গাংনী (মেহেরপুর) প্রতিনিধি
’৭১ ও ’২৪ দুটোই মুক্তির চেতনা বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার। আজ শনিবার (১৯ জুলাই) দুপুরে গাংনী উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
গাংনী উপজেলার সমস্যা ও সম্ভাবনা-বিষয়ক এই কর্মশালায় সরকারি কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতা ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরাও অংশ নেন।
সভায় মনির হায়দার বলেন, ‘সব যুদ্ধকে ’৭১ কিংবা ’৬৫-এর মতো ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের মতো মনে করা যাবে না। এখনকার যুদ্ধে কম মানুষ প্রাণ হারায়, কিন্তু ক্ষয়ক্ষতি অনেক বেশি হয়। ’২৪ সালের যুদ্ধের মধ্য দিয়ে একটি পক্ষ পরাজিত হয়েছে। সেই পক্ষটি মাফিয়া ফ্যাসিস্ট। মাফিয়া ফ্যাসিস্ট জনগণের কাছে পরাজিত হয়েছে।’
তৎকালীন ফ্যাসিস্ট সরকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নিজেদের কবজায় নিয়েছিল জানিয়ে তিনি বলেন, ‘জনগণের ওপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে তারা লেলিয়ে দিয়েছিল। যারা ’২৪ সালের গণহত্যার সঙ্গে জড়িত ছিল, পৃষ্ঠপোষকতা কিংবা মদদ দিয়েছিল, তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করাটাই নিরপেক্ষতা।’
তিনি আরও বলেন, ‘আগে আমরা ততটুকু অধিকার পেতাম, যতটুকু দয়া করে দেওয়া হতো। আমার যতটুকু অধিকার, আমার মতো আরেকজন নির্ধারণ করে দিত। এভাবে মানুষজন জিম্মিদশায় ছিল। এমন এক শাসকগোষ্ঠী আমাদের ওপর ছিল, তারা শুধু অধিকারই কেড়ে নেয়নি, নানা রকম নির্যাতন-নিপীড়ন করেছিল।’
মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ না হলে স্বাধীন ভূখণ্ড পেতাম না। মুক্তিযুক্ত ছিল মুক্তির চেতনা। মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় অর্জন। এটা চাইলে কেউ খাটো করতে পারবে না। আর বৈদ্যনাথতলা ভবেরপাড়া থেকে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়েছিল।’
বাংলাদেশের জনগণের মুক্তিসংগ্রাম আন্দোলনে শেখ মুজিবুর রহমানের যে অবদান, সেটি অস্বীকার করার সুযোগ নেই মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘শেখ মুজিবুর রহমান মুজিবনগরে কোনো দিন আসেনি। তাঁর সঙ্গে মুজিবনগরের কোনো সম্পর্ক নেই। তাঁর নামে কেন নামকরণ করা হলো?মুজিবনগরের নাম হতে পারত মুক্তিপুর, মুক্তিনগর।’
এ সময় মেহেরপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ এতে সভাপতিত্ব করেন। সভায় বক্তব্য দেন গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), সাবেক এমপি ও জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. আমজাদ হোসেন, গাংনী উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি রেজাউল হক, সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবলু, অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক, জামায়াত নেতা জিল্লুর রহমান প্রমুখ।
’৭১ ও ’২৪ দুটোই মুক্তির চেতনা বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার। আজ শনিবার (১৯ জুলাই) দুপুরে গাংনী উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
গাংনী উপজেলার সমস্যা ও সম্ভাবনা-বিষয়ক এই কর্মশালায় সরকারি কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতা ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরাও অংশ নেন।
সভায় মনির হায়দার বলেন, ‘সব যুদ্ধকে ’৭১ কিংবা ’৬৫-এর মতো ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের মতো মনে করা যাবে না। এখনকার যুদ্ধে কম মানুষ প্রাণ হারায়, কিন্তু ক্ষয়ক্ষতি অনেক বেশি হয়। ’২৪ সালের যুদ্ধের মধ্য দিয়ে একটি পক্ষ পরাজিত হয়েছে। সেই পক্ষটি মাফিয়া ফ্যাসিস্ট। মাফিয়া ফ্যাসিস্ট জনগণের কাছে পরাজিত হয়েছে।’
তৎকালীন ফ্যাসিস্ট সরকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নিজেদের কবজায় নিয়েছিল জানিয়ে তিনি বলেন, ‘জনগণের ওপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে তারা লেলিয়ে দিয়েছিল। যারা ’২৪ সালের গণহত্যার সঙ্গে জড়িত ছিল, পৃষ্ঠপোষকতা কিংবা মদদ দিয়েছিল, তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করাটাই নিরপেক্ষতা।’
তিনি আরও বলেন, ‘আগে আমরা ততটুকু অধিকার পেতাম, যতটুকু দয়া করে দেওয়া হতো। আমার যতটুকু অধিকার, আমার মতো আরেকজন নির্ধারণ করে দিত। এভাবে মানুষজন জিম্মিদশায় ছিল। এমন এক শাসকগোষ্ঠী আমাদের ওপর ছিল, তারা শুধু অধিকারই কেড়ে নেয়নি, নানা রকম নির্যাতন-নিপীড়ন করেছিল।’
মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ না হলে স্বাধীন ভূখণ্ড পেতাম না। মুক্তিযুক্ত ছিল মুক্তির চেতনা। মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় অর্জন। এটা চাইলে কেউ খাটো করতে পারবে না। আর বৈদ্যনাথতলা ভবেরপাড়া থেকে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়েছিল।’
বাংলাদেশের জনগণের মুক্তিসংগ্রাম আন্দোলনে শেখ মুজিবুর রহমানের যে অবদান, সেটি অস্বীকার করার সুযোগ নেই মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘শেখ মুজিবুর রহমান মুজিবনগরে কোনো দিন আসেনি। তাঁর সঙ্গে মুজিবনগরের কোনো সম্পর্ক নেই। তাঁর নামে কেন নামকরণ করা হলো?মুজিবনগরের নাম হতে পারত মুক্তিপুর, মুক্তিনগর।’
এ সময় মেহেরপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ এতে সভাপতিত্ব করেন। সভায় বক্তব্য দেন গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), সাবেক এমপি ও জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. আমজাদ হোসেন, গাংনী উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি রেজাউল হক, সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবলু, অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক, জামায়াত নেতা জিল্লুর রহমান প্রমুখ।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর জাতীয় সমাবেশকে কেন্দ্র করে গতকাল শনিবার রাজধানীর প্রবেশমুখগুলোতে দিনভর ছিল স্থবিরতা। এর প্রভাব পড়েছে নগরের অন্যান্য অংশে। প্রবেশমুখ-সংলগ্ন সড়কগুলোতে তীব্র যানজট থাকলেও অন্যত্র ছিল গণপরিবহনের সংকট। এতে ভোগান্তিতে পড়েন মানুষ।
৩ ঘণ্টা আগেকুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশনস কোম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল) টেলিফোন এক্সচেঞ্জটি এখন গ্রাহকের বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখান থেকে একসময় নেওয়া ফোন সংযোগ এখন অধিকাংশ গ্রাহকের না থাকলেও প্রতি মাসে গুনতে হচ্ছে বিল। অন্যদিকে অল্প কয়েকটি ইন্টারনেট সংযোগেও সেবার...
৪ ঘণ্টা আগেজয়পুরহাটের কালাই উপজেলার এলজিইডির সড়ক প্রশস্তকরণ ও দৃঢ়ীকরণ প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। সরকারি এ প্রকল্পের কাজে নিম্নমানের উপকরণ, সঠিকভাবে সেতু (সাঁকো) নির্মাণ না করা, এমনকি তিন ফসলি জমির মাটি খননযন্ত্র দিয়ে কেটে রাস্তার সাইড ফিলিং করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
৪ ঘণ্টা আগে৫০০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৩ ফুট প্রস্থের র্যাটহোল (পরিত্যক্ত সুড়ঙ্গ)। কখনো হামাগুড়ি, কখনো নুয়ে হেঁটে র্যাটহোলে ঢুকে গাঁইতি, শাবল, বেলচা দিয়ে টুকরো টুকরো কয়লা তুলে বস্তায় ভরে নিয়ে আসেন শ্রমিকেরা। ঝুঁকি নিয়ে এভাবে কয়লা সংগ্রহের সময় ঘটে দুর্ঘটনা। সীমান্তের ওপার থেকে কয়লা আনতে গিয়ে সরকারি হিসাবেই...
৪ ঘণ্টা আগে