Ajker Patrika

সুদানে বিদ্রোহী আরএসএফকে চীনা ড্রোন–কামান দিচ্ছে আরব আমিরাত

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০২ নভেম্বর ২০২৫, ১৭: ৫১
দারফুর অঞ্চলের এল–ফাশেরে আরএসএফ বাহিনীর কিছু সদস্য। ছবি: এএফপি
দারফুর অঞ্চলের এল–ফাশেরে আরএসএফ বাহিনীর কিছু সদস্য। ছবি: এএফপি

সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) সম্প্রতি চীনা ড্রোনসহ নানা ধরনের অস্ত্র সুদানের বিদ্রোহী আধাসামরিক বাহিনী র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) কাছে সরবরাহ বাড়িয়েছে। এমনটাই দাবি করেছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। এ ছাড়া, মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছে, আরব আমিরাত আরএসএফ–কে বোমা ও হাউইটজার পাঠাচ্ছে।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগনের গোয়েন্দা বিভাগ এবং পররাষ্ট্র দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা চলতি বছর অক্টোবর পর্যন্ত এই অস্ত্র সরবরাহ বৃদ্ধির তথ্য পেয়েছে। এই অস্ত্রগুলো সেই বিদ্রোহী গোষ্ঠীর হাতে যাচ্ছে, যাদের বিরুদ্ধে দারফুরে গণহত্যার অভিযোগ রয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সরবরাহকৃত অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে আরব আমিরাতের অর্থায়নে কেনা উন্নত মানের চীনা তৈরি ড্রোন, হালকা অস্ত্র, ভারী মেশিনগান, যানবাহন, কামান, মর্টার এবং গোলাবারুদ। আরএসএফের প্রতি আরব আমিরাতের সমর্থনের বিষয়টি আগেও বহুবার প্রমাণিত হয়েছে। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এই তথ্যের অনেকটাই লন্ডন থেকে প্রকাশিত মধ্যপ্রাচ্যকেন্দ্রিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট আই-এর আগের প্রতিবেদনগুলোর সঙ্গে মিলে গেছে।

মিডল ইস্ট আই ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে জানিয়েছিল, আরব আমিরাত এক জটিল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে লিবিয়া, চাদ, উগান্ডা এবং সোমালিয়ার বিচ্ছিন্ন অঞ্চল হয়ে আরএসএফের কাছে অস্ত্র পাঠাচ্ছে। এ ছাড়া, গত মে মাসে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জানায়, আরব আমিরাত চীনের তৈরি জিবি–৫০এ গাইডেড বোমা এবং ১৫৫ মিলিমিটার এইচ-৪ হাউইটজার কামান দারফুরে পাঠাচ্ছে। ওই অঞ্চলে আরএসএফ সে সময় অনেকগুলো শহর অবরোধ করে রেখেছিল।

গত সপ্তাহে আরএসএফ উত্তর দারফুরের শহর এল-ফাশেরে হামলা চালায়। পরে তারা সেখানকার বেসামরিক মানুষদের হত্যার ভিডিও প্রকাশ করে। আরএসএফের এই অভিযানের খবর প্রকাশিত হয় যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় শুরু হওয়া শান্তি আলোচনার ভেঙে যাওয়ার পরপরই।

গত সপ্তাহে আরএসএফ উত্তর দারফুরের শহর এল-ফাশেরে হামলা চালায়। পরে তারা সেখানকার বেসামরিক মানুষদের হত্যার ভিডিও প্রকাশ করে। আরএসএফের এই অভিযানের খবর প্রকাশিত হয় যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় শুরু হওয়া শান্তি আলোচনার ভেঙে যাওয়ার পরপরই।

মিডল ইস্ট আইকে একটি সূত্র জানিয়েছে, আরএসএফের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ইউএই এল-ফাশেরের অবরোধ নিয়ে কোনো অবস্থান নেয়নি। শহরটি ৫০০ দিনেরও বেশি সময় ধরে অবরুদ্ধ। আলোচনা গত শুক্রবার ভেঙে পড়ে। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্চের পর আরব আমিরাতের অস্ত্র সহায়তা আরও বাড়ে। তখন ইরান, তুরস্ক ও মিসরের সমর্থনে সুদানি সেনাবাহিনী রাজধানী খার্তুমের পুরো নিয়ন্ত্রণ পুনরায় নেয়।

সংবাদমাধ্যমটি জানায় মে মাসে জানায়, আরএসএফ আরব আমিরাতের কাছ থেকে চীনা ড্রোন ব্যবহার করে সরকার-নিয়ন্ত্রিত বন্দরনগরী পোর্ট সুদানে হামলা চালায়। এতে তুর্কি সেনা বিশেষজ্ঞ দলের কয়েকজন আহত হন। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের তথ্যানুসারে, এখন আরব আমিরাত আরএসএফকে চীনা সরকারি ঠিকাদার ‘চায়না অ্যারোস্পেস সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি করপোরেশন’-এর তৈরি ‘রেইনবো সিরিজ’ ড্রোন সরবরাহ করছে। এর মধ্যে ‘সিএইচ-৯৫’ মডেলের ড্রোন ২৪ ঘণ্টা টানা উড়তে পারে এবং সুনির্দিষ্ট হামলা চালাতে সক্ষম। এটি দূরপাল্লার নজরদারি ও বিমান হামলার জন্য ব্যবহারযোগ্য।

খার্তুমে পরাজয়ের পর আরএসএফ আবার দারফুর অঞ্চলে আক্রমণ শুরু করে। এই অঞ্চলেই আরএসএফের উত্থান—তাদের পূর্বসূরি ছিল ঘোড়সওয়ার ‘জানজাওয়িদ’ মিলিশিয়া। এই বাহিনী ওমর আল বশিরের সরকারের পক্ষে অনারবদের ওপর হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল।

আরএসএফ নেতা মোহাম্মদ হামদান দাগালো, যিনি ‘হেমেদতি’ নামে পরিচিত, আরব আমিরাতের ঘনিষ্ঠ মিত্র। তাঁর ব্যবসায়িক সাম্রাজ্যের কেন্দ্র দুবাইয়ে। হেমেদতি ও তাঁর পরিবার দারফুরের স্বর্ণখনি থেকে উত্তোলিত বিপুল পরিমাণ স্বর্ণ আরব আমিরাত হয়ে পাচার করেছে।

আরও খবর পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শিক্ষিকা থাকেন ঢাকায়, খালিয়াজুরীতে তাঁর নামে স্বাক্ষর করেন স্নাতকপড়ুয়া

জাকির নায়েক বিতর্কে ভারতের প্রতিক্রিয়ার যে জবাব দিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

নতুন যুগের ১০টি সম্ভাবনাময় পেশা

সকাল থেকে রাজধানীতে তীব্র যানজট, কারণ জানাল ডিএমপি

আজকের রাশিফল: প্রাক্তনের ফেসবুক প্রোফাইল ঘাঁটবেন না, মুরাদ টাকলার সঙ্গে দেখা হবে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ট্রাম্পের হুমকিতেও অটল ইরান, পারমাণবিক স্থাপনা পুনর্নির্মাণের ঘোষণা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০২ নভেম্বর ২০২৫, ১৮: ২৭
রোববার ইরানের পারমাণবিক শক্তি সংস্থা পরিদর্শন করেন প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান। ছবি: রয়টার্সের সৌজন্যে
রোববার ইরানের পারমাণবিক শক্তি সংস্থা পরিদর্শন করেন প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান। ছবি: রয়টার্সের সৌজন্যে

যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত পারমাণবিক স্থাপনাগুলো পুনর্নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছে ইরান। দেশটির প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান বলেছেন, ‘আমরা পারমাণবিক অস্ত্র চাই না, কিন্তু ধ্বংস করা ভবনগুলো আরও শক্তিশালীভাবে নির্মাণ করা হবে।’

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ রোববার দেশের পারমাণবিক শক্তি সংস্থা পরিদর্শন করেন প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান। এ সময় তিনি পারমাণবিক কর্মসূচির সঙ্গে জড়িত ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকের পর রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানান, পারমাণবিক স্থাপনাগুলো পুনর্নির্মাণ করা হবে।

প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান বলেন, ‘পারমাণবিক স্থাপনাগুলো ধ্বংস করা হলেও এটা আমাদের জন্য তেমন কোনো সমস্যা তৈরি করবে না। আমরা এগুলো আরও বেশি শক্তিশালী করে নির্মাণ করব।’

গত জুনে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে হামলা চালিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। এরপর প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দেন, তেহরান যদি সেগুলো পুনরায় চালু করার চেষ্টা করে, তবে তিনি নতুন করে আক্রমণের নির্দেশ দেবেন। তবে ট্রাম্পের হুমকির তোয়াক্কা না করে ক্ষতিগ্রস্ত পারমাণবিক স্থাপনাগুলো পুনর্নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছে তেহরান।

ইরানের পারমাণবিক কার্যক্রম সম্পর্কে প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান বলেন, ‘আমাদের এই কর্মসূচির সবটাই জনগণের সমস্যা সমাধানের জন্য। আমরা পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে চাই না।’

উল্লেখ্য, গত ১২ জুন রাতে হঠাৎ ইরানে হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এর জবাবে পরদিন থেকে পাল্টা হামলা শুরু করে ইরান। এই সংঘাতের ১০ দিনের মাথায়, অর্থাৎ গত ২২ জুন যুক্তরাষ্ট্র ইরান-ইসরায়েলে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। ট্রাম্প প্রশাসনের নির্দেশে ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায় মার্কিন বাহিনী।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শিক্ষিকা থাকেন ঢাকায়, খালিয়াজুরীতে তাঁর নামে স্বাক্ষর করেন স্নাতকপড়ুয়া

জাকির নায়েক বিতর্কে ভারতের প্রতিক্রিয়ার যে জবাব দিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

নতুন যুগের ১০টি সম্ভাবনাময় পেশা

সকাল থেকে রাজধানীতে তীব্র যানজট, কারণ জানাল ডিএমপি

আজকের রাশিফল: প্রাক্তনের ফেসবুক প্রোফাইল ঘাঁটবেন না, মুরাদ টাকলার সঙ্গে দেখা হবে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

‘লিংকনের সঙ্গে মানায় না’, তাই নতুন বাথরুম বানালেন ট্রাম্প

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০২ নভেম্বর ২০২৫, ১৮: ৫২
সাদা-কালো মার্বেল পাথরে নতুন ‘লিংকন বাথরুম’। ছবি: ট্রুথ সোশ্যাল
সাদা-কালো মার্বেল পাথরে নতুন ‘লিংকন বাথরুম’। ছবি: ট্রুথ সোশ্যাল

দ্বিতীয়বারের মতো হোয়াইট হাউসে পা রাখার পর থেকে মার্কিন প্রেসিডেন্টদের জন্য নির্ধারিত এই বাসভবনে রীতিমতো ভাঙচুর চালাচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। পূর্ব দিক ভেঙে বলরুম বানানোর পর এবার লিংকন বেডরুমে সংযুক্ত বাথরুমের নতুন রূপ দিলেন ট্রাম্প আর বললেন, আগের ডিজাইনটা লিংকনের সঙ্গে মানাচ্ছিল না।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নতুন বাথরুমের ছবি শেয়ার করে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘১৯৪০-এর দশকে আর্ট ডেকো সবুজ টাইলসে সংস্কার করা হয়েছিল এটি। এটা মোটেও লিংকন যুগের সঙ্গে মিলছিল না। তাই সাদা-কালো মার্বেল পাথরে নতুন করে সাজিয়ে দিলাম। এটাই আব্রাহাম লিংকনের সময়কালের জন্য ঠিকঠাক।’

বাথরুমটি আব্রাহাম লিংকনের অফিস ও কেবিনেট কক্ষের অংশ। ১৯৪০-এর দশকের শেষের দিকে হোয়াইট হাউসের বড় সংস্কারের সময় এটি ঠিক করেছিলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট হ্যারি ট্রুম্যান। হোয়াইট হাউস হিস্টোরিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন জানায়, লিংকনের অফিস ও বেডরুমের ওয়ালপেপার সবুজ ও সোনালি রঙের ছিল।

সাদা-কালো মার্বেল পাথরে নতুন ‘লিংকন বাথরুম’। ছবি: ট্রুথ সোশ্যাল
সাদা-কালো মার্বেল পাথরে নতুন ‘লিংকন বাথরুম’। ছবি: ট্রুথ সোশ্যাল

এখন বাথরুমের সিঙ্ক, বাথটাবের কল এবং শাওয়ার ডোরে সোনালি ফিক্সচার ও অ্যাকসেন্ট যুক্ত করা হয়েছে। সেখানে একটি ঝাড়বাতিও যুক্ত করা হয়েছে।

হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, এই সংস্কারের জন্য করদাতাদের কোনো খরচ বহন করতে হয়নি। এটি ব্যক্তিগতভাবে অর্থায়ন করা হয়েছে।

এদিকে ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে নিজের ছাপ রাখার চেষ্টা করায় সংরক্ষণ সংস্থা ও রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছেন।

আগে ট্রাম্প বলেছিলেন, ইস্ট উইংয়ে বলরুম বানানো ‘বর্তমান ভবনে প্রভাব ফেলবে না’। অক্টোবর মাসে তিনি বলেন, ‘বিদ্যমান কাঠামো’ ধ্বংস করতে হবে। বলরুম নির্মাণের পুরো খরচ তিনি ও তাঁর কিছু বন্ধু বহন করেছেন বলে দাবি করেন ট্রাম্প।

সংরক্ষণবাদীরা যুক্তি দিয়েছেন, পরিবর্তনগুলো করার আগে ট্রাম্পকে জনসমীক্ষা নেওয়া উচিত ছিল। তাঁদের মতে, এসব পরিবর্তন হোয়াইট হাউসের ঐতিহ্য শৈলীকে প্রভাবিত করবে।

ডেমোক্র্যাটরা অভিযোগ করে বলেন, ট্রাম্প সরকারের শাটডাউনের সমাধান না করে হোয়াইট হাউস পুনর্নির্মাণে বেশি মনোযোগ দিচ্ছেন।

সাদা-কালো মার্বেল পাথরে নতুন ‘লিংকন বাথরুম’। ছবি: ট্রুথ সোশ্যাল
সাদা-কালো মার্বেল পাথরে নতুন ‘লিংকন বাথরুম’। ছবি: ট্রুথ সোশ্যাল

হোয়াইট হাউস সমালোচকদের জবাবে জানিয়েছে, ‘উন্মত্ত বামপন্থীরা’ প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড জে ট্রাম্পের ব্যক্তিগতভাবে অর্থায়িত দৃষ্টিনন্দন বলরুম নিয়ে অযথা উৎকণ্ঠিত। তারা এটিকে সাহসী ও প্রয়োজনীয় সংযোজন বলে অভিহিত করেছে।

এ ছাড়া গত আগস্টে হোয়াইট হাউসের রোজ গার্ডেনের ঘাসের লনকে পাথরে ঢেকে প্যাটিওতে রূপান্তর করেছেন ট্রাম্প। অন্যদিকে ওভাল অফিসে সোনার ফ্রেমে বাঁধানো ছবি, সোনার ফ্রেমযুক্ত আয়না ও সিলিংয়ে প্রেসিডেনশিয়াল সিলের জন্য সোনার পাত যুক্ত করেছেন তিনি।

ডেমোক্রেটিক সিনেট সংখ্যালঘু নেতা চাক শুমার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, ‘ডোনাল্ড ট্রাম্প আসলে আপনার স্বাস্থ্যসেবা ঠিক করার চেয়ে তাঁর বাথরুম নিয়ে বেশি চিন্তিত।’

গতকাল শনিবার এক অনুষ্ঠানে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেন, ট্রাম্পের মনোযোগ রোজ গার্ডেনের লন পাথরে ঢেকে দেওয়ার ওপর, যাতে কাউকে কাদা না মাড়াতে হয়। তিনি ওভাল অফিস সোনায় বাঁধাই করা ও ৩০০ মিলিয়ন ডলারের বলরুম নির্মাণের মতো কাজ নিয়ে বেশি মনোযোগী।

বারাক ওবামা আরও যোগ করেন, ‘আপনারা চিকিৎসক দেখাতে না পারলে চিন্তা নেই। তাঁর (ট্রাম্প) নাচ দেখলেই সুস্থ হয়ে যাবেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শিক্ষিকা থাকেন ঢাকায়, খালিয়াজুরীতে তাঁর নামে স্বাক্ষর করেন স্নাতকপড়ুয়া

জাকির নায়েক বিতর্কে ভারতের প্রতিক্রিয়ার যে জবাব দিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

নতুন যুগের ১০টি সম্ভাবনাময় পেশা

সকাল থেকে রাজধানীতে তীব্র যানজট, কারণ জানাল ডিএমপি

আজকের রাশিফল: প্রাক্তনের ফেসবুক প্রোফাইল ঘাঁটবেন না, মুরাদ টাকলার সঙ্গে দেখা হবে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ট্রাম্পের আমন্ত্রণে সিরিয়ার প্রথম প্রেসিডেন্ট হিসেবে হোয়াইট হাউসে যাচ্ছেন আল–শারা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ট্রাম্পের সঙ্গে শারা। ছবি: এএফপি
ট্রাম্পের সঙ্গে শারা। ছবি: এএফপি

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমদ আল–শারাকে হোয়াইট হাউসে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। আগামী ১০ নভেম্বর সিরিয়ার অন্তর্বর্তী নেতা বৈঠকের জন্য যুক্তরাষ্ট্র যাবেন আল–শারা। যুক্তরাষ্ট্রের সিরিয়া বিষয়ক দূত টম বারাকের বরাতে এমন খবর জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম অ্যাক্সিওস।

এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হলে ইতিহাসে এটাই হবে কোনো সিরিয়ার প্রেসিডেন্টের প্রথম যুক্তরাষ্ট্র সফর। টম বারাক অ্যাক্সিওসকে গতকাল শনিবার জানিয়েছেন, আল-শারা সফরকালে আইএসআইএল (আইসিস) বিরোধী মার্কিন নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক জোটে যোগ দেওয়ার জন্য একটি চুক্তিতে সই করবেন।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সও সিরিয়ার এক সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যেই সফরটি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নথি অনুযায়ী, এর আগে কোনো সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট কখনো আনুষ্ঠানিক সফরে ওয়াশিংটন যাননি।

গত ডিসেম্বর বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করে ক্ষমতা দখল করেন আল-শারা। তারপর থেকেই তিনি বিশ্বের প্রভাবশালী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্গঠনে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। বিশেষ করে সেসব দেশের সঙ্গে, যেসব দেশ আসাদের আমলে দামেস্ককে প্রায় সম্পূর্ণভাবে বয়কট করেছিল।

গত মে মাসে সৌদি আরবে ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর বৈঠক হয়। এটাই ছিল দুই দেশের নেতাদের মধ্যে ২৫ বছরের মধ্যে প্রথম সাক্ষাৎ। উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদের (জিসিসি) নেতাদের সঙ্গে ট্রাম্পের বৈঠকের ফাঁকে এই সাক্ষাৎ ঘটে। বিশ্লেষকদের মতে, এটি ছিল সিরিয়ার জন্য এক বড় মোড় ঘোরানো মুহূর্ত। গত সেপ্টেম্বর আল-শারা জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ভাষণও দেন।

বাহরাইনে অনুষ্ঠিত মানামা ডায়ালগের ফাঁকে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় মার্কিন দূত বারাক বলেন, ওয়াশিংটন চায় ২০১৪ সাল থেকে আইএসআইএলের বিরুদ্ধে লড়াই করছে যে আন্তর্জাতিক জোট সিরিয়া সেই জোটের অন্তর্ভুক্ত হোক। এই সশস্ত্র গোষ্ঠী ২০১৪ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে সিরিয়া ও ইরাকের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ ভূখণ্ড দখলে নিয়েছিল। বারাক বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি যেন সবাই এই জোটের অংশ হয়। এটা তাদের (সিরিয়ার) জন্য বিশাল সুযোগ।’

আল-শারা একসময় আল-কায়েদার সিরিয়ার শাখার নেতৃত্বে ছিলেন। তবে এক দশক আগে তাঁর নেতৃত্বাধীন বিদ্রোহী গোষ্ঠী ওসামা বিন লাদেনের নেটওয়ার্ক থেকে আলাদা হয়ে যায় এবং পরে আইএসআইএলের বিরুদ্ধেও লড়াই করে। সে সময় যুক্তরাষ্ট্র তাঁর মাথার দাম ঘোষণা করেছিল ১ কোটি ডলার।

আবু মোহাম্মদ আল-জোলানি নামে পরিচিত আল-শারা একসময় ইরাকে মার্কিন বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়েছিলেন। সেখানে মার্কিন সেনারা তাঁকে কয়েক বছর আটকও রেখেছিল। মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোট ও স্থানীয় মিত্ররা ২০১৯ সালে সিরিয়া থেকে আইএসআইএলকে সম্পূর্ণভাবে বিতাড়িত করে।

এদিকে, সিরিয়া ও ইসরায়েলও শান্তি চুক্তি নিয়ে আলোচনা চালাচ্ছে। দামেস্ক আশা করছে, এর মাধ্যমে ইসরায়েলি বিমান হামলা বন্ধ হবে এবং দক্ষিণ সিরিয়ায় প্রবেশ করা ইসরায়েলি সেনারা সরে যাবে। মানামা ডায়ালগে বারাক বলেন, সিরিয়া ও ইসরায়েল উভয়েই উত্তেজনা প্রশমন আলোচনায় যুক্ত আছে এবং যুক্তরাষ্ট্র এই প্রক্রিয়ায় মধ্যস্থতা করছে।

তিনি জানান, দুই দেশ একটি চুক্তির কাছাকাছি পৌঁছেছে, তবে কখন সেটি সম্পন্ন হতে পারে তা জানাতে অস্বীকৃতি জানান। ইসরায়েল ও সিরিয়া বহু দশক ধরেই মধ্যপ্রাচ্যের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রাষ্ট্র। যদিও গত ডিসেম্বর আল-আসাদ ক্ষমতাচ্যুত হয়েছেন, তবু দুই দেশের মধ্যে সীমান্তবিরোধ ও রাজনৈতিক অবিশ্বাস এখনো গভীরভাবে বিদ্যমান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শিক্ষিকা থাকেন ঢাকায়, খালিয়াজুরীতে তাঁর নামে স্বাক্ষর করেন স্নাতকপড়ুয়া

জাকির নায়েক বিতর্কে ভারতের প্রতিক্রিয়ার যে জবাব দিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

নতুন যুগের ১০টি সম্ভাবনাময় পেশা

সকাল থেকে রাজধানীতে তীব্র যানজট, কারণ জানাল ডিএমপি

আজকের রাশিফল: প্রাক্তনের ফেসবুক প্রোফাইল ঘাঁটবেন না, মুরাদ টাকলার সঙ্গে দেখা হবে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় এলে বাংলাদেশ–ভারত সীমান্তে কাঁটাতার থাকবে না: বিজেপি এমপি

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় এলে বাংলাদেশ–ভারত সীমান্তে  কাঁটাতার থাকবে না: বিজেপি এমপি

ভারতীয় জনতা পার্টি–বিজেপির এমপি জগন্নাথ সরকারের মন্তব্যে পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে উত্তাপ তৈরি হয়েছে। তিনি বলেছেন, ২০২৬ সালের রাজ্য নির্বাচনেও যদি বিজেপি ক্ষমতায় আসে, তবে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের বেড়াগুলো সরিয়ে ফেলা হবে এবং দুই দেশ আবার এক হয়ে যাবে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, জগন্নাথ সরকার গত বৃহস্পতিবার নিজ নির্বাচনী এলাকায় এক রাজনৈতিক র‍্যালিতে বলেন, ‘আমরা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, এবার যদি আমরা নির্বাচনে জয়ী হই, তবে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে কাঁটাতারের বেড়া থাকবে না। আগে আমরা এক দেশ ছিলাম, ভবিষ্যতে আবার এক হব।’

পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচন ২০২৬ সালে হওয়ার কথা। নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যেই রাজ্যে স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন বা এসআইআর প্রক্রিয়া চালু করেছে, যাতে অবৈধ ভোটারদের বের করা যায়। বিজেপির অভিযোগ, এই অবৈধ ভোটারদের মধ্যে অনেকেই বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে ভারতে এসেছে।

জগন্নাথ সরকার আরও বলেন, ‘যদি তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসে, তখনো বেড়াগুলো চলে যাবে। কিন্তু তখন এটা বাংলাদেশ হয়ে যাবে।’

পশ্চিমবঙ্গের বাংলাদেশের সঙ্গে মোট সীমান্ত প্রায় ২ হাজার ২১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ, যা ভারতের কোনো রাজ্যের মধ্যে সীমান্তের সবচেয়ে বড় অংশ। এর মধ্যে ১ হাজার ৬৪৭ কিলোমিটার বেড়া দিয়ে ঘেরা হয়ে গেছে। বাকি ৫৬৯ কিলোমিটার এখনো বেড়া ছাড়া। ১১২ কিলোমিটার জায়গায় নদী ও দুর্গম ভূ-প্রকৃতির কারণে বেড়া বসানো সম্ভব নয়।

সীমান্তে অনুপ্রবেশ, চোরাচালান ও মানবপাচার বড় সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে। বিজেপির শীর্ষ নেতারা বহুবার তৃণমূল সরকারকে দায়ী করেছেন, যে কারণে বেড়া বসানোর জন্য পর্যাপ্ত জমি দেওয়া হয়নি।

তৃণমূল কংগ্রেস বিজেপির এই বক্তব্যের জবাব দিয়েছে। তারা বলেছে, বিজেপি রাজ্যের সাধারণ মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে এবং সাংসদকে স্থগিত করার দাবি করেছে। তৃণমূল সাংসদ ও জাতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় টুইটে লিখেছেন, ‘বিজেপি নেতৃত্বের কপটতা নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। রাণাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার ঘোষণা করেছেন, যদি বিজেপি ক্ষমতায় আসে, তবে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে কোনো সীমান্ত থাকবে না এবং দুই দেশ এক হয়ে যাবে। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় সরকার, যার মধ্যে হোম মিনিস্টার অমিত শাহ রয়েছেন, তৃণমূল সরকারের ওপর দোষ চাপাচ্ছে সেই সীমান্ত রক্ষার জন্য ভূমি না দেওয়ার অভিযোগ করে।’

বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা সুকান্ত মজুমদার সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আমার মনে হয়, তাঁর ভুলভাবে তুলে ধরা হয়েছে। কাঁটাতারের বেড়া ইতিমধ্যেই আছে। বাকি অংশেও বসানো হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শিক্ষিকা থাকেন ঢাকায়, খালিয়াজুরীতে তাঁর নামে স্বাক্ষর করেন স্নাতকপড়ুয়া

জাকির নায়েক বিতর্কে ভারতের প্রতিক্রিয়ার যে জবাব দিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

নতুন যুগের ১০টি সম্ভাবনাময় পেশা

সকাল থেকে রাজধানীতে তীব্র যানজট, কারণ জানাল ডিএমপি

আজকের রাশিফল: প্রাক্তনের ফেসবুক প্রোফাইল ঘাঁটবেন না, মুরাদ টাকলার সঙ্গে দেখা হবে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত