Ajker Patrika

স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মামুন হত্যা মামলার আসামি গ্রেপ্তার

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মামুন হোসাইন হত্যা মামলার ২ নম্বর আসামি সুমনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব ১১ ও ফতুল্লা থানা-পুলিশ। আজ শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টায় ফতুল্লার কাঠেরপুল এলাকার নিজ বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

চলতি বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মামুন হোসাইনকে মধ্যরাতে ডেকে নিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়। ঘটনার পর কয়েকজন দুর্বৃত্তের ঘটনাস্থল থেকে সুমনের বাড়িতে প্রবেশ করার সিসিটিভি ফুটেজ ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় নিহত মামুনের স্ত্রী বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন।

মামলায় আলাউদ্দিন হাজির ছেলে আকতার, সুমন, রতন ওরফে রাখাল রতন, শাওন হাসান, রাকিব প্রধান, রাব্বিল, নয়ন, শাহ আলম, সোলেয়মান, জয়নাল, রাসেল, গোলাম রাব্বি হৃদয়, আরব আলী সরদারসহ অজ্ঞাতনামা ৮-১০ জনকে আসামি করা হয়।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০২৪ সালের ১১ সেপ্টেম্বর রেললাইন বটতলা এলাকায় তাঁর স্বামী মামুনের নেতৃত্বে মাদক ও সন্ত্রাসবিরোধী মিছিল বের হয়। সেই মিছিলকে লক্ষ্য করে গুলি চালান আকতার, সুমনসহ তাঁদের সহযোগীরা। সে সময় মামুন প্রাণে বেঁচে গেলেও তাঁকে হত্যার জন্য পরিকল্পনা করতে থাকেন তাঁরা। এর ধারাবাহিকতায় ৭ ফেব্রুয়ারি আসামিরা কৌশলে তাঁকে ডেকে নিয়ে গুলি করে হত্যা করেন।

গ্রেপ্তারের বিষয়ে ফতুল্লা থানা-পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘বিকেলে আসামিকে তার নিজ বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযানে আমাদের সঙ্গে সহযোগিতায় ছিল র‍্যাব ১১-এর একটি টিম।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ছুরিকাঘাতে প্রবাসী যুবকের মৃত্যু

চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি 
আবু বক্কর ওরফে আসিফ। ছবি: সংগৃহীত
আবু বক্কর ওরফে আসিফ। ছবি: সংগৃহীত

শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ছুরিকাঘাতে আহত আবু বক্কর ওরফে আসিফ (২২) নামের সৌদিপ্রবাসী যুবক চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। পরিবারের দাবি, যুবকের স্ত্রীর সাবেক প্রেমিক এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন। এ ঘটনায় যুবকের স্ত্রীকেও আসামি করে মামলা করবে তারা।

নিহত আসিফ কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ঘোলপাশা ইউনিয়নের কেন্ডা গ্রামের মৃত ফটিক মিয়ার ছেলে। ৮ নভেম্বর আসিফ সদর দক্ষিণ উপজেলার আবদুল্লাহপুর গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে গেলে দুই ব্যক্তি তাঁকে ছুরিকাঘাত করেন।

নিহত আসিফের ছোট ভাই আরাফাত হোসেন জানান, তাঁর ভাই সৌদি আরবে থাকেন। দুই মাস আগে তিনি ছুটিতে দেশে আসেন। গত ২৭ অক্টোবর জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার আবদুল্লাহপুর গ্রামে বিয়ে করেন তিনি। ৮ নভেম্বর দুপুরে তিনি স্ত্রীকে নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে যান। এ দিন সন্ধ্যায় শ্যালককে নিয়ে বাজারে ঘুরতে যান আসিফ। বাজার করা শেষে হেঁটে শ্বশুরবাড়িতে ফিরছিলেন তিনি। আবদুল্লাহপুর এলাকায় সাদিয়া দারুল উলুম মাদ্রাসার সামনে পৌঁছালে সেখানে আগ থেকে ওত পেতে থাকা বাপ্পি ও পারভেজ নামের দুই যুবক আসিফকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে সদর দক্ষিণ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজধানীর বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে নেওয়া হয়। আজ সকালে সেখানে মারা যান তিনি।

আরাফাত হোসেন বলেন, ‘আমরা পরে জানতে পারি, বাপ্পি নামের এক যুবকের সঙ্গে ভাবির বিয়ের আগে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সেও জড়িত রয়েছে। এ ঘটনায় আমরা আদালতে ভাবিকে আসামি করে হত্যা মামলা করব।’

আরাফাত আরও বলেন, ‘ঘটনাটি ভিন্ন খাতে নিতে ভাবি সদর দক্ষিণ থানায় ছুরিকাঘাতের একটি মামলা করেছেন।

অভিযোগ সম্পর্কে আসিফের স্ত্রীর বাবা বলেন, ‘এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আমার মেয়ে কোনোভাবেই জড়িত নয়। বিয়ের আগে আমার মেয়ের সঙ্গে কারও প্রেমের সম্পর্ক ছিল না। আমার মেয়ে মোবাইল ফোনও ব্যবহার করত না। আমি হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।’

সদর দক্ষিণ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সেলিম বলেন, ‘ঘটনার দিন নিহত আসিফ শ্বশুরবাড়িতে যাওয়ার সময় অভিযুক্ত বাপ্পি ও পারভেজের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এর জেরে তারা আসিফকে ছুরিকাঘাত করে। অভিযুক্তরা খারাপ প্রকৃতির। আমরা ৮ নভেম্বর রাতেই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা নিই। শুনেছি, শুক্রবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় আসিফ মারা গেছেন। ইতিমধ্যে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে কাজ করছে।’ আসিফ হত্যায় তাঁর স্ত্রী জড়িত কি না—জানতে চাইলে ওসি বলেন, ‘এ ধরনের কোনো অভিযোগ আমরা এখনো পাইনি। মামলাটি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করা হচ্ছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

২৬ টুকরা আশরাফুল: মূল আসামি জরেজ ও তাঁর প্রেমিকা গ্রেপ্তার

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১৪ নভেম্বর ২০২৫, ২৩: ৪১
ইনসেটে আশরাফুল হক। ছবি: সংগৃহীত
ইনসেটে আশরাফুল হক। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর জাতীয় ঈদগাহের কাছে ড্রাম থেকে রংপুরের ব্যবসায়ী আশরাফুল হকের (৪৩) খণ্ডিত লাশ উদ্ধারের ঘটনায় মূল আসামিসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।

গ্রেপ্তার দুজনের মধ্যে আশরাফুলের বন্ধু জরেজ ও তাঁর প্রেমিকা শামীমা রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে জরেজকে কুমিল্লার দাউদকান্দি থেকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

এর আগে আজ শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) সকালে হত্যার ঘটনায় আশরাফুল হকের বোন আনজিনা বেগম শাহবাগ থানায় মামলা করেন। মামলায় আশরাফুলের বন্ধু জরেজ মিয়াকে প্রধান আসামি ও অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে।

জরেজের প্রেমিকা শামীমাকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে র‍্যাব। অন্যদিকে জরেজকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মুখপাত্র তালেবুর রহমান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

রূপগঞ্জ বিএনপির সহসভাপতির বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
আলমগীর হোসেন। ছবি: সংগৃহীত
আলমগীর হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি আলমগীর হোসেনের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে আলমগীর হোসেনের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে তাঁকে প্রাথমিক সদস্যপদ ফিরিয়ে দেওয়া হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আলমগীর হোসেন নিজেই। তিনি বলেন, ‘দল থেকে আনুষ্ঠানিক চিঠিতে আমার বহিষ্কারাদেশ তুলে দেওয়া হয়েছে।’

প্রকাশিত চিঠিতে বলা হয়, ‘ইতিপূর্বে দলীয় শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে বিএনপির প্রাথমিক সদস্যপদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে আপনাকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। আপনার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দলীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক আপনার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে প্রাথমিক সদস্যপদ ফিরিয়ে দেওয়া হলো।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

শাকসুর ভোট গ্রহণ ১৭ ডিসেম্বর

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট  
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (শাকসু) নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আগামী ১৭ ডিসেম্বর শাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এম সরওয়ারউদ্দীন চৌধুরী এ তারিখ ঘোষণা করেন।

শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) রাত ৯টায় প্রশাসনিক ভবন-১-এর সভাকক্ষে উপাচার্য এ ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন গ্রুপের সঙ্গে আলোচনা করে আমরা ১৭ ডিসেম্বর নির্বাচন আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা আশা করছি, সব পক্ষ এই তারিখ মেনে নেবে। আমরা শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে নির্বাচন আয়োজন করতে চাই।’

তবে প্রশাসনের এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, ৮ ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন করতে হবে।

বিক্ষোভ চলাকালে শিক্ষার্থীরা স্লোগান দেন—‘৮ তারিখ নির্বাচন দিতে হবে, দিতে হবে’, ‘লন্ডনের প্রেসক্রিপশন এই ক্যাম্পাসে চলবে না’, ‘তুমিও জানো আমিও জানি, ভিসি, প্রো-ভিসি লন্ডনি’, ‘আবু সাঈদ রুদ্র, শেষ হয়নি যুদ্ধ’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।

ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী পলাশ বখতিয়ার বলেন, ‘আমাদের আন্দোলন কোনো দলের বিরুদ্ধে নয়। কিন্তু একটি পক্ষের প্রভাবে নির্বাচন পেছানো হয়েছে। গতকাল উপাচার্য স্যার আমাদের আশ্বাস দিয়েছিলেন, ৯ বা ১০ ডিসেম্বর নির্বাচন হবে। অথচ আজ হঠাৎ ১৭ ডিসেম্বর ঘোষণা করা হলো, যা আমরা মানছি না।’

দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত