Ajker Patrika

নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি, না মানলে রোববার থেকে কলমবিরতির হুমকি বিচারকদের

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি, না মানলে রোববার থেকে কলমবিরতির হুমকি বিচারকদের

রাজশাহীতে এক বিচারকের বাসায় ঢুকে তাঁর ছেলেকে হত্যার পরিপ্রেক্ষিতে দেশের সব আদালত ও বিচারকের বাসস্থানে অবিলম্বে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য নিয়োগসহ দুই দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন (বিজেএসএ)। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দাবি বাস্তবায়ন করে বিচারকদের কর্মপরিবেশ ও সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা না হলে আগামী রোববার থেকে কলমবিরতিতে যাওয়ার হুমকি দিয়েছে বিচারকদের এই সংগঠন।

আজ শুক্রবার বিজেএসএর সভাপতি মো. আমিরুল ইসলাম ও মহাসচিব মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম এক বিবৃতিতে এ দাবি জানান।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাজশাহীর মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আবদুর রহমানের ভাড়া বাসায় ঢুকে তাঁর ছেলে নবম শ্রেণির ছাত্র তাওসিফ রহমান সুমনকে হত্যা করা হয়। এ সময় বিচারকের স্ত্রী তাসমিন নাহারও আহত হন। এ ঘটনায় আটক তরুণ লিমন মিয়া সম্প্রতি পরিবারটির সদস্যদের হত্যার হুমকি দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

রাজশাহী নগরে বিচারকের বাসায় ঢুকে হত্যার ঘটনার পরদিনই নিরাপত্তাব্যবস্থা-সংক্রান্ত দুই দফা দাবি জানালেন দেশের সব বিচারক।

বিবৃতিতে তাঁরা রাজশাহীর ঘটনায় বিচারকের নিরাপত্তা নিশ্চিতে অবহেলার সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান।

একই সঙ্গে বিচারকের ছেলে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার আসামিকে আইনবহির্ভূতভাবে মিডিয়ার সামনে উপস্থাপন করে অপেশাদারত্ব প্রদর্শনের দায়ে জড়িত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, রাজশাহীর মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আবদুর রহমানের ছেলে তাওসিফ রহমান সুমন নিহত ও স্ত্রী তাসমিন নাহার গুরুতর আহত হন। হত্যার শিকার তাওসিফ রহমান সুমনের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছে অ্যাসোসিয়েশন। প্রকাশ্যে বিচারক পরিবারে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুরো বিচার বিভাগ আজ স্তম্ভিত ও বাকরুদ্ধ।

বিবৃতিতে বিচারকদের নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে বসবাসের চিত্র তুলে ধরে বলা হয়, দেশের প্রতিটি আদালত ও ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণ, এজলাস, বিচারকদের বাসভবন ও গাড়িতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের কাছে সুপ্রিম কোর্ট থেকে বারবার চিঠি পাঠানোর পরও কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। রাষ্ট্রের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ দায়িত্ব পালন করলেও বিচার বিভাগের সদস্য ও তাঁদের পরিবার অরক্ষিত ও নিরাপত্তাহীন। জেলা পর্যায়ের সব বিচারকের জন্য পর্যাপ্ত সরকারি আবাসন ও পরিবহনব্যবস্থা নেই। চৌকি আদালতে কর্মরত বিচারকদের অবস্থা আরও শোচনীয়। ফলে বিচারকদের বাধ্য হয়ে অরক্ষিত বাসায় ভাড়া থাকতে হয়। রিকশা-ভ্যানে এমনকি পায়ে হেঁটেও যাতায়াত করতে হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিহারে ভূমিধস জয়ের পথে বিজেপির জোট

গাজার শাসনকাঠামো নিয়ে মুখোমুখি যুক্তরাষ্ট্র–রাশিয়া, জাতিসংঘে পাল্টাপাল্টি প্রস্তাব

আয়ারল্যান্ডকে চার দিনে ইনিংসে হারাল বাংলাদেশ

১ হাজার টাকার বিনিময়ে রাতের আঁধারে বিএনপি নেতার ব্যানারে আগুন, যুবক আটক

বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিপক্ষে আফগান ক্রিকেটারের অভিনয়ের কারণ কী

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ