Ajker Patrika

পাকিস্তান–বাংলাদেশ সরাসরি ফ্লাইট চালুর সম্ভাবনা ডিসেম্বরে

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৬ নভেম্বর ২০২৫, ১৯: ৪৫
পাকিস্তান–বাংলাদেশ সরাসরি ফ্লাইট চালু হতে পারে ডিসেম্বরেই। ছবি: সংগৃহীত
পাকিস্তান–বাংলাদেশ সরাসরি ফ্লাইট চালু হতে পারে ডিসেম্বরেই। ছবি: সংগৃহীত

আগামী ডিসেম্বর মাস থেকে করাচি ও ঢাকার মধ্যে মাহান এয়ারের সপ্তাহে তিনটি ফ্লাইট চালুর সম্ভাবনা রয়েছে। এমনটাই জানিয়েছেন, পাকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার ইকবাল হুসাইন খান। এই ফ্লাইট চালু দুই দেশের বাণিজ্যকে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে একটি বড় পদক্ষেপ হবে। পাশাপাশি আঞ্চলিক যোগাযোগেও নতুন গতি যোগ করবে।

পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লাহোর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিতে (এলসিসিআই) বক্তব্য দিতে গিয়ে হাইকমিশনার ইকবাল হুসাইন খান বলেন, ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করা হয়েছে। এখন এলসিসিআই এবং লাহোরে বাংলাদেশের অনারারি কনস্যুলেটের যৌথ সুপারিশে ভিসা দেওয়া হচ্ছে। তিনি জানান, সদস্যদের তিন থেকে চার দিনের মধ্যেই ভিসা দেওয়া হবে। এতে দুই দেশের মানুষের যাতায়াত আরও দ্রুত ও সহজ হবে।

বাণিজ্যের সম্ভাবনা তুলে ধরে হাইকমিশনার বলেন, পাকিস্তান বাংলাদেশে চাল রপ্তানি করতে পারে। আর বাংলাদেশ পাকিস্তানে তাজা আনারস সরবরাহ করতে পারে। তিনি টেক্সটাইল ও রেডিমেড গার্মেন্টস খাতে বিশাল বাণিজ্য সম্ভাবনার কথাও উল্লেখ করেন। তিনি আরও জানান, খুব শিগগিরই সরাসরি কার্গো সার্ভিস চালু হবে। গত ডিসেম্বর থেকে দুই দেশের মধ্যে কার্গো সেবা চালু থাকলেও বাণিজ্য বাড়ায় এখন একটি নিবেদিত সরাসরি রুটের প্রয়োজন দেখা দিয়েছে।

শিক্ষা খাতে সহযোগিতার প্রসঙ্গে হাইকমিশনার বলেন, দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করতে পারে। পাকিস্তানের হায়ার এডুকেশন কমিশন শিগগিরই বাংলাদেশে একটি প্রতিনিধি দল পাঠাবে। ১২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিরা এতে থাকবেন। তাদের লক্ষ্য হবে আরও বেশি বাংলাদেশি শিক্ষার্থীকে পাকিস্তানে পড়াশোনায় আকৃষ্ট করা। তিনি পাকিস্তানের পর্যটন খাতের সম্ভাবনা নিয়েও কথা বলেন। পাশাপাশি দুই দেশের অভিন্ন সংস্কৃতি, ইতিহাস ও মূল্যবোধের কথা তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশ ও পাকিস্তান ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত, এক সম্প্রদায়ের মতো।

সভায় বক্তব্য রাখেন এলসিসিআই সভাপতি ফাহিমুর রহমান সাইগল। তিনি পাকিস্তান ও বাংলাদেশের ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক বন্ধনের কথা স্মরণ করেন। বলেন, দুই দেশ একই উত্তরাধিকার ভাগ করে নেয়। তিনি জানান, পাকিস্তান বাংলাদেশে চাল রপ্তানি আরও বাড়াতে পারে। আর তৈরি পোশাক খাতে বাংলাদেশ থেকে পরামর্শ নিতে পারে। তিনি বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি, অটোমোবাইলসহ অন্যান্য শিল্পেও দুই দেশের সহযোগিতার সুযোগ রয়েছে।

বর্তমানে দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য প্রায় ৭০০ মিলিয়ন ডলার। আগামী কয়েক বছরে এ পরিমাণ ৩ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার সম্ভাবনা রয়েছে। সাইগল বলেন, সরাসরি ফ্লাইট চালু হলে বাণিজ্য আরও গতি পাবে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ হাই কমিশনকে এলসিসিআই পূর্ণ সহযোগিতা দেবে। হাইকমিশনারের আমন্ত্রণে তিনি জানান, খুব শিগগিরই এলসিসিআই–এর একটি প্রতিনিধি দল ঢাকা সফর করবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...