তৌফিকুল ইসলাম, ঢাকা

পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পে চীনের এক্সিম ব্যাংকের ঋণচুক্তির মেয়াদ আবারও বাড়িয়ে ২০২৬ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত করা হয়েছে। প্রকল্পের বেশ কিছু কাজ চলমান থাকায় এবং অর্থছাড় অব্যাহত রাখতে ঋণচুক্তির সময়সীমা তৃতীয়বারের মতো বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
২০১৮ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশ সরকার ও চীনের এক্সিম ব্যাংকের মধ্যে ২১ হাজার ৩৬ কোটি ৬৯ লাখ টাকার ঋণচুক্তি সই হয়। প্রথমে এই চুক্তির মেয়াদ নির্ধারণ করা হয়েছিল ২০২৪ সালের নভেম্বর পর্যন্ত। পরে বাস্তবায়নে সময় বাড়ায় দুই দফায় ঋণের মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২৫ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত করা হয়। সেই সময় শেষ হওয়ায় আবার মেয়াদ বাড়ানো হলো। অবশ্য নির্মাণকাজ ও ডিফেক্ট লায়াবিলিটি পিরিয়ডসহ প্রকল্পের মেয়াদ রয়েছে ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত।
প্রকল্পের ঋণের মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) থেকে পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প দপ্তরে সম্প্রতি চিঠি পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি ইআরডি ও প্রকল্প দপ্তর সূত্র নিশ্চিত করেছে।
প্রকল্প-সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেন, ঋণের মেয়াদ শেষ হলে অর্থছাড় বন্ধ হয়ে যায় এবং ঠিকাদারদের বিল পরিশোধ আটকে যায়। এতে কাজের গতি কমে যায় এবং বাস্তবায়ন ব্যাহত হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়। তাই কাজ নির্বিঘ্ন রাখতে ঋণচুক্তির মেয়াদ বাড়ানো ছাড়া বিকল্প ছিল না।
এই প্রকল্পে মোট নির্মাণচুক্তির পরিমাণ ধরা হয়েছিল ২৪ হাজার ৭৪১ কোটি টাকা। এর মধ্যে চীনের এক্সিম ব্যাংক ঋণ দিয়েছে ২১ হাজার ৩৬ কোটি টাকা এবং বাংলাদেশ সরকার দিয়েছে ৩ হাজার ৭০৪ কোটি টাকা।
প্রকল্প সূত্র জানায়, এক্সিম ব্যাংকের দেওয়া টাকার মধ্যে এখন পর্যন্ত ১৯ হাজার ২৬২ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। অর্থাৎ ঋণের প্রায় ৯১ শতাংশ খরচ হয়ে গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঋণচুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ায় সম্প্রতি প্রকল্পে অর্থছাড় বন্ধ হয়ে গেলে প্রকল্পসংশ্লিষ্টরা ঋণের অবশিষ্ট টাকা খরচ করতে পারছিলেন না। ঠিকাদারদের বিল পরিশোধে জটিলতা তৈরি হওয়ায় কাজের গতি কমে আসে। ঋণের মেয়াদ বাড়ানোর প্রক্রিয়ায় সময় লাগায় প্রশাসনিক জটিলতাও তৈরি হয়।
প্রকল্পের নভেম্বরের অগ্রগতি প্রতিবেদনে দেখা যায়, প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৯৭.৭০ শতাংশ এবং অর্থনৈতিক অগ্রগতি হয়েছে ৮৯ শতাংশ।
২০২৩ সালে প্রকল্পের একাংশ চালু করা হয়। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে ঢাকা থেকে সরাসরি যশোর পর্যন্ত ট্রেন চলাচল শুরু হয়। তবে এখনো কিছু নির্মাণকাজ বাকি রয়েছে। বিশেষ করে কমলাপুরে কর্মচারী ভবন নির্মাণ, ভাঙ্গা জংশনে গ্লাস ও এসি বসানোসহ কয়েকটি ফিনিশিং কাজ শেষ হয়নি। রেললাইনের সংকেত ব্যবস্থার পরীক্ষার কাজও চলমান।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চেয়ে পদ্মা রেল সংযোগ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক (পিডি) নাজনীন আরা কেয়ার কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এই প্রকল্পে ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে যশোর পর্যন্ত মোট ২৩৬ দশমিক ২৭ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণ করা হয়েছে। প্রকল্পটি বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে জি-টু-জি পদ্ধতিতে বাস্তবায়িত হচ্ছে এবং ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান হলো চায়না রেলওয়ে গ্রুপ।
প্রকল্পের নথিতে দেখা যায়, উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) অনুযায়ী মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৮ হাজার ৬২৮ দশমিক ৯০ কোটি টাকা। এর মধ্যে নির্মাণ চুক্তিতে ব্যয় ২৪ হাজার ৭৪১ কোটি, ভ্যাট ও ট্যাক্স ৮ হাজার কোটি, ভূমি অধিগ্রহণে ৪ হাজার কোটি, পুনর্বাসনে ২০০ কোটি, ইউটিলিটি স্থানান্তরে ৩০০ কোটি, পরামর্শক ব্যয় ১ হাজার ৩৩৩ কোটি এবং বেতন-ভাতা ও অন্যান্য প্রশাসনিক ব্যয় ৫০ কোটি টাকা।
ঋণচুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. শামসুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঋণের মেয়াদ বারবার বাড়ানো আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ইতিবাচক বার্তা দেয় না। নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ না হওয়াই মূলত ঋণের মেয়াদ বাড়ানোর কারণ, যা দাতাদের আস্থাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। করোনার সময়ে কাজের গতি কমলেও পরে অতিরিক্ত জনবল ও পরিকল্পিত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সেই ঘাটতি পূরণ করা যেত। প্রকল্প দীর্ঘায়িত হলে ব্যয় বাড়ে, কাজ ঝুলে যায় এবং সার্বিকভাবে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।’

পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পে চীনের এক্সিম ব্যাংকের ঋণচুক্তির মেয়াদ আবারও বাড়িয়ে ২০২৬ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত করা হয়েছে। প্রকল্পের বেশ কিছু কাজ চলমান থাকায় এবং অর্থছাড় অব্যাহত রাখতে ঋণচুক্তির সময়সীমা তৃতীয়বারের মতো বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
২০১৮ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশ সরকার ও চীনের এক্সিম ব্যাংকের মধ্যে ২১ হাজার ৩৬ কোটি ৬৯ লাখ টাকার ঋণচুক্তি সই হয়। প্রথমে এই চুক্তির মেয়াদ নির্ধারণ করা হয়েছিল ২০২৪ সালের নভেম্বর পর্যন্ত। পরে বাস্তবায়নে সময় বাড়ায় দুই দফায় ঋণের মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২৫ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত করা হয়। সেই সময় শেষ হওয়ায় আবার মেয়াদ বাড়ানো হলো। অবশ্য নির্মাণকাজ ও ডিফেক্ট লায়াবিলিটি পিরিয়ডসহ প্রকল্পের মেয়াদ রয়েছে ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত।
প্রকল্পের ঋণের মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) থেকে পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প দপ্তরে সম্প্রতি চিঠি পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি ইআরডি ও প্রকল্প দপ্তর সূত্র নিশ্চিত করেছে।
প্রকল্প-সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেন, ঋণের মেয়াদ শেষ হলে অর্থছাড় বন্ধ হয়ে যায় এবং ঠিকাদারদের বিল পরিশোধ আটকে যায়। এতে কাজের গতি কমে যায় এবং বাস্তবায়ন ব্যাহত হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়। তাই কাজ নির্বিঘ্ন রাখতে ঋণচুক্তির মেয়াদ বাড়ানো ছাড়া বিকল্প ছিল না।
এই প্রকল্পে মোট নির্মাণচুক্তির পরিমাণ ধরা হয়েছিল ২৪ হাজার ৭৪১ কোটি টাকা। এর মধ্যে চীনের এক্সিম ব্যাংক ঋণ দিয়েছে ২১ হাজার ৩৬ কোটি টাকা এবং বাংলাদেশ সরকার দিয়েছে ৩ হাজার ৭০৪ কোটি টাকা।
প্রকল্প সূত্র জানায়, এক্সিম ব্যাংকের দেওয়া টাকার মধ্যে এখন পর্যন্ত ১৯ হাজার ২৬২ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। অর্থাৎ ঋণের প্রায় ৯১ শতাংশ খরচ হয়ে গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঋণচুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ায় সম্প্রতি প্রকল্পে অর্থছাড় বন্ধ হয়ে গেলে প্রকল্পসংশ্লিষ্টরা ঋণের অবশিষ্ট টাকা খরচ করতে পারছিলেন না। ঠিকাদারদের বিল পরিশোধে জটিলতা তৈরি হওয়ায় কাজের গতি কমে আসে। ঋণের মেয়াদ বাড়ানোর প্রক্রিয়ায় সময় লাগায় প্রশাসনিক জটিলতাও তৈরি হয়।
প্রকল্পের নভেম্বরের অগ্রগতি প্রতিবেদনে দেখা যায়, প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৯৭.৭০ শতাংশ এবং অর্থনৈতিক অগ্রগতি হয়েছে ৮৯ শতাংশ।
২০২৩ সালে প্রকল্পের একাংশ চালু করা হয়। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে ঢাকা থেকে সরাসরি যশোর পর্যন্ত ট্রেন চলাচল শুরু হয়। তবে এখনো কিছু নির্মাণকাজ বাকি রয়েছে। বিশেষ করে কমলাপুরে কর্মচারী ভবন নির্মাণ, ভাঙ্গা জংশনে গ্লাস ও এসি বসানোসহ কয়েকটি ফিনিশিং কাজ শেষ হয়নি। রেললাইনের সংকেত ব্যবস্থার পরীক্ষার কাজও চলমান।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চেয়ে পদ্মা রেল সংযোগ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক (পিডি) নাজনীন আরা কেয়ার কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এই প্রকল্পে ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে যশোর পর্যন্ত মোট ২৩৬ দশমিক ২৭ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণ করা হয়েছে। প্রকল্পটি বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে জি-টু-জি পদ্ধতিতে বাস্তবায়িত হচ্ছে এবং ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান হলো চায়না রেলওয়ে গ্রুপ।
প্রকল্পের নথিতে দেখা যায়, উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) অনুযায়ী মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৮ হাজার ৬২৮ দশমিক ৯০ কোটি টাকা। এর মধ্যে নির্মাণ চুক্তিতে ব্যয় ২৪ হাজার ৭৪১ কোটি, ভ্যাট ও ট্যাক্স ৮ হাজার কোটি, ভূমি অধিগ্রহণে ৪ হাজার কোটি, পুনর্বাসনে ২০০ কোটি, ইউটিলিটি স্থানান্তরে ৩০০ কোটি, পরামর্শক ব্যয় ১ হাজার ৩৩৩ কোটি এবং বেতন-ভাতা ও অন্যান্য প্রশাসনিক ব্যয় ৫০ কোটি টাকা।
ঋণচুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. শামসুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঋণের মেয়াদ বারবার বাড়ানো আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ইতিবাচক বার্তা দেয় না। নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ না হওয়াই মূলত ঋণের মেয়াদ বাড়ানোর কারণ, যা দাতাদের আস্থাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। করোনার সময়ে কাজের গতি কমলেও পরে অতিরিক্ত জনবল ও পরিকল্পিত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সেই ঘাটতি পূরণ করা যেত। প্রকল্প দীর্ঘায়িত হলে ব্যয় বাড়ে, কাজ ঝুলে যায় এবং সার্বিকভাবে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।’
তৌফিকুল ইসলাম, ঢাকা

পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পে চীনের এক্সিম ব্যাংকের ঋণচুক্তির মেয়াদ আবারও বাড়িয়ে ২০২৬ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত করা হয়েছে। প্রকল্পের বেশ কিছু কাজ চলমান থাকায় এবং অর্থছাড় অব্যাহত রাখতে ঋণচুক্তির সময়সীমা তৃতীয়বারের মতো বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
২০১৮ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশ সরকার ও চীনের এক্সিম ব্যাংকের মধ্যে ২১ হাজার ৩৬ কোটি ৬৯ লাখ টাকার ঋণচুক্তি সই হয়। প্রথমে এই চুক্তির মেয়াদ নির্ধারণ করা হয়েছিল ২০২৪ সালের নভেম্বর পর্যন্ত। পরে বাস্তবায়নে সময় বাড়ায় দুই দফায় ঋণের মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২৫ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত করা হয়। সেই সময় শেষ হওয়ায় আবার মেয়াদ বাড়ানো হলো। অবশ্য নির্মাণকাজ ও ডিফেক্ট লায়াবিলিটি পিরিয়ডসহ প্রকল্পের মেয়াদ রয়েছে ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত।
প্রকল্পের ঋণের মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) থেকে পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প দপ্তরে সম্প্রতি চিঠি পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি ইআরডি ও প্রকল্প দপ্তর সূত্র নিশ্চিত করেছে।
প্রকল্প-সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেন, ঋণের মেয়াদ শেষ হলে অর্থছাড় বন্ধ হয়ে যায় এবং ঠিকাদারদের বিল পরিশোধ আটকে যায়। এতে কাজের গতি কমে যায় এবং বাস্তবায়ন ব্যাহত হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়। তাই কাজ নির্বিঘ্ন রাখতে ঋণচুক্তির মেয়াদ বাড়ানো ছাড়া বিকল্প ছিল না।
এই প্রকল্পে মোট নির্মাণচুক্তির পরিমাণ ধরা হয়েছিল ২৪ হাজার ৭৪১ কোটি টাকা। এর মধ্যে চীনের এক্সিম ব্যাংক ঋণ দিয়েছে ২১ হাজার ৩৬ কোটি টাকা এবং বাংলাদেশ সরকার দিয়েছে ৩ হাজার ৭০৪ কোটি টাকা।
প্রকল্প সূত্র জানায়, এক্সিম ব্যাংকের দেওয়া টাকার মধ্যে এখন পর্যন্ত ১৯ হাজার ২৬২ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। অর্থাৎ ঋণের প্রায় ৯১ শতাংশ খরচ হয়ে গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঋণচুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ায় সম্প্রতি প্রকল্পে অর্থছাড় বন্ধ হয়ে গেলে প্রকল্পসংশ্লিষ্টরা ঋণের অবশিষ্ট টাকা খরচ করতে পারছিলেন না। ঠিকাদারদের বিল পরিশোধে জটিলতা তৈরি হওয়ায় কাজের গতি কমে আসে। ঋণের মেয়াদ বাড়ানোর প্রক্রিয়ায় সময় লাগায় প্রশাসনিক জটিলতাও তৈরি হয়।
প্রকল্পের নভেম্বরের অগ্রগতি প্রতিবেদনে দেখা যায়, প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৯৭.৭০ শতাংশ এবং অর্থনৈতিক অগ্রগতি হয়েছে ৮৯ শতাংশ।
২০২৩ সালে প্রকল্পের একাংশ চালু করা হয়। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে ঢাকা থেকে সরাসরি যশোর পর্যন্ত ট্রেন চলাচল শুরু হয়। তবে এখনো কিছু নির্মাণকাজ বাকি রয়েছে। বিশেষ করে কমলাপুরে কর্মচারী ভবন নির্মাণ, ভাঙ্গা জংশনে গ্লাস ও এসি বসানোসহ কয়েকটি ফিনিশিং কাজ শেষ হয়নি। রেললাইনের সংকেত ব্যবস্থার পরীক্ষার কাজও চলমান।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চেয়ে পদ্মা রেল সংযোগ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক (পিডি) নাজনীন আরা কেয়ার কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এই প্রকল্পে ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে যশোর পর্যন্ত মোট ২৩৬ দশমিক ২৭ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণ করা হয়েছে। প্রকল্পটি বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে জি-টু-জি পদ্ধতিতে বাস্তবায়িত হচ্ছে এবং ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান হলো চায়না রেলওয়ে গ্রুপ।
প্রকল্পের নথিতে দেখা যায়, উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) অনুযায়ী মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৮ হাজার ৬২৮ দশমিক ৯০ কোটি টাকা। এর মধ্যে নির্মাণ চুক্তিতে ব্যয় ২৪ হাজার ৭৪১ কোটি, ভ্যাট ও ট্যাক্স ৮ হাজার কোটি, ভূমি অধিগ্রহণে ৪ হাজার কোটি, পুনর্বাসনে ২০০ কোটি, ইউটিলিটি স্থানান্তরে ৩০০ কোটি, পরামর্শক ব্যয় ১ হাজার ৩৩৩ কোটি এবং বেতন-ভাতা ও অন্যান্য প্রশাসনিক ব্যয় ৫০ কোটি টাকা।
ঋণচুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. শামসুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঋণের মেয়াদ বারবার বাড়ানো আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ইতিবাচক বার্তা দেয় না। নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ না হওয়াই মূলত ঋণের মেয়াদ বাড়ানোর কারণ, যা দাতাদের আস্থাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। করোনার সময়ে কাজের গতি কমলেও পরে অতিরিক্ত জনবল ও পরিকল্পিত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সেই ঘাটতি পূরণ করা যেত। প্রকল্প দীর্ঘায়িত হলে ব্যয় বাড়ে, কাজ ঝুলে যায় এবং সার্বিকভাবে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।’

পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পে চীনের এক্সিম ব্যাংকের ঋণচুক্তির মেয়াদ আবারও বাড়িয়ে ২০২৬ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত করা হয়েছে। প্রকল্পের বেশ কিছু কাজ চলমান থাকায় এবং অর্থছাড় অব্যাহত রাখতে ঋণচুক্তির সময়সীমা তৃতীয়বারের মতো বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
২০১৮ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশ সরকার ও চীনের এক্সিম ব্যাংকের মধ্যে ২১ হাজার ৩৬ কোটি ৬৯ লাখ টাকার ঋণচুক্তি সই হয়। প্রথমে এই চুক্তির মেয়াদ নির্ধারণ করা হয়েছিল ২০২৪ সালের নভেম্বর পর্যন্ত। পরে বাস্তবায়নে সময় বাড়ায় দুই দফায় ঋণের মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২৫ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত করা হয়। সেই সময় শেষ হওয়ায় আবার মেয়াদ বাড়ানো হলো। অবশ্য নির্মাণকাজ ও ডিফেক্ট লায়াবিলিটি পিরিয়ডসহ প্রকল্পের মেয়াদ রয়েছে ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত।
প্রকল্পের ঋণের মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) থেকে পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প দপ্তরে সম্প্রতি চিঠি পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি ইআরডি ও প্রকল্প দপ্তর সূত্র নিশ্চিত করেছে।
প্রকল্প-সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেন, ঋণের মেয়াদ শেষ হলে অর্থছাড় বন্ধ হয়ে যায় এবং ঠিকাদারদের বিল পরিশোধ আটকে যায়। এতে কাজের গতি কমে যায় এবং বাস্তবায়ন ব্যাহত হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়। তাই কাজ নির্বিঘ্ন রাখতে ঋণচুক্তির মেয়াদ বাড়ানো ছাড়া বিকল্প ছিল না।
এই প্রকল্পে মোট নির্মাণচুক্তির পরিমাণ ধরা হয়েছিল ২৪ হাজার ৭৪১ কোটি টাকা। এর মধ্যে চীনের এক্সিম ব্যাংক ঋণ দিয়েছে ২১ হাজার ৩৬ কোটি টাকা এবং বাংলাদেশ সরকার দিয়েছে ৩ হাজার ৭০৪ কোটি টাকা।
প্রকল্প সূত্র জানায়, এক্সিম ব্যাংকের দেওয়া টাকার মধ্যে এখন পর্যন্ত ১৯ হাজার ২৬২ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। অর্থাৎ ঋণের প্রায় ৯১ শতাংশ খরচ হয়ে গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঋণচুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ায় সম্প্রতি প্রকল্পে অর্থছাড় বন্ধ হয়ে গেলে প্রকল্পসংশ্লিষ্টরা ঋণের অবশিষ্ট টাকা খরচ করতে পারছিলেন না। ঠিকাদারদের বিল পরিশোধে জটিলতা তৈরি হওয়ায় কাজের গতি কমে আসে। ঋণের মেয়াদ বাড়ানোর প্রক্রিয়ায় সময় লাগায় প্রশাসনিক জটিলতাও তৈরি হয়।
প্রকল্পের নভেম্বরের অগ্রগতি প্রতিবেদনে দেখা যায়, প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৯৭.৭০ শতাংশ এবং অর্থনৈতিক অগ্রগতি হয়েছে ৮৯ শতাংশ।
২০২৩ সালে প্রকল্পের একাংশ চালু করা হয়। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে ঢাকা থেকে সরাসরি যশোর পর্যন্ত ট্রেন চলাচল শুরু হয়। তবে এখনো কিছু নির্মাণকাজ বাকি রয়েছে। বিশেষ করে কমলাপুরে কর্মচারী ভবন নির্মাণ, ভাঙ্গা জংশনে গ্লাস ও এসি বসানোসহ কয়েকটি ফিনিশিং কাজ শেষ হয়নি। রেললাইনের সংকেত ব্যবস্থার পরীক্ষার কাজও চলমান।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চেয়ে পদ্মা রেল সংযোগ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক (পিডি) নাজনীন আরা কেয়ার কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এই প্রকল্পে ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে যশোর পর্যন্ত মোট ২৩৬ দশমিক ২৭ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণ করা হয়েছে। প্রকল্পটি বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে জি-টু-জি পদ্ধতিতে বাস্তবায়িত হচ্ছে এবং ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান হলো চায়না রেলওয়ে গ্রুপ।
প্রকল্পের নথিতে দেখা যায়, উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) অনুযায়ী মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৮ হাজার ৬২৮ দশমিক ৯০ কোটি টাকা। এর মধ্যে নির্মাণ চুক্তিতে ব্যয় ২৪ হাজার ৭৪১ কোটি, ভ্যাট ও ট্যাক্স ৮ হাজার কোটি, ভূমি অধিগ্রহণে ৪ হাজার কোটি, পুনর্বাসনে ২০০ কোটি, ইউটিলিটি স্থানান্তরে ৩০০ কোটি, পরামর্শক ব্যয় ১ হাজার ৩৩৩ কোটি এবং বেতন-ভাতা ও অন্যান্য প্রশাসনিক ব্যয় ৫০ কোটি টাকা।
ঋণচুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. শামসুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঋণের মেয়াদ বারবার বাড়ানো আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ইতিবাচক বার্তা দেয় না। নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ না হওয়াই মূলত ঋণের মেয়াদ বাড়ানোর কারণ, যা দাতাদের আস্থাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। করোনার সময়ে কাজের গতি কমলেও পরে অতিরিক্ত জনবল ও পরিকল্পিত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সেই ঘাটতি পূরণ করা যেত। প্রকল্প দীর্ঘায়িত হলে ব্যয় বাড়ে, কাজ ঝুলে যায় এবং সার্বিকভাবে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।’

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি বাংলাদেশের মানুষ ব্যাপক আস্থা প্রকাশ করেছেন। মার্কিন ফেডারেল সরকারের অর্থায়নে রিপাবলিকান পার্টি-ঘনিষ্ঠ অলাভজনক প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই) এক জরিপের ভিত্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
আগামী সপ্তাহে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে ৩০ শতাংশ ভোটার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপিকে ভোট দেবেন। জামায়াতে ইসলামীকে ভোট দেবেন ২৬ শতাংশ ভোটার। অর্থাৎ দুই দলের মধ্যে ব্যবধান মাত্র ৪ শতাংশ। মার্কিন ফেডারেল সরকারের অর্থায়নে রিপাবলিকান পার্টি-ঘনিষ্ঠ অলাভজনক প্রতিষ্ঠান
২ ঘণ্টা আগে
দেশের অন্তর্বর্তী সরকার এবং প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কার্যক্রম নিয়ে একটি জরিপ চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বেসরকারি সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউটের (আইআরআই) সেন্টার ফর রাইটস। এই জরিপে উঠে এসেছে, ৬৯ শতাংশ মানুষ প্রধান উপদেষ্টার কাজে সন্তুষ্ট।
৮ ঘণ্টা আগে
১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর স্বাক্ষরিত হয় পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি। সেই চুক্তির বয়স ২৮ বছর হলেও আজও পূর্ণভাবে বাস্তবায়িত হয়নি চুক্তিটি। চুক্তি অনুযায়ী রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান জেলা পরিচালিত হবে পার্বত্য চুক্তির আলোকে। চুক্তির আলোকে গঠিত হয় পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চ
৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি বাংলাদেশের মানুষ ব্যাপক আস্থা প্রকাশ করেছেন। মার্কিন ফেডারেল সরকারের অর্থায়নে রিপাবলিকান পার্টি-ঘনিষ্ঠ অলাভজনক প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই) এক জরিপের ভিত্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে।
ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউটের সেন্টার ফর ইনসাইটস ইন সার্ভে রিসার্চের পক্ষে জরিপটি পরিচালনা করেছে একটি স্থানীয় গবেষণা প্রতিষ্ঠান। ২০২৫ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে ১২ অক্টোবর পর্যন্ত তথ্য সংগ্রহ করা হয়। সাক্ষাৎকার নেওয়া হয় সিএপিআই পদ্ধতিতে সরাসরি উপস্থিত হয়ে।
এই জরিপে ৪ হাজার ৯৮৫ জনের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়, যাঁদের বয়স ১৮ বছর বা তার বেশি। বাংলাদেশের আটটি বিভাগের ৬৪ জেলার মধ্যে ৬৩ জেলা থেকে সংগ্রহ করা হয়। রাঙামাটি জেলা থেকে কোনো নমুনা বাছাই করা হয়নি। জরিপকারীদের দাবি, এই জরিপের আস্থার পরিমাণ ৯৫ শতাংশ। তবে আরও নিশ্চয়তার ভিত্তিতে ১ দশমিক ৪ শতাংশ এদিক-সেদিক হতে পারে।
এই জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ৬৯ শতাংশ বলেছেন, ড. ইউনূস ভালো কাজ করছেন। আর ৭০ শতাংশ জানিয়েছেন, তাঁরা অন্তর্বর্তী সরকারের কর্মকাণ্ডে সন্তুষ্ট।
আইআরআই এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের সিনিয়র পরিচালক জোহান্না কাও বলেন, ‘স্পষ্টভাবে বোঝা যাচ্ছে ড. ইউনূসের নেতৃত্বে মানুষ অগ্রগতির সম্ভাবনা দেখছেন। তাঁর এবং অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি জনগণের এই আস্থা স্থিতিশীলতা, জবাবদিহি ও সংস্কারের ব্যাপক প্রত্যাশা তুলে ধরে।’
জরিপে দেখা যায়, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে ভোটারদের আগ্রহও অনেক। ভোট দিতে খুবই আগ্রহী বলে জানিয়েছে ৬৬ শতাংশ ভোটার। আর ২৩ শতাংশ ‘কিছুটা আগ্রহী’ বলে জানিয়েছেন। এ ছাড়া নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে বলে বিশ্বাস করেন জরিপে অংশ নেওয়া ৮০ শতাংশ লোক।
কাও আরও বলেন, ‘বাংলাদেশিদের এই উৎসাহ-উদ্দীপনা প্রমাণ করে সংস্কার প্রক্রিয়া ধরে রাখা এবং নির্বাচনকে বিশ্বাসযোগ্য ও শান্তিপূর্ণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আইআরআই নিয়মিতভাবে বাংলাদেশে জনমত জরিপ পরিচালনা করে। নীতিমালা, রাজনীতি ও শাসনব্যবস্থা সম্পর্কে জনগণের দৃষ্টিভঙ্গি বোঝার জন্য সংস্থাটি থেকে এই জরিপ করা হয়।
আসন্ন নির্বাচন ঘিরে প্রতিষ্ঠানটি দায়িত্বশীল ও ইস্যুভিত্তিক রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা বাড়ানোর কাজ করছে।

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি বাংলাদেশের মানুষ ব্যাপক আস্থা প্রকাশ করেছেন। মার্কিন ফেডারেল সরকারের অর্থায়নে রিপাবলিকান পার্টি-ঘনিষ্ঠ অলাভজনক প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই) এক জরিপের ভিত্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে।
ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউটের সেন্টার ফর ইনসাইটস ইন সার্ভে রিসার্চের পক্ষে জরিপটি পরিচালনা করেছে একটি স্থানীয় গবেষণা প্রতিষ্ঠান। ২০২৫ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে ১২ অক্টোবর পর্যন্ত তথ্য সংগ্রহ করা হয়। সাক্ষাৎকার নেওয়া হয় সিএপিআই পদ্ধতিতে সরাসরি উপস্থিত হয়ে।
এই জরিপে ৪ হাজার ৯৮৫ জনের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়, যাঁদের বয়স ১৮ বছর বা তার বেশি। বাংলাদেশের আটটি বিভাগের ৬৪ জেলার মধ্যে ৬৩ জেলা থেকে সংগ্রহ করা হয়। রাঙামাটি জেলা থেকে কোনো নমুনা বাছাই করা হয়নি। জরিপকারীদের দাবি, এই জরিপের আস্থার পরিমাণ ৯৫ শতাংশ। তবে আরও নিশ্চয়তার ভিত্তিতে ১ দশমিক ৪ শতাংশ এদিক-সেদিক হতে পারে।
এই জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ৬৯ শতাংশ বলেছেন, ড. ইউনূস ভালো কাজ করছেন। আর ৭০ শতাংশ জানিয়েছেন, তাঁরা অন্তর্বর্তী সরকারের কর্মকাণ্ডে সন্তুষ্ট।
আইআরআই এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের সিনিয়র পরিচালক জোহান্না কাও বলেন, ‘স্পষ্টভাবে বোঝা যাচ্ছে ড. ইউনূসের নেতৃত্বে মানুষ অগ্রগতির সম্ভাবনা দেখছেন। তাঁর এবং অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি জনগণের এই আস্থা স্থিতিশীলতা, জবাবদিহি ও সংস্কারের ব্যাপক প্রত্যাশা তুলে ধরে।’
জরিপে দেখা যায়, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে ভোটারদের আগ্রহও অনেক। ভোট দিতে খুবই আগ্রহী বলে জানিয়েছে ৬৬ শতাংশ ভোটার। আর ২৩ শতাংশ ‘কিছুটা আগ্রহী’ বলে জানিয়েছেন। এ ছাড়া নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে বলে বিশ্বাস করেন জরিপে অংশ নেওয়া ৮০ শতাংশ লোক।
কাও আরও বলেন, ‘বাংলাদেশিদের এই উৎসাহ-উদ্দীপনা প্রমাণ করে সংস্কার প্রক্রিয়া ধরে রাখা এবং নির্বাচনকে বিশ্বাসযোগ্য ও শান্তিপূর্ণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আইআরআই নিয়মিতভাবে বাংলাদেশে জনমত জরিপ পরিচালনা করে। নীতিমালা, রাজনীতি ও শাসনব্যবস্থা সম্পর্কে জনগণের দৃষ্টিভঙ্গি বোঝার জন্য সংস্থাটি থেকে এই জরিপ করা হয়।
আসন্ন নির্বাচন ঘিরে প্রতিষ্ঠানটি দায়িত্বশীল ও ইস্যুভিত্তিক রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা বাড়ানোর কাজ করছে।

পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পে চীনের এক্সিম ব্যাংকের ঋণচুক্তির মেয়াদ আবারও বাড়িয়ে ২০২৬ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত করা হয়েছে। প্রকল্পের বেশ কিছু কাজ চলমান থাকায় এবং অর্থছাড় অব্যাহত রাখতে ঋণচুক্তির সময়সীমা তৃতীয়বারের মতো বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
৬ দিন আগে
আগামী সপ্তাহে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে ৩০ শতাংশ ভোটার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপিকে ভোট দেবেন। জামায়াতে ইসলামীকে ভোট দেবেন ২৬ শতাংশ ভোটার। অর্থাৎ দুই দলের মধ্যে ব্যবধান মাত্র ৪ শতাংশ। মার্কিন ফেডারেল সরকারের অর্থায়নে রিপাবলিকান পার্টি-ঘনিষ্ঠ অলাভজনক প্রতিষ্ঠান
২ ঘণ্টা আগে
দেশের অন্তর্বর্তী সরকার এবং প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কার্যক্রম নিয়ে একটি জরিপ চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বেসরকারি সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউটের (আইআরআই) সেন্টার ফর রাইটস। এই জরিপে উঠে এসেছে, ৬৯ শতাংশ মানুষ প্রধান উপদেষ্টার কাজে সন্তুষ্ট।
৮ ঘণ্টা আগে
১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর স্বাক্ষরিত হয় পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি। সেই চুক্তির বয়স ২৮ বছর হলেও আজও পূর্ণভাবে বাস্তবায়িত হয়নি চুক্তিটি। চুক্তি অনুযায়ী রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান জেলা পরিচালিত হবে পার্বত্য চুক্তির আলোকে। চুক্তির আলোকে গঠিত হয় পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চ
৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

আগামী সপ্তাহে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে ৩০ শতাংশ ভোটার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপিকে ভোট দেবেন। জামায়াতে ইসলামীকে ভোট দেবেন ২৬ শতাংশ ভোটার। অর্থাৎ দুই দলের মধ্যে ব্যবধান মাত্র ৪ শতাংশ। মার্কিন ফেডারেল সরকারের অর্থায়নে রিপাবলিকান পার্টি-ঘনিষ্ঠ অলাভজনক প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউটের (আইআরআই) এক জরিপের ভিত্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে।
ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউটের সেন্টার ফর ইনসাইটস ইন সার্ভে রিসার্চের পক্ষে জরিপটি পরিচালনা করেছে একটি স্থানীয় গবেষণা প্রতিষ্ঠান। ২০২৫ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে ১২ অক্টোবর পর্যন্ত তথ্য সংগ্রহ করা হয়। সাক্ষাৎকার নেওয়া হয় সিএপিআই পদ্ধতিতে সরাসরি উপস্থিত হয়ে।
এই জরিপে ৪ হাজার ৯৮৫ জনের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়, যাঁদের বয়স ১৮ বছর বা তার বেশি। বাংলাদেশের আটটি বিভাগের ৬৪ জেলার মধ্যে ৬৩ জেলা থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। রাঙামাটি জেলা থেকে কোনো নমুনা বাছাই করা হয়নি। জরিপকারীদের দাবি, এই জরিপের আস্থার পরিমাণ ৯৫ শতাংশ। তবে আরও নিশ্চয়তার ভিত্তিতে ১ দশমিক ৪ শতাংশ এদিক-সেদিক হতে পারে।
জরিপ অনুসারে, একই শর্তে, অর্থাৎ আগামী সপ্তাহে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে জাতীয় নাগরিক পার্টিকে (এনসিপি) ভোট দেবেন ৬ শতাংশ ভোটার। জাতীয় পার্টিকে ভোট দেবেন ৫ শতাংশ ভোটার এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশকে ভোট দেবেন ৪ শতাংশ ভোটার। এবং অন্যান্য দলকে ভোট দেবেন ৮ শতাংশ ভোটার।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, জরিপ অনুসারে সমর্থন বিচারে প্রধান দুই দল বিএনপি এবং জামায়াতে ইসলামীর মধ্যে ব্যবধান কম থাকায় ছোট দলগুলো ‘গেম চেঞ্জার’ হিসেবে আবির্ভূত হতে পারে। বিশেষ করে এনসিপি, জাতীয় পার্টি এবং ইসলামী আন্দোলনের পক্ষে যেকোনো একদিকে নির্বাচনী জোটের পাল্লা ভারী করে দেওয়ার সুযোগ আছে। তবে ফার্স্ট পাস্ট দ্য পোস্ট সিস্টেম, অর্থাৎ যে বেশি ভোট পাবে সে জিতবে পদ্ধতিতে নির্বাচন হওয়ায় অনেক সময় জনসমর্থন কাছাকাছি হলেও কোনো একটি দল নির্বাচনে বেশি আসন লাভ করতে পারে।

আগামী সপ্তাহে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে ৩০ শতাংশ ভোটার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপিকে ভোট দেবেন। জামায়াতে ইসলামীকে ভোট দেবেন ২৬ শতাংশ ভোটার। অর্থাৎ দুই দলের মধ্যে ব্যবধান মাত্র ৪ শতাংশ। মার্কিন ফেডারেল সরকারের অর্থায়নে রিপাবলিকান পার্টি-ঘনিষ্ঠ অলাভজনক প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউটের (আইআরআই) এক জরিপের ভিত্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে।
ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউটের সেন্টার ফর ইনসাইটস ইন সার্ভে রিসার্চের পক্ষে জরিপটি পরিচালনা করেছে একটি স্থানীয় গবেষণা প্রতিষ্ঠান। ২০২৫ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে ১২ অক্টোবর পর্যন্ত তথ্য সংগ্রহ করা হয়। সাক্ষাৎকার নেওয়া হয় সিএপিআই পদ্ধতিতে সরাসরি উপস্থিত হয়ে।
এই জরিপে ৪ হাজার ৯৮৫ জনের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়, যাঁদের বয়স ১৮ বছর বা তার বেশি। বাংলাদেশের আটটি বিভাগের ৬৪ জেলার মধ্যে ৬৩ জেলা থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। রাঙামাটি জেলা থেকে কোনো নমুনা বাছাই করা হয়নি। জরিপকারীদের দাবি, এই জরিপের আস্থার পরিমাণ ৯৫ শতাংশ। তবে আরও নিশ্চয়তার ভিত্তিতে ১ দশমিক ৪ শতাংশ এদিক-সেদিক হতে পারে।
জরিপ অনুসারে, একই শর্তে, অর্থাৎ আগামী সপ্তাহে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে জাতীয় নাগরিক পার্টিকে (এনসিপি) ভোট দেবেন ৬ শতাংশ ভোটার। জাতীয় পার্টিকে ভোট দেবেন ৫ শতাংশ ভোটার এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশকে ভোট দেবেন ৪ শতাংশ ভোটার। এবং অন্যান্য দলকে ভোট দেবেন ৮ শতাংশ ভোটার।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, জরিপ অনুসারে সমর্থন বিচারে প্রধান দুই দল বিএনপি এবং জামায়াতে ইসলামীর মধ্যে ব্যবধান কম থাকায় ছোট দলগুলো ‘গেম চেঞ্জার’ হিসেবে আবির্ভূত হতে পারে। বিশেষ করে এনসিপি, জাতীয় পার্টি এবং ইসলামী আন্দোলনের পক্ষে যেকোনো একদিকে নির্বাচনী জোটের পাল্লা ভারী করে দেওয়ার সুযোগ আছে। তবে ফার্স্ট পাস্ট দ্য পোস্ট সিস্টেম, অর্থাৎ যে বেশি ভোট পাবে সে জিতবে পদ্ধতিতে নির্বাচন হওয়ায় অনেক সময় জনসমর্থন কাছাকাছি হলেও কোনো একটি দল নির্বাচনে বেশি আসন লাভ করতে পারে।

পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পে চীনের এক্সিম ব্যাংকের ঋণচুক্তির মেয়াদ আবারও বাড়িয়ে ২০২৬ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত করা হয়েছে। প্রকল্পের বেশ কিছু কাজ চলমান থাকায় এবং অর্থছাড় অব্যাহত রাখতে ঋণচুক্তির সময়সীমা তৃতীয়বারের মতো বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
৬ দিন আগে
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি বাংলাদেশের মানুষ ব্যাপক আস্থা প্রকাশ করেছেন। মার্কিন ফেডারেল সরকারের অর্থায়নে রিপাবলিকান পার্টি-ঘনিষ্ঠ অলাভজনক প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই) এক জরিপের ভিত্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
দেশের অন্তর্বর্তী সরকার এবং প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কার্যক্রম নিয়ে একটি জরিপ চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বেসরকারি সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউটের (আইআরআই) সেন্টার ফর রাইটস। এই জরিপে উঠে এসেছে, ৬৯ শতাংশ মানুষ প্রধান উপদেষ্টার কাজে সন্তুষ্ট।
৮ ঘণ্টা আগে
১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর স্বাক্ষরিত হয় পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি। সেই চুক্তির বয়স ২৮ বছর হলেও আজও পূর্ণভাবে বাস্তবায়িত হয়নি চুক্তিটি। চুক্তি অনুযায়ী রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান জেলা পরিচালিত হবে পার্বত্য চুক্তির আলোকে। চুক্তির আলোকে গঠিত হয় পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চ
৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দেশের অন্তর্বর্তী সরকার এবং প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কার্যক্রম নিয়ে একটি জরিপ চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বেসরকারি সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউটের (আইআরআই) সেন্টার ফর রাইটস। এই জরিপে উঠে এসেছে, ৬৯ শতাংশ মানুষ প্রধান উপদেষ্টার কাজে সন্তুষ্ট। আর ৭০ শতাংশ মানুষ অন্তর্বর্তী সরকারের কাজে সন্তুষ্ট।
গতকাল সোমবার এই নিয়ে একটি প্রতিবেদন আইআরআইয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। আইআরআইয়ের চালানো এই জরিপে আরও বেশ কিছু বিষয় উঠে এসেছে। এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মানুষ আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের জন্য আগ্রহ নিয়ে করছেন। ৬৬ নাগরিক জানিয়েছেন, তাঁরা এই নির্বাচনে ভোট দেওয়ার বিষয়ে বেশি আগ্রহী। ২৩ শতাংশ নাগরিকের ভোট দেওয়ার খানিকটা আগ্রহ রয়েছে। আর ৮০ শতাংশ মানুষ মনে করছেন, এবারের নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে।
এ প্রসঙ্গে আইআরআইয়ের এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের পরিচালক জোহান্না খাও বলেন, এটা পরিষ্কার যে ড. ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। তাঁর এবং অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি জনগণের আস্থা দেশের স্থিতিশীলতা, জবাবদিহি ও সংস্কারের জন্য ব্যাপক আকাঙ্ক্ষারই প্রতিফলন।
আইআরআই জানিয়েছে, গত ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে ১২ অক্টোবর পর্যন্ত এই জরিপ চালানো হয়েছে। রাঙামাটি বাদে অর্থাৎ ৬৩ জেলায় এই জরিপ চালানো হয়েছে। ৪ হাজার ৯৮৫ জন প্রাপ্তবয়স্ক এই জরিপে অংশ নিয়েছেন। জরিপে অংশ নেওয়াদের মধ্যে ২ হাজার ৪১০ জন পুরুষ এবং ২ হাজার ৫৭৫ জন নারী। জরিপে শহর ও নগর এলাকার ১ হাজার ৫৭৭ জন এবং প্রান্তিক এলাকার ৩ হাজার ৪০৮ জন অংশ নিয়েছেন।

দেশের অন্তর্বর্তী সরকার এবং প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কার্যক্রম নিয়ে একটি জরিপ চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বেসরকারি সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউটের (আইআরআই) সেন্টার ফর রাইটস। এই জরিপে উঠে এসেছে, ৬৯ শতাংশ মানুষ প্রধান উপদেষ্টার কাজে সন্তুষ্ট। আর ৭০ শতাংশ মানুষ অন্তর্বর্তী সরকারের কাজে সন্তুষ্ট।
গতকাল সোমবার এই নিয়ে একটি প্রতিবেদন আইআরআইয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। আইআরআইয়ের চালানো এই জরিপে আরও বেশ কিছু বিষয় উঠে এসেছে। এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মানুষ আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের জন্য আগ্রহ নিয়ে করছেন। ৬৬ নাগরিক জানিয়েছেন, তাঁরা এই নির্বাচনে ভোট দেওয়ার বিষয়ে বেশি আগ্রহী। ২৩ শতাংশ নাগরিকের ভোট দেওয়ার খানিকটা আগ্রহ রয়েছে। আর ৮০ শতাংশ মানুষ মনে করছেন, এবারের নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে।
এ প্রসঙ্গে আইআরআইয়ের এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের পরিচালক জোহান্না খাও বলেন, এটা পরিষ্কার যে ড. ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। তাঁর এবং অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি জনগণের আস্থা দেশের স্থিতিশীলতা, জবাবদিহি ও সংস্কারের জন্য ব্যাপক আকাঙ্ক্ষারই প্রতিফলন।
আইআরআই জানিয়েছে, গত ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে ১২ অক্টোবর পর্যন্ত এই জরিপ চালানো হয়েছে। রাঙামাটি বাদে অর্থাৎ ৬৩ জেলায় এই জরিপ চালানো হয়েছে। ৪ হাজার ৯৮৫ জন প্রাপ্তবয়স্ক এই জরিপে অংশ নিয়েছেন। জরিপে অংশ নেওয়াদের মধ্যে ২ হাজার ৪১০ জন পুরুষ এবং ২ হাজার ৫৭৫ জন নারী। জরিপে শহর ও নগর এলাকার ১ হাজার ৫৭৭ জন এবং প্রান্তিক এলাকার ৩ হাজার ৪০৮ জন অংশ নিয়েছেন।

পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পে চীনের এক্সিম ব্যাংকের ঋণচুক্তির মেয়াদ আবারও বাড়িয়ে ২০২৬ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত করা হয়েছে। প্রকল্পের বেশ কিছু কাজ চলমান থাকায় এবং অর্থছাড় অব্যাহত রাখতে ঋণচুক্তির সময়সীমা তৃতীয়বারের মতো বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
৬ দিন আগে
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি বাংলাদেশের মানুষ ব্যাপক আস্থা প্রকাশ করেছেন। মার্কিন ফেডারেল সরকারের অর্থায়নে রিপাবলিকান পার্টি-ঘনিষ্ঠ অলাভজনক প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই) এক জরিপের ভিত্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
আগামী সপ্তাহে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে ৩০ শতাংশ ভোটার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপিকে ভোট দেবেন। জামায়াতে ইসলামীকে ভোট দেবেন ২৬ শতাংশ ভোটার। অর্থাৎ দুই দলের মধ্যে ব্যবধান মাত্র ৪ শতাংশ। মার্কিন ফেডারেল সরকারের অর্থায়নে রিপাবলিকান পার্টি-ঘনিষ্ঠ অলাভজনক প্রতিষ্ঠান
২ ঘণ্টা আগে
১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর স্বাক্ষরিত হয় পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি। সেই চুক্তির বয়স ২৮ বছর হলেও আজও পূর্ণভাবে বাস্তবায়িত হয়নি চুক্তিটি। চুক্তি অনুযায়ী রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান জেলা পরিচালিত হবে পার্বত্য চুক্তির আলোকে। চুক্তির আলোকে গঠিত হয় পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চ
৮ ঘণ্টা আগেহিমেল চাকমা, রাঙামাটি

১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর স্বাক্ষরিত হয় পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি। সেই চুক্তির বয়স ২৮ বছর হলেও আজও পূর্ণভাবে বাস্তবায়িত হয়নি চুক্তিটি। চুক্তি অনুযায়ী রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান জেলা পরিচালিত হবে পার্বত্য চুক্তির আলোকে। চুক্তির আলোকে গঠিত হয় পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ। সংশোধন করা হয় তিন পার্বত্য (রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান) জেলা পরিষদ।
চুক্তিতে উল্লেখ আছে, তিন পার্বত্য জেলার স্থায়ী বাসিন্দাদের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হবেন তিন পার্বত্য জেলা পরিষদের একজন করে চেয়ারম্যান এবং ৩৩ জন করে সদস্য। নির্বাচিত জেলা পরিষদের সদস্যদের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হবেন পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের একজন চেয়ারম্যান এবং ২২ জন সদস্য। ২৫ সদস্যের আঞ্চলিক পরিষদে পদাধিকারবলে সদস্য হবেন তিন পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান।
পার্বত্য জেলা পরিষদগুলোর সব কার্যক্রম সমন্বয় করে পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করবে আঞ্চলিক পরিষদ। জেলা ও আঞ্চলিক পরিষদের পক্ষ হয়ে অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করবে পার্বত্য মন্ত্রণালয়। পার্বত্য চুক্তির আলোকে তিন পার্বত্য জেলা পরিষদের কাছে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, মৎস্য, প্রাণিসম্পদ, সমবায়, ক্রীড়া, সংস্কৃতি ইত্যাদি ২৮টির বেশি দপ্তর হস্তান্তর করা হয়। যেগুলো আগে জেলা প্রশাসকের নিয়ন্ত্রণে ছিল।
পার্বত্য চুক্তিমতে, জেলা পুলিশ এবং ভূমি দপ্তরটি জেলা পরিষদে হস্তান্তরের কথা থাকলেও এখনো তা হয়নি। স্থানীয় বাসিন্দাদের ভোটার তালিকা চূড়ান্ত করে পার্বত্য জেলা পরিষদগুলোর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও চুক্তির ২৮ বছরে তা করা হয়নি। যে সরকার আসে, সেই সরকারের মনোনীত ব্যক্তিদের দিয়ে চালানো হচ্ছে অন্তর্বর্তীকালীন জেলা পরিষদ। ফলে এসব সদস্যের কাছে সাধারণ মানুষের দাবিদাওয়ার চেয়ে দলীয় দাবিদাওয়া গুরুত্বপূর্ণ হয়ে যায়।
রাঙামাটি জেলা পরিষদের সদস্য হাবিব আজম বলেন, ‘জেলা পরিষদগুলো শক্তিশালী নয়। শক্তিশালী করতে হলে নির্বাচনটা জরুরি। ৩৪ সদস্য কাঠামোর জেলা পরিষদ চলছে মাত্র ১৫ জন দিয়ে। এটি যথেষ্ট নয়। আমরা নির্বাচিত সদস্য না হওয়ায় সিদ্ধান্ত নিতে অনেক কিছু ভাবতে হয়। পাহাড়ের সমস্যা সমাধানে আমাদের ভাবতে হবে।’
পার্বত্য চট্টগ্রামের রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও গবেষক তনয় দেওয়ান বলেন, ‘শিক্ষিত ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির ক্ষমতার দ্বন্দ্বে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির বিভিন্ন সংকট বিরাজমান রয়েছে। প্রকৃত বঞ্চিত অংশকে ক্ষমতায়ন করা হলে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির সুফল পাওয়া যাবে। না হলে এই সংকট যুগ যুগ ধরে চলমান থাকবে।’
এদিকে চুক্তি বাস্তবায়নে দেরি হওয়ায় এর অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকে। পার্বত্য চুক্তির বৈধতার চ্যালেঞ্জ করে ২০০০ সালে মো. বদিউজ্জামান এবং ২০০৭ সালে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. তাজুল ইসলাম পৃথক রিট আবেদন করেন। এ দুটি রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১০ সালে ১২ ও ১৩ এপ্রিল হাইকোর্ট পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ আইনকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করেন। পরে হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে সরকার ২০১০ সালেই আপিলের জন্য আবেদন করলে আপিল বিভাগ ২০১১ সালের ৩ মার্চ আপিল বিভাগ সরকারের আপিলের অনুমতি গ্রহণ করেন। এরপর থেকে এটি আপিল বিভাগে বিচারাধীন।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী নিকোলাস চাকমা বলেন, ‘হাইকোর্ট চুক্তিকে বৈধ বলেছেন, অপরদিকে আঞ্চলিক পরিষদকে সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলেছেন। এ রায় আমাদের ভাবিয়ে তুলেছে। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সরকার আপিল করেছে। এখন আপিল বিভাগ যেকোনো সময় রায় দিতে পারেন। এটি চুক্তির পক্ষে বা বিপক্ষেও যেতে পারে। এই অবস্থায় ভবিষ্যতে পার্বত্য চুক্তি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেটা দেখার বিষয়।’
১৯৯৮ সালে পার্বত্য জেলা পরিষদ ৫ সদস্যবিশিষ্ট থাকলেও ২০১৫ সালে এর পরিধি বাড়িয়ে করা হয় ১৫ সদস্য; যা বর্তমানেও বিদ্যমান রয়েছে।
১৯৭৫ পরবর্তী বিভিন্ন সময় সরকার সমতল অঞ্চল থেকে বাঙালি এনে বসতি নির্মাণের কারণে যে ভূমি বিরোধ সৃষ্টি হয়, তা নিরসনে করা হয় পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন, ২০০১। পরে ২০১৬ সালে এটি সংশোধন করা হলেও এই কমিশন নিষ্পত্তি করতে পারেনি কোনো ভূমি বিরোধ।
পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির কেন্দ্রীয় সহসভাপতি ঊষাতন তালুকদার বলেন, ‘চুক্তি পরবর্তী ২টি দলীয় সরকার এবং দুটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার দায়িত্ব পালন করলেও কোনো সরকার রাজনৈতিক সদিচ্ছা নিয়ে এগিয়ে আসেনি। এই সরকার এবং আগামী সরকারের কাছে আমাদের দাবি থাকবে, তারা পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নে যেন এগিয়ে আসে।’

১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর স্বাক্ষরিত হয় পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি। সেই চুক্তির বয়স ২৮ বছর হলেও আজও পূর্ণভাবে বাস্তবায়িত হয়নি চুক্তিটি। চুক্তি অনুযায়ী রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান জেলা পরিচালিত হবে পার্বত্য চুক্তির আলোকে। চুক্তির আলোকে গঠিত হয় পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ। সংশোধন করা হয় তিন পার্বত্য (রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান) জেলা পরিষদ।
চুক্তিতে উল্লেখ আছে, তিন পার্বত্য জেলার স্থায়ী বাসিন্দাদের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হবেন তিন পার্বত্য জেলা পরিষদের একজন করে চেয়ারম্যান এবং ৩৩ জন করে সদস্য। নির্বাচিত জেলা পরিষদের সদস্যদের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হবেন পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের একজন চেয়ারম্যান এবং ২২ জন সদস্য। ২৫ সদস্যের আঞ্চলিক পরিষদে পদাধিকারবলে সদস্য হবেন তিন পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান।
পার্বত্য জেলা পরিষদগুলোর সব কার্যক্রম সমন্বয় করে পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করবে আঞ্চলিক পরিষদ। জেলা ও আঞ্চলিক পরিষদের পক্ষ হয়ে অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করবে পার্বত্য মন্ত্রণালয়। পার্বত্য চুক্তির আলোকে তিন পার্বত্য জেলা পরিষদের কাছে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, মৎস্য, প্রাণিসম্পদ, সমবায়, ক্রীড়া, সংস্কৃতি ইত্যাদি ২৮টির বেশি দপ্তর হস্তান্তর করা হয়। যেগুলো আগে জেলা প্রশাসকের নিয়ন্ত্রণে ছিল।
পার্বত্য চুক্তিমতে, জেলা পুলিশ এবং ভূমি দপ্তরটি জেলা পরিষদে হস্তান্তরের কথা থাকলেও এখনো তা হয়নি। স্থানীয় বাসিন্দাদের ভোটার তালিকা চূড়ান্ত করে পার্বত্য জেলা পরিষদগুলোর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও চুক্তির ২৮ বছরে তা করা হয়নি। যে সরকার আসে, সেই সরকারের মনোনীত ব্যক্তিদের দিয়ে চালানো হচ্ছে অন্তর্বর্তীকালীন জেলা পরিষদ। ফলে এসব সদস্যের কাছে সাধারণ মানুষের দাবিদাওয়ার চেয়ে দলীয় দাবিদাওয়া গুরুত্বপূর্ণ হয়ে যায়।
রাঙামাটি জেলা পরিষদের সদস্য হাবিব আজম বলেন, ‘জেলা পরিষদগুলো শক্তিশালী নয়। শক্তিশালী করতে হলে নির্বাচনটা জরুরি। ৩৪ সদস্য কাঠামোর জেলা পরিষদ চলছে মাত্র ১৫ জন দিয়ে। এটি যথেষ্ট নয়। আমরা নির্বাচিত সদস্য না হওয়ায় সিদ্ধান্ত নিতে অনেক কিছু ভাবতে হয়। পাহাড়ের সমস্যা সমাধানে আমাদের ভাবতে হবে।’
পার্বত্য চট্টগ্রামের রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও গবেষক তনয় দেওয়ান বলেন, ‘শিক্ষিত ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির ক্ষমতার দ্বন্দ্বে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির বিভিন্ন সংকট বিরাজমান রয়েছে। প্রকৃত বঞ্চিত অংশকে ক্ষমতায়ন করা হলে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির সুফল পাওয়া যাবে। না হলে এই সংকট যুগ যুগ ধরে চলমান থাকবে।’
এদিকে চুক্তি বাস্তবায়নে দেরি হওয়ায় এর অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকে। পার্বত্য চুক্তির বৈধতার চ্যালেঞ্জ করে ২০০০ সালে মো. বদিউজ্জামান এবং ২০০৭ সালে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. তাজুল ইসলাম পৃথক রিট আবেদন করেন। এ দুটি রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১০ সালে ১২ ও ১৩ এপ্রিল হাইকোর্ট পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ আইনকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করেন। পরে হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে সরকার ২০১০ সালেই আপিলের জন্য আবেদন করলে আপিল বিভাগ ২০১১ সালের ৩ মার্চ আপিল বিভাগ সরকারের আপিলের অনুমতি গ্রহণ করেন। এরপর থেকে এটি আপিল বিভাগে বিচারাধীন।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী নিকোলাস চাকমা বলেন, ‘হাইকোর্ট চুক্তিকে বৈধ বলেছেন, অপরদিকে আঞ্চলিক পরিষদকে সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলেছেন। এ রায় আমাদের ভাবিয়ে তুলেছে। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সরকার আপিল করেছে। এখন আপিল বিভাগ যেকোনো সময় রায় দিতে পারেন। এটি চুক্তির পক্ষে বা বিপক্ষেও যেতে পারে। এই অবস্থায় ভবিষ্যতে পার্বত্য চুক্তি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেটা দেখার বিষয়।’
১৯৯৮ সালে পার্বত্য জেলা পরিষদ ৫ সদস্যবিশিষ্ট থাকলেও ২০১৫ সালে এর পরিধি বাড়িয়ে করা হয় ১৫ সদস্য; যা বর্তমানেও বিদ্যমান রয়েছে।
১৯৭৫ পরবর্তী বিভিন্ন সময় সরকার সমতল অঞ্চল থেকে বাঙালি এনে বসতি নির্মাণের কারণে যে ভূমি বিরোধ সৃষ্টি হয়, তা নিরসনে করা হয় পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন, ২০০১। পরে ২০১৬ সালে এটি সংশোধন করা হলেও এই কমিশন নিষ্পত্তি করতে পারেনি কোনো ভূমি বিরোধ।
পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির কেন্দ্রীয় সহসভাপতি ঊষাতন তালুকদার বলেন, ‘চুক্তি পরবর্তী ২টি দলীয় সরকার এবং দুটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার দায়িত্ব পালন করলেও কোনো সরকার রাজনৈতিক সদিচ্ছা নিয়ে এগিয়ে আসেনি। এই সরকার এবং আগামী সরকারের কাছে আমাদের দাবি থাকবে, তারা পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নে যেন এগিয়ে আসে।’

পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পে চীনের এক্সিম ব্যাংকের ঋণচুক্তির মেয়াদ আবারও বাড়িয়ে ২০২৬ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত করা হয়েছে। প্রকল্পের বেশ কিছু কাজ চলমান থাকায় এবং অর্থছাড় অব্যাহত রাখতে ঋণচুক্তির সময়সীমা তৃতীয়বারের মতো বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
৬ দিন আগে
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি বাংলাদেশের মানুষ ব্যাপক আস্থা প্রকাশ করেছেন। মার্কিন ফেডারেল সরকারের অর্থায়নে রিপাবলিকান পার্টি-ঘনিষ্ঠ অলাভজনক প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই) এক জরিপের ভিত্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
আগামী সপ্তাহে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে ৩০ শতাংশ ভোটার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপিকে ভোট দেবেন। জামায়াতে ইসলামীকে ভোট দেবেন ২৬ শতাংশ ভোটার। অর্থাৎ দুই দলের মধ্যে ব্যবধান মাত্র ৪ শতাংশ। মার্কিন ফেডারেল সরকারের অর্থায়নে রিপাবলিকান পার্টি-ঘনিষ্ঠ অলাভজনক প্রতিষ্ঠান
২ ঘণ্টা আগে
দেশের অন্তর্বর্তী সরকার এবং প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কার্যক্রম নিয়ে একটি জরিপ চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বেসরকারি সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউটের (আইআরআই) সেন্টার ফর রাইটস। এই জরিপে উঠে এসেছে, ৬৯ শতাংশ মানুষ প্রধান উপদেষ্টার কাজে সন্তুষ্ট।
৮ ঘণ্টা আগে