Ajker Patrika

শীতে ত্বক ভালো রাখবে যে ৫ ফল

ফিচার ডেস্ক, ঢাকা 
আপডেট : ৩০ নভেম্বর ২০২৫, ১৬: ৫৩
শীতে ত্বক শুষ্কতা ও রুক্ষতার সমস্যায় বেশি ভোগে। এসব সমস্যা থেকে বাঁচতে এ মৌসুমে পাওয়া যায়, নিয়মিত সেসব ফল খেতে হবে। ছবি: ফ্রিপিক
শীতে ত্বক শুষ্কতা ও রুক্ষতার সমস্যায় বেশি ভোগে। এসব সমস্যা থেকে বাঁচতে এ মৌসুমে পাওয়া যায়, নিয়মিত সেসব ফল খেতে হবে। ছবি: ফ্রিপিক

দেখতে দেখতে ডিসেম্বর চলেই এল। আর কিছুদিন পর শীতও জেঁকে বসবে। এ সময় ত্বক রুক্ষ হয়ে উঠবে। এটি শীতের সাধারণ সমস্যাগুলোর একটি। অতিরিক্ত ঠান্ডা আবহাওয়া, ত্বকে যথেষ্ট ময়শ্চারাইজার ব্যবহার না করা এবং গোসলের সময় অতিরিক্ত গরম পানি ব্যবহারের কারণে ত্বক শুষ্কতা ও রুক্ষতার সমস্যায় বেশি ভোগে। এসব সমস্যা থেকে বাঁচতে ঘন ঘন ময়শ্চারাইজার ব্যবহার এবং পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। পাশাপাশি এ মৌসুমে পাওয়া যায়, নিয়মিত সেসব ফলও খেতে হবে। এ ঋতুতে পাওয়া যায় তেমন ফল নিয়মিত খেলে ত্বক এসব সমস্যা কাটিয়ে মসৃণ, কোমল ও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল হয়ে উঠবে।

কমলালেবু

শীতে ফুটপাতের দোকান থেকে শুরু করে বাজার এবং ফলের সব ধরনের দোকানে যে ফলটির রাজত্ব, তার নাম কমলালেবু। শীতে শুষ্ক ও অনুজ্জ্বল ত্বকের দাওয়াই বলা চলে একে। এতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন সি। এ ভিটামিন ত্বকে কোলাজেন তৈরিতে সহায়তা করে। ফলে ত্বক থাকে টান টান। শীতকালে প্রতিদিন একটি করে কমলালেবু খেলে দূষণ এবং অন্যান্য ক্ষয়ক্ষতি থেকে ত্বক সুরক্ষিত থাকবে। কমলালেবু ও কমলালেবুর রস পান করলে ত্বক ও শরীরে পানির ভারসাম্য ঠিক থাকবে।

শীতকালে প্রতিদিন একটি করে কমলালেবু খেলে দূষণ এবং অন্যান্য ক্ষয়ক্ষতি থেকে ত্বক সুরক্ষিত থাকবে। ছবি: পেক্সেলস
শীতকালে প্রতিদিন একটি করে কমলালেবু খেলে দূষণ এবং অন্যান্য ক্ষয়ক্ষতি থেকে ত্বক সুরক্ষিত থাকবে। ছবি: পেক্সেলস

পেঁপে

ত্বক জেল্লাদার করতে পেঁপে খুব উপকারী। এটি স্লাইস করে কেটে খান বা জুস করে খান—সবটাতেই এই উপকার মিলবে। পেঁপেতে থাকা পাপাইন নামক এনজাইম ত্বকের মৃত কোষ ঝরাতে খুব ভালো কাজ করে। ফলে ত্বকে দীপ্তি ফুটে ওঠে এবং ত্বক অনেকটাই কোমল দেখায়। এতে ভিটামিন এ, সি এবং ই রয়েছে, যা শীতে ত্বক ফাটা ও রুক্ষতার সমস্যা দূর করতে খুব ভালো কাজ করে।

পেয়ারা

কমলালেবুর চেয়ে চার গুণ বেশি ভিটামিন সি থাকে পেয়ারায়। শীতকালে এই ফল নিয়মিত খেলে শরীরে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ে। ফলে মৌসুমি রোগবালাই থেকেও বাঁচা যায়। পাশাপাশি চোখে-মুখে ক্লান্তির ছাপ থাকলে তা-ও দূর করতে সহায়ক পেয়ারা। আর আলাদা করে ত্বকের সুফলের কথা বলতে হলে এই ঋতুতে ত্বকের জেল্লা ফেরাতে ও ত্বকের শুষ্কতা দূর করতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে পেয়ারা। এতে থাকা লাইকোপেন যৌগ ত্বকের অকালবার্ধক্য রোধ করে এবং ত্বক সূর্যের ক্ষতিকর অতি বেগুনি রশ্মি থেকে রক্ষা করে।

আনারস

ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আর ব্রোমেলিন এনজাইমে পরিপূর্ণ এই ফল সংক্রমণ থেকে ত্বক বাঁচায়। ত্বক পরিচ্ছন্ন রাখতে এবং উজ্জ্বল করে তুলতেও এর জুড়ি নেই। এ ছাড়া আনারসে থাকা ব্রোমেলিন ও আলফা হাইড্রক্সি অ্যাসিড মৃত কোষ দূর করে ত্বক নরম ও মসৃণ করে তোলে।

আনার বা ডালিম ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে। ছবি: পেক্সেলস
আনার বা ডালিম ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে। ছবি: পেক্সেলস

বেদানা

অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর এই ফল ত্বকে বার্ধক্যের ছাপ পড়তে দেয় না। এটি ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে। এতে থাকা ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বক ও চুলের জন্য উপকারী। নিয়মিত বেদানা খেলে রক্তসঞ্চালন ভালো থাকে। তাই ত্বক হয়ে ওঠে জেল্লাদার। এ ফলের হাইড্রেটিং ও প্রদাহনাশী গুণাবলি শীতের শুষ্কতা দূর করতে ভীষণ সাহায্য করে।

এসব ফল যেভাবে খাওয়া যায়

পুরো ফল চিবিয়ে বা ফলের রস খাওয়া ছাড়াও নানাভাবে প্রতিদিনের ডায়েটে এসব ফল যোগ করা যায়। যেমন সালাদে কমলার কোয়া যোগ করা যেতে পারে। এটি সালাদে মিষ্টি ও টক স্বাদ যোগ করবে। আবার কমলার খোসা দিয়ে জ্যাম বা মোরব্বা তৈরি করে সংরক্ষণ করে খাওয়া যেতে পারে। কমলার খোসার তরকারিও খাওয়া যায়। এ ছাড়া কমলা দিয়ে তৈরি করা যায় বিভিন্ন ডেজার্ট। বিকেলের নাশতায় পাকা পেঁপে খেতে পারেন। ছোট টুকরা করে কেটে গোলমরিচের গুঁড়া ও লেবু মিশিয়ে সালাদ হিসেবে খাওয়া যায় এটি। এর তরকারিও খাওয়া যায়। এটি অরুচি দূর করতে সাহায্য করবে। দুই বা তিন রকমের ফলের সঙ্গে আনারস বা আনারসের রস মিশিয়ে খেতে পারেন। এতে সালাদের স্বাদ আরও বাড়বে। বেদানা নানাভাবে খাওয়া যেতে পারে। সকালে ওটমিল, টক দইয়ের সঙ্গে তো বটেই, নানা রকম ফ্রুট সালাদ ও কাস্টার্ডেও যোগ করতে পারেন টুকটুকে লাল এই ফল।

সূত্র: স্কিনক্র‍্যাফট ও অন্যান্য

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...