Ajker Patrika

ডিমলায় জমির বিরোধে দুই পরিবারের সংঘর্ষ, মন্দির ভাঙচুরের অভিযোগ

ডিমলা (প্রতিনিধি) নীলফামারী
নীলফামারীর ডিমলায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে সনাতন ধর্মাবলম্বী দুই পরিবারের মধ্যে সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে যায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ছবি: আজকের পত্রিকা
নীলফামারীর ডিমলায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে সনাতন ধর্মাবলম্বী দুই পরিবারের মধ্যে সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে যায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ছবি: আজকের পত্রিকা

নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে সনাতন ধর্মাবলম্বী দুই পরিবারের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আজ রোববার (২০ জুলাই) দুপুরে এ সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।

সংঘর্ষের পর একটি ঘরে অগ্নিসংযোগ ও একটি মন্দির ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে এক পরিবারের পক্ষ অবলম্বন করা আমজাদ হোসেন নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ওই সংঘর্ষের একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, রুপাহারা গ্রামের বাসিন্দা স্বপন রায়, রতন রায় ও কৃষ্ণ রায়ের পারিবারিক জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে তাঁদের চাচাতো ভাই বিভূতি, রিভূতি ও বিকাশ রায়ের সঙ্গে। আজ সকালে বিরোধপূর্ণ জমিতে বাঁশ কাটাকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের মধ্যে কথা-কাটাকাটি শুরু হয়, যা পরে সংঘর্ষে রূপ নেয়। দেশীয় অস্ত্র নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলায় অন্তত ১০ জন আহত হন। আহত ব্রক্তিদের স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়েছে।

এদিকে ঘটনার সময় আমজাদ হোসেন নামের এক ব্যক্তি রতন রায়ের পরিবারের একটি বসতবাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন এবং পারিবারিক একটি মন্দিরে ভাঙচুর চালান—এমন অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। রতন রায় অভিযোগ করেন, আমজাদ হোসেনের নেতৃত্বে বিভূতি, রিভূতি, বিকাশ রায়সহ ৫০ থেকে ৬০ জনের একটি দল তাঁদের জমি জোরপূর্বক দখল নিতে আসে। বাধা দিলে তারা বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং মন্দির ভাঙচুর করে। এ সময় ভুক্তভোগী পরিবারের সাতজন আহত হন।

তবে বিভূতি রায় এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘এটি শুধুই পারিবারিক জমি নিয়ে দ্বন্দ্ব। আমজাদ হোসেন এলাকাবাসী হিসেবে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন পরিস্থিতি সামাল দিতে। এখন তাঁকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনার ‘‘মূল হোতা’’ হিসেবে অপপ্রচার করা হচ্ছে।’

এ বিষয়ে ডিমলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফজলে এলাহী বলেন, ‘আমরা অভিযোগ পেয়েছি এবং তদন্ত শুরু করেছি। পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। কেউ আইন নিজের হাতে তুলে নিলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিমলা উপজেলার বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সদস্যসচিব জোতি রায় বলেন, দুই সনাতন ধর্মালম্বী পরিবারের মধ্যে জমি নিয়ে এই বিরোধ। এটা সাম্প্রদায়িক কোনো ইস্যু নয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত