Ajker Patrika

তেঁতুলিয়ায় টানা চার দিন ১০ ডিগ্রির ঘরে পারদ, বাড়ছে শীতজনিত রোগী

পঞ্চগড় প্রতিনিধি 
কুয়াশায় ঢাকা চারপাশ। করতোয়া সেতু এলাকা থেকে আজ সকাল ৭টায় তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা
কুয়াশায় ঢাকা চারপাশ। করতোয়া সেতু এলাকা থেকে আজ সকাল ৭টায় তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা

টানা এক সপ্তাহ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হচ্ছে পঞ্চগড়ে। চার দিন ধরে তেঁতুলিয়ায় পারদ ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে ঘোরাঘুরি করায় জেলাজুড়ে শীতের তীব্রতা বেড়েই চলেছে। আজ মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ৯৯ শতাংশ।

আবহাওয়া অফিস জানায়, এক সপ্তাহের মধ্যে আজ মঙ্গলবার পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, গতকাল সোমবার ১০ দশমিক ৬, রোববার ১০ দশমিক ৫, শনিবার ১০ দশমিক ৫, শুক্রবার ১২, বৃহস্পতিবার ১২ দশমিক ৫, বুধবার ১২ দশমিক ২ এবং গত মঙ্গলবার ১১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

দিনমজুর কামাল উদ্দিন বলেন, ‘দিনের বেলা রোদ উঠলে মনে হয় শীত তেমন নেই। কিন্তু রাত হলেই ঠান্ডা এমনভাবে নামতে থাকে যে কাজ শেষে বাড়ি ফিরতে হাত-পা জমে আসে। ভোররাতে বাতাসের ঝাপটা শরীরে লাগলে কাঁপুনি চেপে রাখা যায় না। সকালে সূর্য উঠলেই শরীর গরম হয়, সেলা (তখন) মনে হয় যেন বাঁচা গেল। তবে যত দিন যাচ্ছে, ঠান্ডা আরও বাড়ছে। কয়দিন আগতও এতটা শীত ছিল নাই, এখন তো মনে হচ্ছে সামনত আরও কঠিন শীত পড়িবে।’

জালাসি এলাকার দোকানি শফিকুল বলেন, ‘রাতপাতে অগোতা ঠান্ডাডাহ বাড়ি যায়। দোকান বন্ধ করে বাড়ি যাইতেও হাত-পা বরফ হইয়া যায়। ভোরবেলা ঘুম থাইক্যা উঠলেই দেখি কুয়াশায় রাস্তাঘাট দেখা যায় না, হাওয়া লাগলেই গা কাঁপে। তবে সূর্য মাথাই উঠলেই একটু বাঁচতি। এ বছরে বেশি শীত পড়িবে মনে হয়।’

এদিকে বাড়ছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। সর্দি-কাশি, জ্বর, অ্যালার্জি ও শ্বাসকষ্টে শিশু ও বৃদ্ধরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। ফলে হাসপাতালগুলোতে রোগীর চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, আজ তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে। বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৯৯ শতাংশ, যা শীতের অনুভূতি আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মোহাম্মদপুর ট্র্যাজেডি: নাটোরে পৌঁছাল মা-মেয়ের মরদেহ, চাবি হারিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন লায়লা

নাটোর প্রতিনিধি 
আপডেট : ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১: ১৪
হত্যার শিকার মা-মেয়ের মরদেহ আজ সকালে নাটোরে নিজ বাসায় এসে পৌঁছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
হত্যার শিকার মা-মেয়ের মরদেহ আজ সকালে নাটোরে নিজ বাসায় এসে পৌঁছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

লায়লা আফরোজ তাঁর প্রাণোচ্ছল মেয়ে নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিজকে নিয়ে ফিরলেন নিজ বাসায়; তবে ফ্রিজিং ভ্যানে, লাশ হয়ে। এমন ফিরে আসা কেউই মেনে নিতে পারছেন না। রাজধানীর মোহাম্মদপুরে বাসায় ঢুকে হত্যার শিকার মা-মেয়ের মরদেহ মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে নাটোরে নিজ বাসায় এসে পৌঁছেছে। আজ সকাল ৬টায় লাশবাহী ফ্রিজিং ভ্যানটি নাটোর পৌরসভার দক্ষিণ বড়গাছায় নিজ বাসভবনের সামনে পৌঁছালে কান্নায় ভেঙে পড়েন স্বজনেরা।

নিহত লায়লা আফরোজের ছোট ভাই উত্তরায় বসবাসরত ফরহাদ হোসেন জানান, বড় বোনের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ ছিল সবচেয়ে বেশি। দিনে বেশ কয়েকবার তাঁদের মধ্যে ফোনে কথা হতো। রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ভিডিও কল করে লায়লা জানান, তাঁর বাসার চাবি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। চাবি হারানোর ঘটনায় তাঁকে বেশ উদ্বিগ্ন মনে হচ্ছিল। নতুন কাজের মেয়ে বাসায় কাজ শুরুর পর চাবি হারানো স্বাভাবিকভাবে নেননি তিনি। দু-এক মিনিটের এই কথোপকথনই তাঁদের শেষ কথা ছিল।

ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘অনেকটা মানবিকতার খাতিরেই লায়লা গৃহপরিচারিকার কাজ দিয়েছিলেন আয়শাকে। আয়শা তখন জানিয়েছিল, রংপুরে তাদের বাড়িতে আগুন লেগে মা-বাবা মারা গেছে। তার গলা থেকে বুক পর্যন্ত ও হাতের কিছু অংশ আগুনে পোড়া। এ কারণে তাকে কেউ কাজে নিতে চাননি। আয়শার এ কথা লায়লাকে ভীষণভাবে নাড়া দেয়। তখন তাকে বাসায় কাজের জন্য রাখেন লায়লা।’

নাটোরে লায়লার প্রতিবেশী মামুন শিকদার বলেন, ‘লায়লাদের পুরো পরিবারকে আমরা ভালোভাবে চিনি। তাদের পরিবারের কেউ কাউকে কষ্ট দিয়ে কোনো দিন কথা বলেছে, এমনটি শুনিনি। অথচ এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ড তাদের সঙ্গেই ঘটল, যা মেনে নেওয়া কঠিন।’

আজ জোহরের নামাজের পর জানাজা শেষে দক্ষিণ বড়গাছা কবরস্থানে দাফন করা হবে লায়লা ও তাঁর কন্যা নাফিসাকে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পদোন্নতির ডাক পেলেন শেখ হাসিনার সাজা প্রত্যাখ্যান করা শিক্ষক মাসুদ রানা

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মাসুদ রানা। ছবি: সংগৃহীত
কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মাসুদ রানা। ছবি: সংগৃহীত

শেখ হাসিনার সাজা প্রত্যাখ্যান করে স্বাক্ষর দেওয়া জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মাসুদ রানাকে পদোন্নতি দিতে পর্যায়োন্নয়ন কমিটির সভায় আহ্বান করা হয়েছে। গত ৪ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ড. মো. মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। আগামীকাল বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে পর্যায়োন্নয়ন কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হবে। এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে-বাইরে হইচই পড়েছে।

জানা যায়, ড. মাসুদ রানা বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামীপন্থী শিক্ষক সমিতি নীল দলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি চক্রের সঙ্গেও তাঁর নাম জড়িয়ে রয়েছে। ২০২৪ সালের ১৭ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. সৌমিত্র শেখরের বাংলো থেকে বিভিন্ন পরীক্ষার ওএমআর শিট ও এমপির ডিও লেটার উদ্ধার করা হয়। তখন ভর্তি পরীক্ষার ওএমআর কমিটির সদস্যসচিব ছিলেন ড. মাসুদ রানা। ওই ঘটনায় মাসুদ রানাসহ সংশ্লিষ্ট বেশ কয়েকজনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে। বিষয়টির বিচারপ্রক্রিয়া চলাকালে মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক থেকে অধ্যাপক পদে পর্যায়োন্নয়ন সভায় অংশগ্রহণে মাসুদ রানার নাম থাকায় সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষক বলেন, ‘সহযোগী অধ্যাপক মাসুদ রানা বিগত আওয়ামী সরকারের সময়ে প্রভাব খাটিয়ে, ভিসি সৌমিত্র শেখরকে ব্যবহার করে নানা অপকর্মে জড়িত ছিল। তা বিভিন্ন বিষয়ে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। ইতিমধ্যে অধ্যাপক হতে তাকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এই সময়ে পদোন্নতি দেওয়া হলে জুলাই শহীদদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করা হবে।’

এ বিষয়ে মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মাসুদ রানা বলেন, ‘সহযোগী অধ্যাপক থেকে অধ্যাপক হতে ৯ মাস আগে আবেদন করেছি। পর্যায়োন্নয়ন কমিটির সভায় অংশগ্রহণের জন্য এখনো কোনো চিঠি পাইনি। পদোন্নতি হয় কি না, তা-ও জানি না।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ড. মো. মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তি। ছবি: সংগৃহীত
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ড. মো. মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তি। ছবি: সংগৃহীত

মাসুদ রানা আরও বলেন, ‘ওএমআর কেলেঙ্কারিতে আমার নাম অযথা জড়ানো হয়েছে। শেখ হাসিনার রায় প্রত্যাখ্যান করে যেখানে আমার নাম ব্যবহার করে স্বাক্ষর দেওয়া হয়েছে, বিষয়টি আমি অবগত নই। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে থাকায় প্রতিবাদও করতে পারিনি।’

মাসুদ রানাকে পদোন্নতির বিষয়ে জানতে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে একাধিকবার মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।

তবে পর্যায়োন্নয়ন কমিটির সভার বিষয়টি নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ড. মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘মুঠোফোনে এসব বিষয় নিয়ে কথা বলা যায় না। আপনি অফিসে সামনাসামনি আসেন, তারপর কথা বলব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

গাংনীতে আমনের বাম্পার ফলন, ধান-বিচালির ভালো দামে খুশি চাষিরা

রাকিবুল ইসলাম, গাংনী (মেহেরপুর) 
ধান কাটছেন কৃষকেরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
ধান কাটছেন কৃষকেরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায় এবার আমন ধানের বাম্পার ফলন ও সন্তোষজনক বাজারদর পাওয়ায় কৃষকদের মুখে ফুটেছে আনন্দের হাসি। আবাদ করতে গিয়ে শ্রমিকের মজুরি, সার, কীটনাশকসহ নানা খরচ বেড়ে গেলেও ভালো ফলন ও বাজারদর সেই চাপ অনেকটা কাটিয়ে দিয়েছে। ধানের পাশাপাশি বিচালির দামও এই মৌসুমে ব্যতিক্রমীভাবে বেশি—এক বিঘার বিচালি বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকায়।

গাংনীর জোড়পুকুর, তেরাইল, বামন্দী, বালিয়াঘাট, হাড়াভাঙ্গা এলাকার মাঠ ঘুরে দেখা যায়, ধান কাটতে কৃষকদের পাশাপাশি ব্যস্ত সময় পার করছেন পরিবারের নারী সদস্যরাও। চাষিরা জানান, আমনের ফলন এবং দাম—দুই দিক থেকেই তাঁরা সন্তুষ্ট। যদিও কিছু এলাকায় কারেন্ট পোকার আক্রমণে ফলন কিছুটা কমেছে।

তেরাইল এলাকার কৃষক খবির উদ্দিন বলেন, ‘এ বছর বিঘাপ্রতি ১৮ থেকে ২০ মণ ধান পেয়েছি। কারেন্ট পোকার আক্রমণ থাকলেও কীটনাশক ব্যবহার করে তা নিয়ন্ত্রণ করেছি। অধিকাংশ জমির ফলন খুবই ভালো হয়েছে। ধানের দামে আমরা খুশি।’

অন্য কৃষক আলতাব হোসেন বলেন, ‘আল্লাহর রহমতে এবারও ভালো ফলন পেয়েছি। বিঘায় ১৮-১৯ মণ হয়েছে। আমন চাষে বিঘাপ্রতি ১০-১২ হাজার টাকা খরচ হয়, কিন্তু ধান ঘরে তুলতে পারলে সেই খরচ আর মনে থাকে না। তা ছাড়া বিচালির এই যে দাম—এক বিঘায় ১০-১২ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে, তাতে ভালোই লাভ হচ্ছে।’

ধান ব্যবসায়ী মোহাম্মদ রোকনুজ্জামান বলেন, ‘বর্তমানে ধানের বাজারদর মণপ্রতি ১ হাজার ১০০ টাকা। দাম বাড়বে কি না এখনই বলা যাচ্ছে না।’

গাংনী উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ১৪ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ হয়েছে। ফলন ও দাম দুটিতেই কৃষকেরা সন্তুষ্ট।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. ইমরান হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গাংনীর কৃষকেরা এই মৌসুমে ভালো ফলন পাচ্ছেন। যেসব জমিতে কারেন্ট পোকা আক্রমণ করেছে, সেখানে কিছু ফলন হ্রাস পেলেও তা বিচালির দামে পুষিয়ে যাচ্ছে। চাষিদের সঙ্গে আমরা সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে দ্বারে দ্বারে সাহেব আলী, বাঁচার আকুতি

কোটচাঁদপুর (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি 
কিডনি রোগে আক্রান্ত সাহেব আলী ও তার স্ত্রী সন্তান। ছবি: আজকের পত্রিকা
কিডনি রোগে আক্রান্ত সাহেব আলী ও তার স্ত্রী সন্তান। ছবি: আজকের পত্রিকা

কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে জীবন-মরণ সংকটে পড়েছেন ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার গালিমপুর গ্রামের শ্রমজীবী সাহেব আলী (৩০)। গত ছয় মাসে চিকিৎসা খরচ জোগাতে সঞ্চয় ও সহায়তার সবটুকু শেষ হয়ে গেছে। এখন মানুষের দ্বারে দ্বারে সাহায্য চাইছেন সাহেব আলী-শাহনাজ দম্পতি। সমাজের আর দশজনের সামান্য সহায়তায় ফিরে পেতে পারেন জীবন। তবে এসবের কোনো কিছু না বুঝলেও তাঁদের শিশু দুটিও ঘুরছে মা-বাবার সঙ্গে।

পরিবারঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা যায়, পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে সবার বড় সাহেব আলীর বয়স ৩০ বছর হলেও রোগে আক্রান্ত হয়ে বৃদ্ধ মানুষের ছাপ পড়েছে তাঁর চোখেমুখে। আট বছর আগে তিনি বিয়ে করেন শাহনাজকে। সংসারজীবনে তিনি দুই সন্তানের জনক। মেয়ের বয়স ৫ ও ছেলের বয়স ৩। দিনমজুরির আয়ে কোনোমতে তাঁদের সংসার চলত। কিন্তু গত ছয় মাসের চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে টুকটাক যা সঞ্চয় ছিল, সব ফুরিয়ে গেছে। বন্ধ হয়ে গেছে তাঁর চিকিৎসা। অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে দুই শিশুর ভবিষ্যৎ।

শিশু দুটির বয়স কম, তাই বুঝতে পারে না বাবার অসুস্থতার কথা। শুধু দেখে, বাবা আগে যেমন হাসিঠাট্টা করতেন, এখন তেমন করেন না। আগে যেমন খাবার বা নতুন জামাকাপড় নিয়ে আসতেন, তা-ও বন্ধ হয়ে গেছে অনেক দিন ধরে। তাই তাদের মন খারাপ থাকে।

সাহেব আলী বলেন, ‘ছয় মাস আগে আমার কিডনি রোগ ধরা পড়ে। যশোর, ঢাকার ন্যাশনাল হাসপাতাল ও পিজিতে চিকিৎসা নিয়েছি। এখন সপ্তাহে দুবার ডায়ালাইসিস করতে হয়, খরচ পড়ছে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা। চিকিৎসা আর সংসারের ব্যয় মিলিয়ে আর পারছি না। আপনাদের একটু সহায়তা পেলে আবার বাঁচার স্বপ্ন দেখতে পারি।’

তাঁর বাবা ফয়েজ উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের আবাদযোগ্য জমি নেই। যা কিছু সঞ্চয় ছিল, সবটা ছেলের চিকিৎসায় ব্যয় হয়েছে। এখন মানুষের সহায়তা ছাড়া কোনো উপায় নেই।’

উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা বশির আহম্মেদ বলেন, কিডনি রোগীদের ডায়ালাইসিসের জন্য সমাজসেবা অফিস থেকে এককালীন ৫০ হাজার টাকা সহায়তার ব্যবস্থা রয়েছে। ভুক্তভোগী আবেদন করলে যাচাই-বাছাই করে তা দেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত