Ajker Patrika

অবিলম্বে গণভোটের আলাদা তারিখ ঘোষণার আহ্বান জামায়াতসহ ৮ দলের

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১৪ নভেম্বর ২০২৫, ১৪: ০০
মগবাজারে ৮ দলের যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। ছবি : আজকের পত্রিকা
মগবাজারে ৮ দলের যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। ছবি : আজকের পত্রিকা

জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা যে ভাষণ দিয়েছেন, একই দিনে গণভোট এবং জাতীয় নির্বাচন, সেটার পরিবর্তন করে অবিলম্বে আলাদাভাবে গণভোট করার তারিখ উনি ঘোষণা করবেন, এটা আমরা আশা করি।’

আজ শুক্রবার রাজধানীর মগবাজারে আল ফালাহ মিলনায়তনে যুগপৎ আন্দোলনের শরিক আট দল আয়োজিত এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।

আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, ‘কমপক্ষে তিনজন উপদেষ্টা আছে, যারা প্রধান উপদেষ্টাকে মিসগাইড করছে, আমরা তাদের অপসারণ দাবি করছি। আমরা আজকে নাম বলতে চাই না, তবে প্রধান উপদেষ্টার কাছে তাদের নাম আমরা প্রেরণ করব।’

আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, ‘আমরা মনে করি এবং এই সরকার বুঝে হোক না বুঝে হোক, ইচ্ছাকৃত হোক অথবা ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে হোক, তারা একটি দলের ফাঁদে পা দিয়েছে। সংস্কারকে প্রায় গুরুত্বহীন করে ফেলেছে। এর আগেও আমরা দেখেছি যে এই সরকার দলটির প্রতি নানাভাবে আনুগত্য এবং দুর্বলতা প্রকাশ করছে। সেটা শুরু হয়েছিল লন্ডনে গিয়ে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করার মধ্য দিয়ে।’

আবদুল্লাহ তাহের আরও বলেন, প্রশাসনের যেসব পরিবর্তন হচ্ছে, সেখানে নিরপেক্ষ এবং বিশেষ করে সৎ এবং জবাবদিহির আওতায় থাকতে পারে মনোভাবের লোকদেরকেই নিয়োগ করতে হবে এবং নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করার জন্য সেখানে চেষ্টা করতে হবে।

নির্বাচন অবাধ হওয়ার ব্যাপারে যথেষ্ট শঙ্কা এবং আস্থাহীনতা তৈরি হয়েছে—এমন মন্তব্য করে তাহের বলেন, ‘আরেকটি পরিকল্পিত এবং পূর্বনির্ধারিত নির্বাচনের আয়োজনের ভিত্তিতে নির্বাচন হচ্ছে কি না, এ ব্যাপারে আমাদের মনে এবং জনগণের মনে আশঙ্কা তৈরি করছে। সরকারের আচরণ আমাদেরকে এই কথা বিশ্বাস করতে বাধ্য করছে যে এই সরকারের অধীনেও কোনো সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠান করা সম্ভব নয়।’

বিএনপি কখনোই আদেশ বা আদেশের মাধ্যমে এটাকে সাংবিধানিক ভিত্তি দেওয়ার ব্যাপারে একমত ছিল না উল্লেখ করে তাহের বলেন, ‘তাঁরা বিরোধিতা করেছিলেন; তাঁরা একটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে এই সংস্কারগুলোকে গ্রহণ করার জন্য প্রস্তাব করেছিলেন। এখানে ড. ইউনূস সংস্কার কমিশন প্রস্তাবিত আদেশ দেওয়ার ওপর দৃঢ় ছিলেন। এ জন্য উনাকে আমরা ধন্যবাদ জানাই।’

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল হালিম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব শেখ ফজলে বারী মাসউদ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির ইউসুফ আশরাফ, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির মহাসচিব মুসা বিন ইযহার, জাগপার মুখপাত্র রাশেদ প্রধান, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির মহাসচিব কাজী নিজামুল হক প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ