Ajker Patrika

নারী নৃত্যশিল্পীকে চুল কেটে, মুখে কালি মেখে নির্যাতন

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
ভুক্তভোগী নারী নৃত্যশিল্পী। ছবি: সংগৃহীত
ভুক্তভোগী নারী নৃত্যশিল্পী। ছবি: সংগৃহীত

চাঁদা না দেওয়ায় ও মামলা করায় ময়মনসিংহে এক নারী নৃত্যশিল্পীকে মারধর ও চুল কেটে মুখে কালি মেখে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। গত বুধবারের ওই ঘটনার পর ভুক্তভোগীর কালি মাখানো মুখের বেশ কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। গতকাল বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এই নির্যাতনের ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বেসরকারি সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) দোষীদের বিচার ও শাস্তি দাবি করেছে। এদিকে গতকাল রাতে ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করেছেন। মামলার পর ওই দিন রাতে নগরীর জুবলীঘাট এলাকা থেকে শাহ আলম (৪০) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তার শাহ আলম নগরীর চর কালীবাড়ি এলাকার মো. রাশেদের ছেলে। তিনি মামলার ৩ নম্বর আসামি।

ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা গেছে, নগরীর বড় কালীবাড়ি লোকনাথ মন্দির এলাকায় ব্রহ্মপুত্র নদের তীরের একটি বস্তিতে বাস্তুহারা সমবায় সমিতির কাছ থেকে প্রায় ১৫ বছর আগে ৩ লাখ টাকায় একটি জমি কেনেন নারী নৃত্যশিল্পী। গত বছর সেখানে আধা পাকা ঘর করতে গেলে সমবায় সমিতির সদস্য শাহ আলম তাঁর কাছে চাঁদা দাবি করেন। ১ লাখ টাকা চাঁদা পাওয়ার পর আরও ১০ লাখ টাকা দাবি করেন তিনি। টাকা না পেয়ে গত বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর ভুক্তভোগী নৃত্যশিল্পীর বাড়িতে হামলা চালানো হয়। এ ঘটনায় তিনি আদালতে মামলা করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গত ৬ এপ্রিল নারীর স্কুলপড়ুয়া ছেলেকে অপহরণ করেন আসামিরা। এ ঘটনায় গত ৯ এপ্রিল মামলা করলে আসামি শাহ আলমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তিনি জামিনে মুক্তি পান। ভুক্তভোগীর করা ভাঙচুরের মামলার তদন্ত করতে পুলিশ গত বুধবার দুপুরে ঘটনাস্থলে যায়। পুলিশ চলে যাওয়ার পর আসামিরা নারী নৃত্যশিল্পীকে রাস্তা থেকে ধরে নিয়ে বেঁধে মারধর করেন এবং চুল কেটে ও মুখে কালি মেখে হেনস্তা করেন। এ সময় তাঁর সামনে মাদক ও টাকা রেখে ভিডিও ধারণ করে ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। পরে নারীর স্বামী জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল করলে পুলিশ গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে।

ভুক্তভোগী নারী বলেন, ‘পুলিশ চলে যাওয়ার পরই আমাকে রাস্তায় ধরে নিয়ে গিয়ে বেঁধে চুল কেটে মুখে কালি মেখে দেয়। আমি বিচার চাই।’

এ ঘটনায় অভিযুক্ত শাহ আলমের পরিবারের সঙ্গে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও কেউ সাড়া দেয়নি।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক মাসুদ জামেলী বলেন, ওই নারীকে বেঁধে চুল কেটে মারধর করা হয়েছে, মুখে কালি মেখে দেওয়া হয়েছে। দুটি পরিবারের মধ্যে আগে থেকেই মামলা চলছিল। অপহরণ মামলার আসামিরা জামিনে ছিলেন। আদালতের আরও একটি ভাঙচুরের মামলার তদন্ত শেষে পুলিশ গত বুধবার দুপুরে ফিরে আসে। তখন প্রতিপক্ষ রাস্তায় ওই নারীকে আটকে নির্যাতন চালায়।

কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ শিবিরুল ইসলাম বলেন, মামলা তদন্ত করে পুলিশ ফিরে আসার পর ওই নারীর সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় মামলা নেওয়া হয়েছে এবং একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। চুল কাটা ও মুখে কালি মেখে দেওয়ার বিষয়ে তদন্ত চলছে। সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আসকের নিন্দা

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভুক্তভোগীর ছবি ছড়িয়ে পড়ার পর এক বিজ্ঞপ্তিতে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) বলেছে, ১২ নভেম্বর স্থানীয় কয়েকজন চিহ্নিত দুর্বৃত্ত এক নারী নৃত্যশিল্পীকে প্রকাশ্যে মারধর করে, তাঁর চুল কেটে দেয় এবং মুখে কালি মেখে দিয়ে হেনস্তা করে।

বিজ্ঞপ্তিতে আইন ও সালিশ কেন্দ্র বলেছে, এ ধরনের ঘটনা কেবল একজন নারীর মর্যাদা ও নিরাপত্তার ওপর আঘাত নয়, বরং এটি বাংলাদেশের সংবিধানে প্রতিশ্রুত মৌলিক অধিকারের স্পষ্ট লঙ্ঘন। একই সঙ্গে এ ধরনের ঘটনা দণ্ডবিধিতে নারীর মর্যাদা ক্ষুণ্ন ও শ্লীলতাহানির অপরাধ হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে। প্রকাশ্যে একজন নারীর ওপর এমন নিষ্ঠুর নির্যাতন শুধু আইনের অবমাননা নয়, এটি নারীর মর্যাদার প্রতি সরাসরি আঘাত। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্টদের দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। একই সঙ্গে ভুক্তভোগী নারীর নিরাপত্তা, চিকিৎসা, সামাজিক ও আইনি সহায়তা রাষ্ট্রীয়ভাবে নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও মানবাধিকার সুরক্ষার স্বার্থে এ ধরনের নৃশংসতার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রকে কঠোর নীতি নিতে হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

২৬ টুকরা আশরাফুল: মূল আসামি জরেজ ও তাঁর প্রেমিকা গ্রেপ্তার

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১৪ নভেম্বর ২০২৫, ২৩: ৪১
ইনসেটে আশরাফুল হক। ছবি: সংগৃহীত
ইনসেটে আশরাফুল হক। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর জাতীয় ঈদগাহের কাছে ড্রাম থেকে রংপুরের ব্যবসায়ী আশরাফুল হকের (৪৩) খণ্ডিত লাশ উদ্ধারের ঘটনায় মূল আসামিসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।

গ্রেপ্তার দুজনের মধ্যে আশরাফুলের বন্ধু জরেজ ও তাঁর প্রেমিকা শামীমা রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে জরেজকে কুমিল্লার দাউদকান্দি থেকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

এর আগে আজ শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) সকালে হত্যার ঘটনায় আশরাফুল হকের বোন আনজিনা বেগম শাহবাগ থানায় মামলা করেন। মামলায় আশরাফুলের বন্ধু জরেজ মিয়াকে প্রধান আসামি ও অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে।

জরেজের প্রেমিকা শামীমাকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে র‍্যাব। অন্যদিকে জরেজকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মুখপাত্র তালেবুর রহমান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

রূপগঞ্জ বিএনপির সহসভাপতির বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি আলমগীর হোসেন। ছবি: সংগৃহীত
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি আলমগীর হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি আলমগীর হোসেনের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে আলমগীর হোসেনের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে তাঁকে প্রাথমিক সদস্যপদ ফিরিয়ে দেওয়া হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আলমগীর হোসেন নিজেই। তিনি বলেন, ‘দল থেকে আনুষ্ঠানিক চিঠিতে আমার বহিষ্কারাদেশ তুলে দেওয়া হয়েছে।’

প্রকাশিত চিঠিতে বলা হয়, ‘ইতিপূর্বে দলীয় শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে বিএনপির প্রাথমিক সদস্যপদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে আপনাকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। আপনার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দলীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক আপনার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে প্রাথমিক সদস্যপদ ফিরিয়ে দেওয়া হলো।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

শাকসুর ভোট গ্রহণ ১৭ ডিসেম্বর

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট  
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (শাকসু) নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আগামী ১৭ ডিসেম্বর শাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এম সরওয়ারউদ্দীন চৌধুরী এ তারিখ ঘোষণা করেন।

শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) রাত ৯টায় প্রশাসনিক ভবন-১-এর সভাকক্ষে উপাচার্য এ ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন গ্রুপের সঙ্গে আলোচনা করে আমরা ১৭ ডিসেম্বর নির্বাচন আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা আশা করছি, সব পক্ষ এই তারিখ মেনে নেবে। আমরা শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে নির্বাচন আয়োজন করতে চাই।’

তবে প্রশাসনের এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, ৮ ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন করতে হবে।

বিক্ষোভ চলাকালে শিক্ষার্থীরা স্লোগান দেন—‘৮ তারিখ নির্বাচন দিতে হবে, দিতে হবে’, ‘লন্ডনের প্রেসক্রিপশন এই ক্যাম্পাসে চলবে না’, ‘তুমিও জানো আমিও জানি, ভিসি, প্রো-ভিসি লন্ডনি’, ‘আবু সাঈদ রুদ্র, শেষ হয়নি যুদ্ধ’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।

ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী পলাশ বখতিয়ার বলেন, ‘আমাদের আন্দোলন কোনো দলের বিরুদ্ধে নয়। কিন্তু একটি পক্ষের প্রভাবে নির্বাচন পেছানো হয়েছে। গতকাল উপাচার্য স্যার আমাদের আশ্বাস দিয়েছিলেন, ৯ বা ১০ ডিসেম্বর নির্বাচন হবে। অথচ আজ হঠাৎ ১৭ ডিসেম্বর ঘোষণা করা হলো, যা আমরা মানছি না।’

দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে মারধরের শিকার সেই সালমা কারাগারে

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আওয়ামী লীগের ‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচির মধ্যে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে গিয়ে মারধরের শিকার হওয়া সালমা ইসলামকে গত বছরের জুলাই হত্যাচেষ্টা মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকেলে ঢাকার আদালত প্রাঙ্গণে। ছবি: সংগৃহীত
আওয়ামী লীগের ‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচির মধ্যে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে গিয়ে মারধরের শিকার হওয়া সালমা ইসলামকে গত বছরের জুলাই হত্যাচেষ্টা মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকেলে ঢাকার আদালত প্রাঙ্গণে। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কে বঙ্গবন্ধুর বাড়ির সামনে মারধরের শিকার সালমা ইসলামকে জুলাই আন্দোলনের এক হত্যাচেষ্টা মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট পার্থ ভদ্র কারাগারে পাঠানোর এই আদেশ দেন।

ইউরোপিয়ান ইউনির্ভাসিটির বিবিএ তৃতীয় বর্ষের ছাত্র আবু সাইদ মু. সাইম হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে সালমাকে আদালতে হাজির করে ধানমন্ডি থানা-পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ধানমন্ডি মডেল থানার এসআই আনোয়ার মিয়া তাঁকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। সালমা ইসলামের পক্ষে তাঁর আইনজীবী আবুল হোসাইন পাটোয়ারী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী শামসুজ্জামান দিপু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গতকাল ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের সামনে ওই নারীকে পেটানোর ভিডিও অনলাইনে ছড়িয়ে পড়েছে। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া
গতকাল ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের সামনে ওই নারীকে পেটানোর ভিডিও অনলাইনে ছড়িয়ে পড়েছে। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

এর আগে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচির মধ্যে গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কের শেখ মুজিবুর রহমানে বাড়ির সামনে মারধরের শিকার হন সালমা ইসলাম। তাঁকে উদ্ধার করে পুলিশ হেফাজতে নেয়। পরে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়।

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, জুলাই আন্দোলনের সময় ১৯ জুলাই বেলা পৌনে ১১টার দিকে ধানমন্ডি থানার সাতমসজিদ রোডে মিছিলে অংশ নেন সাইম। সেখানে পিঠে গুলিবিদ্ধ হন তিনি। চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক সংসদ সদস্য ফেরদৌস আহমেদসহ ৩৭ জনের বিরুদ্ধে গত বছরের ১ ডিসেম্বর ধানমন্ডি মডেল থানায় মামলা করেন সাইম।

সালমা ইসলামকে এই মামলায় সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত