প্রতিনিধি

কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের সংঘাত বেড়েই চলছে। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় এমন সংঘাতে অনেকেই আতঙ্কিত, টোল খেতে পারে ভারতের সাংবিধানিক ভিত্তি। গত এক মাসে দিল্লিতে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন কেন্দ্র সরকারের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরোধ বারবার প্রকাশ্যে চলে এসেছে। গত ৭৪ বছরে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় এমনটা হয়নি বলে অভিযোগ মমতার।
আবার দিল্লির প্রতিনিধি, রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর আজই পাল্টা আক্রমণ হেনেছেন মমতার সরকারের বিরুদ্ধে। রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল বিষয়টিকে বাংলার মানুষের অপমান হিসেবেই দেখছেন। অন্যদিকে, কেন্দ্রের শাসক দল বলছে, সাংবিধানিক রীতি-নীতি লঙ্ঘন করছেন মমতা।
পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা ভোটে মমতার জয়ের পর থেকেই বিজেপি সঙ্গে তৃণমূলের সংঘাত বেড়েই চলেছে। যুযুধান দুই পক্ষের লড়াইতে সরকারি শাসনযন্ত্রকে ব্যবহার করার অভিযোগে সোচ্চার উভয় শিবিরই। সঙ্গে যুক্ত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় আঘাতেরও পারস্পরিক অভিযোগ।
মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মমতা তৃতীয়বার শপথ নেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই দিল্লি বিশেষ দল পাঠায় রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি দেখতে। তাঁদের অভিযোগ, বিজেপি কর্মীরা মার খাচ্ছেন তৃণমূলের হাতে। রাজ্যপালের বিরুদ্ধেও অতি সক্রিয়তার অভিযোগ ওঠে। এরপর সংঘাত চরমে ওঠে রাজ্যের দুই মন্ত্রী-সহ ৪ হেভিওয়েট নেতার গ্রেপ্তারে।
এ ছাড়া করোনা মোকাবিলা নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত ছিলই। এমনকি, মমতার সরকারকে ফেলে দিয়ে রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির মামলাও হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। এরই মধ্যে শুরু হয় ইয়াস ঘূর্ণিঝড়। দুর্যোগ বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শনে আসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কলকাতা থেকে প্রায় ১৪০ কিলোমিটার দূরে কলাইকুন্ডায় ভারতীয় বিমানবাহিনীর বিমানবন্দরে মমতা দেখা করেন তাঁর সঙ্গে। কিন্তু সৌজন্য সাক্ষাৎ করলেও পূর্ব নির্ধারিত বৈঠকের কথা বলে প্রধানমন্ত্রীর পর্যালোচনা বৈঠকে অংশ না নিয়ে তিনি দীঘায় চলে আসেন। শুরু হয় নতুন বিতর্ক।
পর্যালোচনা বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বা মুখ্যসচিব যোগ না দেওয়ায় ফের সংঘাতে লিপ্ত হয় কেন্দ্র ও রাজ্য। প্রধানমন্ত্রী দিল্লি ফেরার পরই বদলি করা হয় রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সাবেক সাংবাদিক ও ভারতীয় প্রশাসক আলাপনের চাকরির মেয়াদ সোমবারই শেষ হয়েছে। কিন্তু কোভিড মহামারি ও ঘূর্ণিঝড়ের কারণে রাজ্যের অনুরোধে তাঁর চাকরির মেয়াদ তিন মাস বৃদ্ধি করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু এরই মধ্যে বদলির আদেশ আসে। বলা হয়েছিল, সোমবারই দিল্লিতে যোগ দিতে। কিন্তু তিনি সেই নির্দেশ না মেনে সোমবারই চাকরি থেকে অবসর নেন। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা হিসেবে তাঁকে নিয়োগ করেন মমতা। মমতার অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গে হারের প্রতিশোধ নিচ্ছে বিজেপি।
প্রতিহিংসা পরায়ণ বিজেপির হাতে দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো আক্রান্ত। গণতন্ত্র এখন স্বৈরতন্ত্রে পরিণত হয়েছে। তাই অ-বিজেপি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, দেশের শীর্ষ নেতাদের পাশাপাশি আমলাদেরও প্রতিবাদে শামিল হওয়ার ডাক দেন মমতা। আলাপনের বদলির নির্দেশের কড়া সমালোচনা করেছেন কংগ্রেস ও বাম নেতারা। অবসরপ্রাপ্ত আমলাদের বড় অংশের অভিযোগ, সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে আলাপনকে দিল্লি বদলি করা হয়েছে।
কিন্তু লড়াই এখনো চলছে। প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে যোগ না দেওয়ায় দুর্যোগ মোকাবিলা আইনে শো-কজ করা হয়েছে আলাপনকে। সূত্রের খবর, সদ্য অবসরপ্রাপ্ত আলাপন জবাব দিচ্ছেন এই শো-কজের। তবে রাজ্যের আরেক সাবেক মুখ্যসচিব অর্ধেন্দু সেনের মতে, শো-কজের কোনো মূল্য নেই। হয়রানি ছাড়া কিছুই করতে পারবে না কেন্দ্র। আর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বলেছেন, বৈঠকের কোনো কথাই ছিল না। তিনি ও আলাপন গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে। তিন-তিনবার প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে অনুমতি নিয়েই তাঁরা দীঘার পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচিতে যান বলেও মন্তব্য করেছেন মমতা।
কেন্দ্র ও রাজ্যের বর্তমান সংঘাত অতীতের সমস্ত রেকর্ডকে ম্লান করে দিয়ে ভারতীয় যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় বড় ধরনের ফাটল ধরাতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক বিশ্বনাথ চক্রবর্তী। তাঁর মতে, পশ্চিমবঙ্গে সর্বশক্তি নিয়োগ করেও হেরে যাওয়ার ফলে গোটা দেশের বিজেপির ভাবমূর্তি ধাক্কা খেয়েছে। সামনেই উত্তর প্রদেশে নির্বাচন সেখানেও এই হারের প্রভাব পড়তে পারে। তাই মমতাকে বেকায়দায় ফেলতে মরিয়া বিজেপি, এমনটাই ধারণা বিশ্বনাথের।
এদিকে, রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর আলাপন ইস্যুতেও টুইটারে রাজ্যের সমালোচনা করেছেন। তাঁর অভিযোগ, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী থাকাতেই মুখ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে যাননি। এটা নাকি আগের দিনই মমতা তাঁকে ব্যক্তিগতভাবে জানিয়েছিলেন। আর মুখ্যমন্ত্রীর ব্যক্তিগত কথা ফাঁস করে দেওয়ায় রাজ্যপালকে বয়কটের কথা ভাবতে শুরু করেছে তৃণমূল।
গতকালই প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে অবশ্য মমতা রাজ্যপালের অপ্রয়োজনীয় অনুপস্থিতি ও স্থানীয় বিধায়কের অবাঞ্ছিত উপস্থিতি নিয়ে নিজের আপত্তি প্রকাশ করেন। শুভেন্দু তাতে পাল্টা কটাক্ষ করেছেন, তাঁর কাছে হারটা হজম করতে পারছেন না মুখ্যমন্ত্রী। এর মধ্যেই আলাপনের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে যোগ না দেওয়াকেও কটাক্ষ করেছেন রাজ্যপাল। তবে তাঁর মন্তব্যকে গুরুত্ব দিচ্ছে না তৃণমূল।
অন্যদিকে, পশ্চিমবঙ্গে ভোটে হারার পর আরও বিপর্যস্ত বিজেপি। ভোটের আগে বিজেপিতে যোগ দিলেও বহু নেতা তৃণমূলে ফিরতে চান। এদের মধ্যে সাবেক ডেপুটি স্পিকার সোনালি গুহ, সাবেক বিধায়ক ও জাতীয় ফুটবলার দিব্যেন্দু বিশ্বাসও রয়েছেন। এরই মধ্যে বেসুরো গাইতে শুরু করেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি মুকুল রায়ের ছেলে, সাবেক বিধায়ক শুভ্রাংশু রায়, সাবেক মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ও। মুকুল রায় নিজে কী করবেন তা নিয়েও রয়েছে বিস্তর জল্পনা।
তৃণমূল মুখপাত্র কুনাল ঘোষের দাবি, দলবদলুরা ছাড়াও বিজেপির বহু বিধায়ক ও জাতীয় সংসদের সদস্য তৃণমূলে যোগ দিতে চান। তাঁদের নিয়ে দল শিগগিরই সিদ্ধান্ত নেবে।
উল্লেখ্য, ৫ জুন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক করবেন। সেখানে বিষয়টি আলোচনা হবে বলে দলীয় সূত্রের খবর।
বিজেপির ভাঙনকে অবশ্য গুরুত্ব দিতে নারাজ দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর মতে, নীতি-আদর্শে না পোষালে কেউ চলে গেলে বিজেপির কিছু যায় আসে না। দলের কর্মীরাই বিজেপির সম্পদ বলেও দাবি করেন তিনি।

কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের সংঘাত বেড়েই চলছে। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় এমন সংঘাতে অনেকেই আতঙ্কিত, টোল খেতে পারে ভারতের সাংবিধানিক ভিত্তি। গত এক মাসে দিল্লিতে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন কেন্দ্র সরকারের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরোধ বারবার প্রকাশ্যে চলে এসেছে। গত ৭৪ বছরে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় এমনটা হয়নি বলে অভিযোগ মমতার।
আবার দিল্লির প্রতিনিধি, রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর আজই পাল্টা আক্রমণ হেনেছেন মমতার সরকারের বিরুদ্ধে। রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল বিষয়টিকে বাংলার মানুষের অপমান হিসেবেই দেখছেন। অন্যদিকে, কেন্দ্রের শাসক দল বলছে, সাংবিধানিক রীতি-নীতি লঙ্ঘন করছেন মমতা।
পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা ভোটে মমতার জয়ের পর থেকেই বিজেপি সঙ্গে তৃণমূলের সংঘাত বেড়েই চলেছে। যুযুধান দুই পক্ষের লড়াইতে সরকারি শাসনযন্ত্রকে ব্যবহার করার অভিযোগে সোচ্চার উভয় শিবিরই। সঙ্গে যুক্ত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় আঘাতেরও পারস্পরিক অভিযোগ।
মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মমতা তৃতীয়বার শপথ নেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই দিল্লি বিশেষ দল পাঠায় রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি দেখতে। তাঁদের অভিযোগ, বিজেপি কর্মীরা মার খাচ্ছেন তৃণমূলের হাতে। রাজ্যপালের বিরুদ্ধেও অতি সক্রিয়তার অভিযোগ ওঠে। এরপর সংঘাত চরমে ওঠে রাজ্যের দুই মন্ত্রী-সহ ৪ হেভিওয়েট নেতার গ্রেপ্তারে।
এ ছাড়া করোনা মোকাবিলা নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত ছিলই। এমনকি, মমতার সরকারকে ফেলে দিয়ে রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির মামলাও হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। এরই মধ্যে শুরু হয় ইয়াস ঘূর্ণিঝড়। দুর্যোগ বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শনে আসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কলকাতা থেকে প্রায় ১৪০ কিলোমিটার দূরে কলাইকুন্ডায় ভারতীয় বিমানবাহিনীর বিমানবন্দরে মমতা দেখা করেন তাঁর সঙ্গে। কিন্তু সৌজন্য সাক্ষাৎ করলেও পূর্ব নির্ধারিত বৈঠকের কথা বলে প্রধানমন্ত্রীর পর্যালোচনা বৈঠকে অংশ না নিয়ে তিনি দীঘায় চলে আসেন। শুরু হয় নতুন বিতর্ক।
পর্যালোচনা বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বা মুখ্যসচিব যোগ না দেওয়ায় ফের সংঘাতে লিপ্ত হয় কেন্দ্র ও রাজ্য। প্রধানমন্ত্রী দিল্লি ফেরার পরই বদলি করা হয় রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সাবেক সাংবাদিক ও ভারতীয় প্রশাসক আলাপনের চাকরির মেয়াদ সোমবারই শেষ হয়েছে। কিন্তু কোভিড মহামারি ও ঘূর্ণিঝড়ের কারণে রাজ্যের অনুরোধে তাঁর চাকরির মেয়াদ তিন মাস বৃদ্ধি করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু এরই মধ্যে বদলির আদেশ আসে। বলা হয়েছিল, সোমবারই দিল্লিতে যোগ দিতে। কিন্তু তিনি সেই নির্দেশ না মেনে সোমবারই চাকরি থেকে অবসর নেন। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা হিসেবে তাঁকে নিয়োগ করেন মমতা। মমতার অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গে হারের প্রতিশোধ নিচ্ছে বিজেপি।
প্রতিহিংসা পরায়ণ বিজেপির হাতে দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো আক্রান্ত। গণতন্ত্র এখন স্বৈরতন্ত্রে পরিণত হয়েছে। তাই অ-বিজেপি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, দেশের শীর্ষ নেতাদের পাশাপাশি আমলাদেরও প্রতিবাদে শামিল হওয়ার ডাক দেন মমতা। আলাপনের বদলির নির্দেশের কড়া সমালোচনা করেছেন কংগ্রেস ও বাম নেতারা। অবসরপ্রাপ্ত আমলাদের বড় অংশের অভিযোগ, সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে আলাপনকে দিল্লি বদলি করা হয়েছে।
কিন্তু লড়াই এখনো চলছে। প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে যোগ না দেওয়ায় দুর্যোগ মোকাবিলা আইনে শো-কজ করা হয়েছে আলাপনকে। সূত্রের খবর, সদ্য অবসরপ্রাপ্ত আলাপন জবাব দিচ্ছেন এই শো-কজের। তবে রাজ্যের আরেক সাবেক মুখ্যসচিব অর্ধেন্দু সেনের মতে, শো-কজের কোনো মূল্য নেই। হয়রানি ছাড়া কিছুই করতে পারবে না কেন্দ্র। আর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বলেছেন, বৈঠকের কোনো কথাই ছিল না। তিনি ও আলাপন গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে। তিন-তিনবার প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে অনুমতি নিয়েই তাঁরা দীঘার পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচিতে যান বলেও মন্তব্য করেছেন মমতা।
কেন্দ্র ও রাজ্যের বর্তমান সংঘাত অতীতের সমস্ত রেকর্ডকে ম্লান করে দিয়ে ভারতীয় যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় বড় ধরনের ফাটল ধরাতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক বিশ্বনাথ চক্রবর্তী। তাঁর মতে, পশ্চিমবঙ্গে সর্বশক্তি নিয়োগ করেও হেরে যাওয়ার ফলে গোটা দেশের বিজেপির ভাবমূর্তি ধাক্কা খেয়েছে। সামনেই উত্তর প্রদেশে নির্বাচন সেখানেও এই হারের প্রভাব পড়তে পারে। তাই মমতাকে বেকায়দায় ফেলতে মরিয়া বিজেপি, এমনটাই ধারণা বিশ্বনাথের।
এদিকে, রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর আলাপন ইস্যুতেও টুইটারে রাজ্যের সমালোচনা করেছেন। তাঁর অভিযোগ, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী থাকাতেই মুখ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে যাননি। এটা নাকি আগের দিনই মমতা তাঁকে ব্যক্তিগতভাবে জানিয়েছিলেন। আর মুখ্যমন্ত্রীর ব্যক্তিগত কথা ফাঁস করে দেওয়ায় রাজ্যপালকে বয়কটের কথা ভাবতে শুরু করেছে তৃণমূল।
গতকালই প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে অবশ্য মমতা রাজ্যপালের অপ্রয়োজনীয় অনুপস্থিতি ও স্থানীয় বিধায়কের অবাঞ্ছিত উপস্থিতি নিয়ে নিজের আপত্তি প্রকাশ করেন। শুভেন্দু তাতে পাল্টা কটাক্ষ করেছেন, তাঁর কাছে হারটা হজম করতে পারছেন না মুখ্যমন্ত্রী। এর মধ্যেই আলাপনের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে যোগ না দেওয়াকেও কটাক্ষ করেছেন রাজ্যপাল। তবে তাঁর মন্তব্যকে গুরুত্ব দিচ্ছে না তৃণমূল।
অন্যদিকে, পশ্চিমবঙ্গে ভোটে হারার পর আরও বিপর্যস্ত বিজেপি। ভোটের আগে বিজেপিতে যোগ দিলেও বহু নেতা তৃণমূলে ফিরতে চান। এদের মধ্যে সাবেক ডেপুটি স্পিকার সোনালি গুহ, সাবেক বিধায়ক ও জাতীয় ফুটবলার দিব্যেন্দু বিশ্বাসও রয়েছেন। এরই মধ্যে বেসুরো গাইতে শুরু করেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি মুকুল রায়ের ছেলে, সাবেক বিধায়ক শুভ্রাংশু রায়, সাবেক মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ও। মুকুল রায় নিজে কী করবেন তা নিয়েও রয়েছে বিস্তর জল্পনা।
তৃণমূল মুখপাত্র কুনাল ঘোষের দাবি, দলবদলুরা ছাড়াও বিজেপির বহু বিধায়ক ও জাতীয় সংসদের সদস্য তৃণমূলে যোগ দিতে চান। তাঁদের নিয়ে দল শিগগিরই সিদ্ধান্ত নেবে।
উল্লেখ্য, ৫ জুন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক করবেন। সেখানে বিষয়টি আলোচনা হবে বলে দলীয় সূত্রের খবর।
বিজেপির ভাঙনকে অবশ্য গুরুত্ব দিতে নারাজ দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর মতে, নীতি-আদর্শে না পোষালে কেউ চলে গেলে বিজেপির কিছু যায় আসে না। দলের কর্মীরাই বিজেপির সম্পদ বলেও দাবি করেন তিনি।

ভারতের রাজস্থান রাজ্যে জয়পুরের একটি বেসরকারি স্কুলে এক শিশুশিক্ষার্থীর মৃত্যু নিয়ে রহস্য দানা বেঁধেছে। গতকাল শনিবার বিকেলে চতুর্থ তলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে ৯ বছরের এক ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
১ মিনিট আগে
কেনিয়ার পশ্চিমাঞ্চলে ভারি বৃষ্টিপাতের পর ভূমিধসে অন্তত ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে দেশটির সরকার নিশ্চিত করেছে। গত শুক্রবার গভীর রাতে মারাকওয়েট ইস্ট এলাকায় এ ভূমিধসের ঘটনা ঘটে।
২০ মিনিট আগে
রাশিয়ার ইস্কান্দার–এম ক্ষেপণাস্ত্রে নতুন নতুন কৌশল যোগ করা হয়েছে। ফলে ইউক্রেনের আকাশ প্রতিরক্ষা এখন ভিতুর মতো হার মানছে। এমনকি দেশটিকে যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া প্যাট্রিয়ট আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও একে ধরতে পারছে না কার্যকরভাবে। এই ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকানোর ক্ষেত্রে ইউক্রেনীয় আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সাফল্য
৩৫ মিনিট আগে
সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) সম্প্রতি চীনা ড্রোনসহ নানা ধরনের অস্ত্র সুদানের বিদ্রোহী আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) কাছে সরবরাহ বাড়িয়েছে। এমনটাই দাবি করেছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। এ ছাড়া, মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছে, আরব আমিরাত আরএসএফ–কে বোমা ও হাউই
১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতের রাজস্থান রাজ্যে জয়পুরের একটি বেসরকারি স্কুলে এক শিশুশিক্ষার্থীর মৃত্যু নিয়ে রহস্য দানা বেঁধেছে। গতকাল শনিবার বিকেলে চতুর্থ তলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে ৯ বছরের এক ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ বলছে, ঘটনাটি আত্মহত্যা বলে প্রাথমিকভাবে মনে হলেও, স্কুলের ভূমিকা ও পরিস্থিতি ঘিরে সন্দেহ রয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীটি রেলিং বেয়ে উপরে উঠে ঝাঁপ দিচ্ছে। ওই সময় অন্য শিক্ষার্থীরা আশপাশে স্বাভাবিকভাবে হেঁটে যাচ্ছিল। প্রায় ৪৭ ফুট ওপর থেকে পড়ে যাওয়ায় তার মৃত্যু হয়।
মনসরোবর থানার হাউস অফিসার (এসএইচও) লাখান খাতানা ভারতীয় গণমাধ্যমকে জানান, নীরজা মোদি স্কুলের চতুর্থ তলা থেকে ঝাঁপ দেওয়ার পর আমায়রা (৯) নামের ওই ছাত্রীকে দ্রুত নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তদন্তে নেমে পুলিশ একটি চাঞ্চল্যকর বিষয় লক্ষ্য করে। কর্মকর্তারা স্কুলে পৌঁছানোর পর দেখেন, যে জায়গাটিতে মেয়েটি পড়েছিল, সেই স্থানটি পরিষ্কার করা হয়েছে, সেখানে রক্তের কোনো দৃশ্যমান দাগ ছিল না। এই বিষয়টি স্কুলের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
মেয়ের বাবা-মা স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ‘সন্দেহজনক মৃত্যু’র অভিযোগ এনে একটি এফআইআর দায়ের করেছেন। তাঁরা শিক্ষক ও কর্মচারীদের ভূমিকা নিয়ে পূর্ণ তদন্ত দাবি করেছেন এবং প্রশ্ন তুলেছেন—স্কুলের ভেতরে এমন একটি ঘটনা কীভাবে ঘটতে পারে? আমায়রা তার বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান ছিল।
ঘটনার প্রায় ছয় ঘণ্টা পর, পরিবার থানায় এফআইআর দায়ের করে।
স্কুল কর্তৃপক্ষের নীরবতা এবং অসহযোগিতাও এই ঘটনাকে ঘিরে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। জেলা শিক্ষা অফিসার রাম নিবাস শর্মা গণমাধ্যমকে জানান, স্কুল কর্তৃপক্ষ যথাযথভাবে যোগাযোগ করেনি এবং অধ্যক্ষ ইন্দু দাভের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দিতেও রাজি হয়নি। তিনি বলেন, তারা শিক্ষা দপ্তরকে সম্পূর্ণ উপেক্ষা করেছে। অধ্যক্ষের প্রতিনিধি আমাদের ফোনকলও ধরেননি।

ভারতের রাজস্থান রাজ্যে জয়পুরের একটি বেসরকারি স্কুলে এক শিশুশিক্ষার্থীর মৃত্যু নিয়ে রহস্য দানা বেঁধেছে। গতকাল শনিবার বিকেলে চতুর্থ তলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে ৯ বছরের এক ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ বলছে, ঘটনাটি আত্মহত্যা বলে প্রাথমিকভাবে মনে হলেও, স্কুলের ভূমিকা ও পরিস্থিতি ঘিরে সন্দেহ রয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীটি রেলিং বেয়ে উপরে উঠে ঝাঁপ দিচ্ছে। ওই সময় অন্য শিক্ষার্থীরা আশপাশে স্বাভাবিকভাবে হেঁটে যাচ্ছিল। প্রায় ৪৭ ফুট ওপর থেকে পড়ে যাওয়ায় তার মৃত্যু হয়।
মনসরোবর থানার হাউস অফিসার (এসএইচও) লাখান খাতানা ভারতীয় গণমাধ্যমকে জানান, নীরজা মোদি স্কুলের চতুর্থ তলা থেকে ঝাঁপ দেওয়ার পর আমায়রা (৯) নামের ওই ছাত্রীকে দ্রুত নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তদন্তে নেমে পুলিশ একটি চাঞ্চল্যকর বিষয় লক্ষ্য করে। কর্মকর্তারা স্কুলে পৌঁছানোর পর দেখেন, যে জায়গাটিতে মেয়েটি পড়েছিল, সেই স্থানটি পরিষ্কার করা হয়েছে, সেখানে রক্তের কোনো দৃশ্যমান দাগ ছিল না। এই বিষয়টি স্কুলের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
মেয়ের বাবা-মা স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ‘সন্দেহজনক মৃত্যু’র অভিযোগ এনে একটি এফআইআর দায়ের করেছেন। তাঁরা শিক্ষক ও কর্মচারীদের ভূমিকা নিয়ে পূর্ণ তদন্ত দাবি করেছেন এবং প্রশ্ন তুলেছেন—স্কুলের ভেতরে এমন একটি ঘটনা কীভাবে ঘটতে পারে? আমায়রা তার বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান ছিল।
ঘটনার প্রায় ছয় ঘণ্টা পর, পরিবার থানায় এফআইআর দায়ের করে।
স্কুল কর্তৃপক্ষের নীরবতা এবং অসহযোগিতাও এই ঘটনাকে ঘিরে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। জেলা শিক্ষা অফিসার রাম নিবাস শর্মা গণমাধ্যমকে জানান, স্কুল কর্তৃপক্ষ যথাযথভাবে যোগাযোগ করেনি এবং অধ্যক্ষ ইন্দু দাভের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দিতেও রাজি হয়নি। তিনি বলেন, তারা শিক্ষা দপ্তরকে সম্পূর্ণ উপেক্ষা করেছে। অধ্যক্ষের প্রতিনিধি আমাদের ফোনকলও ধরেননি।

পর্যালোচনা বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বা মুখ্যসচিব যোগ না দেওয়ায় ফের সংঘাতে লিপ্ত হয় কেন্দ্র ও রাজ্য। প্রধানমন্ত্রী দিল্লি ফেরার পরই বদলি করা হয় রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
০১ জুন ২০২১
কেনিয়ার পশ্চিমাঞ্চলে ভারি বৃষ্টিপাতের পর ভূমিধসে অন্তত ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে দেশটির সরকার নিশ্চিত করেছে। গত শুক্রবার গভীর রাতে মারাকওয়েট ইস্ট এলাকায় এ ভূমিধসের ঘটনা ঘটে।
২০ মিনিট আগে
রাশিয়ার ইস্কান্দার–এম ক্ষেপণাস্ত্রে নতুন নতুন কৌশল যোগ করা হয়েছে। ফলে ইউক্রেনের আকাশ প্রতিরক্ষা এখন ভিতুর মতো হার মানছে। এমনকি দেশটিকে যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া প্যাট্রিয়ট আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও একে ধরতে পারছে না কার্যকরভাবে। এই ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকানোর ক্ষেত্রে ইউক্রেনীয় আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সাফল্য
৩৫ মিনিট আগে
সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) সম্প্রতি চীনা ড্রোনসহ নানা ধরনের অস্ত্র সুদানের বিদ্রোহী আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) কাছে সরবরাহ বাড়িয়েছে। এমনটাই দাবি করেছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। এ ছাড়া, মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছে, আরব আমিরাত আরএসএফ–কে বোমা ও হাউই
১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

কেনিয়ার পশ্চিমাঞ্চলে ভারী বৃষ্টির পর ভূমিধসে অন্তত ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে দেশটির সরকার নিশ্চিত করেছে। গত শুক্রবার গভীর রাতে মারাকওয়েট ইস্ট এলাকায় এ ভূমিধসের ঘটনা ঘটে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কিপচুমবা মুরকোমেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ এক পোস্টে জানান, নিহতদের মরদেহ কাছের একটি এয়ারস্ট্রিপে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আর গুরুতর আহত ২৫ জনকে চিকিৎসার জন্য হেলিকপ্টারে করে অন্যত্র পাঠানো হয়েছে।
নিখোঁজ হিসেবে পরিবারের পক্ষ থেকে রিপোর্ট করা ৩০ জনেরও বেশি মানুষের এখনো সন্ধান মেলেনি বলে জানান তিনি।
গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় কেনিয়ার সরকার অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান সাময়িকভাবে স্থগিত করে। আজ রোববার পুনরায় অনুসন্ধান শুরুর কথা রয়েছে।
উদ্ধার তৎপরতার সমন্বয়কারী কেনিয়ান রেড ক্রস জানিয়েছে, কাদা ও আকস্মিক বন্যার কারণে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে এখনো সড়কপথে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মুরকোমেন জানান, ভুক্তভোগীদের জন্য খাদ্যসহ অন্যান্য ত্রাণসামগ্রী সরবরাহের প্রস্তুতি চলছে। সামরিক ও পুলিশ হেলিকপ্টারের মাধ্যমে এই ত্রাণসামগ্রী পরিবহনের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
কেনিয়ায় বর্তমানে বছরের দ্বিতীয় বর্ষা মৌসুম চলছে। বছরের শুরুতে দীর্ঘ ও ভারী বর্ষার তুলনায় এটি কিছু সপ্তাহের স্বল্পস্থায়ী বৃষ্টিপাতের সময়। রেড ক্রস জানিয়েছে, বুলামবুলি জেলায় নদীতীরবর্তী বেশিরভাগ গ্রামই ভয়াবহভাবে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
অন্যদিকে টানা ভারি বৃষ্টিপাতে আসতিরি ও সিপি নদী উপচে পড়েছে। যার ফলে বাড়িঘর, ফসলের ক্ষেত ও স্থানীয় অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
শুক্রবার যেসব অঞ্চলে ভূমিধস হয়েছিল এবং নদী তীরবর্তী এলাকাগুলোতে বসবাসরত মানুষদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে আহ্বান জানিয়েছে দেশটির সরকার।
এদিকে, কেনিয়া সীমান্তের কাছে উগান্ডাতেও গত বুধবার থেকে আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসে বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে।
গতকাল শনিবার উগান্ডা রেড ক্রস জানায়, দেশটির পূর্বাঞ্চলের কাপসোমো গ্রামে ভূমিধসের ঘটনায় চারজন নিহত হন।

কেনিয়ার পশ্চিমাঞ্চলে ভারী বৃষ্টির পর ভূমিধসে অন্তত ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে দেশটির সরকার নিশ্চিত করেছে। গত শুক্রবার গভীর রাতে মারাকওয়েট ইস্ট এলাকায় এ ভূমিধসের ঘটনা ঘটে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কিপচুমবা মুরকোমেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ এক পোস্টে জানান, নিহতদের মরদেহ কাছের একটি এয়ারস্ট্রিপে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আর গুরুতর আহত ২৫ জনকে চিকিৎসার জন্য হেলিকপ্টারে করে অন্যত্র পাঠানো হয়েছে।
নিখোঁজ হিসেবে পরিবারের পক্ষ থেকে রিপোর্ট করা ৩০ জনেরও বেশি মানুষের এখনো সন্ধান মেলেনি বলে জানান তিনি।
গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় কেনিয়ার সরকার অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান সাময়িকভাবে স্থগিত করে। আজ রোববার পুনরায় অনুসন্ধান শুরুর কথা রয়েছে।
উদ্ধার তৎপরতার সমন্বয়কারী কেনিয়ান রেড ক্রস জানিয়েছে, কাদা ও আকস্মিক বন্যার কারণে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে এখনো সড়কপথে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মুরকোমেন জানান, ভুক্তভোগীদের জন্য খাদ্যসহ অন্যান্য ত্রাণসামগ্রী সরবরাহের প্রস্তুতি চলছে। সামরিক ও পুলিশ হেলিকপ্টারের মাধ্যমে এই ত্রাণসামগ্রী পরিবহনের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
কেনিয়ায় বর্তমানে বছরের দ্বিতীয় বর্ষা মৌসুম চলছে। বছরের শুরুতে দীর্ঘ ও ভারী বর্ষার তুলনায় এটি কিছু সপ্তাহের স্বল্পস্থায়ী বৃষ্টিপাতের সময়। রেড ক্রস জানিয়েছে, বুলামবুলি জেলায় নদীতীরবর্তী বেশিরভাগ গ্রামই ভয়াবহভাবে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
অন্যদিকে টানা ভারি বৃষ্টিপাতে আসতিরি ও সিপি নদী উপচে পড়েছে। যার ফলে বাড়িঘর, ফসলের ক্ষেত ও স্থানীয় অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
শুক্রবার যেসব অঞ্চলে ভূমিধস হয়েছিল এবং নদী তীরবর্তী এলাকাগুলোতে বসবাসরত মানুষদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে আহ্বান জানিয়েছে দেশটির সরকার।
এদিকে, কেনিয়া সীমান্তের কাছে উগান্ডাতেও গত বুধবার থেকে আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসে বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে।
গতকাল শনিবার উগান্ডা রেড ক্রস জানায়, দেশটির পূর্বাঞ্চলের কাপসোমো গ্রামে ভূমিধসের ঘটনায় চারজন নিহত হন।

পর্যালোচনা বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বা মুখ্যসচিব যোগ না দেওয়ায় ফের সংঘাতে লিপ্ত হয় কেন্দ্র ও রাজ্য। প্রধানমন্ত্রী দিল্লি ফেরার পরই বদলি করা হয় রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
০১ জুন ২০২১
ভারতের রাজস্থান রাজ্যে জয়পুরের একটি বেসরকারি স্কুলে এক শিশুশিক্ষার্থীর মৃত্যু নিয়ে রহস্য দানা বেঁধেছে। গতকাল শনিবার বিকেলে চতুর্থ তলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে ৯ বছরের এক ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
১ মিনিট আগে
রাশিয়ার ইস্কান্দার–এম ক্ষেপণাস্ত্রে নতুন নতুন কৌশল যোগ করা হয়েছে। ফলে ইউক্রেনের আকাশ প্রতিরক্ষা এখন ভিতুর মতো হার মানছে। এমনকি দেশটিকে যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া প্যাট্রিয়ট আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও একে ধরতে পারছে না কার্যকরভাবে। এই ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকানোর ক্ষেত্রে ইউক্রেনীয় আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সাফল্য
৩৫ মিনিট আগে
সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) সম্প্রতি চীনা ড্রোনসহ নানা ধরনের অস্ত্র সুদানের বিদ্রোহী আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) কাছে সরবরাহ বাড়িয়েছে। এমনটাই দাবি করেছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। এ ছাড়া, মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছে, আরব আমিরাত আরএসএফ–কে বোমা ও হাউই
১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাশিয়ার ইস্কান্দার-এম ক্ষেপণাস্ত্রে নতুন নতুন কৌশল যোগ করা হয়েছে। ফলে ইউক্রেনের আকাশ প্রতিরক্ষা এখন ভিতুর মতো হার মানছে। এমনকি দেশটিকে যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া প্যাট্রিয়ট আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও একে ধরতে পারছে না কার্যকরভাবে। এই ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকানোর ক্ষেত্রে ইউক্রেনীয় আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থার সাফল্য মাত্র ৬ শতাংশ।
আমেরিকান কনজারভেটিভের সাংবাদিক অ্যান্ড্রু ডে কিয়েভ থেকে ফিরে জানিয়েছেন, ইউক্রেনের আকাশ প্রতিরক্ষা এতটা অনিশ্চিত যে ‘প্রায় নেই বললে চলে’। তিনি বলেছেন, রাতের আঁধারে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোনের স্রোত এলে ন্যাটো প্রদত্ত প্রতিরক্ষাব্যবস্থা কখনো চালু হয়, কখনো হয় না। এই পর্যবেক্ষণ সামরিক প্রতিবেদনের সঙ্গে মিলে যায়। সেপ্টেম্বরের পর থেকে ইউক্রেনের পশ্চিমা সরবরাহকৃত আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থার কার্যকারিতা ৩৪ শতাংশ থেকে নেমেছে প্রায় ৬ শতাংশে কিংবা তারও নিচে।
বিশেষত যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া এমআইএম-১০৪ প্যাট্রিয়ট আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা রুশ ৯কে৭২০ ইস্কান্দার-এম এবং এই জাতীয় অন্যান্য ব্যবস্থাকে ঠেকাতে গিয়ে রীতিমতো কাঁপছে। এখানে অনেক কারিগরি ও কৌশলগত কারণ কাজ করছে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফ্রন্টলাইন প্রায় এক বছর ধরে স্থবির। কিন্তু দুই পক্ষই দ্রুত কৌশল ও প্রযুক্তি বদলাচ্ছে। দুই পক্ষ একে অন্যের দুর্বলতা খুঁজে বের করে তা কাজে লাগাতে চায়। রাশিয়ার পরীক্ষা-নিরীক্ষা এখন পর্যন্ত বেশি ফল দেওয়ায় তারা সুবিধা পাচ্ছে বেশি।
উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে, ইস্কান্দার ক্ষেপণাস্ত্রের ফ্লাইট বা উড্ডয়নরত অবস্থায় এর গতিপথ বদলে দিচ্ছে রাশিয়া। সরল ব্যালিস্টিক ট্রাজেক্টরি না রেখে এখন ‘কোয়াসি-ব্যালিস্টিক’ গতিপথে এগোয় ক্ষেপণাস্ত্রগুলো। মাঝপথে ক্ষেপণাস্ত্রের গতি ধীর হয়ে যেতে পারে, দিক পরিবর্তন করতে পারে, খাড়া তীব্রভাবে নিচে নামতে পারে বা একদম শেষ পর্যায়ে এসে আচমকা ম্যানুভার করে টার্গেটের দিকে যেতে পারে।
প্যাট্রিয়ট সিস্টেম এবং অন্য পশ্চিমা সামরিক প্রতিরক্ষাব্যবস্থা মূলত কোনো টার্গেটের সম্ভাব্য ফ্লাইট অনুমান করে সেটি লক করে আক্রমণ ঠেকিয়ে দেয়। কিন্তু কোনো লক্ষ্যবস্তু গতিপথ হঠাৎ পাল্টালে প্রতিরক্ষার সফটওয়্যার ও ইন্টারসেপ্টরগুলোর জন্য তা ধরার সময় এই সিস্টেমের থাকে না। ফলে ইস্কান্দারের মতো হাই-টেক ক্ষেপণাস্ত্র এমন প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সফলভাবে লক্ষ্য ভেদ করতে ব্যর্থ হয়।

কোনো কোনো প্রতিবেদন বলছে, রুশ প্রকৌশলীরা ইস্কান্দার-এম-এ এমন রাডার-ডিকয় ডিভাইস বসিয়েছেন, যা শেষ মুহূর্তে বিচ্ছিন্ন হয়ে ভুয়া রাডার সিগন্যাল ফেরত দেওয়ার পরিস্থিতি তৈরি করে। এতে ভূমিতে থাকা আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থার রাডার ও ট্র্যাকিং সফটওয়্যার বিভ্রান্ত হয়। ইন্টারসেপ্টর ভুয়া সংকেতের দিকে রকেট/ক্ষেপণাস্ত্র পাঠালে বিপক্ষের মূল ক্ষেপণাস্ত্র সহজে লক্ষ্যে পৌঁছে যায়।
আরও এক সমস্যা হলো, ইস্কান্দারের একেবারে শেষ মুহূর্তে এসে হঠাৎ নিচে দ্রুতগতিতে নামতে থাকার বা ম্যানুভার করার কৌশল। এই আচরণ প্যাট্রিয়ট ব্যাটারির রাডার আর সেন্সরগুলোর ফাঁকফোকরকে কাজে লাগায়। ফলে প্রথমবার শনাক্তকরণের পর থেকে প্রতিক্রিয়া জানানোর সময়; অর্থাৎ টার্গেট ক্ষেপণাস্ত্রের দিকে রকেট পাঠানোর সময় এত কম হয়ে পড়ে যে সফলভাবে আগত ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকানো প্রায় অসম্ভব হয়ে ওঠে।
প্রযুক্তিগত বিষয়ের বাইরে রয়েছে পরিমাণগত হিসাব। রাশিয়া ক্রমাগত ইস্কান্দার ও অনুরূপ ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করে চলেছে। অপর দিকে ইউক্রেন নির্ভরশীল পশ্চিমা, বিশেষত মার্কিন ও ইউরোপের ওপর, যাদের মজুত সীমিত। প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র ব্যাটারি ও ইন্টারসেপ্টর সীমিত পরিমাণে দেওয়া হচ্ছে কিয়েভকে।
রাশিয়া এই অবস্থাকে কাজে লাগিয়ে ইউক্রেনে আক্রমণের কৌশল বুঝে নিয়েছে। তারা একবারে বহু ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ছুড়লে ইউক্রেনের সীমিত প্রতিরক্ষা বেশির ভাগই আটকাতে পারে না। অতিরিক্ত নতুন কোয়াজি-ব্যালিস্টিক পন্থা ও ডিকয় যোগ হলে সমস্যা আরও বাড়ে। ফলত ইউক্রেনের আকাশ প্রতিরক্ষা ধীরে ধীরে ভেঙে পড়ছে।
প্যাট্রিয়ট আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা দিয়ে তাত্ত্বিকভাবে এখনো কিছু ব্যালিস্টিক লক্ষ্যবস্তু ঠেকানো সম্ভব। কিন্তু রাশিয়ার কৌশল-উন্নয়ন প্রতিরক্ষাব্যবস্থার কার্যকারিতা কমিয়ে দিচ্ছে। ইউক্রেন ও তার মিত্রদের প্রয়োজন আরও ব্যাটারি, আরও ইন্টারসেপ্টর, ভালো রাডার কাভারেজ এবং প্যাট্রিয়ট সিস্টেমের সফটওয়্যার-হার্ডওয়্যার আপগ্রেড।
দুর্ভাগ্যবশত, এসব সহজে মিলছে না। পশ্চিমা প্রতিরক্ষা শিল্পশক্তি এখন এত দুর্বল ও ধীর যে প্রয়োজনীয় সরবরাহ দ্রুত করা যাচ্ছে না। অনেক বিশ্লেষক বলছে—মূল্য, সরবরাহ এবং শিল্পক্ষমতার সীমাবদ্ধতা ইউক্রেনকে কেড়ে নিচ্ছে সময় ও সুযোগ। এই প্রেক্ষাপটে কিয়েভ আমেরিকান টমাহক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র চাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের টমাহক পেলে ইউক্রেন দূর থেকে রাশিয়ার ভেতরের টার্গেটে আঘাতের চেষ্টা করবে, যাতে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রতিশোধ সম্ভব হয়।
তবে এই কৌশলও সমস্যা পুরোপুরি মিটিয়ে দেবে কি না, সন্দেহ আছে। রাশিয়ার সামরিক ও অর্থনৈতিক প্রাকৃতিক সুবিধা এবং তাদের সামরিক প্রকৌশল ইউক্রেনের এবং পশ্চিমাদের সীমিত সম্পদকে দ্রুত নির্জীব করে দিচ্ছে। রাশিয়ার এই পরিবর্তনগুলো তুলনামূলক কম ব্যয়বহুল। কিন্তু এগুলো প্রতিহত করতে ইউক্রেনকে বড় বিনিয়োগ, সময় ও সরবরাহ দরকার, যা মিটছে না।
ফলে সামগ্রিক ব্যাখ্যাটি পরিষ্কার—রাশিয়ার ইস্কান্দার-সংক্রান্ত নতুন উদ্ভাবন ও কৌশল ইউক্রেনের আকাশ প্রতিরক্ষা কার্যকারিতা তীব্রভাবে কমিয়ে দিচ্ছে। সংখ্যাগত অসাম্য, রাডার বিভ্রান্তি, কোয়াসি-ব্যালিস্টিক ম্যানুভার ও পশ্চিমা অস্ত্রশিল্পের সীমাবদ্ধতা—সব মিলিয়ে প্যাট্রিয়ট সিস্টেম এখন যুদ্ধক্ষেত্রে অনেক ক্ষেত্রে নিঃশব্দ দর্শকের মতো।
সূত্র: দ্য ন্যাশনাল ইন্টারেস্ট

রাশিয়ার ইস্কান্দার-এম ক্ষেপণাস্ত্রে নতুন নতুন কৌশল যোগ করা হয়েছে। ফলে ইউক্রেনের আকাশ প্রতিরক্ষা এখন ভিতুর মতো হার মানছে। এমনকি দেশটিকে যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া প্যাট্রিয়ট আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও একে ধরতে পারছে না কার্যকরভাবে। এই ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকানোর ক্ষেত্রে ইউক্রেনীয় আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থার সাফল্য মাত্র ৬ শতাংশ।
আমেরিকান কনজারভেটিভের সাংবাদিক অ্যান্ড্রু ডে কিয়েভ থেকে ফিরে জানিয়েছেন, ইউক্রেনের আকাশ প্রতিরক্ষা এতটা অনিশ্চিত যে ‘প্রায় নেই বললে চলে’। তিনি বলেছেন, রাতের আঁধারে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোনের স্রোত এলে ন্যাটো প্রদত্ত প্রতিরক্ষাব্যবস্থা কখনো চালু হয়, কখনো হয় না। এই পর্যবেক্ষণ সামরিক প্রতিবেদনের সঙ্গে মিলে যায়। সেপ্টেম্বরের পর থেকে ইউক্রেনের পশ্চিমা সরবরাহকৃত আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থার কার্যকারিতা ৩৪ শতাংশ থেকে নেমেছে প্রায় ৬ শতাংশে কিংবা তারও নিচে।
বিশেষত যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া এমআইএম-১০৪ প্যাট্রিয়ট আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা রুশ ৯কে৭২০ ইস্কান্দার-এম এবং এই জাতীয় অন্যান্য ব্যবস্থাকে ঠেকাতে গিয়ে রীতিমতো কাঁপছে। এখানে অনেক কারিগরি ও কৌশলগত কারণ কাজ করছে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফ্রন্টলাইন প্রায় এক বছর ধরে স্থবির। কিন্তু দুই পক্ষই দ্রুত কৌশল ও প্রযুক্তি বদলাচ্ছে। দুই পক্ষ একে অন্যের দুর্বলতা খুঁজে বের করে তা কাজে লাগাতে চায়। রাশিয়ার পরীক্ষা-নিরীক্ষা এখন পর্যন্ত বেশি ফল দেওয়ায় তারা সুবিধা পাচ্ছে বেশি।
উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে, ইস্কান্দার ক্ষেপণাস্ত্রের ফ্লাইট বা উড্ডয়নরত অবস্থায় এর গতিপথ বদলে দিচ্ছে রাশিয়া। সরল ব্যালিস্টিক ট্রাজেক্টরি না রেখে এখন ‘কোয়াসি-ব্যালিস্টিক’ গতিপথে এগোয় ক্ষেপণাস্ত্রগুলো। মাঝপথে ক্ষেপণাস্ত্রের গতি ধীর হয়ে যেতে পারে, দিক পরিবর্তন করতে পারে, খাড়া তীব্রভাবে নিচে নামতে পারে বা একদম শেষ পর্যায়ে এসে আচমকা ম্যানুভার করে টার্গেটের দিকে যেতে পারে।
প্যাট্রিয়ট সিস্টেম এবং অন্য পশ্চিমা সামরিক প্রতিরক্ষাব্যবস্থা মূলত কোনো টার্গেটের সম্ভাব্য ফ্লাইট অনুমান করে সেটি লক করে আক্রমণ ঠেকিয়ে দেয়। কিন্তু কোনো লক্ষ্যবস্তু গতিপথ হঠাৎ পাল্টালে প্রতিরক্ষার সফটওয়্যার ও ইন্টারসেপ্টরগুলোর জন্য তা ধরার সময় এই সিস্টেমের থাকে না। ফলে ইস্কান্দারের মতো হাই-টেক ক্ষেপণাস্ত্র এমন প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সফলভাবে লক্ষ্য ভেদ করতে ব্যর্থ হয়।

কোনো কোনো প্রতিবেদন বলছে, রুশ প্রকৌশলীরা ইস্কান্দার-এম-এ এমন রাডার-ডিকয় ডিভাইস বসিয়েছেন, যা শেষ মুহূর্তে বিচ্ছিন্ন হয়ে ভুয়া রাডার সিগন্যাল ফেরত দেওয়ার পরিস্থিতি তৈরি করে। এতে ভূমিতে থাকা আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থার রাডার ও ট্র্যাকিং সফটওয়্যার বিভ্রান্ত হয়। ইন্টারসেপ্টর ভুয়া সংকেতের দিকে রকেট/ক্ষেপণাস্ত্র পাঠালে বিপক্ষের মূল ক্ষেপণাস্ত্র সহজে লক্ষ্যে পৌঁছে যায়।
আরও এক সমস্যা হলো, ইস্কান্দারের একেবারে শেষ মুহূর্তে এসে হঠাৎ নিচে দ্রুতগতিতে নামতে থাকার বা ম্যানুভার করার কৌশল। এই আচরণ প্যাট্রিয়ট ব্যাটারির রাডার আর সেন্সরগুলোর ফাঁকফোকরকে কাজে লাগায়। ফলে প্রথমবার শনাক্তকরণের পর থেকে প্রতিক্রিয়া জানানোর সময়; অর্থাৎ টার্গেট ক্ষেপণাস্ত্রের দিকে রকেট পাঠানোর সময় এত কম হয়ে পড়ে যে সফলভাবে আগত ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকানো প্রায় অসম্ভব হয়ে ওঠে।
প্রযুক্তিগত বিষয়ের বাইরে রয়েছে পরিমাণগত হিসাব। রাশিয়া ক্রমাগত ইস্কান্দার ও অনুরূপ ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করে চলেছে। অপর দিকে ইউক্রেন নির্ভরশীল পশ্চিমা, বিশেষত মার্কিন ও ইউরোপের ওপর, যাদের মজুত সীমিত। প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র ব্যাটারি ও ইন্টারসেপ্টর সীমিত পরিমাণে দেওয়া হচ্ছে কিয়েভকে।
রাশিয়া এই অবস্থাকে কাজে লাগিয়ে ইউক্রেনে আক্রমণের কৌশল বুঝে নিয়েছে। তারা একবারে বহু ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ছুড়লে ইউক্রেনের সীমিত প্রতিরক্ষা বেশির ভাগই আটকাতে পারে না। অতিরিক্ত নতুন কোয়াজি-ব্যালিস্টিক পন্থা ও ডিকয় যোগ হলে সমস্যা আরও বাড়ে। ফলত ইউক্রেনের আকাশ প্রতিরক্ষা ধীরে ধীরে ভেঙে পড়ছে।
প্যাট্রিয়ট আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা দিয়ে তাত্ত্বিকভাবে এখনো কিছু ব্যালিস্টিক লক্ষ্যবস্তু ঠেকানো সম্ভব। কিন্তু রাশিয়ার কৌশল-উন্নয়ন প্রতিরক্ষাব্যবস্থার কার্যকারিতা কমিয়ে দিচ্ছে। ইউক্রেন ও তার মিত্রদের প্রয়োজন আরও ব্যাটারি, আরও ইন্টারসেপ্টর, ভালো রাডার কাভারেজ এবং প্যাট্রিয়ট সিস্টেমের সফটওয়্যার-হার্ডওয়্যার আপগ্রেড।
দুর্ভাগ্যবশত, এসব সহজে মিলছে না। পশ্চিমা প্রতিরক্ষা শিল্পশক্তি এখন এত দুর্বল ও ধীর যে প্রয়োজনীয় সরবরাহ দ্রুত করা যাচ্ছে না। অনেক বিশ্লেষক বলছে—মূল্য, সরবরাহ এবং শিল্পক্ষমতার সীমাবদ্ধতা ইউক্রেনকে কেড়ে নিচ্ছে সময় ও সুযোগ। এই প্রেক্ষাপটে কিয়েভ আমেরিকান টমাহক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র চাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের টমাহক পেলে ইউক্রেন দূর থেকে রাশিয়ার ভেতরের টার্গেটে আঘাতের চেষ্টা করবে, যাতে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রতিশোধ সম্ভব হয়।
তবে এই কৌশলও সমস্যা পুরোপুরি মিটিয়ে দেবে কি না, সন্দেহ আছে। রাশিয়ার সামরিক ও অর্থনৈতিক প্রাকৃতিক সুবিধা এবং তাদের সামরিক প্রকৌশল ইউক্রেনের এবং পশ্চিমাদের সীমিত সম্পদকে দ্রুত নির্জীব করে দিচ্ছে। রাশিয়ার এই পরিবর্তনগুলো তুলনামূলক কম ব্যয়বহুল। কিন্তু এগুলো প্রতিহত করতে ইউক্রেনকে বড় বিনিয়োগ, সময় ও সরবরাহ দরকার, যা মিটছে না।
ফলে সামগ্রিক ব্যাখ্যাটি পরিষ্কার—রাশিয়ার ইস্কান্দার-সংক্রান্ত নতুন উদ্ভাবন ও কৌশল ইউক্রেনের আকাশ প্রতিরক্ষা কার্যকারিতা তীব্রভাবে কমিয়ে দিচ্ছে। সংখ্যাগত অসাম্য, রাডার বিভ্রান্তি, কোয়াসি-ব্যালিস্টিক ম্যানুভার ও পশ্চিমা অস্ত্রশিল্পের সীমাবদ্ধতা—সব মিলিয়ে প্যাট্রিয়ট সিস্টেম এখন যুদ্ধক্ষেত্রে অনেক ক্ষেত্রে নিঃশব্দ দর্শকের মতো।
সূত্র: দ্য ন্যাশনাল ইন্টারেস্ট

পর্যালোচনা বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বা মুখ্যসচিব যোগ না দেওয়ায় ফের সংঘাতে লিপ্ত হয় কেন্দ্র ও রাজ্য। প্রধানমন্ত্রী দিল্লি ফেরার পরই বদলি করা হয় রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
০১ জুন ২০২১
ভারতের রাজস্থান রাজ্যে জয়পুরের একটি বেসরকারি স্কুলে এক শিশুশিক্ষার্থীর মৃত্যু নিয়ে রহস্য দানা বেঁধেছে। গতকাল শনিবার বিকেলে চতুর্থ তলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে ৯ বছরের এক ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
১ মিনিট আগে
কেনিয়ার পশ্চিমাঞ্চলে ভারি বৃষ্টিপাতের পর ভূমিধসে অন্তত ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে দেশটির সরকার নিশ্চিত করেছে। গত শুক্রবার গভীর রাতে মারাকওয়েট ইস্ট এলাকায় এ ভূমিধসের ঘটনা ঘটে।
২০ মিনিট আগে
সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) সম্প্রতি চীনা ড্রোনসহ নানা ধরনের অস্ত্র সুদানের বিদ্রোহী আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) কাছে সরবরাহ বাড়িয়েছে। এমনটাই দাবি করেছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। এ ছাড়া, মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছে, আরব আমিরাত আরএসএফ–কে বোমা ও হাউই
১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) সম্প্রতি চীনা ড্রোনসহ নানা ধরনের অস্ত্র সুদানের বিদ্রোহী আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) কাছে সরবরাহ বাড়িয়েছে। এমনটাই দাবি করেছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। এ ছাড়া, মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছে, আরব আমিরাত আরএসএফ–কে বোমা ও হাউইটজার পাঠাচ্ছে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগনের গোয়েন্দা বিভাগ এবং পররাষ্ট্র দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা চলতি বছর অক্টোবর পর্যন্ত এই অস্ত্র সরবরাহ বৃদ্ধির তথ্য পেয়েছে। এই অস্ত্রগুলো সেই বিদ্রোহী গোষ্ঠীর হাতে যাচ্ছে, যাদের বিরুদ্ধে দারফুরে গণহত্যার অভিযোগ রয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সরবরাহকৃত অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে আরব আমিরাতের অর্থায়নে কেনা উন্নত মানের চীনা তৈরি ড্রোন, হালকা অস্ত্র, ভারী মেশিনগান, যানবাহন, কামান, মর্টার এবং গোলাবারুদ। আরএসএফের প্রতি আরব আমিরাতের সমর্থনের বিষয়টি আগেও বহুবার প্রমাণিত হয়েছে। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এই তথ্যের অনেকটাই লন্ডন থেকে প্রকাশিত মধ্যপ্রাচ্যকেন্দ্রিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট আই-এর আগের প্রতিবেদনগুলোর সঙ্গে মিলে গেছে।
মিডল ইস্ট আই ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে জানিয়েছিল, আরব আমিরাত এক জটিল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে লিবিয়া, চাদ, উগান্ডা এবং সোমালিয়ার বিচ্ছিন্ন অঞ্চল হয়ে আরএসএফের কাছে অস্ত্র পাঠাচ্ছে। এ ছাড়া, গত মে মাসে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জানায়, আরব আমিরাত চীনের তৈরি জিবি–৫০এ গাইডেড বোমা এবং ১৫৫ মিলিমিটার এইচ-৪ হাউইটজার কামান দারফুরে পাঠাচ্ছে। ওই অঞ্চলে আরএসএফ সে সময় অনেকগুলো শহর অবরোধ করে রেখেছিল।
গত সপ্তাহে আরএসএফ উত্তর দারফুরের শহর এল-ফাশেরে হামলা চালায়। পরে তারা সেখানকার বেসামরিক মানুষদের হত্যার ভিডিও প্রকাশ করে। আরএসএফের এই অভিযানের খবর প্রকাশিত হয় যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় শুরু হওয়া শান্তি আলোচনার ভেঙে যাওয়ার পরপরই।
গত সপ্তাহে আরএসএফ উত্তর দারফুরের শহর এল-ফাশেরে হামলা চালায়। পরে তারা সেখানকার বেসামরিক মানুষদের হত্যার ভিডিও প্রকাশ করে। আরএসএফের এই অভিযানের খবর প্রকাশিত হয় যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় শুরু হওয়া শান্তি আলোচনার ভেঙে যাওয়ার পরপরই।
মিডল ইস্ট আইকে একটি সূত্র জানিয়েছে, আরএসএফের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ইউএই এল-ফাশেরের অবরোধ নিয়ে কোনো অবস্থান নেয়নি। শহরটি ৫০০ দিনেরও বেশি সময় ধরে অবরুদ্ধ। আলোচনা গত শুক্রবার ভেঙে পড়ে। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্চের পর আরব আমিরাতের অস্ত্র সহায়তা আরও বাড়ে। তখন ইরান, তুরস্ক ও মিসরের সমর্থনে সুদানি সেনাবাহিনী রাজধানী খার্তুমের পুরো নিয়ন্ত্রণ পুনরায় নেয়।
সংবাদমাধ্যমটি জানায় মে মাসে জানায়, আরএসএফ আরব আমিরাতের কাছ থেকে চীনা ড্রোন ব্যবহার করে সরকার-নিয়ন্ত্রিত বন্দরনগরী পোর্ট সুদানে হামলা চালায়। এতে তুর্কি সেনা বিশেষজ্ঞ দলের কয়েকজন আহত হন। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের তথ্যানুসারে, এখন আরব আমিরাত আরএসএফকে চীনা সরকারি ঠিকাদার ‘চায়না অ্যারোস্পেস সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি করপোরেশন’-এর তৈরি ‘রেইনবো সিরিজ’ ড্রোন সরবরাহ করছে। এর মধ্যে ‘সিএইচ-৯৫’ মডেলের ড্রোন ২৪ ঘণ্টা টানা উড়তে পারে এবং সুনির্দিষ্ট হামলা চালাতে সক্ষম। এটি দূরপাল্লার নজরদারি ও বিমান হামলার জন্য ব্যবহারযোগ্য।
খার্তুমে পরাজয়ের পর আরএসএফ আবার দারফুর অঞ্চলে আক্রমণ শুরু করে। এই অঞ্চলেই আরএসএফের উত্থান—তাদের পূর্বসূরি ছিল ঘোড়সওয়ার ‘জানজাওয়িদ’ মিলিশিয়া। এই বাহিনী ওমর আল বশিরের সরকারের পক্ষে অনারবদের ওপর হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল।
আরএসএফ নেতা মোহাম্মদ হামদান দাগালো, যিনি ‘হেমেদতি’ নামে পরিচিত, আরব আমিরাতের ঘনিষ্ঠ মিত্র। তাঁর ব্যবসায়িক সাম্রাজ্যের কেন্দ্র দুবাইয়ে। হেমেদতি ও তাঁর পরিবার দারফুরের স্বর্ণখনি থেকে উত্তোলিত বিপুল পরিমাণ স্বর্ণ আরব আমিরাত হয়ে পাচার করেছে।

সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) সম্প্রতি চীনা ড্রোনসহ নানা ধরনের অস্ত্র সুদানের বিদ্রোহী আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) কাছে সরবরাহ বাড়িয়েছে। এমনটাই দাবি করেছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। এ ছাড়া, মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছে, আরব আমিরাত আরএসএফ–কে বোমা ও হাউইটজার পাঠাচ্ছে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগনের গোয়েন্দা বিভাগ এবং পররাষ্ট্র দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা চলতি বছর অক্টোবর পর্যন্ত এই অস্ত্র সরবরাহ বৃদ্ধির তথ্য পেয়েছে। এই অস্ত্রগুলো সেই বিদ্রোহী গোষ্ঠীর হাতে যাচ্ছে, যাদের বিরুদ্ধে দারফুরে গণহত্যার অভিযোগ রয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সরবরাহকৃত অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে আরব আমিরাতের অর্থায়নে কেনা উন্নত মানের চীনা তৈরি ড্রোন, হালকা অস্ত্র, ভারী মেশিনগান, যানবাহন, কামান, মর্টার এবং গোলাবারুদ। আরএসএফের প্রতি আরব আমিরাতের সমর্থনের বিষয়টি আগেও বহুবার প্রমাণিত হয়েছে। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এই তথ্যের অনেকটাই লন্ডন থেকে প্রকাশিত মধ্যপ্রাচ্যকেন্দ্রিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট আই-এর আগের প্রতিবেদনগুলোর সঙ্গে মিলে গেছে।
মিডল ইস্ট আই ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে জানিয়েছিল, আরব আমিরাত এক জটিল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে লিবিয়া, চাদ, উগান্ডা এবং সোমালিয়ার বিচ্ছিন্ন অঞ্চল হয়ে আরএসএফের কাছে অস্ত্র পাঠাচ্ছে। এ ছাড়া, গত মে মাসে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জানায়, আরব আমিরাত চীনের তৈরি জিবি–৫০এ গাইডেড বোমা এবং ১৫৫ মিলিমিটার এইচ-৪ হাউইটজার কামান দারফুরে পাঠাচ্ছে। ওই অঞ্চলে আরএসএফ সে সময় অনেকগুলো শহর অবরোধ করে রেখেছিল।
গত সপ্তাহে আরএসএফ উত্তর দারফুরের শহর এল-ফাশেরে হামলা চালায়। পরে তারা সেখানকার বেসামরিক মানুষদের হত্যার ভিডিও প্রকাশ করে। আরএসএফের এই অভিযানের খবর প্রকাশিত হয় যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় শুরু হওয়া শান্তি আলোচনার ভেঙে যাওয়ার পরপরই।
গত সপ্তাহে আরএসএফ উত্তর দারফুরের শহর এল-ফাশেরে হামলা চালায়। পরে তারা সেখানকার বেসামরিক মানুষদের হত্যার ভিডিও প্রকাশ করে। আরএসএফের এই অভিযানের খবর প্রকাশিত হয় যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় শুরু হওয়া শান্তি আলোচনার ভেঙে যাওয়ার পরপরই।
মিডল ইস্ট আইকে একটি সূত্র জানিয়েছে, আরএসএফের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ইউএই এল-ফাশেরের অবরোধ নিয়ে কোনো অবস্থান নেয়নি। শহরটি ৫০০ দিনেরও বেশি সময় ধরে অবরুদ্ধ। আলোচনা গত শুক্রবার ভেঙে পড়ে। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্চের পর আরব আমিরাতের অস্ত্র সহায়তা আরও বাড়ে। তখন ইরান, তুরস্ক ও মিসরের সমর্থনে সুদানি সেনাবাহিনী রাজধানী খার্তুমের পুরো নিয়ন্ত্রণ পুনরায় নেয়।
সংবাদমাধ্যমটি জানায় মে মাসে জানায়, আরএসএফ আরব আমিরাতের কাছ থেকে চীনা ড্রোন ব্যবহার করে সরকার-নিয়ন্ত্রিত বন্দরনগরী পোর্ট সুদানে হামলা চালায়। এতে তুর্কি সেনা বিশেষজ্ঞ দলের কয়েকজন আহত হন। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের তথ্যানুসারে, এখন আরব আমিরাত আরএসএফকে চীনা সরকারি ঠিকাদার ‘চায়না অ্যারোস্পেস সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি করপোরেশন’-এর তৈরি ‘রেইনবো সিরিজ’ ড্রোন সরবরাহ করছে। এর মধ্যে ‘সিএইচ-৯৫’ মডেলের ড্রোন ২৪ ঘণ্টা টানা উড়তে পারে এবং সুনির্দিষ্ট হামলা চালাতে সক্ষম। এটি দূরপাল্লার নজরদারি ও বিমান হামলার জন্য ব্যবহারযোগ্য।
খার্তুমে পরাজয়ের পর আরএসএফ আবার দারফুর অঞ্চলে আক্রমণ শুরু করে। এই অঞ্চলেই আরএসএফের উত্থান—তাদের পূর্বসূরি ছিল ঘোড়সওয়ার ‘জানজাওয়িদ’ মিলিশিয়া। এই বাহিনী ওমর আল বশিরের সরকারের পক্ষে অনারবদের ওপর হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল।
আরএসএফ নেতা মোহাম্মদ হামদান দাগালো, যিনি ‘হেমেদতি’ নামে পরিচিত, আরব আমিরাতের ঘনিষ্ঠ মিত্র। তাঁর ব্যবসায়িক সাম্রাজ্যের কেন্দ্র দুবাইয়ে। হেমেদতি ও তাঁর পরিবার দারফুরের স্বর্ণখনি থেকে উত্তোলিত বিপুল পরিমাণ স্বর্ণ আরব আমিরাত হয়ে পাচার করেছে।

পর্যালোচনা বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বা মুখ্যসচিব যোগ না দেওয়ায় ফের সংঘাতে লিপ্ত হয় কেন্দ্র ও রাজ্য। প্রধানমন্ত্রী দিল্লি ফেরার পরই বদলি করা হয় রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
০১ জুন ২০২১
ভারতের রাজস্থান রাজ্যে জয়পুরের একটি বেসরকারি স্কুলে এক শিশুশিক্ষার্থীর মৃত্যু নিয়ে রহস্য দানা বেঁধেছে। গতকাল শনিবার বিকেলে চতুর্থ তলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে ৯ বছরের এক ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
১ মিনিট আগে
কেনিয়ার পশ্চিমাঞ্চলে ভারি বৃষ্টিপাতের পর ভূমিধসে অন্তত ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে দেশটির সরকার নিশ্চিত করেছে। গত শুক্রবার গভীর রাতে মারাকওয়েট ইস্ট এলাকায় এ ভূমিধসের ঘটনা ঘটে।
২০ মিনিট আগে
রাশিয়ার ইস্কান্দার–এম ক্ষেপণাস্ত্রে নতুন নতুন কৌশল যোগ করা হয়েছে। ফলে ইউক্রেনের আকাশ প্রতিরক্ষা এখন ভিতুর মতো হার মানছে। এমনকি দেশটিকে যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া প্যাট্রিয়ট আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও একে ধরতে পারছে না কার্যকরভাবে। এই ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকানোর ক্ষেত্রে ইউক্রেনীয় আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সাফল্য
৩৫ মিনিট আগে