রাহুল শর্মা, ঢাকা

রাজধানীর খ্যাতনামা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের মতিঝিলসহ তিনটি শাখায় গত ৯ বছরে প্রায় তিন হাজার শিক্ষার্থীকে অবৈধভাবে ভর্তি করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডির অনুমোদিত আসনসংখ্যার অতিরিক্ত এসব শিক্ষার্থী ভর্তিতে লেনদেন হয়েছে শতকোটি টাকার বেশি।
আইডিয়াল স্কুলে ভর্তিসংক্রান্ত বিভিন্ন কাগজপত্র ঘেঁটে এবং অভিযোগ অনুসন্ধানে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। অভিযোগ আছে, দুটি সিন্ডিকেট এই অবৈধ ভর্তি-বাণিজ্যে জড়িত। এই চক্রে ছিলেন বিদ্যালয়ের গভর্নিং বডির সদস্য, শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী, রাজনৈতিক নেতাও। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির ভর্তি-বাণিজ্য, অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর (ডিআইএ)।
এসব বিষয়ে বক্তব্য জানতে ফোন করলে প্রতিষ্ঠানটির মতিঝিল শাখার অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদী বলেন, ‘আপনি এগুলো জানার কে? এসব তথ্য কই পান? এ ধরনের প্রশ্ন করার এখতিয়ার আপনার নেই। কোনো তদন্তে অনিয়ম উঠে আসলে মন্ত্রণালয়ে জবাব দেব, আপনাকে না।’ এরপর তিনি মুঠোফোনের সংযোগ কেটে দেন।
১৯৬৫ সালের ১৫ মার্চ মতিঝিলে যাত্রা শুরু করে আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ। পরে বনশ্রী ও মুগদাতেও শাখা খোলা হয়। এই তিনটি শাখায় বাংলা ও ইংরেজি মাধ্যম মিলিয়ে শিক্ষার্থী ২৮ হাজারের বেশি। শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারী সাত শতাধিক।
ভর্তি-সংক্রান্ত নিয়মের বিষয়ে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রতি শ্রেণিতে ৫০ জন শিক্ষার্থী ভর্তির বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) নির্দেশনা রয়েছে। অনুমোদিত আসনসংখ্যার চেয়ে বেশি শিক্ষার্থী ভর্তির কোনো সুযোগ নেই, এটা অনিয়ম ও অবৈধ। এ বিষয়ে আইডিয়াল কর্তৃপক্ষের কাছে ব্যাখ্যা তলব করা হবে।
বিদ্যালয়টিতে অবৈধ ভর্তির অভিযোগের বিষয়ে অন্তত ২০ জন অভিভাবক ও শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীর সঙ্গে কথা হয়েছে এই প্রতিবেদকের। তাঁরা বলেছেন, ভর্তি পরীক্ষায় অকৃতকার্য ও লটারিতে নাম না আসা শিক্ষার্থীকে টাকার বিনিময়ে অবৈধভাবে ভর্তি করা হয়েছে। এ জন্য শিক্ষার্থীপ্রতি বিভিন্ন অঙ্কের টাকা নেওয়া হয়। অবৈধভাবে ভর্তির জন্য কেউ প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী, কেউ ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মী, কেউ গভর্নিং বডির সদস্যকে মাধ্যম করেছেন।
জানা যায়, প্রতিটি অবৈধ ভর্তিতে গড়ে লেনদেন হয়েছে চার লাখ টাকা। সেই হিসাবে গত ৯ বছরে অবৈধ ভর্তিতে বাণিজ্য হয়েছে ১০০ কোটি টাকার বেশি।
প্রায় ৩ হাজার অবৈধ ভর্তি
ভর্তি-সংক্রান্ত নথিপত্র পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ২০১৪ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ৯ বছরে আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের তিনটি শাখায় মাউশি ও স্কুলের গভর্নিং বডির অনুমোদিত আসনসংখ্যার অতিরিক্ত ২ হাজার ৮০৫ জন শিক্ষার্থীকে অবৈধ ভর্তি করা হয়েছে। এসব ভর্তির বেশির ভাগই প্রথম শ্রেণিতে।
২০১৬ সালে বিভিন্ন শ্রেণিতে সবচেয়ে বেশি অবৈধ ভর্তি হয়েছে, ২ হাজার ৩৩৫টি। ওই বছর তিন শাখার বাংলা মাধ্যম ও মতিঝিল শাখার ইংরেজি মাধ্যমে অনুমোদিত আসনসংখ্যা ছিল ৩ হাজার ৭৮০। তবে ভর্তি করা হয় ৬ হাজার ১১৫ জনকে। ২০১৪ সালে অনুমোদিত আসনসংখ্যার অতিরিক্ত ৬৯ জন, ২০১৫ সালে ৫২ জন, ২০১৭ সালে ৩৫, ২০১৯ সালে ৫৩, ২০২০ সালে ১৫৪, ২০২১ সালে ৭৫ ও ২০২২ সালে ৩২ শিক্ষার্থীকে ভর্তি করা হয়েছে। এগুলো অবৈধ ভর্তি। তবে ২০১৮ সালে অবৈধভাবে কোনো শিক্ষার্থী ভর্তির তথ্য পাওয়া যায়নি।
২০১৬ সালে প্রতিষ্ঠানটির গভর্নিং বডির সভাপতি ছিলেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও ঢাকা-৮ আসনের (মতিঝিল-রমনা-পল্টন) সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন। অবৈধ ভর্তির অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি অনেক আগে দায়িত্ব পালন করেছি। বিষয়টি আমার জানা নেই।’ তিনি গত ৯ বছরে তিন মেয়াদে তিন বছর সভাপতি ছিলেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আইডিয়াল স্কুলের এক শিক্ষক বলেন, ২০১৭ সাল থেকে প্রথম শ্রেণিতে লটারির মাধ্যমে ভর্তি কার্যক্রম শুরুর ঘোষণার কারণে একটি সিন্ডিকেট ২০১৬ সালে সবচেয়ে বেশি অবৈধ ভর্তি করেছিল।
ছয় মাস করে এক বছর প্রতিষ্ঠানটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন সাবেক জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান ও অতিরিক্ত সচিব ড. মোল্লা জালাল উদ্দিন। অভিযোগের বিষয়ে তাঁরা কোনো মন্তব্য করতে অপারগতা জানান।
২০১৭ সালের ৪ মে থেকে গভর্নিং বডির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগসচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অবৈধ ভর্তির তথ্যটি পুরোপুরি সত্য নয়। আমি দায়িত্ব গ্রহণের পর এই অনিয়ম বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছি। আমার দায়িত্বকালে বিশেষ কারণে দু-একটি ভর্তি করা হয়ে থাকতে পারে, তবে ঢালাওভাবে হয়নি।’
ভর্তি-বাণিজ্যের হোতারা
অনুসন্ধানে জানা যায়, অবৈধ ভর্তিতে জড়িত ছিল মূলত দুটি সিন্ডিকেট। এর একটির নেতৃত্বে ছিলেন মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির সাবেক সদস্য জাহিদুল ইসলাম (২০২২ সালের মার্চে শাহজাহানপুরে গুলিতে নিহত মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপু)।
অপরটির নেতৃত্বে ছিলেন প্রতিষ্ঠানটিতে দীর্ঘদিন অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করা শাহান আরা বেগম। অভিযোগ আছে, তাঁর পক্ষে ভর্তি-বাণিজ্যসহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ করতেন প্রতিষ্ঠানটির উপসহকারী প্রকৌশলী আতিকুর রহমান খান। ২০২১ সালের ১ আগস্ট আতিকুরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তদন্তটি চলছে বলে জানান মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা।
দীর্ঘদিন ভর্তি কার্যক্রমে যুক্ত এক শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আইডিয়াল স্কুলে ভর্তিতে অনিয়ম হয় মূলত গভর্নিং বডির অনুমোদিত আসনসংখ্যার ব্যত্যয় ঘটিয়ে। এসব ভর্তিতে মোটা অঙ্কের টাকা লেনদেন হয়। এর সঙ্গে গভর্নিং বডির প্রভাবশালী সদস্য ও প্রতিষ্ঠানটির কয়েকজন শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী জড়িত।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে শাহান আরা বেগম বলেন, ‘আমি এখন ওই প্রতিষ্ঠানে নেই, এ বিষয়ে কোনো কথা বলব না।’ উপসহকারী প্রকৌশলী আতিকুর রহমান খান বলেন, ‘অবৈধ ভর্তি-বাণিজ্যের সঙ্গে আমার জড়িত থাকার অভিযোগ সত্য নয়। এগুলো মিথ্যা, বানোয়াট। আমি প্রতিষ্ঠানটির কোনো দায়িত্বশীল পদে নেই। আমি কীভাবে ভর্তি-বাণিজ্য করব?’
টিপু হত্যার আসামির জবানবন্দিতে ভর্তি-বাণিজ্য
মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপু হত্যা মামলার আসামি সুমন শিকদার ওরফে মুসার জবানবন্দিতেও উঠে এসেছে আইডিয়াল স্কুলে ভর্তি-বাণিজ্যের বিষয়টি। সম্প্রতি আদালতে ১৬৪ ধারায় দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি অনুসারে টিপু হত্যার নেপথ্য কারণের একটি এই ভর্তি-বাণিজ্যের টাকার ভাগ-বাঁটোয়ারা। জবানবন্দিতে তিনি বলেন, ‘রুফটপ রেস্তোরাঁর বৈঠকে সবাই জাহিদুলের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বৈঠকে সোহেল শাহরিয়ার বলেন, জিসান ও মানিক মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলে যে ১০০ ছাত্র ভর্তির কথা বলেছিলেন, তার কী হলো? তখন মারুফ বলেন, এ নিয়ে জাহিদুলের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। তবে জাহিদুল এ ব্যাপারে কথা বলতে নারাজ। জিসান ও মানিককে ভর্তি-বাণিজ্যের ভাগ দিতে হলে তা অন্যদের অংশ থেকে দিতে বলেছেন জাহিদুল।’
অনিয়মের তদন্ত চলছে
মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত করছে দুটি সংস্থা। ভর্তি-বাণিজ্য, ফরম পূরণে অতিরিক্ত অর্থ আদায়সহ বিভিন্নভাবে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০২১ সালের ১৫ নভেম্বর সাবেক অধ্যক্ষ শাহান আরা বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। জানতে চাইলে ৮ মে দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা মুহাম্মদ আরিফ সাদেক আজকের পত্রিকাকে বলেন, তদন্তটি চলমান।
তদন্তকারী আরেক সংস্থা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মকর্তা বলেন, আইডিয়ালে গভর্নিং বডির অনুমোদিত আসনসংখ্যা লঙ্ঘন করে অবৈধ ভর্তির কিছু প্রমাণ পাওয়া গেছে। ভর্তি-সংক্রান্ত কাগজপত্র পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। সংস্থাটির পরিচালক অধ্যাপক অলিউল্লাহ্ মো. আজমতগীর বলেন, তদন্ত কার্যক্রম শেষ হলে প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খানকে একাধিকবার ফোন ও এসএমএস করা হলেও সাড়া পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে মাউশির মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ভর্তিতে সরকারি নির্দেশনা লঙ্ঘন করলে অবশ্যই তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রাজধানীর খ্যাতনামা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের মতিঝিলসহ তিনটি শাখায় গত ৯ বছরে প্রায় তিন হাজার শিক্ষার্থীকে অবৈধভাবে ভর্তি করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডির অনুমোদিত আসনসংখ্যার অতিরিক্ত এসব শিক্ষার্থী ভর্তিতে লেনদেন হয়েছে শতকোটি টাকার বেশি।
আইডিয়াল স্কুলে ভর্তিসংক্রান্ত বিভিন্ন কাগজপত্র ঘেঁটে এবং অভিযোগ অনুসন্ধানে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। অভিযোগ আছে, দুটি সিন্ডিকেট এই অবৈধ ভর্তি-বাণিজ্যে জড়িত। এই চক্রে ছিলেন বিদ্যালয়ের গভর্নিং বডির সদস্য, শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী, রাজনৈতিক নেতাও। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির ভর্তি-বাণিজ্য, অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর (ডিআইএ)।
এসব বিষয়ে বক্তব্য জানতে ফোন করলে প্রতিষ্ঠানটির মতিঝিল শাখার অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদী বলেন, ‘আপনি এগুলো জানার কে? এসব তথ্য কই পান? এ ধরনের প্রশ্ন করার এখতিয়ার আপনার নেই। কোনো তদন্তে অনিয়ম উঠে আসলে মন্ত্রণালয়ে জবাব দেব, আপনাকে না।’ এরপর তিনি মুঠোফোনের সংযোগ কেটে দেন।
১৯৬৫ সালের ১৫ মার্চ মতিঝিলে যাত্রা শুরু করে আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ। পরে বনশ্রী ও মুগদাতেও শাখা খোলা হয়। এই তিনটি শাখায় বাংলা ও ইংরেজি মাধ্যম মিলিয়ে শিক্ষার্থী ২৮ হাজারের বেশি। শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারী সাত শতাধিক।
ভর্তি-সংক্রান্ত নিয়মের বিষয়ে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রতি শ্রেণিতে ৫০ জন শিক্ষার্থী ভর্তির বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) নির্দেশনা রয়েছে। অনুমোদিত আসনসংখ্যার চেয়ে বেশি শিক্ষার্থী ভর্তির কোনো সুযোগ নেই, এটা অনিয়ম ও অবৈধ। এ বিষয়ে আইডিয়াল কর্তৃপক্ষের কাছে ব্যাখ্যা তলব করা হবে।
বিদ্যালয়টিতে অবৈধ ভর্তির অভিযোগের বিষয়ে অন্তত ২০ জন অভিভাবক ও শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীর সঙ্গে কথা হয়েছে এই প্রতিবেদকের। তাঁরা বলেছেন, ভর্তি পরীক্ষায় অকৃতকার্য ও লটারিতে নাম না আসা শিক্ষার্থীকে টাকার বিনিময়ে অবৈধভাবে ভর্তি করা হয়েছে। এ জন্য শিক্ষার্থীপ্রতি বিভিন্ন অঙ্কের টাকা নেওয়া হয়। অবৈধভাবে ভর্তির জন্য কেউ প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী, কেউ ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মী, কেউ গভর্নিং বডির সদস্যকে মাধ্যম করেছেন।
জানা যায়, প্রতিটি অবৈধ ভর্তিতে গড়ে লেনদেন হয়েছে চার লাখ টাকা। সেই হিসাবে গত ৯ বছরে অবৈধ ভর্তিতে বাণিজ্য হয়েছে ১০০ কোটি টাকার বেশি।
প্রায় ৩ হাজার অবৈধ ভর্তি
ভর্তি-সংক্রান্ত নথিপত্র পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ২০১৪ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ৯ বছরে আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের তিনটি শাখায় মাউশি ও স্কুলের গভর্নিং বডির অনুমোদিত আসনসংখ্যার অতিরিক্ত ২ হাজার ৮০৫ জন শিক্ষার্থীকে অবৈধ ভর্তি করা হয়েছে। এসব ভর্তির বেশির ভাগই প্রথম শ্রেণিতে।
২০১৬ সালে বিভিন্ন শ্রেণিতে সবচেয়ে বেশি অবৈধ ভর্তি হয়েছে, ২ হাজার ৩৩৫টি। ওই বছর তিন শাখার বাংলা মাধ্যম ও মতিঝিল শাখার ইংরেজি মাধ্যমে অনুমোদিত আসনসংখ্যা ছিল ৩ হাজার ৭৮০। তবে ভর্তি করা হয় ৬ হাজার ১১৫ জনকে। ২০১৪ সালে অনুমোদিত আসনসংখ্যার অতিরিক্ত ৬৯ জন, ২০১৫ সালে ৫২ জন, ২০১৭ সালে ৩৫, ২০১৯ সালে ৫৩, ২০২০ সালে ১৫৪, ২০২১ সালে ৭৫ ও ২০২২ সালে ৩২ শিক্ষার্থীকে ভর্তি করা হয়েছে। এগুলো অবৈধ ভর্তি। তবে ২০১৮ সালে অবৈধভাবে কোনো শিক্ষার্থী ভর্তির তথ্য পাওয়া যায়নি।
২০১৬ সালে প্রতিষ্ঠানটির গভর্নিং বডির সভাপতি ছিলেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও ঢাকা-৮ আসনের (মতিঝিল-রমনা-পল্টন) সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন। অবৈধ ভর্তির অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি অনেক আগে দায়িত্ব পালন করেছি। বিষয়টি আমার জানা নেই।’ তিনি গত ৯ বছরে তিন মেয়াদে তিন বছর সভাপতি ছিলেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আইডিয়াল স্কুলের এক শিক্ষক বলেন, ২০১৭ সাল থেকে প্রথম শ্রেণিতে লটারির মাধ্যমে ভর্তি কার্যক্রম শুরুর ঘোষণার কারণে একটি সিন্ডিকেট ২০১৬ সালে সবচেয়ে বেশি অবৈধ ভর্তি করেছিল।
ছয় মাস করে এক বছর প্রতিষ্ঠানটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন সাবেক জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান ও অতিরিক্ত সচিব ড. মোল্লা জালাল উদ্দিন। অভিযোগের বিষয়ে তাঁরা কোনো মন্তব্য করতে অপারগতা জানান।
২০১৭ সালের ৪ মে থেকে গভর্নিং বডির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগসচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অবৈধ ভর্তির তথ্যটি পুরোপুরি সত্য নয়। আমি দায়িত্ব গ্রহণের পর এই অনিয়ম বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছি। আমার দায়িত্বকালে বিশেষ কারণে দু-একটি ভর্তি করা হয়ে থাকতে পারে, তবে ঢালাওভাবে হয়নি।’
ভর্তি-বাণিজ্যের হোতারা
অনুসন্ধানে জানা যায়, অবৈধ ভর্তিতে জড়িত ছিল মূলত দুটি সিন্ডিকেট। এর একটির নেতৃত্বে ছিলেন মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির সাবেক সদস্য জাহিদুল ইসলাম (২০২২ সালের মার্চে শাহজাহানপুরে গুলিতে নিহত মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপু)।
অপরটির নেতৃত্বে ছিলেন প্রতিষ্ঠানটিতে দীর্ঘদিন অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করা শাহান আরা বেগম। অভিযোগ আছে, তাঁর পক্ষে ভর্তি-বাণিজ্যসহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ করতেন প্রতিষ্ঠানটির উপসহকারী প্রকৌশলী আতিকুর রহমান খান। ২০২১ সালের ১ আগস্ট আতিকুরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তদন্তটি চলছে বলে জানান মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা।
দীর্ঘদিন ভর্তি কার্যক্রমে যুক্ত এক শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আইডিয়াল স্কুলে ভর্তিতে অনিয়ম হয় মূলত গভর্নিং বডির অনুমোদিত আসনসংখ্যার ব্যত্যয় ঘটিয়ে। এসব ভর্তিতে মোটা অঙ্কের টাকা লেনদেন হয়। এর সঙ্গে গভর্নিং বডির প্রভাবশালী সদস্য ও প্রতিষ্ঠানটির কয়েকজন শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী জড়িত।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে শাহান আরা বেগম বলেন, ‘আমি এখন ওই প্রতিষ্ঠানে নেই, এ বিষয়ে কোনো কথা বলব না।’ উপসহকারী প্রকৌশলী আতিকুর রহমান খান বলেন, ‘অবৈধ ভর্তি-বাণিজ্যের সঙ্গে আমার জড়িত থাকার অভিযোগ সত্য নয়। এগুলো মিথ্যা, বানোয়াট। আমি প্রতিষ্ঠানটির কোনো দায়িত্বশীল পদে নেই। আমি কীভাবে ভর্তি-বাণিজ্য করব?’
টিপু হত্যার আসামির জবানবন্দিতে ভর্তি-বাণিজ্য
মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপু হত্যা মামলার আসামি সুমন শিকদার ওরফে মুসার জবানবন্দিতেও উঠে এসেছে আইডিয়াল স্কুলে ভর্তি-বাণিজ্যের বিষয়টি। সম্প্রতি আদালতে ১৬৪ ধারায় দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি অনুসারে টিপু হত্যার নেপথ্য কারণের একটি এই ভর্তি-বাণিজ্যের টাকার ভাগ-বাঁটোয়ারা। জবানবন্দিতে তিনি বলেন, ‘রুফটপ রেস্তোরাঁর বৈঠকে সবাই জাহিদুলের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বৈঠকে সোহেল শাহরিয়ার বলেন, জিসান ও মানিক মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলে যে ১০০ ছাত্র ভর্তির কথা বলেছিলেন, তার কী হলো? তখন মারুফ বলেন, এ নিয়ে জাহিদুলের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। তবে জাহিদুল এ ব্যাপারে কথা বলতে নারাজ। জিসান ও মানিককে ভর্তি-বাণিজ্যের ভাগ দিতে হলে তা অন্যদের অংশ থেকে দিতে বলেছেন জাহিদুল।’
অনিয়মের তদন্ত চলছে
মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত করছে দুটি সংস্থা। ভর্তি-বাণিজ্য, ফরম পূরণে অতিরিক্ত অর্থ আদায়সহ বিভিন্নভাবে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০২১ সালের ১৫ নভেম্বর সাবেক অধ্যক্ষ শাহান আরা বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। জানতে চাইলে ৮ মে দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা মুহাম্মদ আরিফ সাদেক আজকের পত্রিকাকে বলেন, তদন্তটি চলমান।
তদন্তকারী আরেক সংস্থা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মকর্তা বলেন, আইডিয়ালে গভর্নিং বডির অনুমোদিত আসনসংখ্যা লঙ্ঘন করে অবৈধ ভর্তির কিছু প্রমাণ পাওয়া গেছে। ভর্তি-সংক্রান্ত কাগজপত্র পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। সংস্থাটির পরিচালক অধ্যাপক অলিউল্লাহ্ মো. আজমতগীর বলেন, তদন্ত কার্যক্রম শেষ হলে প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খানকে একাধিকবার ফোন ও এসএমএস করা হলেও সাড়া পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে মাউশির মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ভর্তিতে সরকারি নির্দেশনা লঙ্ঘন করলে অবশ্যই তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রাহুল শর্মা, ঢাকা

রাজধানীর খ্যাতনামা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের মতিঝিলসহ তিনটি শাখায় গত ৯ বছরে প্রায় তিন হাজার শিক্ষার্থীকে অবৈধভাবে ভর্তি করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডির অনুমোদিত আসনসংখ্যার অতিরিক্ত এসব শিক্ষার্থী ভর্তিতে লেনদেন হয়েছে শতকোটি টাকার বেশি।
আইডিয়াল স্কুলে ভর্তিসংক্রান্ত বিভিন্ন কাগজপত্র ঘেঁটে এবং অভিযোগ অনুসন্ধানে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। অভিযোগ আছে, দুটি সিন্ডিকেট এই অবৈধ ভর্তি-বাণিজ্যে জড়িত। এই চক্রে ছিলেন বিদ্যালয়ের গভর্নিং বডির সদস্য, শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী, রাজনৈতিক নেতাও। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির ভর্তি-বাণিজ্য, অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর (ডিআইএ)।
এসব বিষয়ে বক্তব্য জানতে ফোন করলে প্রতিষ্ঠানটির মতিঝিল শাখার অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদী বলেন, ‘আপনি এগুলো জানার কে? এসব তথ্য কই পান? এ ধরনের প্রশ্ন করার এখতিয়ার আপনার নেই। কোনো তদন্তে অনিয়ম উঠে আসলে মন্ত্রণালয়ে জবাব দেব, আপনাকে না।’ এরপর তিনি মুঠোফোনের সংযোগ কেটে দেন।
১৯৬৫ সালের ১৫ মার্চ মতিঝিলে যাত্রা শুরু করে আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ। পরে বনশ্রী ও মুগদাতেও শাখা খোলা হয়। এই তিনটি শাখায় বাংলা ও ইংরেজি মাধ্যম মিলিয়ে শিক্ষার্থী ২৮ হাজারের বেশি। শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারী সাত শতাধিক।
ভর্তি-সংক্রান্ত নিয়মের বিষয়ে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রতি শ্রেণিতে ৫০ জন শিক্ষার্থী ভর্তির বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) নির্দেশনা রয়েছে। অনুমোদিত আসনসংখ্যার চেয়ে বেশি শিক্ষার্থী ভর্তির কোনো সুযোগ নেই, এটা অনিয়ম ও অবৈধ। এ বিষয়ে আইডিয়াল কর্তৃপক্ষের কাছে ব্যাখ্যা তলব করা হবে।
বিদ্যালয়টিতে অবৈধ ভর্তির অভিযোগের বিষয়ে অন্তত ২০ জন অভিভাবক ও শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীর সঙ্গে কথা হয়েছে এই প্রতিবেদকের। তাঁরা বলেছেন, ভর্তি পরীক্ষায় অকৃতকার্য ও লটারিতে নাম না আসা শিক্ষার্থীকে টাকার বিনিময়ে অবৈধভাবে ভর্তি করা হয়েছে। এ জন্য শিক্ষার্থীপ্রতি বিভিন্ন অঙ্কের টাকা নেওয়া হয়। অবৈধভাবে ভর্তির জন্য কেউ প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী, কেউ ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মী, কেউ গভর্নিং বডির সদস্যকে মাধ্যম করেছেন।
জানা যায়, প্রতিটি অবৈধ ভর্তিতে গড়ে লেনদেন হয়েছে চার লাখ টাকা। সেই হিসাবে গত ৯ বছরে অবৈধ ভর্তিতে বাণিজ্য হয়েছে ১০০ কোটি টাকার বেশি।
প্রায় ৩ হাজার অবৈধ ভর্তি
ভর্তি-সংক্রান্ত নথিপত্র পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ২০১৪ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ৯ বছরে আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের তিনটি শাখায় মাউশি ও স্কুলের গভর্নিং বডির অনুমোদিত আসনসংখ্যার অতিরিক্ত ২ হাজার ৮০৫ জন শিক্ষার্থীকে অবৈধ ভর্তি করা হয়েছে। এসব ভর্তির বেশির ভাগই প্রথম শ্রেণিতে।
২০১৬ সালে বিভিন্ন শ্রেণিতে সবচেয়ে বেশি অবৈধ ভর্তি হয়েছে, ২ হাজার ৩৩৫টি। ওই বছর তিন শাখার বাংলা মাধ্যম ও মতিঝিল শাখার ইংরেজি মাধ্যমে অনুমোদিত আসনসংখ্যা ছিল ৩ হাজার ৭৮০। তবে ভর্তি করা হয় ৬ হাজার ১১৫ জনকে। ২০১৪ সালে অনুমোদিত আসনসংখ্যার অতিরিক্ত ৬৯ জন, ২০১৫ সালে ৫২ জন, ২০১৭ সালে ৩৫, ২০১৯ সালে ৫৩, ২০২০ সালে ১৫৪, ২০২১ সালে ৭৫ ও ২০২২ সালে ৩২ শিক্ষার্থীকে ভর্তি করা হয়েছে। এগুলো অবৈধ ভর্তি। তবে ২০১৮ সালে অবৈধভাবে কোনো শিক্ষার্থী ভর্তির তথ্য পাওয়া যায়নি।
২০১৬ সালে প্রতিষ্ঠানটির গভর্নিং বডির সভাপতি ছিলেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও ঢাকা-৮ আসনের (মতিঝিল-রমনা-পল্টন) সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন। অবৈধ ভর্তির অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি অনেক আগে দায়িত্ব পালন করেছি। বিষয়টি আমার জানা নেই।’ তিনি গত ৯ বছরে তিন মেয়াদে তিন বছর সভাপতি ছিলেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আইডিয়াল স্কুলের এক শিক্ষক বলেন, ২০১৭ সাল থেকে প্রথম শ্রেণিতে লটারির মাধ্যমে ভর্তি কার্যক্রম শুরুর ঘোষণার কারণে একটি সিন্ডিকেট ২০১৬ সালে সবচেয়ে বেশি অবৈধ ভর্তি করেছিল।
ছয় মাস করে এক বছর প্রতিষ্ঠানটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন সাবেক জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান ও অতিরিক্ত সচিব ড. মোল্লা জালাল উদ্দিন। অভিযোগের বিষয়ে তাঁরা কোনো মন্তব্য করতে অপারগতা জানান।
২০১৭ সালের ৪ মে থেকে গভর্নিং বডির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগসচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অবৈধ ভর্তির তথ্যটি পুরোপুরি সত্য নয়। আমি দায়িত্ব গ্রহণের পর এই অনিয়ম বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছি। আমার দায়িত্বকালে বিশেষ কারণে দু-একটি ভর্তি করা হয়ে থাকতে পারে, তবে ঢালাওভাবে হয়নি।’
ভর্তি-বাণিজ্যের হোতারা
অনুসন্ধানে জানা যায়, অবৈধ ভর্তিতে জড়িত ছিল মূলত দুটি সিন্ডিকেট। এর একটির নেতৃত্বে ছিলেন মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির সাবেক সদস্য জাহিদুল ইসলাম (২০২২ সালের মার্চে শাহজাহানপুরে গুলিতে নিহত মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপু)।
অপরটির নেতৃত্বে ছিলেন প্রতিষ্ঠানটিতে দীর্ঘদিন অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করা শাহান আরা বেগম। অভিযোগ আছে, তাঁর পক্ষে ভর্তি-বাণিজ্যসহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ করতেন প্রতিষ্ঠানটির উপসহকারী প্রকৌশলী আতিকুর রহমান খান। ২০২১ সালের ১ আগস্ট আতিকুরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তদন্তটি চলছে বলে জানান মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা।
দীর্ঘদিন ভর্তি কার্যক্রমে যুক্ত এক শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আইডিয়াল স্কুলে ভর্তিতে অনিয়ম হয় মূলত গভর্নিং বডির অনুমোদিত আসনসংখ্যার ব্যত্যয় ঘটিয়ে। এসব ভর্তিতে মোটা অঙ্কের টাকা লেনদেন হয়। এর সঙ্গে গভর্নিং বডির প্রভাবশালী সদস্য ও প্রতিষ্ঠানটির কয়েকজন শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী জড়িত।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে শাহান আরা বেগম বলেন, ‘আমি এখন ওই প্রতিষ্ঠানে নেই, এ বিষয়ে কোনো কথা বলব না।’ উপসহকারী প্রকৌশলী আতিকুর রহমান খান বলেন, ‘অবৈধ ভর্তি-বাণিজ্যের সঙ্গে আমার জড়িত থাকার অভিযোগ সত্য নয়। এগুলো মিথ্যা, বানোয়াট। আমি প্রতিষ্ঠানটির কোনো দায়িত্বশীল পদে নেই। আমি কীভাবে ভর্তি-বাণিজ্য করব?’
টিপু হত্যার আসামির জবানবন্দিতে ভর্তি-বাণিজ্য
মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপু হত্যা মামলার আসামি সুমন শিকদার ওরফে মুসার জবানবন্দিতেও উঠে এসেছে আইডিয়াল স্কুলে ভর্তি-বাণিজ্যের বিষয়টি। সম্প্রতি আদালতে ১৬৪ ধারায় দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি অনুসারে টিপু হত্যার নেপথ্য কারণের একটি এই ভর্তি-বাণিজ্যের টাকার ভাগ-বাঁটোয়ারা। জবানবন্দিতে তিনি বলেন, ‘রুফটপ রেস্তোরাঁর বৈঠকে সবাই জাহিদুলের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বৈঠকে সোহেল শাহরিয়ার বলেন, জিসান ও মানিক মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলে যে ১০০ ছাত্র ভর্তির কথা বলেছিলেন, তার কী হলো? তখন মারুফ বলেন, এ নিয়ে জাহিদুলের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। তবে জাহিদুল এ ব্যাপারে কথা বলতে নারাজ। জিসান ও মানিককে ভর্তি-বাণিজ্যের ভাগ দিতে হলে তা অন্যদের অংশ থেকে দিতে বলেছেন জাহিদুল।’
অনিয়মের তদন্ত চলছে
মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত করছে দুটি সংস্থা। ভর্তি-বাণিজ্য, ফরম পূরণে অতিরিক্ত অর্থ আদায়সহ বিভিন্নভাবে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০২১ সালের ১৫ নভেম্বর সাবেক অধ্যক্ষ শাহান আরা বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। জানতে চাইলে ৮ মে দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা মুহাম্মদ আরিফ সাদেক আজকের পত্রিকাকে বলেন, তদন্তটি চলমান।
তদন্তকারী আরেক সংস্থা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মকর্তা বলেন, আইডিয়ালে গভর্নিং বডির অনুমোদিত আসনসংখ্যা লঙ্ঘন করে অবৈধ ভর্তির কিছু প্রমাণ পাওয়া গেছে। ভর্তি-সংক্রান্ত কাগজপত্র পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। সংস্থাটির পরিচালক অধ্যাপক অলিউল্লাহ্ মো. আজমতগীর বলেন, তদন্ত কার্যক্রম শেষ হলে প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খানকে একাধিকবার ফোন ও এসএমএস করা হলেও সাড়া পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে মাউশির মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ভর্তিতে সরকারি নির্দেশনা লঙ্ঘন করলে অবশ্যই তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রাজধানীর খ্যাতনামা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের মতিঝিলসহ তিনটি শাখায় গত ৯ বছরে প্রায় তিন হাজার শিক্ষার্থীকে অবৈধভাবে ভর্তি করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডির অনুমোদিত আসনসংখ্যার অতিরিক্ত এসব শিক্ষার্থী ভর্তিতে লেনদেন হয়েছে শতকোটি টাকার বেশি।
আইডিয়াল স্কুলে ভর্তিসংক্রান্ত বিভিন্ন কাগজপত্র ঘেঁটে এবং অভিযোগ অনুসন্ধানে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। অভিযোগ আছে, দুটি সিন্ডিকেট এই অবৈধ ভর্তি-বাণিজ্যে জড়িত। এই চক্রে ছিলেন বিদ্যালয়ের গভর্নিং বডির সদস্য, শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী, রাজনৈতিক নেতাও। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির ভর্তি-বাণিজ্য, অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর (ডিআইএ)।
এসব বিষয়ে বক্তব্য জানতে ফোন করলে প্রতিষ্ঠানটির মতিঝিল শাখার অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদী বলেন, ‘আপনি এগুলো জানার কে? এসব তথ্য কই পান? এ ধরনের প্রশ্ন করার এখতিয়ার আপনার নেই। কোনো তদন্তে অনিয়ম উঠে আসলে মন্ত্রণালয়ে জবাব দেব, আপনাকে না।’ এরপর তিনি মুঠোফোনের সংযোগ কেটে দেন।
১৯৬৫ সালের ১৫ মার্চ মতিঝিলে যাত্রা শুরু করে আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ। পরে বনশ্রী ও মুগদাতেও শাখা খোলা হয়। এই তিনটি শাখায় বাংলা ও ইংরেজি মাধ্যম মিলিয়ে শিক্ষার্থী ২৮ হাজারের বেশি। শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারী সাত শতাধিক।
ভর্তি-সংক্রান্ত নিয়মের বিষয়ে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রতি শ্রেণিতে ৫০ জন শিক্ষার্থী ভর্তির বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) নির্দেশনা রয়েছে। অনুমোদিত আসনসংখ্যার চেয়ে বেশি শিক্ষার্থী ভর্তির কোনো সুযোগ নেই, এটা অনিয়ম ও অবৈধ। এ বিষয়ে আইডিয়াল কর্তৃপক্ষের কাছে ব্যাখ্যা তলব করা হবে।
বিদ্যালয়টিতে অবৈধ ভর্তির অভিযোগের বিষয়ে অন্তত ২০ জন অভিভাবক ও শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীর সঙ্গে কথা হয়েছে এই প্রতিবেদকের। তাঁরা বলেছেন, ভর্তি পরীক্ষায় অকৃতকার্য ও লটারিতে নাম না আসা শিক্ষার্থীকে টাকার বিনিময়ে অবৈধভাবে ভর্তি করা হয়েছে। এ জন্য শিক্ষার্থীপ্রতি বিভিন্ন অঙ্কের টাকা নেওয়া হয়। অবৈধভাবে ভর্তির জন্য কেউ প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী, কেউ ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মী, কেউ গভর্নিং বডির সদস্যকে মাধ্যম করেছেন।
জানা যায়, প্রতিটি অবৈধ ভর্তিতে গড়ে লেনদেন হয়েছে চার লাখ টাকা। সেই হিসাবে গত ৯ বছরে অবৈধ ভর্তিতে বাণিজ্য হয়েছে ১০০ কোটি টাকার বেশি।
প্রায় ৩ হাজার অবৈধ ভর্তি
ভর্তি-সংক্রান্ত নথিপত্র পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ২০১৪ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ৯ বছরে আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের তিনটি শাখায় মাউশি ও স্কুলের গভর্নিং বডির অনুমোদিত আসনসংখ্যার অতিরিক্ত ২ হাজার ৮০৫ জন শিক্ষার্থীকে অবৈধ ভর্তি করা হয়েছে। এসব ভর্তির বেশির ভাগই প্রথম শ্রেণিতে।
২০১৬ সালে বিভিন্ন শ্রেণিতে সবচেয়ে বেশি অবৈধ ভর্তি হয়েছে, ২ হাজার ৩৩৫টি। ওই বছর তিন শাখার বাংলা মাধ্যম ও মতিঝিল শাখার ইংরেজি মাধ্যমে অনুমোদিত আসনসংখ্যা ছিল ৩ হাজার ৭৮০। তবে ভর্তি করা হয় ৬ হাজার ১১৫ জনকে। ২০১৪ সালে অনুমোদিত আসনসংখ্যার অতিরিক্ত ৬৯ জন, ২০১৫ সালে ৫২ জন, ২০১৭ সালে ৩৫, ২০১৯ সালে ৫৩, ২০২০ সালে ১৫৪, ২০২১ সালে ৭৫ ও ২০২২ সালে ৩২ শিক্ষার্থীকে ভর্তি করা হয়েছে। এগুলো অবৈধ ভর্তি। তবে ২০১৮ সালে অবৈধভাবে কোনো শিক্ষার্থী ভর্তির তথ্য পাওয়া যায়নি।
২০১৬ সালে প্রতিষ্ঠানটির গভর্নিং বডির সভাপতি ছিলেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও ঢাকা-৮ আসনের (মতিঝিল-রমনা-পল্টন) সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন। অবৈধ ভর্তির অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি অনেক আগে দায়িত্ব পালন করেছি। বিষয়টি আমার জানা নেই।’ তিনি গত ৯ বছরে তিন মেয়াদে তিন বছর সভাপতি ছিলেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আইডিয়াল স্কুলের এক শিক্ষক বলেন, ২০১৭ সাল থেকে প্রথম শ্রেণিতে লটারির মাধ্যমে ভর্তি কার্যক্রম শুরুর ঘোষণার কারণে একটি সিন্ডিকেট ২০১৬ সালে সবচেয়ে বেশি অবৈধ ভর্তি করেছিল।
ছয় মাস করে এক বছর প্রতিষ্ঠানটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন সাবেক জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান ও অতিরিক্ত সচিব ড. মোল্লা জালাল উদ্দিন। অভিযোগের বিষয়ে তাঁরা কোনো মন্তব্য করতে অপারগতা জানান।
২০১৭ সালের ৪ মে থেকে গভর্নিং বডির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগসচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অবৈধ ভর্তির তথ্যটি পুরোপুরি সত্য নয়। আমি দায়িত্ব গ্রহণের পর এই অনিয়ম বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছি। আমার দায়িত্বকালে বিশেষ কারণে দু-একটি ভর্তি করা হয়ে থাকতে পারে, তবে ঢালাওভাবে হয়নি।’
ভর্তি-বাণিজ্যের হোতারা
অনুসন্ধানে জানা যায়, অবৈধ ভর্তিতে জড়িত ছিল মূলত দুটি সিন্ডিকেট। এর একটির নেতৃত্বে ছিলেন মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির সাবেক সদস্য জাহিদুল ইসলাম (২০২২ সালের মার্চে শাহজাহানপুরে গুলিতে নিহত মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপু)।
অপরটির নেতৃত্বে ছিলেন প্রতিষ্ঠানটিতে দীর্ঘদিন অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করা শাহান আরা বেগম। অভিযোগ আছে, তাঁর পক্ষে ভর্তি-বাণিজ্যসহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ করতেন প্রতিষ্ঠানটির উপসহকারী প্রকৌশলী আতিকুর রহমান খান। ২০২১ সালের ১ আগস্ট আতিকুরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তদন্তটি চলছে বলে জানান মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা।
দীর্ঘদিন ভর্তি কার্যক্রমে যুক্ত এক শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আইডিয়াল স্কুলে ভর্তিতে অনিয়ম হয় মূলত গভর্নিং বডির অনুমোদিত আসনসংখ্যার ব্যত্যয় ঘটিয়ে। এসব ভর্তিতে মোটা অঙ্কের টাকা লেনদেন হয়। এর সঙ্গে গভর্নিং বডির প্রভাবশালী সদস্য ও প্রতিষ্ঠানটির কয়েকজন শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী জড়িত।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে শাহান আরা বেগম বলেন, ‘আমি এখন ওই প্রতিষ্ঠানে নেই, এ বিষয়ে কোনো কথা বলব না।’ উপসহকারী প্রকৌশলী আতিকুর রহমান খান বলেন, ‘অবৈধ ভর্তি-বাণিজ্যের সঙ্গে আমার জড়িত থাকার অভিযোগ সত্য নয়। এগুলো মিথ্যা, বানোয়াট। আমি প্রতিষ্ঠানটির কোনো দায়িত্বশীল পদে নেই। আমি কীভাবে ভর্তি-বাণিজ্য করব?’
টিপু হত্যার আসামির জবানবন্দিতে ভর্তি-বাণিজ্য
মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপু হত্যা মামলার আসামি সুমন শিকদার ওরফে মুসার জবানবন্দিতেও উঠে এসেছে আইডিয়াল স্কুলে ভর্তি-বাণিজ্যের বিষয়টি। সম্প্রতি আদালতে ১৬৪ ধারায় দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি অনুসারে টিপু হত্যার নেপথ্য কারণের একটি এই ভর্তি-বাণিজ্যের টাকার ভাগ-বাঁটোয়ারা। জবানবন্দিতে তিনি বলেন, ‘রুফটপ রেস্তোরাঁর বৈঠকে সবাই জাহিদুলের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বৈঠকে সোহেল শাহরিয়ার বলেন, জিসান ও মানিক মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলে যে ১০০ ছাত্র ভর্তির কথা বলেছিলেন, তার কী হলো? তখন মারুফ বলেন, এ নিয়ে জাহিদুলের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। তবে জাহিদুল এ ব্যাপারে কথা বলতে নারাজ। জিসান ও মানিককে ভর্তি-বাণিজ্যের ভাগ দিতে হলে তা অন্যদের অংশ থেকে দিতে বলেছেন জাহিদুল।’
অনিয়মের তদন্ত চলছে
মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত করছে দুটি সংস্থা। ভর্তি-বাণিজ্য, ফরম পূরণে অতিরিক্ত অর্থ আদায়সহ বিভিন্নভাবে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০২১ সালের ১৫ নভেম্বর সাবেক অধ্যক্ষ শাহান আরা বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। জানতে চাইলে ৮ মে দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা মুহাম্মদ আরিফ সাদেক আজকের পত্রিকাকে বলেন, তদন্তটি চলমান।
তদন্তকারী আরেক সংস্থা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মকর্তা বলেন, আইডিয়ালে গভর্নিং বডির অনুমোদিত আসনসংখ্যা লঙ্ঘন করে অবৈধ ভর্তির কিছু প্রমাণ পাওয়া গেছে। ভর্তি-সংক্রান্ত কাগজপত্র পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। সংস্থাটির পরিচালক অধ্যাপক অলিউল্লাহ্ মো. আজমতগীর বলেন, তদন্ত কার্যক্রম শেষ হলে প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খানকে একাধিকবার ফোন ও এসএমএস করা হলেও সাড়া পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে মাউশির মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ভর্তিতে সরকারি নির্দেশনা লঙ্ঘন করলে অবশ্যই তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৯ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
১২ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
১২ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
১৩ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

রাজধানীর খ্যাতনামা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের মতিঝিলসহ তিনটি শাখায় গত ৯ বছরে প্রায় তিন হাজার শিক্ষার্থীকে অবৈধভাবে ভর্তি করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডির অনুমোদিত আসনসংখ্যার অতিরিক্ত এসব শিক্ষার্থী ভর্তিতে লেনদেন হয়েছে শতকোটি টাকার বেশি।
১৬ মে ২০২৩
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
১২ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
১২ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
১৩ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

রাজধানীর খ্যাতনামা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের মতিঝিলসহ তিনটি শাখায় গত ৯ বছরে প্রায় তিন হাজার শিক্ষার্থীকে অবৈধভাবে ভর্তি করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডির অনুমোদিত আসনসংখ্যার অতিরিক্ত এসব শিক্ষার্থী ভর্তিতে লেনদেন হয়েছে শতকোটি টাকার বেশি।
১৬ মে ২০২৩
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৯ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
১২ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
১৩ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

রাজধানীর খ্যাতনামা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের মতিঝিলসহ তিনটি শাখায় গত ৯ বছরে প্রায় তিন হাজার শিক্ষার্থীকে অবৈধভাবে ভর্তি করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডির অনুমোদিত আসনসংখ্যার অতিরিক্ত এসব শিক্ষার্থী ভর্তিতে লেনদেন হয়েছে শতকোটি টাকার বেশি।
১৬ মে ২০২৩
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৯ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
১২ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
১৩ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আজ সোমবার ভোরে বান্দরবান সদর উপজেলার হাজীপাড়ার বালাঘাটা এলাকা থেকে সিআইডির এলআইসি ও সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) ইউনিটের সদস্যরা এই যুগলকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তার হওয়া যুগল হলেন মুহাম্মদ আজিম (২৮) ও তাঁর স্ত্রী বৃষ্টি (২৮)। আজ বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় সিআইডি।
গ্রেপ্তার আজিমের বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বুরুমছড়া গ্রামে এবং বৃষ্টির বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার আন্ধারমানিক (খালপাড়) গ্রামে।
সিআইডির প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এই যুগল ২০২৪ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক এক পর্নো সাইটে প্রথম ভিডিও আপলোড করেন। এরপর এক বছরের মধ্যে তাঁরা ১১২টি ভিডিও আপলোড করেছেন, যেগুলো বিশ্বব্যাপী ২ কোটি ৬৭ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে।
এই যুগল এতটাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন যে, ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক পারফর্মার র্যাঙ্কিংয়ে তাঁদের অবস্থান উঠে আসে অষ্টম স্থানে। ভিডিও আপলোড ছাড়াও তাঁরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম—বিশেষ করে, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টেলিগ্রামের মাধ্যমে নিজেদের কর্মকাণ্ডের প্রচারণা চালাতেন। এসব প্ল্যাটফর্মে নতুনদের এ কাজে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হতো।
তদন্তকারীরা বলছেন, আগ্রহীদের ‘ক্রিয়েটর’ হিসেবে যুক্ত করতে তাঁরা টেলিগ্রাম চ্যানেলে নানা প্রলোভন দেখিয়ে বিজ্ঞাপন দিতেন। নতুন কেউ যুক্ত হলে তাঁকে নগদ অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হতো। কেউ যোগাযোগ করলে তাঁদের ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে উৎসাহিত করতেন আজিম ও বৃষ্টি।
সিআইডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই যুগল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরোতে পারেননি। তবে অনলাইনে তাঁদের বিলাসবহুল জীবনধারার নানা ছবি পাওয়া যায়, যা সমাজে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। এসব কার্যক্রম সামাজিক ও নৈতিকভাবে যেমন উদ্বেগজনক, তেমনি দেশের প্রচলিত আইনেরও লঙ্ঘন।
অভিযানের সময় তাঁদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, সিম কার্ড, ক্যামেরা, ট্রাইপডসহ ভিডিও ধারণের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। একই সঙ্গে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
সিআইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পর্নোগ্রাফি ছড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আজ সোমবার ভোরে বান্দরবান সদর উপজেলার হাজীপাড়ার বালাঘাটা এলাকা থেকে সিআইডির এলআইসি ও সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) ইউনিটের সদস্যরা এই যুগলকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তার হওয়া যুগল হলেন মুহাম্মদ আজিম (২৮) ও তাঁর স্ত্রী বৃষ্টি (২৮)। আজ বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় সিআইডি।
গ্রেপ্তার আজিমের বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বুরুমছড়া গ্রামে এবং বৃষ্টির বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার আন্ধারমানিক (খালপাড়) গ্রামে।
সিআইডির প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এই যুগল ২০২৪ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক এক পর্নো সাইটে প্রথম ভিডিও আপলোড করেন। এরপর এক বছরের মধ্যে তাঁরা ১১২টি ভিডিও আপলোড করেছেন, যেগুলো বিশ্বব্যাপী ২ কোটি ৬৭ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে।
এই যুগল এতটাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন যে, ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক পারফর্মার র্যাঙ্কিংয়ে তাঁদের অবস্থান উঠে আসে অষ্টম স্থানে। ভিডিও আপলোড ছাড়াও তাঁরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম—বিশেষ করে, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টেলিগ্রামের মাধ্যমে নিজেদের কর্মকাণ্ডের প্রচারণা চালাতেন। এসব প্ল্যাটফর্মে নতুনদের এ কাজে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হতো।
তদন্তকারীরা বলছেন, আগ্রহীদের ‘ক্রিয়েটর’ হিসেবে যুক্ত করতে তাঁরা টেলিগ্রাম চ্যানেলে নানা প্রলোভন দেখিয়ে বিজ্ঞাপন দিতেন। নতুন কেউ যুক্ত হলে তাঁকে নগদ অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হতো। কেউ যোগাযোগ করলে তাঁদের ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে উৎসাহিত করতেন আজিম ও বৃষ্টি।
সিআইডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই যুগল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরোতে পারেননি। তবে অনলাইনে তাঁদের বিলাসবহুল জীবনধারার নানা ছবি পাওয়া যায়, যা সমাজে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। এসব কার্যক্রম সামাজিক ও নৈতিকভাবে যেমন উদ্বেগজনক, তেমনি দেশের প্রচলিত আইনেরও লঙ্ঘন।
অভিযানের সময় তাঁদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, সিম কার্ড, ক্যামেরা, ট্রাইপডসহ ভিডিও ধারণের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। একই সঙ্গে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
সিআইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পর্নোগ্রাফি ছড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

রাজধানীর খ্যাতনামা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের মতিঝিলসহ তিনটি শাখায় গত ৯ বছরে প্রায় তিন হাজার শিক্ষার্থীকে অবৈধভাবে ভর্তি করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডির অনুমোদিত আসনসংখ্যার অতিরিক্ত এসব শিক্ষার্থী ভর্তিতে লেনদেন হয়েছে শতকোটি টাকার বেশি।
১৬ মে ২০২৩
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৯ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
১২ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
১২ দিন আগে