Ajker Patrika

কুড়িগ্রামে জোড়া লাগানো দুই শিশুর জন্ম

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
কুড়িগ্রামে জোড়া লাগানো দুই শিশুর জন্ম

কুড়িগ্রামের একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে সিজারের মাধ্যমে এক প্রসূতি মা জোড়া লাগানো দুই কন্যা শিশুর জন্ম দিয়েছেন। গতকাল সোমবার রাতে কুড়িগ্রাম শহরের খান ক্লিনিকে সিজারের মাধ্যমে ওই জোড়া লাগানো দুই শিশুর জন্ম হয়। আজ মঙ্গলবার সকালে শিশু দুটিতে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। 

শিশু দুটি কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার কাঁঠালবাড়ি ইউনিয়নের খামার শিবরাম গ্রামের রানা মিয়ার-নাসরিন বেগম দম্পতির সন্তান। রানা মিয়া পেশায় একটি পরিবহন কাউন্টারের ম্যানেজার। 

ক্লিনিক সূত্রে জানা গেছে, নাসরিন বেগমকে গতকাল সোমবার ক্লিনিকে ভর্তি করানো হয়। রাত ১০টার দিকে সিজারের মাধ্যমে জোড়া লাগানো শিশুর জন্ম হয়। জন্মের পর মা ও শিশু দুটির শারীরিক অবস্থা ভালো ছিল। 

সিভিল সার্জন ডা. মনজুর এ মোর্শেদ এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, ‘বার্থ ডিফেক্টের কারণে এ ধরনের শিশুর জন্ম হয়ে থাকে। জন্ম নেওয়া শিশু দুটির শরীরের শেষ ভাগের পেছন অংশ জোড়া লাগানো। জন্মের সময় তাদের ওজন সাড়ে চার কেজি ছিল। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদেরকে রংপুরে পাঠানো হয়েছে। তাদের শারীরিক অবস্থা এবং পরবর্তী চিকিৎসা ব্যবস্থা পরীক্ষা নিরীক্ষা ছাড়া বলা সম্ভব নয়।’

এ ব্যাপারে শিশু দুটির বাবা মায়ের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শিক্ষিকা থাকেন ঢাকায়, খালিয়াজুরীতে তাঁর নামে স্বাক্ষর করেন স্নাতকপড়ুয়া

জাকির নায়েক বিতর্কে ভারতের প্রতিক্রিয়ার যে জবাব দিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

সকাল থেকে রাজধানীতে তীব্র যানজট, কারণ জানাল ডিএমপি

আজকের রাশিফল: প্রাক্তনের ফেসবুক প্রোফাইল ঘাঁটবেন না, মুরাদ টাকলার সঙ্গে দেখা হবে

সৌদি সরকারের দেওয়া দুম্বার মাংস: মনিরামপুরে বিতরণে ১২০ প্যাকেট হাওয়া

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

দুর্গন্ধের উৎস খুঁজতে গিয়ে কারখানায় মিলল ৬ দিন আগে নিখোঁজ তরুণ-তরুণীর লাশ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
তিনতলা ভবনের নিচতলা থেকে লাশ দুটি উদ্ধার করা হয়। ছবি: সংগৃহীত
তিনতলা ভবনের নিচতলা থেকে লাশ দুটি উদ্ধার করা হয়। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর উত্তর বাড্ডা এলাকায় যে তরুণ-তরুণীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে তাঁরা দুজনই নিখোঁজ ছিলেন। এ ঘটনায় গত ২৭ অক্টোবর থানায় সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) করা হয়েছিল।

আজ রোববার (২ নভেম্বর) দুপুরে উত্তর বাড্ডার পূর্বাঞ্চল ২ নম্বর রোডের ৫ নম্বর বাড়ি থেকে লাশ দুটি উদ্ধার করা হয়। নিহত ব্যক্তিরা হলেন সাইফুল ইসলাম (২৪) ও শাকিলা আক্তার (২০)।

তিনতলা বাড়িটির তৃতীয় তলায় ইবনে কাসীর ক্যাডেট মাদ্রাসা, দ্বিতীয় তলায় বাড়ির মালিক আতিক পরিবারসহ থাকেন। নিচতলায় পরিত্যক্ত পোশাক কারখানায় পাওয়া যায় লাশ দুটি।

নিহত সাইফুল ইসলাম ওই মাদ্রাসার কেয়ারটেকার (তত্ত্বাবধায়ক) ছিলেন। তিনি বরিশালের হিজলা উপজেলার বাসিন্দা। নিহত শাকিলা আক্তার (২০) একই মাদ্রাসায় রান্না ও পরিচ্ছন্নতার কাজ করতেন। তাঁর বাড়ি মৌলভীবাজারে।

পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, চার-পাঁচ দিন আগে তাঁদের মৃত্যু হয়েছে। তবে এটি হত্যা, না আত্মহত্যা, তা তাৎক্ষণিক নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা আলিম উদ্দিন বলেন, ‘শাকিলা মাদ্রাসায় রান্না করত। আর সাইফুল কেয়ারটেকার হিসেবে কাজ করত। সব চাবি তাঁর কাছেই থাকত। ২৬ অক্টোবর সকালে মাদ্রাসা বন্ধ দেখে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা আমাদের ফোন দেয়। আমরা বিকল্প চাবি দিয়ে মাদ্রাসা খুলে পাঠদান শুরু করি। কিন্তু সাইফুলের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। তার মোবাইল ফোন খোলা থাকলেও, তা ধরেনি।’

আলিম উদ্দিন আরও বলেন, ওই দিনই সাইফুলের নিখোঁজের বিষয়ে তাঁর পরিবার ও পুলিশকে জানানো হয়। এর মধ্যে শাকিলার মা এসে জানান, মেয়েকে খুঁজে পাচ্ছেন না। দুজনের নিখোঁজের বিষয়ে ২৭ অক্টোবর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন শাকিলার মা।

বাড়ির মালিক আতিক জানান, কয়েক দিন আগে তাঁর স্ত্রী মারা যান। তিনি গ্রামের বাড়িতে ছিলেন। ঢাকায় ফিরে বাড়িতে দুর্গন্ধ পেয়ে প্রথমে মৃত ইঁদুর ভেবে পরিষ্কার করান। কিন্তু গন্ধ না কমায় নিচতলার পরিত্যক্ত কারখানায় পরিষ্কার করতে পাঠান কেয়ারটেকার সুলতান আহমেদকে। তিনিই প্রথম লাশ দুটি দেখতে পান এবং পুলিশে খবর দেন।

বাড়ির সিসি ক্যামেরাগুলো অচল থাকায় ঘটনার কোনো দৃশ্য পাওয়া যায়নি। পুলিশের ভাষ্যমতে, নিচতলার কারখানায় ‘টিপ’ তালা দেওয়া ছিল, যা ভেতর ও বাইরে—দুদিক থেকেই লাগানো যায়।

বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুর রহমান বলেন, দুজনের লাশ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। লাশ গলে যাওয়ায় শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে কি না, তা বোঝা যাচ্ছে না। ময়নাতদন্তের পরই মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শিক্ষিকা থাকেন ঢাকায়, খালিয়াজুরীতে তাঁর নামে স্বাক্ষর করেন স্নাতকপড়ুয়া

জাকির নায়েক বিতর্কে ভারতের প্রতিক্রিয়ার যে জবাব দিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

সকাল থেকে রাজধানীতে তীব্র যানজট, কারণ জানাল ডিএমপি

আজকের রাশিফল: প্রাক্তনের ফেসবুক প্রোফাইল ঘাঁটবেন না, মুরাদ টাকলার সঙ্গে দেখা হবে

সৌদি সরকারের দেওয়া দুম্বার মাংস: মনিরামপুরে বিতরণে ১২০ প্যাকেট হাওয়া

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নবীনগরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষ: গুলিবিদ্ধ আরও ১ জনের মৃত্যু

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে প্রতিপক্ষের গুলিতে আহত ইয়াছিন মিয়া (২০) নামের আরও একজন মারা গেছেন। আজ রোববার ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। এ নিয়ে গুলিবিদ্ধ দুজনের মৃত্যু হয়েছে।

নিহত ইয়াছিন মিয়া উপজেলার আলমনগর গ্রামের বাসিন্দা শফিকুল ইসলামের ছেলে। তিনি স্থানীয় একটি হোটেলের কর্মচারী ছিলেন।

এর আগে সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শিপন মিয়ার (৩০) মৃত্যু হয়। তাঁর বাড়ি উপজেলার বড়িকান্দি ইউনিয়নের নুরজাহানপুর গ্রামে।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বাকি দুজন হলেন—উপজেলার বড়িকান্দি ইউনিয়নের থোল্লাকান্দি গ্রামের এমরান হোসেন (৩৮) ও উপজেলার চরলাপাং গ্রামের নুর আলম (১৮)। এমরান হোসেন উপজেলার শ্যামগ্রামের মোহিনী কিশোর স্কুল ও কলেজের শিক্ষক।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, শনিবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার বড়িকান্দি ইউনিয়নের বড়িকান্দি গণি শাহ মাজার বাজার এলাকার একটি হোটেলে কুখ্যাত ডাকাত মোন্নাফ মিয়া ওরফে মনেকের ছেলে শিপন মিয়া বসে ছিলেন। ওই সময় একদল দুর্বৃত্ত হোটেলটিতে গুলি করতে থাকে। এতে শিপন মিয়া এবং হোটেলের দুই কর্মচারী ইয়াছিন ও নূর আলম গুলিবিদ্ধ হন।

শিপন গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর তাঁর গ্রাম নূরজাহানপুরে ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুব্ধ লোকজন গণি শাহ মাজারের অদূরে তালতলায় গিয়ে স্থানীয় এমরান হোসেন মাস্টারের অফিসে হামলা চালায়। এ সময় দুর্বৃত্তের ছোড়া গুলিতে এমরান মাস্টার গুলিবিদ্ধ হন। খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যায়।

আহত এমরান মাস্টার ঢাকায় পুলিশের উপকমিশনার (ডিসি) বিল্লাল হোসেনের ছোট ভাই। তিনি পার্শ্ববর্তী শ্যামগ্রাম মোহিনী কিশোর উচ্চবিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। পরে বিক্ষুব্ধরা থোল্লাকান্দি গ্রামে হামলা চালিয়ে একাধিক বাড়িঘর ভাঙচুর করে।

এদিকে গুলিবিদ্ধ চারজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাতেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। এর মধ্যে শিপন রোববার সকালে মারা যায়।

এলাকার একাধিক সূত্র জানায়, এলাকায় একক আধিপত্য বিস্তার নিয়ে মোন্নাফ মিয়া ও তাঁর ছেলে শিপনের সঙ্গে থোল্লাকান্দি গ্রামের আরাফাতের লোকজনের দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলছিল। আরাফাত থোল্লাকান্দি গ্রামের এমরান হোসেন মাস্টারের জ্ঞাতিগোষ্ঠীর একজন। এই আধিপত্যের দ্বন্দ্বই পাল্টাপাল্টি হামলার মূল কারণ বলে স্থানীয় বাসিন্দারা মনে করছেন।

এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পিয়াস বসাক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ঘটনাস্থলে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে ধারণা করা হচ্ছে, কোনো ডাকাতির ভাগাভাগি নিয়ে এই ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাটির তদন্ত চলছে। তিনি আরও বলেন, গুলিবিদ্ধ হয়ে এখন পর্যন্ত দুজনের মৃত্যু হয়েছে। শিপন সকালে ও হোটেল কর্মচারী ইয়াছিন বিকেলে মারা যান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শিক্ষিকা থাকেন ঢাকায়, খালিয়াজুরীতে তাঁর নামে স্বাক্ষর করেন স্নাতকপড়ুয়া

জাকির নায়েক বিতর্কে ভারতের প্রতিক্রিয়ার যে জবাব দিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

সকাল থেকে রাজধানীতে তীব্র যানজট, কারণ জানাল ডিএমপি

আজকের রাশিফল: প্রাক্তনের ফেসবুক প্রোফাইল ঘাঁটবেন না, মুরাদ টাকলার সঙ্গে দেখা হবে

সৌদি সরকারের দেওয়া দুম্বার মাংস: মনিরামপুরে বিতরণে ১২০ প্যাকেট হাওয়া

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জামায়াতের এমপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে শিবির নেতার পদত্যাগ

নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি 
আনোয়ারুল ইসলাম চাঁন। ছবি: সংগৃহীত
আনোয়ারুল ইসলাম চাঁন। ছবি: সংগৃহীত

ময়মনসিংহ-৯ নান্দাইল আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী-সমর্থিত এমপি প্রার্থী আনোয়ারুল ইসলাম চাঁনের বিরুদ্ধে অন্যায় বিচার করা ও চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলে পদত্যাগ করেছেন উপজেলা শিবিবের দপ্তর ও অর্থ সম্পাদক মিনহাজুল হক উসমানি।

মিনহাজুল এর আগে নান্দাইল উপজেলা পশ্চিম ও পূর্ব থানার সভাপতি ছিলেন।

গতকাল শনিবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে মিনহাজুল হক উসমানি পদত্যাগের বিষয়টি জানান। ফেসবুক পোস্টে তিনি বলেন, ‘ছাত্রশিবিরের উপজেলা সভাপতি থাকাকালীন, আমার বাবার সাথে নান্দাইল উপজেলা জামায়াতের এমপি প্রার্থী অন্যায় বিচার ও চাঁদাবাজি করল। আজ আবার সেই বিচারকে পুরো উপজেলা জামায়াত ও শিবিরের জেলা ও থানার নেতৃবৃন্দ সঠিক বলায় (শিবিরের সকল দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করছি) ! কোন কাগজ ও কথা না শুনেও নাকি মুখ দেখে ন্যায় বিচার করা যায়...কি আজব বিচার!! মহান রব সবাইকে সঠিক বুঝ দান করুক-আমিন।’

মিনহাজুল হক উসমানি। ছবি: সংগৃহীত
মিনহাজুল হক উসমানি। ছবি: সংগৃহীত

এ বিষয়ে মিনহাজুল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘২০২২ সালের দিকে আমার বাবার টেন্ডারের গাছ আওয়ামী লীগের নেতারা লুট করে নেয়। সরকার পতনের পরে সেগুলো উদ্ধার করি। আনোয়ার নামের একজনকে শেয়ারে নিয়েছিল, যিনি ২৪ হাজার টাকা পাবেন। কিন্তু তাঁর পক্ষ দেড় লাখ টাকা দাবি করে। এটি নিয়ে উপজেলা জামায়াতের নেতারা ও এমপি প্রার্থীর কাছে গেলে তিনি ফয়সালা না করে বরং ২ লাখ ৬১ হাজার টাকা দাবি করেন। সঠিক বিচার না করায় এবং চাঁদাবাজি করায় আমি পদত্যাগ করেছি।’

জামায়াত-সমর্থিত প্রার্থী আনোয়ারুল ইসলাম চাঁন বলেন, ‘অভিযোগ করেছে তার তো প্রমাণ দিতে হবে। উসমানির বাবার কাছে নান্দাইল বাজারের ব্যবসায়ী টাকা পাইত। সেটি সমাধানের জন্য আমার কাছে এসেছিল। পরে সেটি দেড় লাখ টাকায় সমাধান করে দিয়েছি। এখন সেখান থেকে বের হয়ে সে এমন পোস্ট দিয়েছে। আসলে নির্বাচনের আগে কেউ হয়তো তাকে দিয়ে এসব করাচ্ছে।’

উপজেলা জামায়াতের আমির কাজী শামসুদ্দিন বলেন, ‘গাছ বেচাকেনা নিয়ে ঝামেলা হয়েছে। আমরা ন্যায়বিচার পাইয়ে দিয়েছি। তারপরেও যদি এমন বলে, তা তো ঠিক না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শিক্ষিকা থাকেন ঢাকায়, খালিয়াজুরীতে তাঁর নামে স্বাক্ষর করেন স্নাতকপড়ুয়া

জাকির নায়েক বিতর্কে ভারতের প্রতিক্রিয়ার যে জবাব দিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

সকাল থেকে রাজধানীতে তীব্র যানজট, কারণ জানাল ডিএমপি

আজকের রাশিফল: প্রাক্তনের ফেসবুক প্রোফাইল ঘাঁটবেন না, মুরাদ টাকলার সঙ্গে দেখা হবে

সৌদি সরকারের দেওয়া দুম্বার মাংস: মনিরামপুরে বিতরণে ১২০ প্যাকেট হাওয়া

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চবি ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ব্যানার, ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা

চবি প্রতিনিধি 
আপডেট : ০২ নভেম্বর ২০২৫, ২১: ২৮
আবাসিক আলাওল হলের গেটের সামনের দেয়ালে টানানো নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ব্যানার। ছবি: আজকের পত্রিকা
আবাসিক আলাওল হলের গেটের সামনের দেয়ালে টানানো নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ব্যানার। ছবি: আজকের পত্রিকা

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ক্যাম্পাসের আবাসিক আলাওল হলের গেটের সামনের দেয়ালে গভীর রাতে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের দুটি ব্যানার টানানো হয়েছে। এ নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। এতে অনেকে প্রশাসনের নীরবতাকেও দায়ী করছেন।

গতকাল শনিবার গভীর রাতে সংগঠনটির নাম ও নেতাদের ছবিসংবলিত ব্যানার দুটি টানানো হয়। আজ রোববার সকালে শিক্ষার্থীদের চোখে পড়ার পরপরই ব্যানার দুটি সরিয়ে ফেলা হয়। দুটি ব্যানারেই সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ছিল। একটিতে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের ছবি ব্যবহার করা হয়। নিচে লেখা ছিল ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ’। অন্যটিতে ইংরেজিতে বাংলাদেশ স্টুডেন্ট লীগ লেখা ছিল। এ ঘটনার পর ছাত্রলীগের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়’ ক্যাপশন দিয়ে ব্যানারের ছবি পোস্ট করা হয়। পোস্টটি ঘিরে অনলাইনেও ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়।

এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে চাকসুর ভিপি ইব্রাহিম হোসেন রনি তাঁর ফেসবুক আইডিতে লেখেন, ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইটি স্থানে রাতের আঁধারে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ব্যানার টানানো হয়েছে। তারা ভুলে গেছে এটা শহীদ তরুয়া ও শহীদ ফরহাদের রক্তসিক্ত পবিত্র ক্যাম্পাস। ক্যাম্পাস নিয়ে ষড়যন্ত্রকারীদের কোন ছাড় নয়।’

জিএস সাঈদ বিন হাবিব ফেসবুকে লেখেন, ‘আলাওল হল গেটে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ব্যানার সাঁটিয়েছে গতরাতে। অভ্যুত্থানের পরও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন লীগের দোসর, চিহ্নিত সন্ত্রাসী এবং জুলাই আন্দোলনের বিপক্ষে অবস্থান নেওয়া শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও লীগের সন্ত্রাসী কর্মীদের বিরুদ্ধে নূন্যতম (ন্যূনতম) শাস্তিমূলক কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি। অনেক ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীরা এখনও অনেকের আশ্রয়ে প্রশ্রয়ে ক্যাম্পাসে অবাধ বিচরণ করছে। অভ্যুত্থানের পরও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিচার না হওয়া ন্যাক্কারজনক (ন্যক্কারজনক) এই কাজের জন্য দায়ী।’ তিনি আরও লেখেন, ‘শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গোটা ক্যাম্পাসকে সিসি টিভির আওতায় আনতে হবে এবং প্রশাসনকে তদন্ত সাপেক্ষে এর সাথে জড়িতদের শাস্তি এবং পূর্বে অভিযুক্ত সকলের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।’

শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমান লেখেন, ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আলাওল হলের গেইটে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ব্যানার সাঁটিয়েছে। রাতের আধারে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ একাজ করেছে। ক্যাম্পাসে নিরাপদে থাকা সাবেক ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী ও স্বৈরাচারের দোসর যারা প্রশাসনে বসে আছে তারা এসব কাজে সম্পৃক্ত থাকতে পারে। অভ্যুত্থানের পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এসব ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের নূন্যতম (ন্যূনতম) শাস্তির আওতায় আনা হয়নি।’ তিনি আরও লেখেন, ‘ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করতে তৎপর হয়েছে এসব গোষ্ঠী। ক্যাম্পাসে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে এখনি যথাযথ ভূমিকা নিতে হবে, ক্যাস্পাসে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে ক্যাম্পাসকে সম্পূর্ণ সিসিটিভি ক্যামরার আওতায় আনতে হবে। না হলে যে কোন উদ্ভূত পরিস্থিতির দায়ভার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে নিতে হবে।’

এ বিষয়ে শাখা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি মোহাম্মদ পারভেজ লেখেন, ‘জুলাই বিপ্লবে যেসকল শিক্ষক, কর্মকর্তা প্রকাশ্যে খুনি হাসিনার পক্ষে অবস্থান নিয়েছিল, শিক্ষার্থীদের বিপক্ষে ষড়যন্ত্র করেছিল, তারা এখনো বহাল তবিয়তে ক্যাম্পাসে অবস্থান করছে। বিভিন্ন কমিটির সদস্য হচ্ছে। আর গোপনে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাথে যোগাযোগ করে যাচ্ছে। তাদের ঐক্যবদ্ধ করার চেষ্টা করে যাচ্ছে যার নমুনা ক্যাম্পাসে এসে ব্যানার টানিয়ে যাওয়া।’

জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. হোসেন শহীদ সরওয়ার্দী বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যে ব্যানারটি প্রচারিত হয়েছে, সেটি আদৌ আজকের নাকি আগের, সেটি বোঝার উপায় নেই। তবুও আমরা সেখানে গিয়েছিলাম। সেখানে আমরা ব্যানারটি পাইনি।’ সিসিটিভির ব্যবস্থা ছিল কি না—জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘হল গেটের সামনে কোনো সিসিটিভি ক্যামেরা নেই। এরপরেও আমরা খোঁজখবর নিচ্ছি। কে বা কারা এটি লাগিয়েছে, খোঁজখবর পেলে ব্যবস্থা নেব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শিক্ষিকা থাকেন ঢাকায়, খালিয়াজুরীতে তাঁর নামে স্বাক্ষর করেন স্নাতকপড়ুয়া

জাকির নায়েক বিতর্কে ভারতের প্রতিক্রিয়ার যে জবাব দিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

সকাল থেকে রাজধানীতে তীব্র যানজট, কারণ জানাল ডিএমপি

আজকের রাশিফল: প্রাক্তনের ফেসবুক প্রোফাইল ঘাঁটবেন না, মুরাদ টাকলার সঙ্গে দেখা হবে

সৌদি সরকারের দেওয়া দুম্বার মাংস: মনিরামপুরে বিতরণে ১২০ প্যাকেট হাওয়া

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত