Ajker Patrika

গ্রিনহাউস গ্যাস না কমলে ২০৪১-৭০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি বাড়তে পারে: গবেষণা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
রাজধানীর বনানীতে শেরাটন হোটেলে বুধবার যৌথভাবে গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর এবং নরওয়েজিয়ান মিটিওরোলজিক্যাল ইনস্টিটিউট। ছবি: আজকের পত্রিকা
রাজধানীর বনানীতে শেরাটন হোটেলে বুধবার যৌথভাবে গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর এবং নরওয়েজিয়ান মিটিওরোলজিক্যাল ইনস্টিটিউট। ছবি: আজকের পত্রিকা

গ্রিনহাউস গ্যাস কমানো না গেলে ২০৪১ থেকে ২০৭০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের তাপমাত্রা এক থেকে দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বাড়তে পারে। এ ছাড়া ২১০০ সালের মধ্যে দেশের তাপমাত্রা দেড় থেকে সাড়ে চার ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে।

রাজধানীর বনানীতে শেরাটন হোটেলে আজ বুধবার ‘বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ জলবায়ুর রিপোর্ট-২০২৫’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদনে এ আশঙ্কার কথা জানানো হয়। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর এবং নরওয়েজিয়ান মিটিওরোলজিক্যাল ইনস্টিটিউট যৌথভাবে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

অনুষ্ঠানে গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ ও গবেষক বজলুর রশিদ।

গবেষক বজলুর রশিদ বলেন, দেশে বৃষ্টিপাতের পরিবর্তন হতে পারে। ভবিষ্যতে বর্ষায় অতিরিক্ত বৃষ্টি এবং শতাব্দীর শেষে মোট বৃষ্টিপাত গড়ে প্রায় ১৫ শতাংশ বাড়তে পারে। পাশাপাশি উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বৃষ্টি বাড়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। এই অতি বৃষ্টির ফলে বন্যা ও ভূমিধস বাড়বে।

বজলুর রশিদ বলেন, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় বন্যা বাড়বে। ২০৫০ সালের মধ্যে প্রায় ৯ লাখ মানুষ স্থায়ী বন্যার কারণে বাসস্থান হারাতে পারে। পাশাপাশি তাপপ্রবাহ আরও বেড়ে যাবে এবং দেশের পশ্চিমাঞ্চলে প্রায় সারা বছরই তীব্র গরম থাকতে পারে।

জলবায়ুর এই পরিবর্তন মানুষের স্বাস্থ্য ও জীবিকায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বেশি গরমে ডেঙ্গু-ম্যালেরিয়ার ঝুঁকি বাড়বে আর তীব্র গরমে শ্রমিকদের কাজ করা কঠিন হবে এবং তাঁদের স্বাস্থ্যঝুঁকিও বাড়বে। সমুদ্রের পানি বাড়লে লবণাক্ততা বাড়বে। ফসল, মাছ ধরা ও পানির উৎস ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

প্রতিবেদনে সুপারিশ উল্লেখ করে এই আবহাওয়াবিদ বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন এক দিনে থামানো যাবে না। এমনকি জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমালেও কিছুটা পরিবর্তন হবে। কিন্তু গ্যাস ও দূষণ কমানো না গেলে ভবিষ্যতে ক্ষয়ক্ষতি ভয়াবহ মাত্রায় হবে। তাই দূষণ কমানো এবং ক্ষতি কমাতে প্রস্তুতি হিসেবে বাঁধ, আশ্রয়কেন্দ্র তৈরি ও পূর্বাভাস পেতে প্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহার করা গেলে পরিস্থিতি মোকাবিলা করা সম্ভব।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নরওয়ের রাষ্ট্রদূত এইচ ই হ্যাকন অ্যারাল্ড গুলব্র্যান্ডসেন, বাংলাদেশের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক, আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক, কাজী জেবুন্নেছা প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...