পাউবো

চলতি বন্যায় সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বানের পানিতে তলিয়ে যায় শত শত ঘরবাড়ি, সড়ক ও ফসলি জমি। বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় যোগাযোগ ব্যবস্থাও। বর্তমানে পানি কমছে, স্বাভাবিক হচ্ছে জনজীবন

লক্ষ্মীপুরে মেঘনা নদীর পানি বৃদ্ধির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ভাঙন। গত এক সপ্তাহে নতুন করে ভাঙনের শিকার হয়েছে শতাধিক পরিবার। এতে আতঙ্কে রয়েছেন তীরের বাসিন্দারা।

কুমিল্লায় বেড়িবাঁধ ভাঙার আতঙ্কে আছে গোমতীপাড়ের বাসিন্দারা। দিনে দুই পাড়ের বাসিন্দারা সতর্ক থাকলেও রাতভর বাঁধ ভাঙার আতঙ্কে থাকেন। সদর ও বুড়িচং উপজেলার ২০টি স্থান দিয়ে বাঁধ চুইয়ে পানি প্রবেশ চিহ্নিত করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।

বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে শেরপুর, নেত্রকোনা ও জামালপুরে আবারও বাড়ছে পানি। কোনো কোনো জায়গায় বন্যার পানি নামতে শুরু করলেও নতুন করে অনেক এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এতে নতুন করে দুর্ভোগে এখানকার বাসিন্দারা।

উজানের ঢলে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্য নদ-নদীতেও পানি বাড়তে থাকায় কাউনিয়া, গঙ্গাচড়া ও পীরগাছা উপজেলার চরাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

ধরলা, দুধকুমার ও ব্রহ্মপুত্রের পানি বেড়ে কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। ৯ উপজেলার ৪৯ ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী। ১৪১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পানি ওঠায় পাঠদান বন্ধ রয়েছে। নদনদীর পানি বাড়া অব্যাহত থাকায় জেলার বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:

উজানের ঢলে দুপুরের পর থেকে হু হু করে বাড়ছে তিস্তা নদীর পানি। সেই সঙ্গে এ অঞ্চলের অন্য নদ-নদীগুলোরও পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ফলে কাউনিয়া, গংগাচড়া ও পীরগাছা উপজেলার বিভিন্ন চরাঞ্চল ও তীরবর্তী এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। 

বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় কুড়িগ্রামে ধরলা, ব্রহ্মপুত্র ও দুধকুমার নদের পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। এতে জেলার কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। এদিকে উজানে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস থাকায় আগামী কয়েক দিন বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউ

বৃষ্টি ও উজানের ঢলে ব্রহ্মপুত্র, ধরলাসহ বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বেড়ে কুড়িগ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। অনেক বাড়িঘরে পানি ঢুকতে শুরু করেছে। এতে মাঝারি মেয়াদে বন্যার আশঙ্কা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উদাসীনতা ও কর্মকর্তাদের অবহেলায় ছয় মাসেও সংস্কার করা হয়নি কুষ্টিয়ার কুমারখালী শহর রক্ষা বাঁধ। ইতিমধ্যে গড়াই নদে পানি বাড়তে শুরু করেছে। কিন্তু বাঁধ সংস্কারে উদ্যোগ নিচ্ছে না সংশ্লিষ্টরা। এতে আতঙ্কিত শহরের প্রায় ৬০ হাজার মানুষ। হুমকির মুখে রয়েছে ৩টি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি প্র

ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র, দুধকুমার ও ধরলার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। তবে কিছুটা কমেছে তিস্তার পানি। আগামী ৪৮ ঘণ্টা পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে ব্রহ্মপুত্র বিপৎসীমার কাছাকাছি পৌঁছাতে পারে বলে জানিয়েছে স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। তবে এসব নদ-নদীর অববাহিকায় বন্যার

খাগড়াছড়ির রামগড়ে ফেনী নদী পরিদর্শনে এসেছে যৌথ নদী কমিশনের (জেআরসি) একটি প্রতিনিধিদল। আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে রামগড়-সাবরুম সীমান্তের মাঝে অবস্থিত ফেনী নদী পরিদর্শনে রামগড়ে আসে ওই প্রতিনিধিদল। পরিদর্শন শেষে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতুসংলগ্ন এলাকায় বৈঠকে বসে প্রতিনিধিদল।

বৃষ্টি ও উজানের ঢলে কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র, দুধকুমার, ধরলা, তিস্তাসহ বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। এতে প্লাবিত হচ্ছে চরাঞ্চলের আবাদি জমি। দু-এক দিনের মধ্যে ব্রহ্মপুত্র ও তিস্তার পানি বিপৎসীমার কাছে পৌঁছানোর আশঙ্কা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। তবে জেলায় বন্যার পূর্বাভাস নেই।

কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের মোল্লারহাট বাজার রক্ষার কাজ শুরু হলেও ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে তিন কিলোমিটার এলাকা। এতে ব্রহ্মপুত্র নদ ও ধরলা নদীতীরের বাসিন্দারা আতঙ্কে দিন পার করছেন।

বরেন্দ্র অঞ্চলে ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার বাড়ায় প্রতিনিয়তই নিচে নেমে যাচ্ছে পানির স্তর। খোদ সরকারি সংস্থার জরিপেই উঠে এসেছে, বরেন্দ্র অঞ্চলের কোথাও কোথাও মাটির নিচে পানিই নেই।

চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার বুক চিরে বয়ে যাওয়া ইছামতী নদীর তীরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) জায়গা দখল করে গড়ে উঠেছে শত শত স্থাপনা। প্রায় দেড় যুগ ধরে এ দখল প্রক্রিয়া চলে আসছে। বর্তমানে ইছামতীর রাঙ্গুনিয়া অংশে প্রায় ২০ কিলোমিটারজুড়ে রয়েছে কয়েক শ দোকানপাট ও ঘরবাড়ি।

কুড়িগ্রামে বন্যা মোকাবিলায় ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ মেরামতসহ নদীভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কাজ করছে। জেলা প্রশাসন বন্যায়  মানুষের ভোগান্তি কমাতে বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়েছে। ব্রহ্মপুত্র, দুধকুমার, ধরলা ও তিস্তাসহ ১৬টিরও বেশি নদনদী কুড়িগ্রাম দিয়ে প্রবাহিত। প্রতিবছর বন্যায় জেলার বিশাল জনপদ প্লাবিত হয়।