পেঁয়াজ

চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার আধুনগর ও পদুয়ায় এই প্রথম পেঁয়াজ চাষ শুরু হয়েছে। উপজেলায় ৯৯ শতক জমিতে এবার তিন কৃষক পেঁয়াজ চাষ করেছেন।

পাবনার সুজানগর, সাঁথিয়া ও বেড়া উপজেলায় পেঁয়াজের ভালো ফলন হয়েছে। জেলার বাজারগুলো এখন নতুন পেঁয়াজে সয়লাব, কিন্তু হাসি নেই পেঁয়াজচাষিদের মুখে।

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮ থেকে ১৮ টাকা। আর পেঁয়াজের তুলনায় ৫-৭ গুণ বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে তরমুজ। প্রতি কেজি তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়। আজ শুক্রবার উপজেলার পান্টি ইউনিয়নের পান্টি ডিগ্রি কলেজ মাঠের সাপ্তাহিক হাটে তরমুজ ও পেঁয়াজ এমন দরে কেনাবেচা হয়।

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় ধস নেমেছে পেঁয়াজ-রসুনের বাজারে। প্রতি মণ পেঁয়াজ-রসুন বিক্রি হচ্ছে মাত্র ৫০০ টাকায়। অথচ বাজারে একটি বড় সাইজের তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকা দরে। কেনাবেচার এ ভরা মৌসুমে পেঁয়াজ-রসুনের দামে হতাশ চাষিসহ সংশ্লিষ্টরা।

পাবনার আটঘরিয়ায় পেঁয়াজের বাম্পার ফলন হলেও দাম নিয়ে হতাশ চাষিরা। উৎপাদন ব্যয়ের তুলনায় বাজারে দাম কম থাকায় লোকসানের কবলে পড়তে হচ্ছে কৃষকদের।

দেশের মধ্যে পেঁয়াজ চাষে অন্যতম রাজবাড়ী। এ বছর জেলার পাংশা উপজেলায় পেঁয়াজের আশানুরূপ ফলন হয়নি। অন্যদিকে বাজারে দাম কম থাকয় হতাশায় পড়েছেন কৃষকেরা।

বীজের চাহিদা ও আশানুরূপ দাম পাওয়ার কারণে মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলায় পেঁয়াজবীজ উৎপাদনে ঝুঁকেছেন কৃষক। উপজেলার আটটি ইউনিয়নের প্রায় দেড় হাজার কৃষক দেড় হাজার বিঘা জমিতে পেঁয়াজবীজ উৎপাদন করছেন

তেল, চাল, পেঁয়াজ, চিনি—এমন আরও কয়েকটি পণ্যের দাম নিয়ে মানুষ ভুগছে অনেক দিন ধরে। এর মধ্যে এসে গেল রমজান। প্রতিবছর যা হয়, এবারও তা-ই হলো। এক-দুই দিনের ব্যবধানে বদলে গেল কাঁচাবাজারের চিত্র। বেগুন-শসা-কাঁচা মরিচ যেন...

পাবনার সাঁথিয়ায় খেত থেকে পেঁয়াজ তুলতে শুরু করেছেন কৃষকেরা। তবে উৎপাদন ভালো হলেও দাম নিয়ে হতাশায় ভুগছেন তাঁরা। অন্যদিকে দাম কমায় স্বস্তি ফিরেছে সাধারণ ক্রেতাদের মধ্যে।

এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে পেঁয়াজের ভালো ফলন হয়েছে। বর্তমানে পেঁয়াজ ঘরে তোলা, কাটা ও সংরক্ষণে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষক-কৃষাণিরা। তবে ফলনে খুশি হলেও দামে বেজার তাঁরা। বর্তমানে বাজার দরে পেঁয়াজ বিক্রি করতে হলে প্রতি কেজিতে ৫-১০ টাকা লোকসান গুনতে হবে তাঁদের।

রোজার মধ্যে কোনোভাবেই যাতে পেঁয়াজের দাম না বাড়ে, সে জন্য বাঙালির রান্নার অন্যতম এই উপকরণ আমদানি বন্ধ করবে না সরকার। সচিবালয়ে আজ মঙ্গলবার কৃষিসচিব মো. ছায়েদুল ইসলাম মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় এ কথা জানান। ভোক্তা ও কৃষকের স্বার্থ রক্ষায় বাজার তদারকি করা হবে

ভারত থেকে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ৫ দিনে ৮ হাজার ৮৪২ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। কৃষি মন্ত্রণালয় ২৯ মার্চ (আজ) পেঁয়াজ আমদানির শেষ সময় নির্ধারণ করায় পেঁয়াজ আমদানি বাড়িয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার একজন সফল পেঁয়াজচাষি আবু তালেব (৪০)। প্রতিবছর তিনি প্রায় ১২ বিঘা জমিতে পেঁয়াজ বীজ চাষ করেন। এতে প্রায় ৩০ থেকে ৩৬ মণ বীজ উৎপাদন হয়, যার বাজারমূল্য ২৮ থেকে ৩৬ লাখ টাকা। আর খরচ হয় মাত্র ৫ থেকে ৭ লাখ টাকা। খরচ বাদে আবু তালেবের মাসিক আয় ২৫ থেকে ৩০ লাখের মতো টাকা।

পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি (আইপি) ঈদুল ফিতর পর্যন্ত বাড়িয়েছে সরকার। আজ রোববার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। রমজান মাসে বাজার স্থিতিশীল রাখতে সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। 

বৈরী আবহাওয়ায় এবার ফলন ভালো হয়নি পেঁয়াজের। অন্যদিকে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি হওয়ায় লোকসানের মুখে পড়েছে মেহেরপুরের পেঁয়াজচাষিরা। ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি হওয়ায় এক সপ্তাহ ধরে প্রতিনিয়তই কমছে এর দাম।

বছরজুড়েই বাজারে পেঁয়াজের দাম ছিল চড়া। তাই কৃষকেরা লাভের আশায় রেকর্ড পরিমাণ জমিতে এবার পেঁয়াজ রোপণ করেছিলেন। সেই পেঁয়াজ এখন বাজারে উঠতে শুরু করেছে। কিন্তু নতুন পেঁয়াজ বাজারজাত করার আগ মুহূর্তে ভারত থেকে আমদানির ফলে কমছে দেশি পেঁয়াজের দাম। ফলে লাভের আশায় পেঁয়াজ চাষ করে লোকসানের মুখে পড়ছেন কৃষকেরা।

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় উত্তোলনের আগেই খেত থেকে চুরি হয়ে যাচ্ছে পেঁয়াজ। এ নিয়ে মহাচিন্তায় কৃষকেরা। তাই চুরি ঠেকাতে রাত জেগে খেত পাহারা দিচ্ছেন তাঁরা। খেতে তাঁবু টানিয়ে সারা রাত পালাক্রমে এভাবে চলছে পাহারা।