা করতে পার।
রিডিকুলাস চার্ম
হ্যারি ও তার বন্ধুরা বগার্ট নামক জাদুর প্রাণীদের নিরস্ত করার জন্য প্রফেসর রেমাস লুপিনের কাছ থেকেই ‘রিডিকুলাস’ নামক আরেকটা জাদু শেখে। বগার্ট হচ্ছে এমন এক জাদুর প্রাণী, যা মানুষকে দেখলে ওই মানুষটা যে জিনিস সবচেয়ে ভয় পায় তাতেই পরিণত হয়ে যায়। যেমন হ্যারি ও হ্যারির বন্ধু রনের সবচেয়ে ভয়ের বিষয় হচ্ছে যথাক্রমে ডিমেন্টর ও মাকড়সা। তাই বগার্ট হ্যারিকে দেখলেই পরিণত হয়ে যায় ডিমেন্টরে আর রনকে দেখলে মাকড়সায়।
রিডিকুলাস চার্ম তুমি কীভাবে ব্যবহার করবে
হ্যারির প্রতি রেমাস লুপিনের নির্দেশ ছিল, যখনই বগার্ট এসে তার সবচেয়ে ভয়ের জিনিসে রূপ নেওয়া শুরু করবে, তখনই বলতে হবে ‘রিডিকুলাস’ এবং বগার্টকে কল্পনা করতে হবে সবচেয়ে হাস্যকর জিনিস হিসেবে, যা দেখে হ্যারি হাসতে হাসতে লুটোপুটি খাবে।
হাসি হচ্ছে বগার্টের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা। কেউ হাসলেই বগার্ট দৌড়ে পালায়। বাস্তব জীবনেও তাই। হাসি-আনন্দ-ভয়কে দূরে রাখে। তাই বগার্টকে তুমি হাসির পাত্রে পরিণত করতে পারলেই খেল খতম। সে জন্য তোমার কাজ হবে তোমার ভয়ের বিষয়টাকে মনে মনে কত হাস্যকরভাবে উপস্থাপন করা যায়, তার চর্চা করা। যেমন নেভিল লংবটমের সবচেয়ে ভয়ের বিষয় হচ্ছে প্রফেসর সিভেরাস স্নেইপ। তাই নেভিল তাকে একটা সঙ হিসেবে চিন্তা করে এবং হেসে দেয়। ফলে বগার্ট হয় পরাস্ত আর নেভিল হাঁফ ছেড়ে বাঁচে।
তাদের মতো তুমিও তোমার সবচেয়ে ভয়ের গাণিতিক সমস্যাটা দেখে মনে মনে মজা করে বলতে পার, ‘এগুলো তো সেই বাচ্চাকালের অ, আ, ক, খ এবং ১, ২, ৩ দিয়েই লেখা। ছোটবেলায় ১, ২, ৩ শিখতে পারলে এখন তো আরেকটু বড় হয়েছি, তাই আরেকটু বড় সমস্যা সমাধান করতে পিছপা হবে কেন?’—এভাবে ভেবে যখন নির্ভয়ে এগোবে, তখন দেখবে সমস্যার সমাধান হচ্ছে মজার ছলে।
হ্যারি পটার তার ভয়কে জয় করার জন্য প্যাট্রোনাস এবং রিডিকুলাস নামক দুটি বিশেষ জাদু ব্যবহার করত। শুনলে অবাক হবে, এই জাদু শুধু বই বা ফিল্মে নয়, বরং বাস্তবেও হতে পারে ভয়কে জয় করার তরিকা। কিন্তু কীভাবে? এ নিয়েই আজকের আলোচনা।
এক্সপেক্টো প্যাট্রোনাম
হ্যারি পটার তার হগওয়ার্টসের তৃতীয় বর্ষে ভয়ানক ডিমেন্টর দ্বারা বারবার আক্রান্ত হচ্ছিল। ডিমেন্টররা মানুষের সুখ, আহ্লাদ, সবকিছু কেড়ে নেয় এবং হতাশাকে গাঢ় করে তোলে। মানুষের ইতিবাচকতা, বেঁচে থাকার ইচ্ছাই ডিমেন্টরদের প্রধান খাদ্য। এদের হাত থেকে বাঁচতে হ্যারি হন্যে হয়ে কোনো উপায় বের করার চেষ্টা শুরু করে এবং একপর্যায়ে তার প্রিয় শিক্ষক প্রফেসর রেমাস লুপিনের কাছ থেকে প্যাট্রোনাস চার্ম নামক একটি জাদু শিখে নেয়।
প্যাট্রোনাস চার্ম কীভাবে কাজ করে
প্যাট্রোনাস চার্মের মূল বিষয়টিই হচ্ছে তুমি যখন ভয় পাবে, তখন তোমাকে তোমার জীবনের সবচেয়ে আনন্দময় স্মৃতি মনে করতে হবে। সেই স্মৃতি রোমন্থন করে তুমি ওই মুহূর্তের সব সুন্দর অনুভূতি তোমার দেহ-মনে নিয়ে আসবে। বিজ্ঞান বলে, তুমি যখন যেই বিষয়টা প্রবলভাবে অনুভব কর, তখন তোমার মস্তিষ্কে ঠিক ওই ঘটনা ঘটলে, যে ক্রিয়াকলাপগুলো ঘটার কথা, ঠিক সেগুলোই ঘটে থাকে। দেহ-মন সবখানেই সেই সংকেত চলে যায় এবং তুমি ভালো অনুভব কর।
ইমরি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণা থেকে দেখা যায়, পাঠক যখন কোনো বই পড়ে, তখন সে বইয়ের নায়কের চরিত্রে নিবিড়ভাবে আবিষ্ট হয়। ফলে সত্যজিৎ রায়ের ফেলুদাকে খুব বীরত্বের সঙ্গে লাফ দিয়ে একটি গাড়িতে ওঠার ঘটনা পড়লে তোমার মস্তিষ্কে বাস্তবে লাফ দেওয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত অংশটি কাজ শুরু করে দেয়।
এখন তো বিজ্ঞানটা বুঝলে। তাহলে ভয় পেলে করণীয় কী?
ভয় পেলে করণীয়
তোমার জীবনে হ্যারির মতো ডিমেন্টররা হানা দেবে না। তবে ভয়, দুঃখ হানা দেওয়াটা খুবই স্বাভাবিক। তা ছাড়া কোনো কঠিন অঙ্ক, অনুশীলনী বা পরীক্ষার ভয় তো আছেই। এদের সামলানোর জন্য তুমি তোমার সবচেয়ে মজার বা আনন্দের স্মৃতি রোমন্থন করবে। এটা হতে পারে কোনো পুরস্কার পাওয়া, তোমার প্রতি কারও ইতিবাচক মন্তব্য, তোমার মা-বাবার সঙ্গে তোমার কোনো আনন্দময় স্মৃতি, খেলার মাঠের স্মৃতি অথবা তুমি যখন যে বিষয়টা নিয়ে ভয় পাচ্ছ তার একটা ইতিবাচক কল্পনা। যেমন তুমি পরীক্ষা দিতে ভয় করলে, খুব ভালো পরীক্ষা দেওয়ার কল্পনা; বক্তৃতা দিতে ভয় করলে, খুব সুন্দর ও মনোগ্রাহী বক্তৃতা দেওয়ার কল্পনা করবে। প্যাট্রোনাস চার্মে একটু নাটকীয়তা তৈরি করতে, ওই সময়ে মনে মনে হ্যারির মতো ‘এক্সপেক্টো প্যাট্রোনাম’ বলেও কাজটা করতে পার।
রিডিকুলাস চার্ম
হ্যারি ও তার বন্ধুরা বগার্ট নামক জাদুর প্রাণীদের নিরস্ত করার জন্য প্রফেসর রেমাস লুপিনের কাছ থেকেই ‘রিডিকুলাস’ নামক আরেকটা জাদু শেখে। বগার্ট হচ্ছে এমন এক জাদুর প্রাণী, যা মানুষকে দেখলে ওই মানুষটা যে জিনিস সবচেয়ে ভয় পায় তাতেই পরিণত হয়ে যায়। যেমন হ্যারি ও হ্যারির বন্ধু রনের সবচেয়ে ভয়ের বিষয় হচ্ছে যথাক্রমে ডিমেন্টর ও মাকড়সা। তাই বগার্ট হ্যারিকে দেখলেই পরিণত হয়ে যায় ডিমেন্টরে আর রনকে দেখলে মাকড়সায়।
রিডিকুলাস চার্ম তুমি কীভাবে ব্যবহার করবে
হ্যারির প্রতি রেমাস লুপিনের নির্দেশ ছিল, যখনই বগার্ট এসে তার সবচেয়ে ভয়ের জিনিসে রূপ নেওয়া শুরু করবে, তখনই বলতে হবে ‘রিডিকুলাস’ এবং বগার্টকে কল্পনা করতে হবে সবচেয়ে হাস্যকর জিনিস হিসেবে, যা দেখে হ্যারি হাসতে হাসতে লুটোপুটি খাবে।
হাসি হচ্ছে বগার্টের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা। কেউ হাসলেই বগার্ট দৌড়ে পালায়। বাস্তব জীবনেও তাই। হাসি-আনন্দ-ভয়কে দূরে রাখে। তাই বগার্টকে তুমি হাসির পাত্রে পরিণত করতে পারলেই খেল খতম। সে জন্য তোমার কাজ হবে তোমার ভয়ের বিষয়টাকে মনে মনে কত হাস্যকরভাবে উপস্থাপন করা যায়, তার চর্চা করা। যেমন নেভিল লংবটমের সবচেয়ে ভয়ের বিষয় হচ্ছে প্রফেসর সিভেরাস স্নেইপ। তাই নেভিল তাকে একটা সঙ হিসেবে চিন্তা করে এবং হেসে দেয়। ফলে বগার্ট হয় পরাস্ত আর নেভিল হাঁফ ছেড়ে বাঁচে।
তাদের মতো তুমিও তোমার সবচেয়ে ভয়ের গাণিতিক সমস্যাটা দেখে মনে মনে মজা করে বলতে পার, ‘এগুলো তো সেই বাচ্চাকালের অ, আ, ক, খ এবং ১, ২, ৩ দিয়েই লেখা। ছোটবেলায় ১, ২, ৩ শিখতে পারলে এখন তো আরেকটু বড় হয়েছি, তাই আরেকটু বড় সমস্যা সমাধান করতে পিছপা হবে কেন?’—এভাবে ভেবে যখন নির্ভয়ে এগোবে, তখন দেখবে সমস্যার সমাধান হচ্ছে মজার ছলে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
১১ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪