Ajker Patrika

যুবদল নেতাদের বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধী ব্যক্তির কাছে চাঁদা দাবির অভিযোগ

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি  
আপডেট : ২১ জুলাই ২০২৫, ০০: ৩৯
যুবদল নেতাদের বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধী ব্যক্তির কাছে চাঁদা দাবির অভিযোগ

প্রতিবন্ধী ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলামের কাছে ১ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার রতনকান্দি ইউনিয়ন যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ রানাসহ বেশ কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে।

এ ঘটনায় সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে ১০ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী তিন দিনের মধ্যে জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাবর প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

জেলা বিএনপির সহদপ্তর সম্পাদক এনামুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, জেলা বিএনপির সহসভাপতি শ্রী অমর কৃষ্ণ দাসকে আহ্বায়ক ও ৯ জনকে সদস্য করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

গতকাল শনিবার রাতে জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক তানভীর মাহমুদ পলাশ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার রতনকান্দি ইউনিয়নে একডালা বাজারে স্থানীয় নেতাদের নামে চাঁদাবাজি/পাওনা টাকা আদায়ের নামে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের চেষ্টার অভিযোগ, স্থানীয় যুবদল নেতাদের বিরুদ্ধে পোস্টারিং এবং উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দোষীদের শনাক্তকরণে একজন আহ্বায়ক ও ৯ জন সদস্য নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হলো।

দোষীদের শনাক্ত ও শাস্তির সুপারিশ করে আগামী তিন দিনের মধ্যে জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাবর প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হলো।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার রতনকান্দি ইউনিয়নের একডালা বাজারে প্লাস্টিক ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলামের কাছে ১ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন রতনকান্দি ইউনিয়ন যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ রানা, ইউনিয়ন যুবদলের সহসভাপতি রিপন মিয়া, তারিকুল ইসলাম, চান মিয়া ও আব্দুল মালেক।

তাঁদের দাবি করা চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে ১১ জুলাই (শুক্রবার) সাইফুল ইসলামের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেন তাঁরা। একই সঙ্গে তাঁর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ক্যাশে থাকা ৫০ হাজার টাকাসহ বিভিন্ন মালপত্র লুট করে নিয়ে যান।

এ সময় স্থানীয় বাসিন্দারা ইউনিয়ন যুবদলের সহসভাপতি রিপন মিয়া, তারিকুল ইসলাম ও সাংগঠনিক মাসুদ রানাকে আটক করে পুলিশে দেন। পরে পুলিশ তাঁদের ছেড়ে দেয়। থানা থেকে মুক্ত হওয়ার পর থেকে ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলামকে প্রাণনাশের হুমকিসহ নানা ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে বলে সাইফুল ইসলাম অভিযোগ করেন। এই ঘটনার প্রতিবাদে স্থানীয় এলাকাবাসী যুবদল নেতাদের শাস্তির দাবিতে এলাকায় পোস্টারিং ও মানববন্ধন করেন। ঘটনাটি ছড়িয়ে পড়লে জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

তবে চাঁদা দাবির অভিযোগ অস্বীকার করে ইউনিয়ন যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ রানা বলেন, ‘প্লাস্টিক ব্যবসায়ীর কাছে আমরা পাওনা টাকা চাইতে গিয়েছিলাম। চাঁদা দাবির অভিযোগ সত্য নয়। আমরা ষড়যন্ত্রের শিকার। আমাদের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য স্থানীয় বিএনপির এক নেতার ইন্ধনে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত