Ajker Patrika

ভোটের মাঠে: ঘাঁটি ফিরে পেতে চায় বিএনপি

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি
আপডেট : ২২ নভেম্বর ২০২৫, ০৭: ৫৬
ভোটের মাঠে: ঘাঁটি ফিরে পেতে চায় বিএনপি

মুন্সিগঞ্জ একসময় বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ছিল। তবে ২০০৮ সালের পর উদ্ভূত বাস্তবতায় মাঠে আগের মতো শক্ত অবস্থান ধরে রাখতে পারেনি দলটি। জুলাই অভ্যুত্থানের পর আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে জেলার তিনটি আসনই পুনরুদ্ধারে তাই জোর দিচ্ছেন নেতা-কর্মীরা। অন্যদিকে নেতা-কর্মীদের নিয়ে এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন জামায়াতে ইসলামীর সম্ভাব্য প্রার্থীরা।

মুন্সিগঞ্জ-১ আসন থেকে পাঁচবার নির্বাচিত হয়েছিলেন বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালীন মহাসচিব ও সাবেক রাষ্ট্রপতি এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী। ১৯৭৯ সালে জিয়াউর রহমানের মন্ত্রিসভায় উপপ্রধানমন্ত্রী ছিলেন তিনি। সাবেক উপপ্রধানমন্ত্রী শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, সাবেক মন্ত্রী এম শামসুল ইসলাম, এম কোরবান আলী, ড. মিজানুর রহমান শেলীর মতো হেভিওয়েট নেতারা বিভিন্ন সময় সংসদে মুন্সিগঞ্জের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। জেলায় আগে চারটি সংসদীয় আসন ছিল। তবে ২০০৮ সালের নির্বাচনে একটি কমিয়ে তিনটিতে নামিয়ে আনা হয়।

জেলা জামায়াতের আমির আ জ ম রুহুল কুদ্দুস জানান, তিনটি আসনেই তাঁদের প্রাথমিক মনোনয়ন চূড়ান্ত করা হয়েছে। তবে মিত্রদের সঙ্গে সমঝোতা হলে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকায় এদিক সেদিক হতে পারে। জেলা বিএনপির সদস্যসচিব মো. মহিউদ্দিন জানান, তিনি নিজেও মনোনয়নপ্রত্যাশী। তবে চূড়ান্তভাবে দল যাকে মনোনয়ন দেবে তাঁর পক্ষেই কাজ করবেন।

মুন্সিগঞ্জ-১

শ্রীনগর ও সিরাজদিখান উপজেলা নিয়ে গঠিত আসনটিতে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী শেখ মো. আব্দুল্লাহ। তিনি জেলা বিএনপির সদস্য ও সিরাজদিখান উপজেলা বিএনপির সভাপতি। জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী দলের জেলা সেক্রেটারি এ কে এম ফখরুদ্দিন রাজী। ইতিমধ্যেই তাঁর পক্ষে প্রচারে নেমেছেন নেতা-কর্মীরা। এনসিপির চার মনোনয়নপ্রত্যাশীর মধ্যে প্রচারে অপেক্ষাকৃত এগিয়ে আছেন সিরাজদিখান উপজেলার প্রধান সমন্বয়কারী আলী নেওয়াজ। বাকি তিনজন হলেন জেলা শাখার যুগ্ম সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট মারুফ হাসান মন্টি, সিরাজদিখান উপজেলার যুগ্ম সমন্বয়কারী ইমরান হোসাইন এবং জেলা কমিটির সদস্য হাসানুল হক মন্টু।

মুন্সিগঞ্জ-২

সাবেক স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী মিজানুর রহমান সিনহাকে প্রাথমিক মনোনয়ন দিয়েছে বিএনপি। জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী দলের মজলিসে শুরা সদস্য ও সাবেক জেলা আমির অধ্যাপক এ বি এম ফজলুল করিম। লৌহজং ও টঙ্গীবাড়ি উপজেলা নিয়ে গঠিত আসনটিতে তৎপর এনসিপিও। তাদের প্রার্থী হতে পারেন এনসিপির জেলা সমন্বয়ক মাজেদুল ইসলাম।

মুন্সিগঞ্জ-৩

সদর উপজেলা ও গজারিয়া নিয়ে গঠিত আসনটিতে জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী মো. আবু ইউসুফ। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের সাবেক এই চেয়ারম্যানের পক্ষে এরই মধ্যে প্রচারে নেমেছেন নেতা-কর্মীরা। বিএনপি থেকে এখনো কাউকে সবুজসংকেত দেওয়া হয়নি। দলের মনোনয়নপ্রত্যাশীর তালিকায় রয়েছেন জেলা বিএনপির সদস্যসচিব মহিউদ্দিন আহমেদ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সমাজকল্যাণ সম্পাদক কামরুজ্জামান রতন, ঢাকা চেম্বারের সাবেক সভাপতি সাইফুল ইসলাম বাবু এবং জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মোশারফ হোসেন পুস্তি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...