Ajker Patrika

মোস্তাফিজকে টেস্টে চায় বিসিবি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
মোস্তাফিজকে টেস্টে চায় বিসিবি

১৫ মাস ধরে টেস্ট ক্রিকেটের বাইরে মোস্তাফিজুর রহমান। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে লাল বলের ক্রিকেটে এই পেসারকে দলে চাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এরই মধ্যে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছে বিসিবির নির্বাচক প্যানেল। শেষপর্যন্ত মোস্তাফিজ টেস্টে ফিরছেন কী না, তা অবশ্য এখনো নিশ্চিত নয়। 

আজ মিরপুরে বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান জালাল ইউনুস সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেছেন, ‘আমরা চাচ্ছি মোস্তাফিজ টেস্ট খেলুক, অন্তত ওয়েস্ট ইন্ডিজে। আমরা তাকে জানিয়েছি, তোমাকে চাই, দেখা যাক কি বলে। এটা কালকের মধ্যে পরিষ্কার হয়ে যাবে।’ 

ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের দল প্রায় চূড়ান্ত। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের সাক্ষরের পর সেটা সংবাদমাধ্যমের কাছে দেওয়া হবে। আগামীকালই টেস্ট স্কোয়াডে মোস্তাফিজকে দেখা যেতে পারে। জালাল ইউনুস বলেছেন, ‘আপনারা আগামীকাল দল পাবেন, কালকের মধ্যে হয়তো ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের দল দিয়ে দিবে নির্বাচকেরা। সেখানে বুঝতে পারবেন।’ 

করোনার সময় জৈব সুরক্ষা বলয়ের জটিলতা ও নিজের ফিটনেসের কথা বিবেচনায় নিয়ে টেস্ট খেলা থেকে সরে আসেন মোস্তাফিজ। তারপর কেন্দ্রীয় চুক্তি সাক্ষরের সময়ও টেস্টে না খেলার পক্ষে মত দেন তিনি। 

তবে বর্তমানে তাসকিন আহমেদ ও শরীফুল ইসলামের চোটের পর বাঁ হাতি পেসারের প্রয়োজনবোধ করছে বিসিবি। জালাল ইউনুস বলেছেন, ‘মোস্তাফিজ তো খেলতে চাচ্ছিল না, আমরা তাকে বলছি খেলতে। আমাদের দুইটা সামনের সারির পেসার নেই। আমরা মনে করি মোস্তাফিজ এখানে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তার সমর্থনটা অনেক দরকার। আমরা তাকে জানিয়েছি, সে নির্বাচকদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। কালকে দল দিলে আপনারা জানতে পারবেন।’ 

টেস্ট না খেলার ক্ষেত্রে যুক্তি হিসেবে মোস্তাফিজ লম্বা সময় না খেলা ও ফিটনেসের কথা তুলে ধরেছেন। ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধানের মতে, ‘তার (মোস্তাফিজের) যুক্তি হলো সে ওখানে (আইপিএলে) আছে দুই মাস ধরে। বলছে তার লম্বা একটা সময় চলে যাচ্ছে। এখানে তার সময় নিয়ে নিচ্ছে বেশি। ফিজিক্যালি সে হয়তো বলতে পারে ফিট না। আমরা বলেছি তুমি আসো দেখা যাক কি করা যায়। সে হয়তো খেলতেও পারে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

দক্ষিণ আফ্রিকাকে কাঁদিয়ে ভারতের মেয়েদের বিশ্বজয়

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ০৩ নভেম্বর ২০২৫, ০১: ০৮
উইকেট পতনের উল্লাসে শেফালিকে জড়িয়ে ধরলেন ভারতের অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌর। ছবি: এএফপি
উইকেট পতনের উল্লাসে শেফালিকে জড়িয়ে ধরলেন ভারতের অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌর। ছবি: এএফপি

দীপ্তি শর্মার করা লো ফুলটস এক্সট্রা কাভার দিয়ে উড়িয়ে মারলেন। শটে অতোটা জোর ছিল না। পেছনে দিক থেকে দৌড়ে গিয়ে ক্যাচটি লুফে নিতে অসুবিধা হয়নি হারমানপ্রীত কৌরের। ভারতজুড়ে এরপর থেকে বইতে শুরু করল উৎসবের ঢেউ। নামের পাশে জুড়ে গেল বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন তকমা। রোববার দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৫২ রানে হারিয়ে প্রথমবারের মতো মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপের শিরোপার স্বাদ নিল তারা।

প্যাট কামিন্স পেরেছেন, পারেননি লরা ভলভার্ট। গোটা ভারতকে নীরবতার সমুদ্রে ভাসানোর জন্য কী আপ্রাণ চেষ্টাই না করলেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক। প্রথম নারী ক্রিকেটার হিসেবে ওয়ানডে বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল ও ফাইনালে সেঞ্চুরি। বিশ্বকাপের এক আসরে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডটিও এখন তাঁর দখলে। ওই শিরোপার সামনে সবকিছুই তুচ্ছ হয়ে যায়। বরং তা তুচ্ছ করে দিয়েছেন দীপ্তি শর্মা। অলরাউন্ড নৈপুণ্যে পুরো ভারতের দীপ্তি হয়ে উঠলেন তিনি।

বিশ্বকাপ ইতিহাসে এর আগে কেউই ১৬৭ রানের বেশি লক্ষ্য পাড়ি দিতে পারেনি কোনো দল। নভি মুম্বাইয়ের ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে লক্ষ্যটা দাঁড়ায় ২৯৯ রানের। চ্যালেঞ্জ ছিল, তেমনি ভলভার্ট যতক্ষণ ক্রিজে ছিলেন আশাও ছিল। উদ্বোধনী জুটিতে তাজমিন ব্রিটসের সঙ্গে গড়েন ৫১ রান। তৃতীয় উইকেটে সুন লিউসকে নিয়ে ৫২, এরপর ষষ্ঠ উইকেটে আনেরি ডেরেকসনের সঙ্গে ৬১ রান। তিনটি পঞ্চাশোর্ধ রানের জুটির পরও ভলভার্ট তাঁর কথা রাখতে পারেননি। ৯৮ বলে ১১ চার ও ১ ছক্কায় ১০১ রানে তিনি আউট হওয়ার দক্ষিণ আফ্রিকার হার ছিল অবশ্যম্ভাবী। ২৭ বল আগেই তারা গুটিয়ে যায় ২৪৬ রানে।

এর পেছনে কৃতিত্বটা দীপ্তি ও শেফালি ভার্মার। ফাইনালের মতো মঞ্চে ৫ উইকেট পাওয়া চাট্টিখানি কথা নয়। ৩৯ রানের বিনিময় দীপ্তি সেটাই করে দেখিয়েছেন। শেফালি নেন ২ উইকেট। অথচ টুর্নামেন্টে প্রথমে দলেই ছিলেন না তিনি। প্রতীকা রাওয়ালের চোট সুযোগ এনে দেয় তাঁকে। তা কীভাবে কাজে লাগাতে হয় দেখিয়েছেন ফাইনাল সেরা হয়ে।

টস হেরে আগে ৭ উইকেটে ২৯৮ রান করা ভারতের ব্যাটিংয়ের গল্পও শেফালি-দীপ্তিকে ঘিরে। শেফালি ১০৪ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েন স্মৃতি মান্ধানার (৪৫) সঙ্গে। এর তিনে নামা জেমিমা রদ্রিগেজের সঙ্গে যোগ করেন ৬২ বলে ৬২ রান। এই জুটি অবশ্য অনেক আগেই ভাঙতে পারত। ২১ তম ওভারে তাঁর সহজ ক্যাচ হাতছাড়া করেন অ্যানেকে বশ। ৫৬ রানে বেঁচে যাওয়া শেফালি আউট হয়েছেন ৭৮ বলে ৭ চার ও ২ ছক্কায় ৮৭ রানে। শেষ দিকে ঝড় তোলেন দীপ্তি ও রিচা ঘোষ। ৫৮ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় ৫৮ রানে রান আউটের শিকার হন দীপ্তি। ক্যামিও খেলা রিচা ২৪ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় করেন ৩৪ রান। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন খাকা।

২০০৫ ও ২০১৭ ফাইনাল হারের বেদনা ভুলিয়ে ভারতীয় বোলাররা এরপর লিখলেন বিশ্বজয়ের কাব্য।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জিম্বাবুয়েকে ধবলধোলাই করল আফগানরা

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ০২ নভেম্বর ২০২৫, ২৩: ৫৭
জিম্বাবুয়েকে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ধবলধোলাই করল আফগানিস্তান। ছবি: ক্রিকইনফো
জিম্বাবুয়েকে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ধবলধোলাই করল আফগানিস্তান। ছবি: ক্রিকইনফো

বাংলাদেশের কাছে আফগানিস্তানের ধবলধোলাইয়ের ঘটনা বেশি দিন আগের নয়। সংযুক্ত আরব আমিরাতে গত মাসে আফগানদের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। এক মাসের ব্যবধানে ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে আফগানরা।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম দুই টি-টোয়েন্টি জিতে আগেই সিরিজ নিশ্চিত করেছিল আফগানিস্তান। হারারে স্পোর্টস ক্লাবে আজ তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে ধবলধোলাই এড়ানোর কাছাকাছি চলে গিয়েছিল জিম্বাবুয়ে। কিন্তু শেষ বল অবধি খেললেও স্বাগতিকেরা ধবলধোলাই এড়াতে পারেনি। ৯ রানে জিতে ৩-০ ব্যবধানে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতে নিল আফগানরা।

২১১ রানের লক্ষ্যে নেমে ২.৫ ওভারে ২ উইকেটে ১৯ রানে পরিণত হয় জিম্বাবুয়ে। দুই টপ অর্ডার ব্যাটার ডিওন মায়ার্স (৫) ও ব্রেন্ডন টেলর (৪) এক অঙ্কের ঘরে আউট হয়েছেন। তৃতীয় উইকেটে ৪৮ বলে ৮৫ রানের জুটি গড়েছেন ব্রায়ান বেনেট ও সিকান্দার রাজা। ১১তম ওভারের পঞ্চম বলে রাজাকে বোল্ড করে জুটি ভাঙেন মোহাম্মদ নবি। ২৯ বলে ৭ চার ও ২ ছক্কায় রাজা করেন ৫১ রান।

রাজা আউট হওয়ার পর বেনেটও (৪৭) দ্রুত আউট হয়েছেন। রাজা, বেনেট দ্রুত আউট হওয়ায় জিম্বাবুয়ের স্কোর হয়ে যায় ১২.৫ ওভারে ৪ উইকেটে ১২৬ রান। পঞ্চম উইকেটে ১৭ বলে ৩৬ রানের জুটি গড়েছেন রায়ান বার্ল ও তাসিঙ্গা মুসিকিউয়া। এই জুটি ভাঙার পর খেই হারিয়ে ফেলে জিম্বাবুয়ে। ২০ ওভারে ২০১ রানে গুটিয়ে গেছে স্বাগতিকেরা। আফগানিস্তানের আব্দুল্লাহ আহমাদজাই ৪ ওভারে ৪২ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট। দুটি করে উইকেট নিয়েছেন ফরিদ আহমেদ ও ফজলহক ফারুকি।

তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে নিয়মিত অধিনায়ক রশিদ খানকে বিশ্রাম দিয়েছে আফগানিস্তান। তাঁর পরিবর্তে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন ইবরাহিম জাদরান। আগে ব্যাটিং নিয়ে ২০ ওভারে ৩ উইকেটে ২১০ রান করেছে আফগানরা। ৪৮ বলে ৮ চার ও ৫ ছক্কায় ৯২ রান করে রহমানউল্লাহ গুরবাজ পেয়েছেন ম্যাচসেরার পুরস্কার। জিম্বাবুয়ের অলরাউন্ডার ব্র্যাড ইভান্স নিয়েছেন ২ উইকেট। বাঁহাতি পেসার রিচার্ড এনগারাভা নিয়েছেন এক উইকেট। সিরিজসেরার পুরস্কার পেয়েছেন ইবরাহিম জাদরান। ৩ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ৮৪.৫০ গড়ে সর্বোচ্চ ১৬৯ রান করেছেন তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চ্যাম্পিয়ন হতে ভারতের বিপক্ষে রেকর্ডই গড়তে হবে দক্ষিণ আফ্রিকাকে

ক্রীড়া ডেস্ক    
দক্ষিণ আফ্রিকাকে ২৯৯ রানের লক্ষ্য দিয়েছে ভারত। ছবি: ক্রিকইনফো
দক্ষিণ আফ্রিকাকে ২৯৯ রানের লক্ষ্য দিয়েছে ভারত। ছবি: ক্রিকইনফো

মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপে নতুন চ্যাম্পিয়ন পেতে অপেক্ষা আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার। ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা যে-ই জিতুক, তারা প্রথমবারের মতো হবে চ্যাম্পিয়ন। মুম্বাইয়ের ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে আজ প্রথম ইনিংসেই রানের পাহাড় গড়েছে হারমানপ্রীত কৌরের নেতৃত্বাধীন ভারত। চ্যাম্পিয়ন হতে হলে রেকর্ড গড়তে হবে দক্ষিণ আফ্রিকাকে।

২০২৫ নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে আজ টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ২৯৮ রান করেছে ভারত। মেয়েদের ওয়ানডে ইতিহাসে তিনবার ৩০০-এর বেশি রান তাড়া করে জয়ের কীর্তি রয়েছে। যার মধ্যে ভারত ৩০ অক্টোবর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৩৩৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করে জিতে রেকর্ডটা নিজের করে নিয়েছে। কিন্তু কোনো রেকর্ডই বিশ্বকাপের ফাইনালে হয়নি। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে সর্বোচ্চ ১৬৭ রান তাড়া করে জয়ের কীর্তি ইংল্যান্ডের। ২০০৯ নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল।

মুম্বাইয়ে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা ফাইনালে আবহাওয়ার পূর্বাভাস মেনেই বৃষ্টি হানা দিয়েছিল। বৃষ্টির বাগড়ায় ২ ঘণ্টা দেরিতে বাংলাদেশ সময় বেলা সাড়ে পাঁচটায় শুরু হয় ম্যাচ। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে টস জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক লরা ভলভার্ট। শুরুতে ব্যাটিং পেয়ে পাওয়ার প্লেতে (প্রথম ১০ ওভার) কোনো উইকেট না হারিয়ে ৬৪ রান করে ফেলে ভারত। দলীয় ১০৪ রানে স্বাগতিকেরা হারায় প্রথম উইকেট। ১৮তম ওভারের চতুর্থ বলে স্মৃতি মান্ধানাকে (৪৫) ফেরান ক্লো টায়রন।

উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পর ব্যাটিংয়ে নামেন জেমিমা রদ্রিগেজ। ওপেনার শেফালি ভার্মার সঙ্গে ৬২ বলে ৬২ রানের জুটি গড়তে অবদান রাখেন রদ্রিগেজ। এই জুটি অবশ্য অনেক আগেই ভাঙতে পারত। ২১তম ওভারের প্রথম বলে সুন লুসকে তুলে মারতে যান শেফালি। ডিপ মিড উইকেটে সহজ ক্যাচ হাতছাড়া করেন অ্যানেকে বশ। ৫৬ রানে বেঁচে যাওয়া শেফালি আউট হয়েছেন ৮৭ রানে। ২৮তম ওভারের পঞ্চম বলে শেফালিকে ফিরিয়েছেন আয়াবঙ্গা খাকা।

৭৮ বলে ৭ চার ও ২ ছক্কায় ৮৭ রান করেছেন শেফালি। তাঁর বিদায়ে ভারতের স্কোর হয়ে যায় ২৭.৫ ওভারে ২ উইকেটে ১৬৬ রান। এই জুটি ভাঙার পর পঞ্চাশোর্ধ্ব জুটি হয়েছে কেবল একটি। চতুর্থ উইকেটে ৫৬ বলে ৫২ রানের জুটি গড়তে অবদান রাখেন হারমানপ্রীত কৌর ও দীপ্তি শর্মা। আর দক্ষিণ আফ্রিকার পিচ্ছিল ফিল্ডিংয়ের সুযোগে শেষ ৪ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ৩০ রান যোগ করে ভারত। স্বাগতিকদের ২৯৮ রানের মধ্যে শেফালির ৮৭ রানই ইনিংস সর্বোচ্চ। দক্ষিণ আফ্রিকার খাকা নিয়েছেন ৩ উইকেট। এখন পর্যন্ত ৫ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে ১৮ রান করেছে প্রোটিয়ারা। অধিনায়ক ভলভার্ট ৮ ও তাজমান ব্রিটজ ৬ রানে ব্যাটিং করছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাংলাদেশ-আফগানিস্তান সিরিজের মাঝপথে সূচি পরিবর্তন

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
বাংলাদেশ-আফগানিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ ওয়ানডে দলের সিরিজের সূচিতে হঠাৎ পরিবর্তন আনা হয়েছে। ছবি: ফাইল ছবি
বাংলাদেশ-আফগানিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ ওয়ানডে দলের সিরিজের সূচিতে হঠাৎ পরিবর্তন আনা হয়েছে। ছবি: ফাইল ছবি

এক মাসের ব্যবধানে হচ্ছে দুটি বাংলাদেশ-আফগানিস্তান সিরিজ। সংযুক্ত আরব আমিরাতে গত মাসে খেলেছিল জাতীয় ক্রিকেট দল। এবার লিটন দাস-তানজিদ হাসান তামিমদের ছোট ভাইয়েরা খেলছে উত্তরবঙ্গের বগুড়া-রাজশাহীতে। সিরিজের মাঝপথে হঠাৎই বদলে গেল বাংলাদেশ-আফগানিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সূচি।

আগের সূচি অনুযায়ী বাংলাদেশ-আফগানিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের শেষ তিন ওয়ানডে হওয়ার কথা ছিল ৩, ৬ ও ৯ নভেম্বর। কিন্তু সিরিজের মাঝপথেই সূচিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে। বিসিবি আজ এক মিডিয়া বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, সিরিজের তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম ওয়ানডে হবে ৫, ৭ ও ৯ নভেম্বর। আবহাওয়ার কারণেই মূলত সূচিতে এই পরিবর্তন। শেষ তিন ওয়ানডের ভেন্যু রাজশাহী।

আফগানিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে বাংলাদেশ ১-০ ব্যবধানে। পরশু বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় ওয়ানডে পরিত্যক্ত হয়েছে। বাংলাদেশ সময় পরশু সকাল ৯টায় শুরু হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ-আফগানিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের দ্বিতীয় ওয়ানডে। কিন্তু ঘন কুয়াশার কারণে তা সম্ভব হয়নি। ম্যাচ শুরু হওয়া তো দূরে থাক। টসই হয়নি। চার ঘণ্টা অপেক্ষার পর বেলা ১টার দিকে জানা যায়, ভেজা আউটফিল্ডের কারণে ম্যাচ পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে।

এর আগে মঙ্গলবার শুরু হয়েছে বাংলাদেশ-আফগানিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। যুবাদের ম্যাচ হলেও এটা নিয়ে ভক্ত-সমর্থকদের আগ্রহ কোনো অংশে কম ছিল না। স্টেডিয়ামের গ্যালারি ছিল কানায় কানায় পরিপূর্ণ। সেই ম্যাচে ডাকওয়ার্থ লুইস এন্ড স্টার্ন (ডিএলএস) মেথডে আফগানদের ৫ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। টস জিতে আগে ব্যাটিং নিয়ে আফগানিস্তান নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে করেছে ২৬৫ রান। জবাবে বাংলাদেশ ৪৬ ওভারে ৪ উইকেটে করে ২৩১ রান। শেষ চার ওভারে যখন ৩৫ রানের সমীকরণের সামনে আজিজুল হাকিম তামিমের দল, তখন আলোকস্বল্পতা দেখা দেয়। ডিএলএস মেথডে বাংলাদেশকে জয়ী ঘোষণা করা হয়।

যুবাদের প্রথম ওয়ানডেতে ডিএলএস মেথডে বাংলাদেশের ৫ রানের জয়ে ম্যাচসেরার পুরস্কার পেয়েছেন ইকবাল হোসেন ইমন। ১০ ওভারে ৫৭ রানে পেয়েছেন ৫ উইকেট। এক ওভার মেডেন দিয়েছেন। বাংলাদেশের জয়ে কালাম সিদ্দিকির ১১৯ বলে ১১ চারে ১০১ রানের ইনিংসও দারুণ অবদান রাখে। অক্টোবরে সিনিয়রদের ক্রিকেটে টি-টোয়েন্টি সিরিজে আফগানিস্তানকে ধবলধোলাই করেছিল বাংলাদেশ। এর বদলা ওয়ানডেতে নিয়েছে আফগানিস্তান। মেহেদী হাসান মিরাজের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশকে ৩-০ ব্যবধানে ধবলধোলাই করেছিল আফগানরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত