আজকের পত্রিকা ডেস্ক

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ তুলেছেন জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম) চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ। হাসিনার সরাসরি নির্দেশে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের এক কর্মী তার ওপর হামলার পরিকল্পনা নিয়ে তার বাসভবনে প্রবেশ করে। পরে তাকে গুলশান থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়। গতকাল শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকালে গুলশানে হাজ্জাজের বাসভবনে এ ঘটনা ঘটে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
এনডিএম মহাসচিব মোমিনুল আমিন লিখিত বক্তব্যে বলেন, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ঢাকা মহানগর সহ-সভাপতি মোস্তফা আল নাফিসের নির্দেশে ছাত্রলীগকর্মী মো. নূর (২৫) ববি হাজ্জাজকে লক্ষ্য করে হামলার পরিকল্পনা নিয়ে তাঁর বাসভবনে প্রবেশ করে। তবে সন্দেহজনক আচরণে দেহরক্ষীদের কাছে ধরা পড়ে নূর। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নূর স্বীকার করে, ‘শেখ হাসিনার সরাসরি নির্দেশেই তাকে এ কাজে পাঠানো হয়েছে’। হাজ্জাজের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ এবং প্রাথমিক সাক্ষাতের ছলে বাসায় প্রবেশ করাই ছিল তার মূল উদ্দেশ্য।
‘দেহরক্ষীরা নূরের মোবাইল ফোন পরীক্ষা করে এ দাবির আংশিক সত্যতা পায়’ দাবি করে মোমিনুল বলেন, গুলশান থানা তাকে আটক করেছে। গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে এনডিএম জানতে পেরেছে, বনানীতে অবস্থিত এনডিএম কার্যালয়ে বোমা সদৃশ বস্তু রাখা হয়েছে।
হত্যাচেষ্টার বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে ববি হাজ্জাজ বলেন, ‘তাঁরা যখন রেকি করছিল তখন আমার দেহরক্ষী বাহিনী তাদেরকে ধরতে সক্ষম হয়েছে। আমরা নিশ্চিত হতে পেরেছি, তাদের ফোনের মেসেজ দেখার মাধ্যমে, ফোনের মেসেজের স্ক্রিনশট আছে। তারা ডিবির হেফাজতে আছে। ডিবির কাছে এই জিনিসগুলো আছে। কিন্তু ফোনের মেসেজেসটায় পরিষ্কার ছিল— কোন সময় আমি বাসা থেকে বেরোতে পারি, আমার গাড়ির নম্বর কত, নাম্বার প্লেট কত, আমার দ্বিতীয় গাড়ির নম্বর প্লেট কত, কখন আমি বেরোতে পারি, কি করতে পারি? এবং আজকে কাজ শেষ করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিস্ফোরক মেটেরিয়ালস মানে বিস্ফোরক তারা মারবেন, নিক্ষেপ করবেন— এগুলো মেসেজে ছিল। যাদেরকে আমার দেহরক্ষী বাহিনী ধরতে সক্ষম হয়েছে, তাদের কাছে আমরা কিছু পাইনি। কিন্তু ডিবি আমার অফিসের প্রেমিসেস চেক করেছে, তাদের কাছে রিপোর্ট আছে যে, আমার দপ্তরে— এটা তো আমার বাসায় আক্রমণ করতে চেষ্টা করেছে, আক্রমণের আগে আমরা ধরতে পেরেছি— ডিবির কাছে রিপোর্ট আছে যে আমার অফিসেও তারা এই ধরনের আক্রমণ চালাতে চেষ্টা করছে।’
হামলার পরিকল্পনা নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে আসতে পারে মন্তব্য করে ববি হাজ্জাজ বলেন, আটক ছাত্রলীগকর্মীর ফোনের মেসেজগুলো, দেহরক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদ ও ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে তা স্পষ্ট হয়েছে। ‘আমরা বিশ্বাস করি এই জিনিসটা খোদ শেখ হাসিনার কাছ থেকে এসেছে। কারণ শেখ হাসিনা এই দেশের নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়, আমরা বারবার ভিডিও মেসেজে দেখেছি, শেখ হাসিনা বার্তা দিচ্ছে, সেসব জায়গায় দেখেছি যে অস্থীতিশীলতা কীভাবে বাড়াতে বাড়ানো যায়, সেটা শেখ হাসিনা বারবার দিচ্ছে।’
সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে আরও উল্লেখ করা হয়, শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের বিচার দাবিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে প্রথম অভিযোগ দায়ের করেছিলেন ববি হাজ্জাজ। তার প্রচেষ্টাতেই হাসিনার ভাগনি টিউলিপ সিদ্দিক দুর্নীতির অভিযোগে যুক্তরাজ্যের মন্ত্রিত্ব হারান।
এনডিএম মহাসচিব অভিযোগ করেন, সাম্প্রতিক সময়ে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর এবং জাগপার সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমানের ওপর হামলার মতো ঘটনাগুলো বিচ্ছিন্ন নয়। জাতীয় নির্বাচনের আগে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আওয়ামী দোসরদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি।

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ তুলেছেন জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম) চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ। হাসিনার সরাসরি নির্দেশে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের এক কর্মী তার ওপর হামলার পরিকল্পনা নিয়ে তার বাসভবনে প্রবেশ করে। পরে তাকে গুলশান থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়। গতকাল শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকালে গুলশানে হাজ্জাজের বাসভবনে এ ঘটনা ঘটে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
এনডিএম মহাসচিব মোমিনুল আমিন লিখিত বক্তব্যে বলেন, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ঢাকা মহানগর সহ-সভাপতি মোস্তফা আল নাফিসের নির্দেশে ছাত্রলীগকর্মী মো. নূর (২৫) ববি হাজ্জাজকে লক্ষ্য করে হামলার পরিকল্পনা নিয়ে তাঁর বাসভবনে প্রবেশ করে। তবে সন্দেহজনক আচরণে দেহরক্ষীদের কাছে ধরা পড়ে নূর। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নূর স্বীকার করে, ‘শেখ হাসিনার সরাসরি নির্দেশেই তাকে এ কাজে পাঠানো হয়েছে’। হাজ্জাজের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ এবং প্রাথমিক সাক্ষাতের ছলে বাসায় প্রবেশ করাই ছিল তার মূল উদ্দেশ্য।
‘দেহরক্ষীরা নূরের মোবাইল ফোন পরীক্ষা করে এ দাবির আংশিক সত্যতা পায়’ দাবি করে মোমিনুল বলেন, গুলশান থানা তাকে আটক করেছে। গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে এনডিএম জানতে পেরেছে, বনানীতে অবস্থিত এনডিএম কার্যালয়ে বোমা সদৃশ বস্তু রাখা হয়েছে।
হত্যাচেষ্টার বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে ববি হাজ্জাজ বলেন, ‘তাঁরা যখন রেকি করছিল তখন আমার দেহরক্ষী বাহিনী তাদেরকে ধরতে সক্ষম হয়েছে। আমরা নিশ্চিত হতে পেরেছি, তাদের ফোনের মেসেজ দেখার মাধ্যমে, ফোনের মেসেজের স্ক্রিনশট আছে। তারা ডিবির হেফাজতে আছে। ডিবির কাছে এই জিনিসগুলো আছে। কিন্তু ফোনের মেসেজেসটায় পরিষ্কার ছিল— কোন সময় আমি বাসা থেকে বেরোতে পারি, আমার গাড়ির নম্বর কত, নাম্বার প্লেট কত, আমার দ্বিতীয় গাড়ির নম্বর প্লেট কত, কখন আমি বেরোতে পারি, কি করতে পারি? এবং আজকে কাজ শেষ করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিস্ফোরক মেটেরিয়ালস মানে বিস্ফোরক তারা মারবেন, নিক্ষেপ করবেন— এগুলো মেসেজে ছিল। যাদেরকে আমার দেহরক্ষী বাহিনী ধরতে সক্ষম হয়েছে, তাদের কাছে আমরা কিছু পাইনি। কিন্তু ডিবি আমার অফিসের প্রেমিসেস চেক করেছে, তাদের কাছে রিপোর্ট আছে যে, আমার দপ্তরে— এটা তো আমার বাসায় আক্রমণ করতে চেষ্টা করেছে, আক্রমণের আগে আমরা ধরতে পেরেছি— ডিবির কাছে রিপোর্ট আছে যে আমার অফিসেও তারা এই ধরনের আক্রমণ চালাতে চেষ্টা করছে।’
হামলার পরিকল্পনা নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে আসতে পারে মন্তব্য করে ববি হাজ্জাজ বলেন, আটক ছাত্রলীগকর্মীর ফোনের মেসেজগুলো, দেহরক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদ ও ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে তা স্পষ্ট হয়েছে। ‘আমরা বিশ্বাস করি এই জিনিসটা খোদ শেখ হাসিনার কাছ থেকে এসেছে। কারণ শেখ হাসিনা এই দেশের নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়, আমরা বারবার ভিডিও মেসেজে দেখেছি, শেখ হাসিনা বার্তা দিচ্ছে, সেসব জায়গায় দেখেছি যে অস্থীতিশীলতা কীভাবে বাড়াতে বাড়ানো যায়, সেটা শেখ হাসিনা বারবার দিচ্ছে।’
সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে আরও উল্লেখ করা হয়, শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের বিচার দাবিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে প্রথম অভিযোগ দায়ের করেছিলেন ববি হাজ্জাজ। তার প্রচেষ্টাতেই হাসিনার ভাগনি টিউলিপ সিদ্দিক দুর্নীতির অভিযোগে যুক্তরাজ্যের মন্ত্রিত্ব হারান।
এনডিএম মহাসচিব অভিযোগ করেন, সাম্প্রতিক সময়ে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর এবং জাগপার সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমানের ওপর হামলার মতো ঘটনাগুলো বিচ্ছিন্ন নয়। জাতীয় নির্বাচনের আগে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আওয়ামী দোসরদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ তুলেছেন জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম) চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ। হাসিনার সরাসরি নির্দেশে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের এক কর্মী তার ওপর হামলার পরিকল্পনা নিয়ে তার বাসভবনে প্রবেশ করে। পরে তাকে গুলশান থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়। গতকাল শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকালে গুলশানে হাজ্জাজের বাসভবনে এ ঘটনা ঘটে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
এনডিএম মহাসচিব মোমিনুল আমিন লিখিত বক্তব্যে বলেন, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ঢাকা মহানগর সহ-সভাপতি মোস্তফা আল নাফিসের নির্দেশে ছাত্রলীগকর্মী মো. নূর (২৫) ববি হাজ্জাজকে লক্ষ্য করে হামলার পরিকল্পনা নিয়ে তাঁর বাসভবনে প্রবেশ করে। তবে সন্দেহজনক আচরণে দেহরক্ষীদের কাছে ধরা পড়ে নূর। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নূর স্বীকার করে, ‘শেখ হাসিনার সরাসরি নির্দেশেই তাকে এ কাজে পাঠানো হয়েছে’। হাজ্জাজের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ এবং প্রাথমিক সাক্ষাতের ছলে বাসায় প্রবেশ করাই ছিল তার মূল উদ্দেশ্য।
‘দেহরক্ষীরা নূরের মোবাইল ফোন পরীক্ষা করে এ দাবির আংশিক সত্যতা পায়’ দাবি করে মোমিনুল বলেন, গুলশান থানা তাকে আটক করেছে। গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে এনডিএম জানতে পেরেছে, বনানীতে অবস্থিত এনডিএম কার্যালয়ে বোমা সদৃশ বস্তু রাখা হয়েছে।
হত্যাচেষ্টার বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে ববি হাজ্জাজ বলেন, ‘তাঁরা যখন রেকি করছিল তখন আমার দেহরক্ষী বাহিনী তাদেরকে ধরতে সক্ষম হয়েছে। আমরা নিশ্চিত হতে পেরেছি, তাদের ফোনের মেসেজ দেখার মাধ্যমে, ফোনের মেসেজের স্ক্রিনশট আছে। তারা ডিবির হেফাজতে আছে। ডিবির কাছে এই জিনিসগুলো আছে। কিন্তু ফোনের মেসেজেসটায় পরিষ্কার ছিল— কোন সময় আমি বাসা থেকে বেরোতে পারি, আমার গাড়ির নম্বর কত, নাম্বার প্লেট কত, আমার দ্বিতীয় গাড়ির নম্বর প্লেট কত, কখন আমি বেরোতে পারি, কি করতে পারি? এবং আজকে কাজ শেষ করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিস্ফোরক মেটেরিয়ালস মানে বিস্ফোরক তারা মারবেন, নিক্ষেপ করবেন— এগুলো মেসেজে ছিল। যাদেরকে আমার দেহরক্ষী বাহিনী ধরতে সক্ষম হয়েছে, তাদের কাছে আমরা কিছু পাইনি। কিন্তু ডিবি আমার অফিসের প্রেমিসেস চেক করেছে, তাদের কাছে রিপোর্ট আছে যে, আমার দপ্তরে— এটা তো আমার বাসায় আক্রমণ করতে চেষ্টা করেছে, আক্রমণের আগে আমরা ধরতে পেরেছি— ডিবির কাছে রিপোর্ট আছে যে আমার অফিসেও তারা এই ধরনের আক্রমণ চালাতে চেষ্টা করছে।’
হামলার পরিকল্পনা নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে আসতে পারে মন্তব্য করে ববি হাজ্জাজ বলেন, আটক ছাত্রলীগকর্মীর ফোনের মেসেজগুলো, দেহরক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদ ও ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে তা স্পষ্ট হয়েছে। ‘আমরা বিশ্বাস করি এই জিনিসটা খোদ শেখ হাসিনার কাছ থেকে এসেছে। কারণ শেখ হাসিনা এই দেশের নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়, আমরা বারবার ভিডিও মেসেজে দেখেছি, শেখ হাসিনা বার্তা দিচ্ছে, সেসব জায়গায় দেখেছি যে অস্থীতিশীলতা কীভাবে বাড়াতে বাড়ানো যায়, সেটা শেখ হাসিনা বারবার দিচ্ছে।’
সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে আরও উল্লেখ করা হয়, শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের বিচার দাবিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে প্রথম অভিযোগ দায়ের করেছিলেন ববি হাজ্জাজ। তার প্রচেষ্টাতেই হাসিনার ভাগনি টিউলিপ সিদ্দিক দুর্নীতির অভিযোগে যুক্তরাজ্যের মন্ত্রিত্ব হারান।
এনডিএম মহাসচিব অভিযোগ করেন, সাম্প্রতিক সময়ে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর এবং জাগপার সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমানের ওপর হামলার মতো ঘটনাগুলো বিচ্ছিন্ন নয়। জাতীয় নির্বাচনের আগে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আওয়ামী দোসরদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি।

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ তুলেছেন জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম) চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ। হাসিনার সরাসরি নির্দেশে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের এক কর্মী তার ওপর হামলার পরিকল্পনা নিয়ে তার বাসভবনে প্রবেশ করে। পরে তাকে গুলশান থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়। গতকাল শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকালে গুলশানে হাজ্জাজের বাসভবনে এ ঘটনা ঘটে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
এনডিএম মহাসচিব মোমিনুল আমিন লিখিত বক্তব্যে বলেন, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ঢাকা মহানগর সহ-সভাপতি মোস্তফা আল নাফিসের নির্দেশে ছাত্রলীগকর্মী মো. নূর (২৫) ববি হাজ্জাজকে লক্ষ্য করে হামলার পরিকল্পনা নিয়ে তাঁর বাসভবনে প্রবেশ করে। তবে সন্দেহজনক আচরণে দেহরক্ষীদের কাছে ধরা পড়ে নূর। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নূর স্বীকার করে, ‘শেখ হাসিনার সরাসরি নির্দেশেই তাকে এ কাজে পাঠানো হয়েছে’। হাজ্জাজের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ এবং প্রাথমিক সাক্ষাতের ছলে বাসায় প্রবেশ করাই ছিল তার মূল উদ্দেশ্য।
‘দেহরক্ষীরা নূরের মোবাইল ফোন পরীক্ষা করে এ দাবির আংশিক সত্যতা পায়’ দাবি করে মোমিনুল বলেন, গুলশান থানা তাকে আটক করেছে। গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে এনডিএম জানতে পেরেছে, বনানীতে অবস্থিত এনডিএম কার্যালয়ে বোমা সদৃশ বস্তু রাখা হয়েছে।
হত্যাচেষ্টার বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে ববি হাজ্জাজ বলেন, ‘তাঁরা যখন রেকি করছিল তখন আমার দেহরক্ষী বাহিনী তাদেরকে ধরতে সক্ষম হয়েছে। আমরা নিশ্চিত হতে পেরেছি, তাদের ফোনের মেসেজ দেখার মাধ্যমে, ফোনের মেসেজের স্ক্রিনশট আছে। তারা ডিবির হেফাজতে আছে। ডিবির কাছে এই জিনিসগুলো আছে। কিন্তু ফোনের মেসেজেসটায় পরিষ্কার ছিল— কোন সময় আমি বাসা থেকে বেরোতে পারি, আমার গাড়ির নম্বর কত, নাম্বার প্লেট কত, আমার দ্বিতীয় গাড়ির নম্বর প্লেট কত, কখন আমি বেরোতে পারি, কি করতে পারি? এবং আজকে কাজ শেষ করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিস্ফোরক মেটেরিয়ালস মানে বিস্ফোরক তারা মারবেন, নিক্ষেপ করবেন— এগুলো মেসেজে ছিল। যাদেরকে আমার দেহরক্ষী বাহিনী ধরতে সক্ষম হয়েছে, তাদের কাছে আমরা কিছু পাইনি। কিন্তু ডিবি আমার অফিসের প্রেমিসেস চেক করেছে, তাদের কাছে রিপোর্ট আছে যে, আমার দপ্তরে— এটা তো আমার বাসায় আক্রমণ করতে চেষ্টা করেছে, আক্রমণের আগে আমরা ধরতে পেরেছি— ডিবির কাছে রিপোর্ট আছে যে আমার অফিসেও তারা এই ধরনের আক্রমণ চালাতে চেষ্টা করছে।’
হামলার পরিকল্পনা নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে আসতে পারে মন্তব্য করে ববি হাজ্জাজ বলেন, আটক ছাত্রলীগকর্মীর ফোনের মেসেজগুলো, দেহরক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদ ও ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে তা স্পষ্ট হয়েছে। ‘আমরা বিশ্বাস করি এই জিনিসটা খোদ শেখ হাসিনার কাছ থেকে এসেছে। কারণ শেখ হাসিনা এই দেশের নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়, আমরা বারবার ভিডিও মেসেজে দেখেছি, শেখ হাসিনা বার্তা দিচ্ছে, সেসব জায়গায় দেখেছি যে অস্থীতিশীলতা কীভাবে বাড়াতে বাড়ানো যায়, সেটা শেখ হাসিনা বারবার দিচ্ছে।’
সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে আরও উল্লেখ করা হয়, শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের বিচার দাবিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে প্রথম অভিযোগ দায়ের করেছিলেন ববি হাজ্জাজ। তার প্রচেষ্টাতেই হাসিনার ভাগনি টিউলিপ সিদ্দিক দুর্নীতির অভিযোগে যুক্তরাজ্যের মন্ত্রিত্ব হারান।
এনডিএম মহাসচিব অভিযোগ করেন, সাম্প্রতিক সময়ে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর এবং জাগপার সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমানের ওপর হামলার মতো ঘটনাগুলো বিচ্ছিন্ন নয়। জাতীয় নির্বাচনের আগে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আওয়ামী দোসরদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি।

মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, ‘বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমদ কথায় কথায় সংবিধানের রেফারেন্স দেন—এটা ভালো। তবে তাঁর কাছে প্রশ্ন, ফ্যাসিস্ট হাসিনা সংবিধানের কোন আর্টিকেলের আলোকে আপনাকে গুম করে বিনা ভাড়ায়, বিনা টিকিটে শিলংয়ে নিয়ে গিয়েছিল? আমাদের জানতে ইচ্ছে করে।’
৩ ঘণ্টা আগে
অবশেষে শাপলা কলি মেনে নিচ্ছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলটি নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে তাদের নিবন্ধনের আবেদনে সংশোধনী এনে ‘লাল শাপলার’ পরিবর্তে ‘শাপলা কলি’ প্রতীক যুক্ত করেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলের বিরুদ্ধে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২-এর ২০ অনুচ্ছেদ সংশোধন নিয়ে বিএনপিকে দেওয়া আশ্বাস নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। এ বিষয়ে সরকারের অবস্থান জানতে চেয়ে আজ রোববার (২ নভেম্বর) এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেনের সই করা একটি চিঠি আইন উপদেষ্টাকে দিয়েছে দলটি।
৪ ঘণ্টা আগে
আজ রোববার বিকেলে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সামনে এ মন্তব্য করেন পাটওয়ারী।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেছেন, এক-দুইটা রাজনৈতিক দলের মন জুগিয়ে চললে জুলাই শহীদ এবং আহতদের কাছে আজীবন ভিলেন হিসেবে অভিশাপ পেতে হবে।
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকার ‘তিন দলের চাপে পড়ে বারবার সিদ্ধান্ত বদল করছে’ বলেও অভিযোগ তোলেন তিনি।
সরকারের উদ্দেশে মঞ্জু বলেন, জনগণের জন্য যা ভালো সেটা করতে হবে; কোনো দলের স্বার্থ হাসিল নয়।
আজ রোববার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির শফিকুল কবির মিলনায়তনে ‘স্বল্প আস্থার সমাজে সংস্কার ও নির্বাচনী ঐক্যের রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন, এবি পার্টি ও আপ বাংলাদেশ এই সভার আয়োজন করে।
মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, ‘বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমদ কথায় কথায় সংবিধানের রেফারেন্স দেন—এটা ভালো। তবে তাঁর কাছে প্রশ্ন, ফ্যাসিস্ট হাসিনা সংবিধানের কোন আর্টিকেলের আলোকে আপনাকে গুম করে বিনা ভাড়ায়, বিনা টিকিটে শিলংয়ে নিয়ে গিয়েছিল? আমাদের জানতে ইচ্ছে করে।’
সভায় বাংলাদেশ রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সভাপতি হাসনাত কাইয়ূম বলেন, অনেক মতভিন্নতা থাকলেও দেশের প্রশ্নে এক হয়ে নতুন রাজনীতির জন্য কাজ করতে হবে। এখনই রাষ্ট্র সংস্কারের কাজ শুরু করতে হবে। হাসিনা-ওবায়দুল কাদেররা সাংবিধানিক পদ্ধতি এমনভাবে সাজিয়েছে, তার মধ্যেই ফ্যাসিস্ট হওয়ার উপাদান নিহিত আছে। অতীতে জনগণের দাবি প্রতিষ্ঠা করতে পারার কারণে সফলতা এসেছে। এবার আন্দোলনের নেতৃত্বকে কিছু বুড়ো মানুষ ভুল পথে পরিচালিত করেছে এবং টাকাওয়ালাদের কাছে নিয়ে গেছে। ফলে রাষ্ট্রের সংস্কার আজ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
সোয়াস ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের অধ্যাপক ড. মুশতাক হোসেন খান বলেন, আস্থার অভাবে ঝগড়া করে এ দেশে রাজনৈতিক দলগুলো সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অথচ আস্থাশীল হলে সবাই লাভবান হতে পারত। এ দেশের মানুষের সহজে ক্ষমা করে দেওয়ার প্রবণতার কারণে আওয়ামী লীগ বেঁচে গেছে। স্বার্থবাদী দলগুলো ‘ভাই ভাই রাজনীতি’ করে বলেই স্বৈরাচার আর ফ্যাসিস্ট বারবার আসে। অপরাধ করলে কোনো না কোনোভাবে শাস্তির ব্যবস্থা থাকতেই হবে।
তিনি বলেন, ‘গোটা দুনিয়ায় ভারত পরাস্ত শক্তি হলেও বাংলাদেশে সে প্রভাব বিস্তার করে। কারণ, আমাদের দেশে রাজনৈতিক দলগুলোর চরম আস্থাহীনতা আছে এবং প্রভাবশালীদের অনেকের হাঁড়ির খবর ভারতের কাছে আছে। তা ছাড়া নিজেদের সুবিধার জন্য অনেকে ভারতপন্থী হচ্ছে।’
সভায় আরও বক্তব্য দেন আপ বাংলাদেশের আহ্বায়ক আলী আহসান জুনায়েদ, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন প্রমুখ।

অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেছেন, এক-দুইটা রাজনৈতিক দলের মন জুগিয়ে চললে জুলাই শহীদ এবং আহতদের কাছে আজীবন ভিলেন হিসেবে অভিশাপ পেতে হবে।
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকার ‘তিন দলের চাপে পড়ে বারবার সিদ্ধান্ত বদল করছে’ বলেও অভিযোগ তোলেন তিনি।
সরকারের উদ্দেশে মঞ্জু বলেন, জনগণের জন্য যা ভালো সেটা করতে হবে; কোনো দলের স্বার্থ হাসিল নয়।
আজ রোববার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির শফিকুল কবির মিলনায়তনে ‘স্বল্প আস্থার সমাজে সংস্কার ও নির্বাচনী ঐক্যের রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন, এবি পার্টি ও আপ বাংলাদেশ এই সভার আয়োজন করে।
মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, ‘বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমদ কথায় কথায় সংবিধানের রেফারেন্স দেন—এটা ভালো। তবে তাঁর কাছে প্রশ্ন, ফ্যাসিস্ট হাসিনা সংবিধানের কোন আর্টিকেলের আলোকে আপনাকে গুম করে বিনা ভাড়ায়, বিনা টিকিটে শিলংয়ে নিয়ে গিয়েছিল? আমাদের জানতে ইচ্ছে করে।’
সভায় বাংলাদেশ রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সভাপতি হাসনাত কাইয়ূম বলেন, অনেক মতভিন্নতা থাকলেও দেশের প্রশ্নে এক হয়ে নতুন রাজনীতির জন্য কাজ করতে হবে। এখনই রাষ্ট্র সংস্কারের কাজ শুরু করতে হবে। হাসিনা-ওবায়দুল কাদেররা সাংবিধানিক পদ্ধতি এমনভাবে সাজিয়েছে, তার মধ্যেই ফ্যাসিস্ট হওয়ার উপাদান নিহিত আছে। অতীতে জনগণের দাবি প্রতিষ্ঠা করতে পারার কারণে সফলতা এসেছে। এবার আন্দোলনের নেতৃত্বকে কিছু বুড়ো মানুষ ভুল পথে পরিচালিত করেছে এবং টাকাওয়ালাদের কাছে নিয়ে গেছে। ফলে রাষ্ট্রের সংস্কার আজ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
সোয়াস ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের অধ্যাপক ড. মুশতাক হোসেন খান বলেন, আস্থার অভাবে ঝগড়া করে এ দেশে রাজনৈতিক দলগুলো সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অথচ আস্থাশীল হলে সবাই লাভবান হতে পারত। এ দেশের মানুষের সহজে ক্ষমা করে দেওয়ার প্রবণতার কারণে আওয়ামী লীগ বেঁচে গেছে। স্বার্থবাদী দলগুলো ‘ভাই ভাই রাজনীতি’ করে বলেই স্বৈরাচার আর ফ্যাসিস্ট বারবার আসে। অপরাধ করলে কোনো না কোনোভাবে শাস্তির ব্যবস্থা থাকতেই হবে।
তিনি বলেন, ‘গোটা দুনিয়ায় ভারত পরাস্ত শক্তি হলেও বাংলাদেশে সে প্রভাব বিস্তার করে। কারণ, আমাদের দেশে রাজনৈতিক দলগুলোর চরম আস্থাহীনতা আছে এবং প্রভাবশালীদের অনেকের হাঁড়ির খবর ভারতের কাছে আছে। তা ছাড়া নিজেদের সুবিধার জন্য অনেকে ভারতপন্থী হচ্ছে।’
সভায় আরও বক্তব্য দেন আপ বাংলাদেশের আহ্বায়ক আলী আহসান জুনায়েদ, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন প্রমুখ।

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ তুলেছেন জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম) চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ। হাসিনার সরাসরি নির্দেশে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের এক কর্মী তার ওপর হামলার পরিকল্পনা নিয়ে তার বাসভবনে প্রবেশ করে। পরে তাকে গুলশান থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়।
০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
অবশেষে শাপলা কলি মেনে নিচ্ছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলটি নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে তাদের নিবন্ধনের আবেদনে সংশোধনী এনে ‘লাল শাপলার’ পরিবর্তে ‘শাপলা কলি’ প্রতীক যুক্ত করেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলের বিরুদ্ধে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২-এর ২০ অনুচ্ছেদ সংশোধন নিয়ে বিএনপিকে দেওয়া আশ্বাস নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। এ বিষয়ে সরকারের অবস্থান জানতে চেয়ে আজ রোববার (২ নভেম্বর) এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেনের সই করা একটি চিঠি আইন উপদেষ্টাকে দিয়েছে দলটি।
৪ ঘণ্টা আগে
আজ রোববার বিকেলে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সামনে এ মন্তব্য করেন পাটওয়ারী।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

অবশেষে শাপলা কলি মেনে নিচ্ছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলটি নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে তাদের নিবন্ধনের আবেদনে সংশোধনী এনে ‘লাল শাপলার’ পরিবর্তে ‘শাপলা কলি’ প্রতীক যুক্ত করেছে।
আজ রোববার বিকেলে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করে এনসিপির প্রতিনিধিদল। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী।
এ সময় সাংবাদিকেরা প্রশ্ন করেন—আপনারা কি ‘শাপলা কলি’ প্রতীক নেবেন? জবাবে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘আমরা শাপলা কলি নেব। তবে শাপলা কেন দেওয়া হবে না, সে ব্যাখ্যা আমরা এখনো পাইনি।’
নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী আরও বলেন, আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ ও শাপলা কলির মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে।
প্রতীকের তালিকা সংশোধন করে শাপলা, সাদা শাপলা ও শাপলা কলি প্রতীকের জন্য ইসিতে আবেদন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

অবশেষে শাপলা কলি মেনে নিচ্ছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলটি নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে তাদের নিবন্ধনের আবেদনে সংশোধনী এনে ‘লাল শাপলার’ পরিবর্তে ‘শাপলা কলি’ প্রতীক যুক্ত করেছে।
আজ রোববার বিকেলে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করে এনসিপির প্রতিনিধিদল। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী।
এ সময় সাংবাদিকেরা প্রশ্ন করেন—আপনারা কি ‘শাপলা কলি’ প্রতীক নেবেন? জবাবে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘আমরা শাপলা কলি নেব। তবে শাপলা কেন দেওয়া হবে না, সে ব্যাখ্যা আমরা এখনো পাইনি।’
নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী আরও বলেন, আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ ও শাপলা কলির মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে।
প্রতীকের তালিকা সংশোধন করে শাপলা, সাদা শাপলা ও শাপলা কলি প্রতীকের জন্য ইসিতে আবেদন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ তুলেছেন জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম) চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ। হাসিনার সরাসরি নির্দেশে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের এক কর্মী তার ওপর হামলার পরিকল্পনা নিয়ে তার বাসভবনে প্রবেশ করে। পরে তাকে গুলশান থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়।
০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, ‘বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমদ কথায় কথায় সংবিধানের রেফারেন্স দেন—এটা ভালো। তবে তাঁর কাছে প্রশ্ন, ফ্যাসিস্ট হাসিনা সংবিধানের কোন আর্টিকেলের আলোকে আপনাকে গুম করে বিনা ভাড়ায়, বিনা টিকিটে শিলংয়ে নিয়ে গিয়েছিল? আমাদের জানতে ইচ্ছে করে।’
৩ ঘণ্টা আগে
আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলের বিরুদ্ধে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২-এর ২০ অনুচ্ছেদ সংশোধন নিয়ে বিএনপিকে দেওয়া আশ্বাস নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। এ বিষয়ে সরকারের অবস্থান জানতে চেয়ে আজ রোববার (২ নভেম্বর) এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেনের সই করা একটি চিঠি আইন উপদেষ্টাকে দিয়েছে দলটি।
৪ ঘণ্টা আগে
আজ রোববার বিকেলে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সামনে এ মন্তব্য করেন পাটওয়ারী।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলের বিরুদ্ধে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ বা আরপিও ১৯৭২-এর ২০ অনুচ্ছেদ সংশোধন নিয়ে বিএনপিকে দেওয়া আশ্বাস নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। এ বিষয়ে সরকারের অবস্থান জানতে চেয়ে আজ রোববার (২ নভেম্বর) এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেনের সই করা একটি চিঠি আইন উপদেষ্টাকে দিয়েছে দলটি।
দলটির মিডিয়া সেল থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, ‘সাম্প্রতিক সময়ে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২-এর ২০ অনুচ্ছেদ সংশোধনসংক্রান্ত আলোচনায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপিকে দেওয়া আপনার ব্যক্তিগত আশ্বাস ও অবস্থান নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন উঠেছে। আমরা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই যে, একজন উপদেষ্টা হিসেবে আপনি রাষ্ট্রের নিরপেক্ষ আইন উপদেষ্টা, কোনো রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি নন। নির্বাচনী আইন সংশোধনের মতো বিষয়ে কোনো একটি রাজনৈতিক দলকে এককভাবে আশ্বাস প্রদান করা জুলাই গণ-অভ্যুত্থান-পরবর্তী অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পদের নিরপেক্ষতা ও দায়বদ্ধতার পরিপন্থী।’
চিঠিতে আখতার উল্লেখ করেন, ‘আইন সংশোধনের মতো সিদ্ধান্ত কোনো একক ব্যক্তির নয়। এটি একটি প্রাতিষ্ঠানিক, পরামর্শনির্ভর (consultative) ও জনস্বার্থমূলক প্রক্রিয়া। অতএব সরকারের পক্ষে এমন কোনো আশ্বাস বা প্রতিশ্রুতি দেওয়া যা একটি নির্দিষ্ট দলের দাবির সঙ্গে একমত হওয়ার ইঙ্গিত দেয়, তা আপনার প্রশাসনের প্রতি জন-আস্থাকে দুর্বল করবে এবং অন্তর্বর্তী সরকারের নিরপেক্ষতার ধারণাকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে। একই সঙ্গে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২-এর ২০ অনুচ্ছেদের বিষয়ে আপনি নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন ও নির্বাচন কমিশনের বিপরীতে যে অবস্থান নিয়েছেন, তা সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার পরিপন্থী বলে আমরা মনে করি।’
তিনটি ব্যাখ্যা দিয়ে চিঠিতে বলা হয়—
প্রথমত, রাজনৈতিক দল নিবন্ধনব্যবস্থার উদ্দেশ্যই হলো দলগুলোর অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র, আর্থিক স্বচ্ছতা ও নীতিগত স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা। কিন্তু যখন নিবন্ধিত দল অন্য দলের প্রতীকে নির্বাচন করে, তখন তারা নিজেদের নিবন্ধনের দায়বদ্ধতা থেকে কার্যত অব্যাহতি পায়। এতে নিবন্ধনপ্রক্রিয়ার নিজস্ব অর্থই হারিয়ে যায়। একদিকে দলটি আলাদা পরিচয় দাবি করে, অন্যদিকে নির্বাচনে অন্য দলের প্রতীক ব্যবহার করে। এটি আইনি বৈপরীত্য সৃষ্টি করে এবং নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণমূলক ক্ষমতাকে অকার্যকর করে তোলে।
দ্বিতীয়ত, গণতন্ত্রের মৌলিক নীতি হলো রাজনৈতিক দায়বদ্ধতা ও জবাবদিহি। যে দলের নামে জনগণ ভোট দেন, সেই দলই নির্বাচনের পর জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে। কিন্তু যখন একাধিক নিবন্ধিত দল বড় দলের প্রতীকে নির্বাচন করে, তখন ভোটার জানেন না তিনি আসলে কাকে ভোট দিচ্ছেন। ভোটার যে রাজনৈতিক দর্শন, নীতি বা নেতৃত্বকে সমর্থন জানাতে চান, তা অস্পষ্ট হয়ে পড়ে। এর ফলে ভোটার-দায়বদ্ধতার সম্পর্ক ভেঙে যায়।
তৃতীয়ত, এই বিধান কৃত্রিম বহুদলীয়তা সৃষ্টি করে এবং বড় রাজনৈতিক দলগুলোকে কাঠামোগত সুবিধা দেয়। বড় দলগুলো নিজস্ব স্বার্থে ছোট ছোট ‘প্রক্সি দল’ তৈরি করে তাদের প্রতীকে নির্বাচন করায়। পরে এই ছোট দলগুলো সংসদে বা বিভিন্ন কমিটিতে কৃত্রিম ভিন্নমত নিয়ে হাজির হয়ে বাস্তবে সেই বড় দলেরই বক্তব্য পুনরাবৃত্তি করে। এতে গণপরিসরে মতের বৈচিত্র্য নষ্ট হয়, ‘জাতীয় ঐকমত্য’ গঠনের প্রক্রিয়া বিকৃত হয় এবং নির্বাচনের পরবর্তী নীতিনির্ধারণে আর্টিফিশিয়াল বহুমতের জন্ম হয়।
অতএব, আমরা নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন ও নির্বাচন কমিশনের অবস্থানের সঙ্গে একমত যে, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২-এর ২০ অনুচ্ছেদ সংশোধন করে স্পষ্টভাবে বলা প্রয়োজন—যেকোনো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল অন্য কোনো দলের প্রতীকে নির্বাচন করতে পারবে না। কোনো যৌথ জোট বা জোটনির্ভর প্রার্থী মনোনয়নের প্রয়োজন হলে সংশ্লিষ্ট দলগুলোকে আনুষ্ঠানিকভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়ে একটি নতুন নিবন্ধিত রাজনৈতিক সত্তা হিসেবে নির্বাচন কমিশনের নিকট নিবন্ধন করতে হবে।
এমন সংশোধন রাজনৈতিক বহুত্ববাদকে সংকুচিত করবে না, বরং প্রকৃত গণতান্ত্রিক বহুত্ববাদকে শক্তিশালী করবে। কারণ, এতে প্রতিটি দলকে নিজের নাম, নীতি ও নেতৃত্বের দায় নিজেকেই নিতে হবে। এটি ভোটারের অধিকার, রাষ্ট্রীয় স্বচ্ছতা ও সাংবিধানিক ভারসাম্য রক্ষার অন্যতম শর্ত।
উল্লিখিত বিষয়ে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করার অনুরোধ জানাচ্ছি।
উল্লেখ্য, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জোটবদ্ধ হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ক্ষেত্রে দলগুলোর প্রার্থীদের ইচ্ছেমতো প্রতীক নেওয়ার সুযোগ বহাল চেয়ে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের কাছে লিখিতভাবে আবেদন জানিয়েছে বিএনপি। ২৮ অক্টোবর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ সচিবালয়ে আইন উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদন পাওয়া নির্বাচনসংক্রান্ত আইন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ বা আরপিও (সংশোধন) অধ্যাদেশের জোটের প্রার্থীদের দলীয় প্রতীক বাধ্যতামূলক করার বিধান সংশোধনের দাবি জানান তিনি।
আইন উপদেষ্টা তাঁদের এই সংশোধনের দাবি মেনেছেন কি না—জানতে চাইলে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, আইন উপদেষ্টা বিষয়টি উপদেষ্টা পরিষদে তুলবেন এবং নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে প্রয়োজনে কথা বলবেন।

আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলের বিরুদ্ধে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ বা আরপিও ১৯৭২-এর ২০ অনুচ্ছেদ সংশোধন নিয়ে বিএনপিকে দেওয়া আশ্বাস নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। এ বিষয়ে সরকারের অবস্থান জানতে চেয়ে আজ রোববার (২ নভেম্বর) এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেনের সই করা একটি চিঠি আইন উপদেষ্টাকে দিয়েছে দলটি।
দলটির মিডিয়া সেল থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, ‘সাম্প্রতিক সময়ে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২-এর ২০ অনুচ্ছেদ সংশোধনসংক্রান্ত আলোচনায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপিকে দেওয়া আপনার ব্যক্তিগত আশ্বাস ও অবস্থান নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন উঠেছে। আমরা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই যে, একজন উপদেষ্টা হিসেবে আপনি রাষ্ট্রের নিরপেক্ষ আইন উপদেষ্টা, কোনো রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি নন। নির্বাচনী আইন সংশোধনের মতো বিষয়ে কোনো একটি রাজনৈতিক দলকে এককভাবে আশ্বাস প্রদান করা জুলাই গণ-অভ্যুত্থান-পরবর্তী অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পদের নিরপেক্ষতা ও দায়বদ্ধতার পরিপন্থী।’
চিঠিতে আখতার উল্লেখ করেন, ‘আইন সংশোধনের মতো সিদ্ধান্ত কোনো একক ব্যক্তির নয়। এটি একটি প্রাতিষ্ঠানিক, পরামর্শনির্ভর (consultative) ও জনস্বার্থমূলক প্রক্রিয়া। অতএব সরকারের পক্ষে এমন কোনো আশ্বাস বা প্রতিশ্রুতি দেওয়া যা একটি নির্দিষ্ট দলের দাবির সঙ্গে একমত হওয়ার ইঙ্গিত দেয়, তা আপনার প্রশাসনের প্রতি জন-আস্থাকে দুর্বল করবে এবং অন্তর্বর্তী সরকারের নিরপেক্ষতার ধারণাকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে। একই সঙ্গে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২-এর ২০ অনুচ্ছেদের বিষয়ে আপনি নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন ও নির্বাচন কমিশনের বিপরীতে যে অবস্থান নিয়েছেন, তা সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার পরিপন্থী বলে আমরা মনে করি।’
তিনটি ব্যাখ্যা দিয়ে চিঠিতে বলা হয়—
প্রথমত, রাজনৈতিক দল নিবন্ধনব্যবস্থার উদ্দেশ্যই হলো দলগুলোর অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র, আর্থিক স্বচ্ছতা ও নীতিগত স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা। কিন্তু যখন নিবন্ধিত দল অন্য দলের প্রতীকে নির্বাচন করে, তখন তারা নিজেদের নিবন্ধনের দায়বদ্ধতা থেকে কার্যত অব্যাহতি পায়। এতে নিবন্ধনপ্রক্রিয়ার নিজস্ব অর্থই হারিয়ে যায়। একদিকে দলটি আলাদা পরিচয় দাবি করে, অন্যদিকে নির্বাচনে অন্য দলের প্রতীক ব্যবহার করে। এটি আইনি বৈপরীত্য সৃষ্টি করে এবং নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণমূলক ক্ষমতাকে অকার্যকর করে তোলে।
দ্বিতীয়ত, গণতন্ত্রের মৌলিক নীতি হলো রাজনৈতিক দায়বদ্ধতা ও জবাবদিহি। যে দলের নামে জনগণ ভোট দেন, সেই দলই নির্বাচনের পর জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে। কিন্তু যখন একাধিক নিবন্ধিত দল বড় দলের প্রতীকে নির্বাচন করে, তখন ভোটার জানেন না তিনি আসলে কাকে ভোট দিচ্ছেন। ভোটার যে রাজনৈতিক দর্শন, নীতি বা নেতৃত্বকে সমর্থন জানাতে চান, তা অস্পষ্ট হয়ে পড়ে। এর ফলে ভোটার-দায়বদ্ধতার সম্পর্ক ভেঙে যায়।
তৃতীয়ত, এই বিধান কৃত্রিম বহুদলীয়তা সৃষ্টি করে এবং বড় রাজনৈতিক দলগুলোকে কাঠামোগত সুবিধা দেয়। বড় দলগুলো নিজস্ব স্বার্থে ছোট ছোট ‘প্রক্সি দল’ তৈরি করে তাদের প্রতীকে নির্বাচন করায়। পরে এই ছোট দলগুলো সংসদে বা বিভিন্ন কমিটিতে কৃত্রিম ভিন্নমত নিয়ে হাজির হয়ে বাস্তবে সেই বড় দলেরই বক্তব্য পুনরাবৃত্তি করে। এতে গণপরিসরে মতের বৈচিত্র্য নষ্ট হয়, ‘জাতীয় ঐকমত্য’ গঠনের প্রক্রিয়া বিকৃত হয় এবং নির্বাচনের পরবর্তী নীতিনির্ধারণে আর্টিফিশিয়াল বহুমতের জন্ম হয়।
অতএব, আমরা নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন ও নির্বাচন কমিশনের অবস্থানের সঙ্গে একমত যে, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২-এর ২০ অনুচ্ছেদ সংশোধন করে স্পষ্টভাবে বলা প্রয়োজন—যেকোনো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল অন্য কোনো দলের প্রতীকে নির্বাচন করতে পারবে না। কোনো যৌথ জোট বা জোটনির্ভর প্রার্থী মনোনয়নের প্রয়োজন হলে সংশ্লিষ্ট দলগুলোকে আনুষ্ঠানিকভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়ে একটি নতুন নিবন্ধিত রাজনৈতিক সত্তা হিসেবে নির্বাচন কমিশনের নিকট নিবন্ধন করতে হবে।
এমন সংশোধন রাজনৈতিক বহুত্ববাদকে সংকুচিত করবে না, বরং প্রকৃত গণতান্ত্রিক বহুত্ববাদকে শক্তিশালী করবে। কারণ, এতে প্রতিটি দলকে নিজের নাম, নীতি ও নেতৃত্বের দায় নিজেকেই নিতে হবে। এটি ভোটারের অধিকার, রাষ্ট্রীয় স্বচ্ছতা ও সাংবিধানিক ভারসাম্য রক্ষার অন্যতম শর্ত।
উল্লিখিত বিষয়ে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করার অনুরোধ জানাচ্ছি।
উল্লেখ্য, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জোটবদ্ধ হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ক্ষেত্রে দলগুলোর প্রার্থীদের ইচ্ছেমতো প্রতীক নেওয়ার সুযোগ বহাল চেয়ে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের কাছে লিখিতভাবে আবেদন জানিয়েছে বিএনপি। ২৮ অক্টোবর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ সচিবালয়ে আইন উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদন পাওয়া নির্বাচনসংক্রান্ত আইন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ বা আরপিও (সংশোধন) অধ্যাদেশের জোটের প্রার্থীদের দলীয় প্রতীক বাধ্যতামূলক করার বিধান সংশোধনের দাবি জানান তিনি।
আইন উপদেষ্টা তাঁদের এই সংশোধনের দাবি মেনেছেন কি না—জানতে চাইলে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, আইন উপদেষ্টা বিষয়টি উপদেষ্টা পরিষদে তুলবেন এবং নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে প্রয়োজনে কথা বলবেন।

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ তুলেছেন জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম) চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ। হাসিনার সরাসরি নির্দেশে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের এক কর্মী তার ওপর হামলার পরিকল্পনা নিয়ে তার বাসভবনে প্রবেশ করে। পরে তাকে গুলশান থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়।
০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, ‘বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমদ কথায় কথায় সংবিধানের রেফারেন্স দেন—এটা ভালো। তবে তাঁর কাছে প্রশ্ন, ফ্যাসিস্ট হাসিনা সংবিধানের কোন আর্টিকেলের আলোকে আপনাকে গুম করে বিনা ভাড়ায়, বিনা টিকিটে শিলংয়ে নিয়ে গিয়েছিল? আমাদের জানতে ইচ্ছে করে।’
৩ ঘণ্টা আগে
অবশেষে শাপলা কলি মেনে নিচ্ছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলটি নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে তাদের নিবন্ধনের আবেদনে সংশোধনী এনে ‘লাল শাপলার’ পরিবর্তে ‘শাপলা কলি’ প্রতীক যুক্ত করেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
আজ রোববার বিকেলে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সামনে এ মন্তব্য করেন পাটওয়ারী।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেছেন, আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ ও শাপলা কলির মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে।
আজ রোববার বিকেলে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সামনে এ মন্তব্য করেন পাটওয়ারী।
প্রতীকের তালিকা সংশোধন করে শাপলা, সাদা শাপলা ও শাপলা কলি প্রতীকের জন্য ইসিতে আবেদন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেছেন, আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ ও শাপলা কলির মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে।
আজ রোববার বিকেলে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সামনে এ মন্তব্য করেন পাটওয়ারী।
প্রতীকের তালিকা সংশোধন করে শাপলা, সাদা শাপলা ও শাপলা কলি প্রতীকের জন্য ইসিতে আবেদন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ তুলেছেন জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম) চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ। হাসিনার সরাসরি নির্দেশে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের এক কর্মী তার ওপর হামলার পরিকল্পনা নিয়ে তার বাসভবনে প্রবেশ করে। পরে তাকে গুলশান থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়।
০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, ‘বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমদ কথায় কথায় সংবিধানের রেফারেন্স দেন—এটা ভালো। তবে তাঁর কাছে প্রশ্ন, ফ্যাসিস্ট হাসিনা সংবিধানের কোন আর্টিকেলের আলোকে আপনাকে গুম করে বিনা ভাড়ায়, বিনা টিকিটে শিলংয়ে নিয়ে গিয়েছিল? আমাদের জানতে ইচ্ছে করে।’
৩ ঘণ্টা আগে
অবশেষে শাপলা কলি মেনে নিচ্ছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলটি নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে তাদের নিবন্ধনের আবেদনে সংশোধনী এনে ‘লাল শাপলার’ পরিবর্তে ‘শাপলা কলি’ প্রতীক যুক্ত করেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলের বিরুদ্ধে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২-এর ২০ অনুচ্ছেদ সংশোধন নিয়ে বিএনপিকে দেওয়া আশ্বাস নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। এ বিষয়ে সরকারের অবস্থান জানতে চেয়ে আজ রোববার (২ নভেম্বর) এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেনের সই করা একটি চিঠি আইন উপদেষ্টাকে দিয়েছে দলটি।
৪ ঘণ্টা আগে