নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
নির্বাচন নিয়ে দুবার প্রতারণার শিকার হয়ে তৃতীয়বার আবার সেই আওয়ামী লীগের প্রতারণার ফাঁদে পা দেবে না কেউ। এবার কিছু দালাল ছাড়া তাদের সঙ্গে আর কেউ থাকবে না বলে মন্তব্য করেছেন গণ অধিকার পরিষদের একাংশের আহ্বায়ক রেজা কিবরিয়া।
আজ শনিবার রাজধানীর প্রেসক্লাবে আকরাম খাঁ মিলনায়তনে গণ অধিকার পরিষদের একাংশের আয়োজনে ‘সংবিধান ও গণতন্ত্র: প্রেক্ষিত বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন রেজা কিবরিয়া ৷
‘অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চাই, বিরোধী দলকে বলতে চাই, এইবারের নির্বাচনটা সুষ্ঠু হবে’ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে রেজা কিবরিয়া বলেন, ‘চমৎকার কথা। এই কথাটা আপনাদের মনে করিয়ে দিতে চাই। এইবারের নির্বাচনটা সুষ্ঠু হবে! তারা ক্ষমতায় আছেন কী ধরনের নির্বাচন দিয়ে, সেটা কিন্তু তিনি স্বীকার করেছেন। ফ্রড (প্রতারণা) ও অত্যাচার করে গত দুইটা নির্বাচন তারা পার হয়ে গেছে। এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে দুইবার ফ্রডের শিকার হয়ে তৃতীয়বার আবার তাদের বিশ্বাস করবে? বাঙালিরা এতটা সহজ নয়। কিছু দালাল আর দালাল দল ছাড়া কেউ থাকবে না। পরীক্ষিত চোর এবং ভোট চোর দুটোর কাছেই আবার এই দায়িত্ব দেওয়া যায় কে না? এটা জনগণ অবশ্যই ভাববে।’
একসময় তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে ক্ষমতায় যাওয়ার সেতু বানিয়েছিল আওয়ামী লীগ এমনটা উল্লেখ করে রেজা কিবরিয়া আরও বলেন, ‘এই সেতু পার হয়ে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় গেছেন। আপনারা দেখবেন, ’৯৫-তে ক্ষমতায় আসার আগে তারা জ্বালাময়ী বক্তব্য দিয়েছে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পক্ষে। ওই বক্তব্যগুলোই তাদের শোনানো উচিত ৷ যে আপনারা এবং আপনাদের নেত্রী কী বলেছিলেন।’
এই দেশের জনগণ যাকে একবার অপছন্দ করে তাকে কোনো রাজনৈতিক দলই বাঁচাতে পারে না বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও আলোচনার প্রধান বক্তা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, ‘এই আন্দোলন কারও একার না। আজকের আন্দোলনটা বিএনপি নয়, গণ অধিকার পরিষদের নয় ৷ আজকের আন্দোলনটা জনগণের আন্দোলন ৷ প্রত্যেকটা মানুষ নিষ্পেষিত, প্রত্যেকটি মানুষ কিন্তু প্রতিদিন ধাক্কা খাচ্ছে। অন্যায়ের শিকার হচ্ছে ৷ জিনিসপাতির দাম লাগাম ছাড়া, ঘরে ঘরে অভাব আছে। ’৭৪ সালের মতো কঙ্কালসার দেহ এখনো দেখা যায়। এই সরকার বাংলাদেশ ব্যাংকটা দেউলিয়া করে দিছে। তারপরও এত সখ কেন ক্ষমতার থাকার? দেশটা তো খেয়ে ফেলছে। সামনে ভয়াবহ সময় আসছে।’
ইয়াহিয়া খানের জায়গায় শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকলে বাংলাদেশ কখনোই স্বাধীন হতো না বলে মন্তব্য করেন আলোচনার বিশেষ বক্তা এবি পার্টির সদস্যসচিব মুজিবুর রহমান মঞ্জু ৷ তিনি বলেন, ‘সংবিধানের নাম করে বারবার আমাদের ধোঁকা দেওয়া হয়। আমরা বারবার বলি, ইয়াহিয়া ক্ষমতায় না থেকে যদি শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকত, তাহলে বাংলাদেশ কোনো দিন স্বাধীন হতো না। কারণ, শেখ হাসিনা যদি ক্ষমতায় থাকত, তাহলে ৭ মার্চ তিনি অনুমতিই দিতেন না সমাবেশ করার জন্য। শেখ মুজিব আঙুল উঠায়া বক্তব্য কীভাবে দিত ভাই? এই জন্য আমি বলি ১৯৬৯, ১৯৭০ সালে ভাষণে যেসব দাবি করেছিলেন সেগুলোর সঙ্গে আমাদের দাবির মিল আছে। ওই সময় ইয়াহিয়া ও আইয়ুব যেসব কথা বলেছেন, সেগুলোর শেখ হাসিনার কথার মিল আছে।’
গণ অধিকার পরিষদ (একাংশের) সিনিয়র আহ্বায়ক কর্নেল (অব.) মিয়া মশিউজ্জামানের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন সিনিয়র আইনজীবী মহসিন রশিদ এবং দলটির ভারপ্রাপ্ত সদস্যসচিব ফারুক হাসানসহ আরও অনেকেই।
নির্বাচন নিয়ে দুবার প্রতারণার শিকার হয়ে তৃতীয়বার আবার সেই আওয়ামী লীগের প্রতারণার ফাঁদে পা দেবে না কেউ। এবার কিছু দালাল ছাড়া তাদের সঙ্গে আর কেউ থাকবে না বলে মন্তব্য করেছেন গণ অধিকার পরিষদের একাংশের আহ্বায়ক রেজা কিবরিয়া।
আজ শনিবার রাজধানীর প্রেসক্লাবে আকরাম খাঁ মিলনায়তনে গণ অধিকার পরিষদের একাংশের আয়োজনে ‘সংবিধান ও গণতন্ত্র: প্রেক্ষিত বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন রেজা কিবরিয়া ৷
‘অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চাই, বিরোধী দলকে বলতে চাই, এইবারের নির্বাচনটা সুষ্ঠু হবে’ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে রেজা কিবরিয়া বলেন, ‘চমৎকার কথা। এই কথাটা আপনাদের মনে করিয়ে দিতে চাই। এইবারের নির্বাচনটা সুষ্ঠু হবে! তারা ক্ষমতায় আছেন কী ধরনের নির্বাচন দিয়ে, সেটা কিন্তু তিনি স্বীকার করেছেন। ফ্রড (প্রতারণা) ও অত্যাচার করে গত দুইটা নির্বাচন তারা পার হয়ে গেছে। এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে দুইবার ফ্রডের শিকার হয়ে তৃতীয়বার আবার তাদের বিশ্বাস করবে? বাঙালিরা এতটা সহজ নয়। কিছু দালাল আর দালাল দল ছাড়া কেউ থাকবে না। পরীক্ষিত চোর এবং ভোট চোর দুটোর কাছেই আবার এই দায়িত্ব দেওয়া যায় কে না? এটা জনগণ অবশ্যই ভাববে।’
একসময় তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে ক্ষমতায় যাওয়ার সেতু বানিয়েছিল আওয়ামী লীগ এমনটা উল্লেখ করে রেজা কিবরিয়া আরও বলেন, ‘এই সেতু পার হয়ে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় গেছেন। আপনারা দেখবেন, ’৯৫-তে ক্ষমতায় আসার আগে তারা জ্বালাময়ী বক্তব্য দিয়েছে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পক্ষে। ওই বক্তব্যগুলোই তাদের শোনানো উচিত ৷ যে আপনারা এবং আপনাদের নেত্রী কী বলেছিলেন।’
এই দেশের জনগণ যাকে একবার অপছন্দ করে তাকে কোনো রাজনৈতিক দলই বাঁচাতে পারে না বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও আলোচনার প্রধান বক্তা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, ‘এই আন্দোলন কারও একার না। আজকের আন্দোলনটা বিএনপি নয়, গণ অধিকার পরিষদের নয় ৷ আজকের আন্দোলনটা জনগণের আন্দোলন ৷ প্রত্যেকটা মানুষ নিষ্পেষিত, প্রত্যেকটি মানুষ কিন্তু প্রতিদিন ধাক্কা খাচ্ছে। অন্যায়ের শিকার হচ্ছে ৷ জিনিসপাতির দাম লাগাম ছাড়া, ঘরে ঘরে অভাব আছে। ’৭৪ সালের মতো কঙ্কালসার দেহ এখনো দেখা যায়। এই সরকার বাংলাদেশ ব্যাংকটা দেউলিয়া করে দিছে। তারপরও এত সখ কেন ক্ষমতার থাকার? দেশটা তো খেয়ে ফেলছে। সামনে ভয়াবহ সময় আসছে।’
ইয়াহিয়া খানের জায়গায় শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকলে বাংলাদেশ কখনোই স্বাধীন হতো না বলে মন্তব্য করেন আলোচনার বিশেষ বক্তা এবি পার্টির সদস্যসচিব মুজিবুর রহমান মঞ্জু ৷ তিনি বলেন, ‘সংবিধানের নাম করে বারবার আমাদের ধোঁকা দেওয়া হয়। আমরা বারবার বলি, ইয়াহিয়া ক্ষমতায় না থেকে যদি শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকত, তাহলে বাংলাদেশ কোনো দিন স্বাধীন হতো না। কারণ, শেখ হাসিনা যদি ক্ষমতায় থাকত, তাহলে ৭ মার্চ তিনি অনুমতিই দিতেন না সমাবেশ করার জন্য। শেখ মুজিব আঙুল উঠায়া বক্তব্য কীভাবে দিত ভাই? এই জন্য আমি বলি ১৯৬৯, ১৯৭০ সালে ভাষণে যেসব দাবি করেছিলেন সেগুলোর সঙ্গে আমাদের দাবির মিল আছে। ওই সময় ইয়াহিয়া ও আইয়ুব যেসব কথা বলেছেন, সেগুলোর শেখ হাসিনার কথার মিল আছে।’
গণ অধিকার পরিষদ (একাংশের) সিনিয়র আহ্বায়ক কর্নেল (অব.) মিয়া মশিউজ্জামানের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন সিনিয়র আইনজীবী মহসিন রশিদ এবং দলটির ভারপ্রাপ্ত সদস্যসচিব ফারুক হাসানসহ আরও অনেকেই।
ইশরাক হোসেন বলেন, ‘প্রতিটি মানুষের ব্যক্তি বাক্স্বাধীনতা আছে, তার মানে এই নয় যে আরেকজনের স্বাধীনতা হরণ করবেন, সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করবেন। এনসিপি আজকে যেভাবে শিষ্টাচার-বহির্ভূত কথা বলছে, সেটিকে গণতন্ত্র বলে না। কক্সবাজারে বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমদ সম্পর্কে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী...
৬ ঘণ্টা আগেতত্ত্বাবধায়ক সরকারপ্রধান নিয়োগে ভোট নয়, রাজনৈতিক ঐকমত্য প্রক্রিয়াকেই একমাত্র গ্রহণযোগ্য পথ হিসেবে অভিহিত করেছেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। তিনি বলেছেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারপ্রধান গঠনে পাঁচ বা সাত সদস্যের কমিটির যে দুটি প্রস্তাব এসেছে, আমরা কোনোটিরই বিরোধিতা করছি না।
৬ ঘণ্টা আগেপ্রধানমন্ত্রীর একাধিক পদে অধিষ্ঠিত থাকার বিধান গণঅধিকার পরিষদ সমর্থন করে না বলে জানিয়েছেন দলটির উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক শাকিল উজ্জামান। আজ রোববার (২০ জুলাই) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় ধাপের ১৫তম দিনের সংলাপ শেষে এ কথা জানান তিনি।
৭ ঘণ্টা আগেতত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠার বিষয়ে আদালতের রায়ের ওপর বিএনপি আস্থা রাখছে বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। দলটি মনে করে, জাতীয় সংসদেরও সম্পূর্ণ এখতিয়ার রয়েছে নতুন করে আইন প্রণয়নের মাধ্যমে এই ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার। একই ব্যক্তিকে দলীয় প্রধান, প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ
৭ ঘণ্টা আগে