Ajker Patrika

ভারতে স্কুলভবন থেকে ৯ বছরের ছাত্রীর ঝাঁপ, পুলিশ পৌঁছার আগেই ধোয়া হলো রক্ত

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০২ নভেম্বর ২০২৫, ১৭: ৫৪
সিসিটিভি ফুটেজে শিশুটিকে রেলিং থেকে ঝাঁপ দিতে দেখা গেছে। ছবি: স্ক্রিনশট
সিসিটিভি ফুটেজে শিশুটিকে রেলিং থেকে ঝাঁপ দিতে দেখা গেছে। ছবি: স্ক্রিনশট

ভারতের রাজস্থান রাজ্যে জয়পুরের একটি বেসরকারি স্কুলে এক শিশুশিক্ষার্থীর মৃত্যু নিয়ে রহস্য দানা বেঁধেছে। গতকাল শনিবার বিকেলে চতুর্থ তলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে ৯ বছরের এক ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ বলছে, ঘটনাটি আত্মহত্যা বলে প্রাথমিকভাবে মনে হলেও, স্কুলের ভূমিকা ও পরিস্থিতি ঘিরে সন্দেহ রয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীটি রেলিং বেয়ে উপরে উঠে ঝাঁপ দিচ্ছে। ওই সময় অন্য শিক্ষার্থীরা আশপাশে স্বাভাবিকভাবে হেঁটে যাচ্ছিল। প্রায় ৪৭ ফুট ওপর থেকে পড়ে যাওয়ায় তার মৃত্যু হয়।

মনসরোবর থানার হাউস অফিসার (এসএইচও) লাখান খাতানা ভারতীয় গণমাধ্যমকে জানান, নীরজা মোদি স্কুলের চতুর্থ তলা থেকে ঝাঁপ দেওয়ার পর আমায়রা (৯) নামের ওই ছাত্রীকে দ্রুত নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

তদন্তে নেমে পুলিশ একটি চাঞ্চল্যকর বিষয় লক্ষ্য করে। কর্মকর্তারা স্কুলে পৌঁছানোর পর দেখেন, যে জায়গাটিতে মেয়েটি পড়েছিল, সেই স্থানটি পরিষ্কার করা হয়েছে, সেখানে রক্তের কোনো দৃশ্যমান দাগ ছিল না। এই বিষয়টি স্কুলের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।

মেয়ের বাবা-মা স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ‘সন্দেহজনক মৃত্যু’র অভিযোগ এনে একটি এফআইআর দায়ের করেছেন। তাঁরা শিক্ষক ও কর্মচারীদের ভূমিকা নিয়ে পূর্ণ তদন্ত দাবি করেছেন এবং প্রশ্ন তুলেছেন—স্কুলের ভেতরে এমন একটি ঘটনা কীভাবে ঘটতে পারে? আমায়রা তার বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান ছিল।

ঘটনার প্রায় ছয় ঘণ্টা পর, পরিবার থানায় এফআইআর দায়ের করে।

স্কুল কর্তৃপক্ষের নীরবতা এবং অসহযোগিতাও এই ঘটনাকে ঘিরে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। জেলা শিক্ষা অফিসার রাম নিবাস শর্মা গণমাধ্যমকে জানান, স্কুল কর্তৃপক্ষ যথাযথভাবে যোগাযোগ করেনি এবং অধ্যক্ষ ইন্দু দাভের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দিতেও রাজি হয়নি। তিনি বলেন, তারা শিক্ষা দপ্তরকে সম্পূর্ণ উপেক্ষা করেছে। অধ্যক্ষের প্রতিনিধি আমাদের ফোনকলও ধরেননি।

আরও খবর পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শিক্ষিকা থাকেন ঢাকায়, খালিয়াজুরীতে তাঁর নামে স্বাক্ষর করেন স্নাতকপড়ুয়া

জাকির নায়েক বিতর্কে ভারতের প্রতিক্রিয়ার যে জবাব দিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

নতুন যুগের ১০টি সম্ভাবনাময় পেশা

সকাল থেকে রাজধানীতে তীব্র যানজট, কারণ জানাল ডিএমপি

আজকের রাশিফল: প্রাক্তনের ফেসবুক প্রোফাইল ঘাঁটবেন না, মুরাদ টাকলার সঙ্গে দেখা হবে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সিঙ্গাপুরে ফিলিস্তিনের পক্ষে মিছিল—জেলের ভয়ে ছিলেন ৩ নারী, কিন্তু ঘটল উল্টো

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
সিঙ্গাপুরে ফিলিস্তিনপন্থী মিছিলে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন এই তিন নারী। ছবি: দ্য ইনডিপেনডেন্ট
সিঙ্গাপুরে ফিলিস্তিনপন্থী মিছিলে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন এই তিন নারী। ছবি: দ্য ইনডিপেনডেন্ট

সিঙ্গাপুরের কঠোর আইনব্যবস্থার মধ্যে এক নজিরবিহীন ঘটনার জন্ম দিয়েছেন তিন তরুণী—সিতি আমিরাহ মোহাম্মদ আসররি, কোকিলা আন্নামালাই ও মোসাম্মদ সবিকুন নাহার। ফিলিস্তিনের পক্ষে একটি শান্তিপূর্ণ মিছিল আয়োজনের অভিযোগে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল।

রোববার (২ নভেম্বর) যুক্তরাজ্যভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, দেশটির ‘পাবলিক অর্ডার অ্যাক্ট’ অনুযায়ী, অনুযায়ী তাঁরা সর্বোচ্চ ছয় মাসের কারাদণ্ড ও ১০ হাজার সিঙ্গাপুর ডলার জরিমানার মুখে পড়তে পারতেন। কিন্তু বিচারক জন এনজি সম্প্রতি তাঁদের নির্দোষ ঘোষণা করেছেন। এই রায় পুরো সিঙ্গাপুরকেই অবাক করে দিয়েছে।

এই তিন নারী ফেব্রুয়ারি ২০২৪ সালে প্রায় ৭০ জনকে নিয়ে প্রেসিডেন্টের দপ্তর অভিমুখে এক শান্তিপূর্ণ পদযাত্রা করেন। তাঁদের দাবি ছিল—ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে সিঙ্গাপুর যেন তেলআবিবের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে। গাজার চলমান যুদ্ধে হাজারো ফিলিস্তিনির মৃত্যু তাঁদের গভীরভাবে নাড়া দিয়েছিল।

এদিকে প্রসিকিউশন পক্ষ অভিযোগ তোলে, তাঁরা অনুমতি ছাড়া একটি ‘অবৈধ মিছিল’ আয়োজন করেছেন, যা প্রেসিডেন্টের ভবন ‘ইস্তানা’ এর সংরক্ষিত এলাকার পাশ দিয়ে গেছে।

কিন্তু বিচারক এনজি তাঁর রায়ে বলেছেন—রাস্তার কোথাও সংরক্ষিত এলাকার কোনো চিহ্ন ছিল না এবং প্রসিকিউশন প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে যে, অভিযুক্তরা জানতেন তাঁরা কোনো নিষিদ্ধ এলাকায় প্রবেশ করছেন। এই প্রযুক্তিগত দিকই মামলার মোড় ঘুরিয়ে দেয়।

৩৭ বছর বয়সী আন্নামালাই বলেন, ‘আমি প্রায় নিশ্চিত ছিলাম আমরা দোষী সাব্যস্ত হব। এমনকি রায় ঘোষণার পর আদালতে প্রতিবাদী বক্তব্য পড়ার প্রস্তুতিও নিয়েছিলাম।’ খালাসের ঘোষণায় আদালতকক্ষে নেমে আসে এক অপ্রত্যাশিত স্বস্তি, নিঃশব্দ উল্লাস।

২৬ বছর বয়সী সবিকুন নাহার জানান, প্রচার পাওয়া নয়, বরং নৈতিক দায়বোধ থেকেই ওই মিছিলের আয়োজন করেছিলেন তাঁরা। তিনি বলেন, ‘গাজার মানুষের যন্ত্রণা দেখে মনে হয়েছে কিছু না কিছু করা জরুরি।’

তাঁদের মতে, সিঙ্গাপুরে সাধারণ মানুষ রাজনীতি বা প্রতিবাদে অংশ নিতে ভয় পায়। তাই এই রায় সমাজে সাহস জোগাবে।

রায়ের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বহু তরুণ তাঁদের ‘আশার প্রতীক’ হিসেবে বরণ করেছেন। অনেকেই মনে করেন, এই রায় সিঙ্গাপুরে ভিন্নমত প্রকাশের সংস্কৃতিতে এক ক্ষুদ্র কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণ পরিবর্তনের সূচনা করেছে।

আন্নামালাই বলেন, ‘এই জয় শুধু তিনজনের নয়; এটা সেই সব মানুষের বিজয় যারা ভয়কে অতিক্রম করে সাহসের পক্ষে দাঁড়াতে চায়। সিস্টেম আমাদের বিরুদ্ধে হলেও, লড়াই চালিয়ে যাওয়াই আসল শক্তি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শিক্ষিকা থাকেন ঢাকায়, খালিয়াজুরীতে তাঁর নামে স্বাক্ষর করেন স্নাতকপড়ুয়া

জাকির নায়েক বিতর্কে ভারতের প্রতিক্রিয়ার যে জবাব দিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

নতুন যুগের ১০টি সম্ভাবনাময় পেশা

সকাল থেকে রাজধানীতে তীব্র যানজট, কারণ জানাল ডিএমপি

আজকের রাশিফল: প্রাক্তনের ফেসবুক প্রোফাইল ঘাঁটবেন না, মুরাদ টাকলার সঙ্গে দেখা হবে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ট্রাম্পের হুমকিতেও অটল ইরান, পারমাণবিক স্থাপনা পুনর্নির্মাণের ঘোষণা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০২ নভেম্বর ২০২৫, ১৮: ২৭
রোববার ইরানের পারমাণবিক শক্তি সংস্থা পরিদর্শন করেন প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান। ছবি: রয়টার্সের সৌজন্যে
রোববার ইরানের পারমাণবিক শক্তি সংস্থা পরিদর্শন করেন প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান। ছবি: রয়টার্সের সৌজন্যে

যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত পারমাণবিক স্থাপনাগুলো পুনর্নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছে ইরান। দেশটির প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান বলেছেন, ‘আমরা পারমাণবিক অস্ত্র চাই না, কিন্তু ধ্বংস করা ভবনগুলো আরও শক্তিশালীভাবে নির্মাণ করা হবে।’

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ রোববার দেশের পারমাণবিক শক্তি সংস্থা পরিদর্শন করেন প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান। এ সময় তিনি পারমাণবিক কর্মসূচির সঙ্গে জড়িত ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকের পর রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানান, পারমাণবিক স্থাপনাগুলো পুনর্নির্মাণ করা হবে।

প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান বলেন, ‘পারমাণবিক স্থাপনাগুলো ধ্বংস করা হলেও এটা আমাদের জন্য তেমন কোনো সমস্যা তৈরি করবে না। আমরা এগুলো আরও বেশি শক্তিশালী করে নির্মাণ করব।’

গত জুনে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে হামলা চালিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। এরপর প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দেন, তেহরান যদি সেগুলো পুনরায় চালু করার চেষ্টা করে, তবে তিনি নতুন করে আক্রমণের নির্দেশ দেবেন। তবে ট্রাম্পের হুমকির তোয়াক্কা না করে ক্ষতিগ্রস্ত পারমাণবিক স্থাপনাগুলো পুনর্নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছে তেহরান।

ইরানের পারমাণবিক কার্যক্রম সম্পর্কে প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান বলেন, ‘আমাদের এই কর্মসূচির সবটাই জনগণের সমস্যা সমাধানের জন্য। আমরা পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে চাই না।’

উল্লেখ্য, গত ১২ জুন রাতে হঠাৎ ইরানে হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এর জবাবে পরদিন থেকে পাল্টা হামলা শুরু করে ইরান। এই সংঘাতের ১০ দিনের মাথায়, অর্থাৎ গত ২২ জুন যুক্তরাষ্ট্র ইরান-ইসরায়েলে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। ট্রাম্প প্রশাসনের নির্দেশে ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায় মার্কিন বাহিনী।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শিক্ষিকা থাকেন ঢাকায়, খালিয়াজুরীতে তাঁর নামে স্বাক্ষর করেন স্নাতকপড়ুয়া

জাকির নায়েক বিতর্কে ভারতের প্রতিক্রিয়ার যে জবাব দিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

নতুন যুগের ১০টি সম্ভাবনাময় পেশা

সকাল থেকে রাজধানীতে তীব্র যানজট, কারণ জানাল ডিএমপি

আজকের রাশিফল: প্রাক্তনের ফেসবুক প্রোফাইল ঘাঁটবেন না, মুরাদ টাকলার সঙ্গে দেখা হবে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

‘লিংকনের সঙ্গে মানায় না’, তাই নতুন বাথরুম বানালেন ট্রাম্প

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০২ নভেম্বর ২০২৫, ১৮: ৫২
সাদা-কালো মার্বেল পাথরে নতুন ‘লিংকন বাথরুম’। ছবি: ট্রুথ সোশ্যাল
সাদা-কালো মার্বেল পাথরে নতুন ‘লিংকন বাথরুম’। ছবি: ট্রুথ সোশ্যাল

দ্বিতীয়বারের মতো হোয়াইট হাউসে পা রাখার পর থেকে মার্কিন প্রেসিডেন্টদের জন্য নির্ধারিত এই বাসভবনে রীতিমতো ভাঙচুর চালাচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। পূর্ব দিক ভেঙে বলরুম বানানোর পর এবার লিংকন বেডরুমে সংযুক্ত বাথরুমের নতুন রূপ দিলেন ট্রাম্প আর বললেন, আগের ডিজাইনটা লিংকনের সঙ্গে মানাচ্ছিল না।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নতুন বাথরুমের ছবি শেয়ার করে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘১৯৪০-এর দশকে আর্ট ডেকো সবুজ টাইলসে সংস্কার করা হয়েছিল এটি। এটা মোটেও লিংকন যুগের সঙ্গে মিলছিল না। তাই সাদা-কালো মার্বেল পাথরে নতুন করে সাজিয়ে দিলাম। এটাই আব্রাহাম লিংকনের সময়কালের জন্য ঠিকঠাক।’

বাথরুমটি আব্রাহাম লিংকনের অফিস ও কেবিনেট কক্ষের অংশ। ১৯৪০-এর দশকের শেষের দিকে হোয়াইট হাউসের বড় সংস্কারের সময় এটি ঠিক করেছিলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট হ্যারি ট্রুম্যান। হোয়াইট হাউস হিস্টোরিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন জানায়, লিংকনের অফিস ও বেডরুমের ওয়ালপেপার সবুজ ও সোনালি রঙের ছিল।

সাদা-কালো মার্বেল পাথরে নতুন ‘লিংকন বাথরুম’। ছবি: ট্রুথ সোশ্যাল
সাদা-কালো মার্বেল পাথরে নতুন ‘লিংকন বাথরুম’। ছবি: ট্রুথ সোশ্যাল

এখন বাথরুমের সিঙ্ক, বাথটাবের কল এবং শাওয়ার ডোরে সোনালি ফিক্সচার ও অ্যাকসেন্ট যুক্ত করা হয়েছে। সেখানে একটি ঝাড়বাতিও যুক্ত করা হয়েছে।

হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, এই সংস্কারের জন্য করদাতাদের কোনো খরচ বহন করতে হয়নি। এটি ব্যক্তিগতভাবে অর্থায়ন করা হয়েছে।

এদিকে ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে নিজের ছাপ রাখার চেষ্টা করায় সংরক্ষণ সংস্থা ও রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছেন।

আগে ট্রাম্প বলেছিলেন, ইস্ট উইংয়ে বলরুম বানানো ‘বর্তমান ভবনে প্রভাব ফেলবে না’। অক্টোবর মাসে তিনি বলেন, ‘বিদ্যমান কাঠামো’ ধ্বংস করতে হবে। বলরুম নির্মাণের পুরো খরচ তিনি ও তাঁর কিছু বন্ধু বহন করেছেন বলে দাবি করেন ট্রাম্প।

সংরক্ষণবাদীরা যুক্তি দিয়েছেন, পরিবর্তনগুলো করার আগে ট্রাম্পকে জনসমীক্ষা নেওয়া উচিত ছিল। তাঁদের মতে, এসব পরিবর্তন হোয়াইট হাউসের ঐতিহ্য শৈলীকে প্রভাবিত করবে।

ডেমোক্র্যাটরা অভিযোগ করে বলেন, ট্রাম্প সরকারের শাটডাউনের সমাধান না করে হোয়াইট হাউস পুনর্নির্মাণে বেশি মনোযোগ দিচ্ছেন।

সাদা-কালো মার্বেল পাথরে নতুন ‘লিংকন বাথরুম’। ছবি: ট্রুথ সোশ্যাল
সাদা-কালো মার্বেল পাথরে নতুন ‘লিংকন বাথরুম’। ছবি: ট্রুথ সোশ্যাল

হোয়াইট হাউস সমালোচকদের জবাবে জানিয়েছে, ‘উন্মত্ত বামপন্থীরা’ প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড জে ট্রাম্পের ব্যক্তিগতভাবে অর্থায়িত দৃষ্টিনন্দন বলরুম নিয়ে অযথা উৎকণ্ঠিত। তারা এটিকে সাহসী ও প্রয়োজনীয় সংযোজন বলে অভিহিত করেছে।

এ ছাড়া গত আগস্টে হোয়াইট হাউসের রোজ গার্ডেনের ঘাসের লনকে পাথরে ঢেকে প্যাটিওতে রূপান্তর করেছেন ট্রাম্প। অন্যদিকে ওভাল অফিসে সোনার ফ্রেমে বাঁধানো ছবি, সোনার ফ্রেমযুক্ত আয়না ও সিলিংয়ে প্রেসিডেনশিয়াল সিলের জন্য সোনার পাত যুক্ত করেছেন তিনি।

ডেমোক্রেটিক সিনেট সংখ্যালঘু নেতা চাক শুমার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, ‘ডোনাল্ড ট্রাম্প আসলে আপনার স্বাস্থ্যসেবা ঠিক করার চেয়ে তাঁর বাথরুম নিয়ে বেশি চিন্তিত।’

গতকাল শনিবার এক অনুষ্ঠানে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেন, ট্রাম্পের মনোযোগ রোজ গার্ডেনের লন পাথরে ঢেকে দেওয়ার ওপর, যাতে কাউকে কাদা না মাড়াতে হয়। তিনি ওভাল অফিস সোনায় বাঁধাই করা ও ৩০০ মিলিয়ন ডলারের বলরুম নির্মাণের মতো কাজ নিয়ে বেশি মনোযোগী।

বারাক ওবামা আরও যোগ করেন, ‘আপনারা চিকিৎসক দেখাতে না পারলে চিন্তা নেই। তাঁর (ট্রাম্প) নাচ দেখলেই সুস্থ হয়ে যাবেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শিক্ষিকা থাকেন ঢাকায়, খালিয়াজুরীতে তাঁর নামে স্বাক্ষর করেন স্নাতকপড়ুয়া

জাকির নায়েক বিতর্কে ভারতের প্রতিক্রিয়ার যে জবাব দিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

নতুন যুগের ১০টি সম্ভাবনাময় পেশা

সকাল থেকে রাজধানীতে তীব্র যানজট, কারণ জানাল ডিএমপি

আজকের রাশিফল: প্রাক্তনের ফেসবুক প্রোফাইল ঘাঁটবেন না, মুরাদ টাকলার সঙ্গে দেখা হবে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ট্রাম্পের আমন্ত্রণে সিরিয়ার প্রথম প্রেসিডেন্ট হিসেবে হোয়াইট হাউসে যাচ্ছেন আল–শারা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০২ নভেম্বর ২০২৫, ১৯: ৪২
ট্রাম্পের সঙ্গে শারা। ছবি: এএফপি
ট্রাম্পের সঙ্গে শারা। ছবি: এএফপি

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল–শারাকে হোয়াইট হাউসে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। ১০ নভেম্বর বৈঠকের জন্য যুক্তরাষ্ট্র যাবেন সিরিয়ার অন্তর্বর্তী নেতা আল–শারা। যুক্তরাষ্ট্রের সিরিয়াবিষয়ক দূত টম বারাকের বরাতে এমন খবর জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম অ্যাক্সিওস।

বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হলে ইতিহাসে এটাই হবে সিরিয়ার কোনো প্রেসিডেন্টের প্রথম যুক্তরাষ্ট্র সফর। টম বারাক অ্যাক্সিওসকে গতকাল শনিবার জানিয়েছেন, আল-শারা সফরকালে আইএসআইএল (আইসিস)-বিরোধী মার্কিন নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক জোটে যোগ দেওয়ার জন্য একটি চুক্তিতে সই করবেন।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সও সিরিয়ার এক সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে সফরটি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নথি অনুযায়ী, এর আগে সিরিয়ার কোনো প্রেসিডেন্ট কখনো আনুষ্ঠানিক সফরে ওয়াশিংটন যাননি।

গত ডিসেম্বর বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করে ক্ষমতা দখল করেন আল-শারা। এর পর থেকে তিনি বিশ্বের প্রভাবশালী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্গঠনে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। বিশেষ করে, সেসব দেশের সঙ্গে, যেসব দেশ আসাদের আমলে দামেস্ককে প্রায় সম্পূর্ণভাবে বয়কট করেছিল।

গত মে মাসে সৌদি আরবে ট্রাম্পের সঙ্গে আল-শারার বৈঠক হয়। এটাই ছিল দুই দেশের নেতাদের ২৫ বছরের মধ্যে প্রথম সাক্ষাৎ। উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদের (জিসিসি) নেতাদের সঙ্গে ট্রাম্পের বৈঠকের ফাঁকে এ সাক্ষাৎ ঘটে। বিশ্লেষকদের মতে, এটি ছিল সিরিয়ার জন্য এক বড় মোড় ঘোরানো মুহূর্ত। গত সেপ্টেম্বরে আল-শারা জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ভাষণও দেন।

বাহরাইনে অনুষ্ঠিত মানামা ডায়ালগের ফাঁকে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় মার্কিন দূত বারাক বলেন, ওয়াশিংটন চায় ২০১৪ সাল থেকে আইএসআইএলের বিরুদ্ধে লড়াই করছে যে আন্তর্জাতিক জোট, সিরিয়া সেই জোটের অন্তর্ভুক্ত হোক। এই সশস্ত্র গোষ্ঠী ২০১৪ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে সিরিয়া ও ইরাকের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ ভূখণ্ড দখলে নিয়েছিল। বারাক বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি, যেন সবাই এই জোটের অংশ হয়। এটা তাদের (সিরিয়ার) জন্য বিশাল সুযোগ।’

আল-শারা একসময় আল-কায়েদার সিরিয়ার শাখার নেতৃত্বে ছিলেন। তবে এক দশক আগে তাঁর নেতৃত্বাধীন বিদ্রোহী গোষ্ঠী ওসামা বিন লাদেনের নেটওয়ার্ক থেকে আলাদা হয়ে যায় এবং পরে আইএসআইএলের বিরুদ্ধেও লড়াই করে। সে সময় যুক্তরাষ্ট্র তাঁর মাথার দাম ঘোষণা করেছিল ১ কোটি ডলার।

আবু মোহাম্মদ আল-জোলানি নামে পরিচিত আল-শারা একসময় ইরাকে মার্কিন বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়েছিলেন। সেখানে মার্কিন সেনারা তাঁকে কয়েক বছর আটকও রেখেছিল। মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোট ও স্থানীয় মিত্ররা ২০১৯ সালে সিরিয়া থেকে আইএসআইএলকে সম্পূর্ণভাবে বিতাড়িত করে।

এদিকে সিরিয়া ও ইসরায়েলও শান্তিচুক্তি নিয়ে আলোচনা চালাচ্ছে। দামেস্ক আশা করছে, এর মাধ্যমে ইসরায়েলি বিমান হামলা বন্ধ হবে এবং দক্ষিণ সিরিয়ায় প্রবেশ করা ইসরায়েলি সেনারা সরে যাবে। মানামা ডায়ালগে বারাক বলেন, সিরিয়া ও ইসরায়েল উভয়েই উত্তেজনা প্রশমন আলোচনায় যুক্ত আছে এবং যুক্তরাষ্ট্র এই প্রক্রিয়ায় মধ্যস্থতা করছে।

বারাক জানান, দুই দেশ একটি চুক্তির কাছাকাছি পৌঁছেছে। তবে কখন সেটি সম্পন্ন হতে পারে, তা জানাতে অস্বীকৃতি জানান তিনি। ইসরায়েল ও সিরিয়া বহু দশক ধরে মধ্যপ্রাচ্যের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রাষ্ট্র। যদিও গত ডিসেম্বর আসাদ ক্ষমতাচ্যুত হয়েছেন, তবু দুই দেশের মধ্যে সীমান্তবিরোধ ও রাজনৈতিক অবিশ্বাস এখনো গভীরভাবে বিদ্যমান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শিক্ষিকা থাকেন ঢাকায়, খালিয়াজুরীতে তাঁর নামে স্বাক্ষর করেন স্নাতকপড়ুয়া

জাকির নায়েক বিতর্কে ভারতের প্রতিক্রিয়ার যে জবাব দিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

নতুন যুগের ১০টি সম্ভাবনাময় পেশা

সকাল থেকে রাজধানীতে তীব্র যানজট, কারণ জানাল ডিএমপি

আজকের রাশিফল: প্রাক্তনের ফেসবুক প্রোফাইল ঘাঁটবেন না, মুরাদ টাকলার সঙ্গে দেখা হবে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত