Ajker Patrika

নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে ইবরাহিমের নেতৃত্বে যুক্তফ্রন্টের আত্মপ্রকাশ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২২ নভেম্বর ২০২৩, ১৫: ৪৩
নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে ইবরাহিমের নেতৃত্বে যুক্তফ্রন্টের আত্মপ্রকাশ

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের অভিলাষ নিয়ে কল্যাণ পার্টির নেতৃত্বে যুক্তফ্রন্ট নামে নতুন জোটের আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। আজ বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে জোটের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন দলটির সভাপতি মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম।

কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিমের নেতৃত্বে এ জোট পরিচালিত হবে।

অনুষ্ঠানে সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, আগামী নির্বাচনে ১০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তুতি রয়েছে যুক্তফ্রন্টের। নতুন এই জোটে কল্যাণ পার্টি ছাড়াও রয়েছে মুসলিম লীগ ও বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি।

সংবাদ সম্মেলনে সৈয়দ মো. ইবরাহিম বলেন, ‘আমরা যুক্তফ্রন্ট সিদ্ধান্ত নিয়েছি আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জোটগতভাবে অংশ নেব। আমরা কয়টি আসনে নির্বাচন করব, সেটা এখনো স্থির করিনি। তবে আমাদের ১০০টি আসনে নির্বাচন করার প্রস্তুতি রয়েছে।’

ইবরাহিম আরও বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি আদায়ে সফল না হয়ে বিকল্প দুটি পন্থা আছে। এক, চুপ থাকো। দুই, নির্বাচনে অংশ নিয়ে অবদান রাখার চেষ্টা, সুযোগ নাও। আমরা অবদান রাখার সুযোগটা নিতে চাই।’

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রয়োজনীয়তা রয়ে গেছে জানিয়ে জোট সভাপতি বলেন, ‘বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে তত্ত্বাবধায়ক পদ্ধতি আসছে না। না আসার কারণে আমাকে একটা সিদ্ধান্ত নিতে হবে। যা আছে তার মধ্যে আমি অংশ নেব, নাকি সবকিছু থেকে বিরত থাকব। আমি প্রথম বিকল্পটা বেছে নিয়েছি।’

নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ আছে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের পরিবেশের বিষয়টি ক্লিয়ার হতে সকলেরই সময় লাগবে। কুয়াশা একটু একটু ধীরে ধীরে কাটে। গোধূলিও ধীরে ধীরে আসে।’

নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য কোনো চাপ আছে কি না জানতে চাইলে সৈয়দ ইবরাহিম বলেন, ‘আমি পরশু দিন হাইকোর্টে গিয়েছিলাম। এই প্রশ্নটির উত্তর দেওয়া এই মুহূর্তে আমার পক্ষে সমীচীন না। এটা ঊহ্য রাখতে হবে।’

ইবরাহিম বলেন, ‘আমি আর আমার দলের নেতা-কর্মীরা এত দিন কষ্ট করে রাজনীতি করেছি। আমাদের টিকে থাকার একটা সীমা আছে। কিন্তু এই মুহূর্তে আমার রাজনৈতিক অক্ষমতা এই সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে আর পেরে উঠছি না। ২৮ অক্টোবরের পরে এটা একটা সুনির্দিষ্ট অবস্থানে এসে দাঁড়িয়েছে। আমাকে একটা সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে, আমি কি নিশ্চুপ থাকব, নাকি বিকল্প পন্থা অবলম্বন করব। আমি বিকল্প পন্থাটা নিলাম।’

জোটের তিনটি দল নিজ মার্কায় নির্বাচনে অংশ নেবেন জানিয়ে জোট সভাপতি বলেন, ‘আমরা হাতঘড়ি, কাঁঠাল ও হাতপাঞ্জা মার্কা নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেব। আমাদের আগ্রহ বিরোধী দলের বেঞ্চে বসা এবং জনগণের পক্ষে থাকা।’

আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে সংলাপের আহ্বান জানিয়ে যুক্তফ্রন্ট সভাপতি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ও বিএনপিসহ আন্তর্জাতিক বিশ্বের প্রতি আহ্বান রাখব, উভয়ের মধ্যে গ্রহণযোগ্য পরিবেশে সংলাপের ব্যবস্থা করুন। জাতির মঙ্গলের জন্য সংলাপের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করুন। আমি কখনোই বলব না, বিএনপি তুমি নির্বাচনে আসো। কখনো বলব, না আসিও না।’

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির মহাসচিব জাফর আহমেদ জয়, নির্বাহী চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম, অতিরিক্ত মহাসচিব ফারুকুল ইসলাম, প্রেসিডিয়াম সদস্য আনোয়ারুল ইসলাম, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের চেয়ারম্যান শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, অতিরিক্ত মহাসচিব তফাজ্জেল হোসেন, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মহাসচিব আব্দুল আউয়াল মামুন, স্থায়ী কমিটির জ্যেষ্ঠ সদস্য অধ্যাপক ডা. ইকবাল হাসান মাহমুদ প্রমুখ।

এর আগে সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় সরকারের এক দফা দাবিতে বিএনপির সঙ্গে বিভিন্ন দল ও জোট দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছে। এর মধ্যে ১২ দলীয় জোট অন্যতম।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত