Ajker Patrika

ভেনেজুয়েলায় হামলার সম্ভাব্য সব পরিকল্পনা ট্রাম্পের সামনে উপস্থাপন, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসেনি

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সামনে ভেনেজুয়েলায় সম্ভাব্য সামরিক হামলার হালনাগাদ পরিকল্পনা উপস্থাপন করেছেন দেশের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তারা। গতকাল বুধবার হোয়াইট হাউসে বৈঠকে ট্রাম্পের সামনে এই পরিকল্পনা উপস্থাপন করা হয়। বিষয়টি সম্পর্কে অবগত একাধিক সূত্র জানিয়েছে, এসব পরিকল্পনার মধ্যে স্থলভাগে আঘাত হানার মতো বিকল্পও রাখা হয়েছে।

মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিবিএস নিউজের খবরে বলা হয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যুদ্ধমন্ত্রী অর্থাৎ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ, জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের চেয়ারম্যান ড্যান কেইনসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আগামী কয়েক দিন ভেনেজুয়েলায় সামরিক অভিযানের বিষয়ে সব ধরনের বিকল্প নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টকে ব্রিফ করবেন বলে জানিয়েছে সূত্রগুলো।

তবে এখনো চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি—বলে সিবিএস নিউজকে জানিয়েছে দুটি সূত্র। হোয়াইট হাউসের মুখপাত্ররা এ ব্যাপারে তাৎক্ষণিক মন্তব্য করেননি। পেন্টাগনের এক মুখপাত্রও মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান।

সূত্রগুলোর ভাষ্য, সম্ভাব্য অভিযানের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো সহায়তা করছে। জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক তুলসী গ্যাবার্ড বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না, কারণ তিনি বিদেশ সফর থেকে দেশে ফিরছিলেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এ সময় কানাডায় জি–৭ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলনে অংশ নিচ্ছিলেন।

এরই মধ্যে এ সপ্তাহের শুরুতে ইউএসএস জেরাল্ড ফোর্ড ক্যারিয়ার স্ট্রাইক গ্রুপ যুক্তরাষ্ট্রের সাউদার্ন কমান্ডের আওতাভুক্ত অঞ্চলে প্রবেশ করেছে। ক্যারিবিয়ান ও দক্ষিণ আমেরিকায় সামরিক কার্যক্রমের প্রধান দায়িত্ব সাউদার্ন কমান্ডের। জেরাল্ড ফোর্ডকে ওই অঞ্চলে আগে থেকেই অবস্থান নেওয়া একাধিক ডেস্ট্রয়ার, যুদ্ধবিমান ও বিশেষ অভিযান বাহিনীর সঙ্গে যুক্ত করা হয়।

গত দুই মাসে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী অন্তত ২১টি নৌযানে হামলা চালিয়েছে। এসব নৌযানের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আমেরিকা থেকে যুক্তরাষ্ট্রে মাদক পরিবহনের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছিল। এ পর্যন্ত ২০টি হামলা হয়েছে, তবে অক্টোবরের শেষ দিকে চালানো একটি অভিযানে দুটো নৌকা লক্ষ্যবস্তু ছিল। এসব হামলায় অন্তত ৮০ জন সন্দেহভাজন চোরাকারবারি নিহত হয়েছে। দুজন বেঁচে যান এবং পরবর্তীতে তাঁদের নিজ নিজ দেশ ইকুয়েডর ও কলম্বিয়ায় পাঠানো হয়। ইকুয়েডরে ফেরত পাঠানো ব্যক্তিকে পরে মুক্তি দেওয়া হয়, কারণ তাঁর বিরুদ্ধে কোনো অপরাধের প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

বুধবার ইন্ডিয়ানার ফোর্ট ওয়েইনে একটি প্রতিরক্ষা সম্মেলনে হেগসেথ মাদক চোরাচালানকারীদের বিরুদ্ধে ট্রাম্প প্রশাসনের আক্রমণাত্মক অবস্থান তুলে ধরেন। হেগসেথ বলেন, ‘বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর জন্য আমার পরামর্শ খুব সহজ—নৌকায় উঠো না। যদি তুমি এমন কোনো নৌকা চালাও, যা আমেরিকানদের ক্ষতি করার জন্য মাদক বহন করছে, আর আমরা জানি তুমি কোনো মনোনীত সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সদস্য বা বিদেশি সন্ত্রাসী কিংবা চোরাচালানকারী—আমরা তোমাকে খুঁজে বের করব এবং হত্যা করব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

২৬ টুকরা আশরাফুলের ফোন ধরতেন মালয়েশিয়াফেরত বন্ধু জরেজ, বলতেন ‘ব্যস্ত আছে’

হামজা থাকলে দ্বিতীয় গোল পাওয়া কঠিন হতো, বলছেন নেপাল কোচ

শতবার অনুশীলনের পরও কেন শেষ মুহূর্তে গোল হজম করছে বাংলাদেশ

জুলাই সনদ স্বাক্ষরের বিষয়টি এখনো বিবেচনাধীন: সারোয়ার তুষার

নিজ্জার হত্যাকাণ্ডের দুই বছর পর ভারতের দিকে মুখ তুলে চাইল কানাডা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ভাষণ বিকৃতি: ট্রাম্পের কাছে ক্ষমা চাইল বিবিসি, ক্ষতিপূরণে অস্বীকৃতি

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ট্রাম্প বিবিসির বিরুদ্ধে বিলিয়ন ডলারের মানহানি মামলা করার কথা ভাবছেন বলে জানা গেছে। ছবি: সংগৃহীত
ট্রাম্প বিবিসির বিরুদ্ধে বিলিয়ন ডলারের মানহানি মামলা করার কথা ভাবছেন বলে জানা গেছে। ছবি: সংগৃহীত

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে ক্ষমা চেয়েছে। ট্রাম্পের ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারির ভাষণকে ভুলভাবে এডিট করার দায় স্বীকার করে তারা ক্ষমা চেয়ে ট্রাম্পের কাছে চিঠি পাঠিয়েছিল। তবে ট্রাম্পের মানহানির বিপরীতে ক্ষতিপূরণের দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে বিবিসি।

বিবিসি বলেছে, এই এডিটিং ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সরাসরি সহিংস কার্যক্রমের আহ্বান জানিয়েছেন—এই বিষয়ে ভুল বোঝাপড়া সৃষ্টি করেছিল।’ তারা জানিয়েছে, তারা এই ২০২৪ সালের প্রোগ্রামটি পুনরায় আর সম্প্রচার করবে না। এই দায় নিয়ে বিবিসি মহাপরিচালক টিম ডেভি এবং হেড অব নিউজ ডেবোরা টারনেস পদত্যাগ করেছেন।

এদিকে, ট্রাম্পের আইনজীবীরা হুমকি দিয়েছেন যে, বিবিসি যদি ট্রাম্পকে ১০০ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ না দেয়, ভুলের জন্য ক্ষমা না চায়—তাহলে তারা প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করবে।

বিবিসি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রকাশিত ‘কারেকশনস অ্যান্ড ক্লারিফিকেশনস’ বিভাগে জানিয়েছে, ট্রাম্পের ভাষণ কীভাবে সম্পাদিত হয়েছে তা নিয়ে সমালোচনার পর তাদের ‘প্যানোরোমা’ প্রোগ্রামটি পর্যালোচনা করা হয়েছে। বিবিসি জানিয়েছে, ‘আমরা স্বীকার করছি যে, আমাদের সম্পাদনা অনিচ্ছাকৃতভাবে এমন ধারণা সৃষ্টি করেছে যে—আমরা ভাষণের একটি একক ধারাবাহিক অংশ দেখাচ্ছি, যখন প্রকৃতপক্ষে এটি বিভিন্ন স্থানের উদ্ধৃতাংশ ছিল। এই সম্পাদনা, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সরাসরি সহিংস কার্যক্রমের আহ্বান জানিয়েছিলেন—এমন ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি করেছিল।’

বিবিসির এক মুখপাত্র বলেছে, ‘বিবিসি আইনজীবীরা রোববার প্রাপ্ত এক চিঠির জবাব প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের আইনজীবী দলকে চিঠি পাঠিয়েছেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘বিবিসির চেয়ার সামির শাহ আলাদাভাবে হোয়াইট হাউসকে একটি ব্যক্তিগত চিঠি পাঠিয়েছেন, যাতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে পরিষ্কারভাবে জানানো হয়েছে যে—তিনি এবং করপোরেশন ক্ষমা চাচ্ছে, ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারির ভাষণ সম্পাদনার জন্য।’

বিবিসির মুখপাত্র আরও বলেছেন, ‘যদিও ভিডিও ক্লিপটি যেভাবে সম্পাদনা করা হয়েছে, তা নিয়ে বিবিসি আন্তরিকভাবে দুঃখিত। কিন্তু আমরা দৃঢ়ভাবে মনে করি যে—মিথ্যা বিজ্ঞাপন বা মানহানির ভিত্তি নেই।’

এর আগে, গত রোববার বিবিসি ট্রাম্পের আইনজীবীদের চিঠি পায়। সেখানে বলা হয়, উল্লিখিত ভিডিওটির ‘সম্পূর্ণ ও সুষ্ঠু পুনঃপ্রকাশ’ করতে হবে, ক্ষমা চাইতে হবে এবং ট্রাম্পকে ‘উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ’ দিতে হবে।

বিবিসি মনে করে এই বিষয়ে কোনো মামলা হওয়া উচিত নয়। এই বিষয়ে তারা পাঁচটি যুক্তি তুলে ধরেছে। প্রথমত, বিবিসির ইউএস চ্যানেলে ‘প্যানোরোমার’ ভিডিও সম্প্রচার বা বিতরণের অধিকার ছিল না এবং তারা তা করেনি। দ্বিতীয়ত, ডকুমেন্টারি ট্রাম্পের কোনো ক্ষতি করেনি। কারণ, তিনি ভিডিও প্রকাশের পরও পুনঃনির্বাচিত হয়েছেন। তৃতীয়ত, ক্লিপটি বিভ্রান্ত করার উদ্দেশ্যে করা হয়নি, বরং দীর্ঘ ভাষণ সংক্ষিপ্ত করার জন্য করা হয়েছিল এবং সম্পাদনা শত্রুতার সঙ্গে করা হয়নি। চতুর্থত, ক্লিপটি কখনো আলাদাভাবে বিবেচিত হওয়ার উদ্দেশ্যে ছিল না। এটি ছিল এক ঘণ্টার প্রোগ্রামের ১২ সেকেন্ড, যেখানে ট্রাম্পের সমর্থনে অন্যান্য অনেক আলাপও ছিল। পঞ্চমত, জনসাধারণের বিষয় এবং রাজনৈতিক বক্তৃতার ওপর মতামত মার্কিন মানহানির আইনের অধীনে ব্যাপকভাবে সুরক্ষিত।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

২৬ টুকরা আশরাফুলের ফোন ধরতেন মালয়েশিয়াফেরত বন্ধু জরেজ, বলতেন ‘ব্যস্ত আছে’

হামজা থাকলে দ্বিতীয় গোল পাওয়া কঠিন হতো, বলছেন নেপাল কোচ

শতবার অনুশীলনের পরও কেন শেষ মুহূর্তে গোল হজম করছে বাংলাদেশ

জুলাই সনদ স্বাক্ষরের বিষয়টি এখনো বিবেচনাধীন: সারোয়ার তুষার

নিজ্জার হত্যাকাণ্ডের দুই বছর পর ভারতের দিকে মুখ তুলে চাইল কানাডা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

১২ ঘণ্টা বিমানে আটকা থাকার পর জোহানেসবার্গে অবশেষে অবতরণ ১৫৩ ফিলিস্তিনির

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১৪ নভেম্বর ২০২৫, ১২: ৪৩
জোহানেসবার্গ বিমানবন্দরে গ্লোবাল এয়ারওয়েজের একটি বিমান। ছবিটি বেশ পুরোন। ছবি: সংগৃহীত
জোহানেসবার্গ বিমানবন্দরে গ্লোবাল এয়ারওয়েজের একটি বিমান। ছবিটি বেশ পুরোন। ছবি: সংগৃহীত

দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রায় ১২ ঘণ্টা বিমানে আটকা থাকার পর ১৫৩ ফিলিস্তিনি নামার অনুমতি পেয়েছেন। দেশটির সীমান্ত ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, স্থানীয় একটি মানবিক সংস্থা যাত্রীদের থাকার ব্যবস্থা করার আশ্বাস দেওয়ার পর দক্ষিণ আফ্রিকার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাঁদের অবতরণের অনুমতি দিয়েছে। খবর আল জাজিরার

দক্ষিণ আফ্রিকার সীমান্ত ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (বিএমএ) জানিয়েছে, যাত্রীদের পাসপোর্টে সাধারণ প্রস্থান স্ট্যাম্প না থাকার কারণে তাদের প্রথমে অবতরণে বাধা দেওয়া হয়। এ ছাড়া তাঁরা দক্ষিণ আফ্রিকায় কত দিন থাকবেন বা কোথায় অবস্থান করবেন, তা জানাতে পারেননি।

বিএমএ এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘ইমিগ্রেশন পরীক্ষায় ব্যর্থ হওয়ার কারণে এবং কেউ আশ্রয় চাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ না করার কারণে প্রাথমিকভাবে তাদের দেশে প্রবেশে অস্বীকৃতি জানানো হয়েছিল।’

ফিলিস্তিনি যাত্রীদের দীর্ঘ সময় বিমানে আটকা থাকার খবর দেশটিতে ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে। দক্ষিণ আফ্রিকা ফিলিস্তিনি স্বাধীনতা আন্দোলনের দৃঢ় সমর্থক হিসেবে পরিচিত এবং গাজায় গণহত্যার জন্য ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালতে অভিযুক্ত করার ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিয়েছে।

অবশেষে স্থানীয় মানবিক সংস্থা ‘গিফট অব দ্য গিভারস’ যাত্রীদের থাকার ব্যবস্থা করার আশ্বাস দেওয়ার পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাঁদের অবতরণের অনুমতি দেয়। এর ফলে ১৩০ জন ফিলিস্তিনি দেশে প্রবেশ করেছেন এবং ২৩ জন বিমানবন্দর থেকে অন্য গন্তব্যে চলে গেছেন।

বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, বিমানটি দক্ষিণ আফ্রিকার গ্লোবাল এয়ারওয়েজ পরিচালিত একটি চার্টার্ড ফ্লাইট এবং এটি কেনিয়া থেকে দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রবেশ করেছিল। গিফট অব দ্য গিভারসের প্রতিষ্ঠাতা ইমতিয়াজ সুলিমান জানিয়েছেন, প্রথম বিমানটি ২৮ অক্টোবর জোহানেসবার্গে অবতরণ করে। তিনি আরও বলেন, ‘যাঁরা এসেছেন, দুই বছরের গণহত্যার পর তাঁদের অবস্থা সত্যিই ভাঙাচোরা।’

মানবিক সংস্থা গিফট অব দ্য গিভারসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যে কিছু ফিলিস্তিনি যাত্রীর জন্য অতিরিক্ত সহায়তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকার সমাজকর্মী নাইজেল ব্র্যাঙ্কেন জানিয়েছেন, গাজার যাত্রীরা বলেছেন ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ তাঁদের জিনিসপত্র ফেলে দিয়ে অচিহ্নিত বিমানে ওঠার নির্দেশ দিয়েছে।

তিনি বলেন, ‘খুব স্পষ্ট যে, (গাজার) মানুষদের সরাতে এবং স্থানচ্যুত করতে ইসরায়েল যে অপারেশন চালাচ্ছে, এই ঘটনায় তার স্পষ্ট ছাপ রয়েছে।’ ফিলিস্তিনিদের জন্য সহানুভূতি এবং মানবিক সহায়তার এই উদ্যোগ দক্ষিণ আফ্রিকায় ব্যাপক সমর্থন পেয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

২৬ টুকরা আশরাফুলের ফোন ধরতেন মালয়েশিয়াফেরত বন্ধু জরেজ, বলতেন ‘ব্যস্ত আছে’

হামজা থাকলে দ্বিতীয় গোল পাওয়া কঠিন হতো, বলছেন নেপাল কোচ

শতবার অনুশীলনের পরও কেন শেষ মুহূর্তে গোল হজম করছে বাংলাদেশ

জুলাই সনদ স্বাক্ষরের বিষয়টি এখনো বিবেচনাধীন: সারোয়ার তুষার

নিজ্জার হত্যাকাণ্ডের দুই বছর পর ভারতের দিকে মুখ তুলে চাইল কানাডা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

পাকিস্তানের ৩ বাহিনীর প্রধান হিসেবে আসিম মুনিরের মেয়াদ বাড়ছে আরও ৫ বছর

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১৪ নভেম্বর ২০২৫, ১১: ৫৬
পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির। ছবি: সংগৃহীত
পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির। ছবি: সংগৃহীত

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনিরকে দেশটির চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস বা প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান (সিডিএফ) হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার পর তাঁর মেয়াদ নতুন করে গণনা করা হবে। পাকিস্তান সরকার জাতীয় পরিষদে তিন বাহিনীর প্রধান নিয়োগ বিষয়ক সংবিধানের সংশোধনী বিল উত্থাপনের পরই সংখ্যাগরিষ্ঠতায় সেগুলো পাস হয়।

প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি বিতর্কিত ২৭তম সাংবিধানিক সংশোধনীতে স্বাক্ষর করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এই সংশোধনী বিলগুলো সংসদে তোলা ও পাস করা হয়। প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ পাকিস্তান আর্মি অ্যাক্ট (সংশোধনী) বিল-২০২৫, পাকিস্তান এয়ার ফোর্স (সংশোধনী) বিল-২০২৫ ও পাকিস্তান নেভি (সংশোধনী) বিল-২০২৫ জাতীয় পরিষদে উপস্থাপন করেন। এগুলো সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে পাস হয়।

আইনমন্ত্রী আজম নাজির তারার জানান, আর্মি অ্যাক্টে পরিবর্তনের মূল উদ্দেশ্য হলো চিফ অব আর্মি স্টাফ (সিওএএস) বা সেনাপ্রধানকে চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ হিসেবে মনোনীত করা এবং চেয়ারম্যান জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ কমিটি (সিজেসিএসসি) পদ বিলোপ করা। নতুন কাঠামোয় সিডিএফের মেয়াদ হবে নিয়োগের তারিখ থেকে পাঁচ বছর।

সংশোধনীতে আরও বলা হয়েছে, নতুনভাবে সিডিএফ হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার দিন থেকেই বর্তমান সেনাপ্রধানের মেয়াদ পুনরায় শুরু হবে। জেনারেল আসিম মুনির সেনাপ্রধান হিসেবে নিয়োগ পান ২০২২ সালের ২৯ নভেম্বর। তিনি পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ১৭তম সেনাপ্রধান। চলতি বছরের মে মাসে ভারতের সঙ্গে যুদ্ধের পর আসিম মুনিরকে পাঁচ তারকা জেনারেল, অর্থাৎ ফিল্ড মার্শাল পদে উন্নীত করা হয়।

এর আগে ২০২৪ সালের নভেম্বরে সরকার ছয়টি বিল পাস করে, যার মধ্যে তিনটি ছিল সেনা, বিমান ও নৌবাহিনীর প্রধানদের মেয়াদ বৃদ্ধির সঙ্গে সম্পর্কিত। বিরোধীদের ব্যাপক প্রতিবাদের মধ্যেই এই বিলগুলো পাস হয়। বিলগুলোর মূল বিষয়বস্তু ছিল, তিন বাহিনীর প্রধানদের মেয়াদ তিন বছরের বদলে পাঁচ বছর করা। জেনারেল, এয়ার চিফ মার্শাল ও অ্যাডমিরালদের জন্য নির্ধারিত অবসরের বয়সসীমা ৬৪ বছর এই তিন শীর্ষ পদে প্রযোজ্য হবে না। পুনরায় নিয়োগ বা মেয়াদ বৃদ্ধিও পাঁচ বছরের ভিত্তিতে হবে। তবে সিজেসিএসসির মেয়াদ তখনো তিন বছরই রাখা হয়।

চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা রানা সানাউল্লাহ খান বলেন, সেনাপ্রধানের মেয়াদ ২০২৭ সালে শেষ হবে এবং তখন সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে তাঁর মেয়াদ বাড়ানো হবে কি না।

তথ্যসূত্র: দ্য ডন

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

২৬ টুকরা আশরাফুলের ফোন ধরতেন মালয়েশিয়াফেরত বন্ধু জরেজ, বলতেন ‘ব্যস্ত আছে’

হামজা থাকলে দ্বিতীয় গোল পাওয়া কঠিন হতো, বলছেন নেপাল কোচ

শতবার অনুশীলনের পরও কেন শেষ মুহূর্তে গোল হজম করছে বাংলাদেশ

জুলাই সনদ স্বাক্ষরের বিষয়টি এখনো বিবেচনাধীন: সারোয়ার তুষার

নিজ্জার হত্যাকাণ্ডের দুই বছর পর ভারতের দিকে মুখ তুলে চাইল কানাডা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বিহারে বিধানসভা নির্বাচনের ভোট গণনা চলছে, এগিয়ে বিজেপির জোট

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
বিহারে বিধানসভা নির্বাচনে দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণের দিনে একটি কেন্দ্রের দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত
বিহারে বিধানসভা নির্বাচনে দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণের দিনে একটি কেন্দ্রের দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত

ভারতীয় রাজনীতির পরীক্ষাগার বলে পরিচিত বিহারের গুরুত্বপূর্ণ বিধানসভা নির্বাচনের ভোট গণনা শুরু হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে ভোট গণনা শুরু হয়। শুরুর দিকের ইঙ্গিতে দেখা যাচ্ছে, ভারতের কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি বা বিজেপির নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স (এনডিএ) কয়েকটি আসনে এগিয়ে আছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটের প্রবণতা অনুযায়ী, এনডিএ ৮০ আসনে এগিয়ে। আর বিরোধী দলগুলোর জোট মহাগাঠবন্ধন এগিয়ে ৫৫ আসনে। এই প্রতিবেদন লেখার সময়ে ডাকযোগে আসা ব্যালটের গণনা চলছিল।

মহাগাঠবন্ধনের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী ও রাষ্ট্রীয় জনতা দলের (আরজেডি) নেতা তেজস্বী যাদব রঘুপুর আসনে এগিয়ে আছেন। বিজেপির টিকিটে প্রথমবারের মতো নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা গায়িকা মৈথিলী ঠাকুর আলীনগরে এগিয়ে আছেন। সব মিলিয়ে ২৪৩টি আসনের ফল ঠিক করে দেবে জনতা দলের (ইউনাইটেড) প্রধান ও দীর্ঘসময় ধরে মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা নিতীশ কুমার তিনি কী পঞ্চমবারের মতো রেকর্ড গড়বেন নাকি সরকার পরিবর্তনের দৃশ্য দেখা যাবে।

এর আগে, দুই দফায় গত ৬ ও ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত ২৪৩ সদস্যের বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্য জুড়ে ঐতিহাসিক ৬৭.১৩ শতাংশ ভোট পড়েছে।

অধিকাংশ এক্সিট পোল এনডিএর দাপুটে জয়ের পূর্বাভাস দিয়েছে। জেডিইউও এই জোটের অংশ। তবে তেজস্বী যাদব এসব পূর্বাভাস নাকচ করে দিয়েছেন এবং দাবি করেছেন, মহাগাঠবন্ধনই ব্যাপক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গঠন করবে। তেজস্বী যাদব ছাড়াও দুই জোটের উল্লেখযোগ্য প্রার্থীদের মধ্যে আছেন দুই উপমুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধুরী ও বিজয় কুমার সিংহ, জনশক্তি জনতা দল (জেজেডি)-এর তেজ প্রতাপ এবং বিহার কংগ্রেস সভাপতি রাজেশ কুমার।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

২৬ টুকরা আশরাফুলের ফোন ধরতেন মালয়েশিয়াফেরত বন্ধু জরেজ, বলতেন ‘ব্যস্ত আছে’

হামজা থাকলে দ্বিতীয় গোল পাওয়া কঠিন হতো, বলছেন নেপাল কোচ

শতবার অনুশীলনের পরও কেন শেষ মুহূর্তে গোল হজম করছে বাংলাদেশ

জুলাই সনদ স্বাক্ষরের বিষয়টি এখনো বিবেচনাধীন: সারোয়ার তুষার

নিজ্জার হত্যাকাণ্ডের দুই বছর পর ভারতের দিকে মুখ তুলে চাইল কানাডা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত