বাংলাদেশ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা

মানসিক অবসাদের কারণ দেখিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যেতে চাননি সাকিব আল হাসান। এমন ঘোষণার চার দিন পরই সিদ্ধান্ত বদলে দক্ষিণ আফ্রিকায় গেছেন বাঁহাতি অলরাউন্ডার। তবে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে সাদা ও লাল বলের সিরিজের সব কটি ম্যাচে সাকিব থাকবেন কি না, সেটা নিয়ে এখনো ধোঁয়াশা আছে। 

দক্ষিণ আফ্রিকায় গত ২০ বছর যত দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলেছে বাংলাদেশ, কোনোটিতেই জিততে পারেনি তারা। তিন সংস্করণ মিলিয়ে এখনো পর্যন্ত যে ১৯টি ম্যাচ খেলেছে, প্রতিটিতে শুধুই হারের গল্প

নানা নাটকীয়তা ও চমকের পর দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ থেকে বিশ্রাম পেয়েছেন সাকিব আল হাসান। ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ক্রিকেট থেকে সাকিবকে ছুটি দিয়েছে বিসিবি। সাকিবকে ছাড়াই এখন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে ও টেস্ট সিরিজ নিয়ে পরিকল্পনা সাজাতে হচ্ছে বাংলাদেশকে।

বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের পরবর্তী চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে দক্ষিণ আফ্রিকায়। দেশটিতে ৩টি ওয়ানডে ও ২টি টেস্ট খেলবে তামিম-মুমিনুলরা। তিন ধাপে ভাগ হয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার উদ্দেশে রওনা দিতে শুরু করেছে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। প্রথম ধাপে ঢাকা ছেড়েছেন ওয়ানডে দলের ৪ ক্রিকেটারসহ ৮ জন। 

চার মাসেই স্কোরলাইন তাহলে ২:০ হয়ে গেল! মানে? সাকিব আল হাসানকে বিষয়টা খুলেই বলা হলো। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) বর্তমান পরিচালনা পরিষদের এই মেয়াদে এখন পর্যন্ত দুবার ক্রিকেট থেকে বিরতি বা ছুটি বা বিশ্রাম চেয়েছেন সাকিব। দুবারই তাঁর বিতর্কিত চাওয়া দ্রুত পুরণ হয়েছে। স্কোরলাইনটা তাই সাকিব ২:০ বিসিব

নিজের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স নিয়ে সন্তুষ্ট নন সাকিব আল হাসান। বাংলাদেশের তারকা অলরাউন্ডার আফগানিস্তান সিরিজে প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি। শারীরিক ও মানসিক অবসাদকে

দুই মাসের জন্য সব ধরনের ক্রিকেট থেকে সাকিব আল হাসানকে ছুটি দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। আজ এক সংবাদ সম্মেলনে এই সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা কমিটির প্রধান

আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে বল হাতে দুর্দান্ত ছিলেন নাসুম আহমেদ। প্রথম ম্যাচে বল হাতে চার উইকেট নিয়ে দলকে জেতাতে বড় অবদান রাখেন তিনি। এরই পুরস্কার পেয়েছেন তিনি

অধিনায়কত্ব পাওয়ার পর দলকে নেতৃত্ব দিতে দীর্ঘ ৯ অপেক্ষা করতে হয়েছিল তামিম ইকবালকে। পূর্ণ মেয়াদে তামিম অধিনায়কত্ব পাওয়ার পর প্রথম সিরিজেই ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ধবলধোলাই করেছিল বাংলাদেশ। এরপর টানা ৪টি সিরিজে নেতৃত্ব দিয়েছেন তামিম।

সবকিছু ঠিকঠাক ছিল। কিন্তু হুট করেই সিদ্ধান্ত পাল্টালেন সাকিব আল হাসান। মানসিক অবসাদের কারণে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যেতে চান না তিনি। গত পরশু দুবাইগামী বিমানে চড়ার আগে

বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের জন্য পূর্ণশক্তির দলই ঘোষণা করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। তিন ওয়ানডের জন্য ১৬ সদস্যের দলে সর্বশেষ ভারত সিরিজের প্রায় সবাই আছেন। তবে চোট

বাংলাদেশের দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের দলে রাখা হলেও খেলার ইচ্ছে নেই সাকিব আল হাসানের। গত রাতে দুবাইগামী বিমানে চড়ার আগে তারকা অলরাউন্ডার জানিয়ে গেছেন, এই মুহূর্তে আন্তর্জাতিক

দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যাওয়া-না যাওয়া নিয়ে বোর্ডের সঙ্গে সাকিব আল হাসানের যেন বনিবনা হচ্ছেই না। প্রথমে আইপিএলের কারণে এই সফরে টেস্টে খেলতে চাননি তিনি। তবে আফগানিস্তান

সাকিব আল হাসান আবারও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিরতি চান। গতকাল রাতে দুবাইয়ে রওনা হওয়ার আগে নিজের ভাবনা জানিয়েছেন গণমাধ্যমকে। সাকিব এও বলেছেন মানসিক ও শারীরিক অবস্থা মিলিয়ে তিনি এখন খেলার অবস্থায় নেই। যে কারণে সদ্য শেষ হওয়া আফগানিস্তান সিরিজেও সেভাবে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি। 

ব্যাটিং সমস্যার নিরাময় হয়নি। এই ব্যাধি তো আছেই, বড় ‘মাথাব্যথা’ হয়ে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশের ফিল্ডারদের পিচ্ছিল হাত। পরশু শেষ হওয়া আফগানিস্তানের বিপক্ষে সাদা বলের দুই সিরিজে দলের ফিল্ডিং ভীষণ ভাবনায় ফেলে দিয়েছে বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্টকে।

বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন কদিন আগেই নিশ্চিত করেছিলেন, সাকিব আল হাসান আসন্ন দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে টেস্ট খেলবেন। দুদিন আগে বিসিবি যে টেস্ট ও ওয়ানডে দল দিয়েছে, সেখানেও সাকিবের নামটি আছে। কিন্তু বাঁহাতি অলরাউন্ডার আজ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, তিনি দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে বিরতি চান। জোর করে খেলে দেশের সঙ্গে

চোটে পড়ে সাকিব আল হাসানের বিশ্বকাপই শেষ হয়ে গেছে। বাংলাদেশ দলের টিম ম্যানেজমেন্টের দুশ্চিন্তা আরও বেড়ে যাওয়ার খবরই এল এবার—আগামীকাল দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচে অনিশ্চিত নুরুল হাসান সোহানও। অনুশীলনে তাসকিন আহমেদের বলে পাওয়া চোট থেকে এখনো মুক্তি মেলেনি এই উইকেটকিপার ব্যাটারের।