Ajker Patrika

ক্ষমতায় না গিয়েও অনেকে প্রশাসনিক ক্যুর চেষ্টা করছে: জামায়াত আমির

খুলনা প্রতিনিধি
খুলনা শিববাড়ী মোড়ে আট দলের সমাবেশে জামায়াত আমির। ছবি: আজকের পত্রিকা
খুলনা শিববাড়ী মোড়ে আট দলের সমাবেশে জামায়াত আমির। ছবি: আজকের পত্রিকা

জামায়াতে ইসলামী আমির শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘আমরা আট দলের বিজয় চাই না, আমরা ১৮ কোটি মানুষের বিজয় চাই। আমরা দুর্নীতিমুক্ত সমাজ, ন্যায়বিচার, অর্থনৈতিক স্বাধীনতা, তাঁবেদারি নয় স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লড়াই চালিয়ে যেতে চাই। ক্ষমতায় না গিয়েও অনেকে ক্ষমতার দাপট দেখাচ্ছেন। প্রশাসনিক ক্যু করার চেষ্টা করছেন।’

আজ সোমবার খুলনা মহানগরীর বাবরি চত্বরে (শিববাড়ী মোড়) আট দলের বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শফিকুর রহমান বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে ছলে-বলে-কৌশলে কেউ কেউ বিভিন্ন জায়গায় বসে ষড়যন্ত্রের জাল বুনছেন। বন্ধুগণ, বেলা শেষ, দিনও শেষ। সূর্যও ডুবে গেছে। বাংলাদেশে এটা হবে না, এটা আমরা হতে দেব না ইনশা আল্লাহ।’

জামায়াত আমির বলেন, ‘৫ আগস্ট বিপ্লবের পরদিন থেকে একটি গোষ্ঠী প্রভাব বিস্তারের জন্য জনগণের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছে। চাঁদাবাজি, দুর্নীতি, অরাজকতা অব্যাহত আছে। ক্ষমতায় না গিয়েও অনেকে ক্ষমতার দাপট দেখাচ্ছেন। প্রশাসনের ওপর প্রভাব বিস্তার করছেন। মানুষ বলতে বাধ্য হচ্ছে, আগে ভালো ছিলাম না, এখন আরও খারাপ আছি।’ তবে এ সময় কোনো ইসলামী দলের গায়ে চাঁদাবাজের তকমা লাগেনি বলে দাবি করেন তিনি।

তরুণ ভোটারদের উদ্দেশে শফিকুর রহমান বলেন, ‘এবার তোমাদের ভোট নিয়ে কেউ ছিনিমিনি করতে চাইলে আমরা তা হতে দেব না। সেদিন আমরাও যুবক হয়ে তোমাদের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করব।’ তিনি আরও বলেন, ‘তোমাদের হাতে আমাদের দেশটা তুলে দিতে চাই। সে জন্য নিজেদের প্রস্তুত করো। তোমরা চাকরি করবে না, চাকরি দেবে।’

সভাপতির বক্তব্যে ইসলামী আন্দোলনের আমির চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেন, ‘অনেকে বলেন আমরা নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত নই। আমরা নির্বাচনের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত। তাঁরাই ফেব্রুয়ারির নির্বাচন নিয়ে হিসাবনিকাশ করে দেখেছেন, যাঁদের পায়ের তলে মাটি সরে গেছে।

‘এবার নির্বাচন নিয়ে আপনারাই ষড়যন্ত্র শুরু করেছেন। গুন্ডামি করে, সেন্টার দখল করে, সন্ত্রাস চালিয়ে ক্ষমতার চেয়ারে বসবেন; সেদিন ভুলে যান। সে সুযোগ আর আপনারা পাবেন না।’

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে খেলাফত মজলিসের আমির মামুনুল হক বলেন, ‘জুলাই বিপ্লবপরবর্তী বাংলাদেশে দেখতে পাচ্ছি দুই ভাগে বিভক্ত। এক ভাগ বাহাত্তরের বাকশালপন্থী আরও এক ভাগ ২০২৪ সালের বিপ্লবপন্থী শক্তি।’

মামুনুল হক আরও বলেন, ‘জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি কার্যকরে আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছিলাম। জুলাই সনদকে চূড়ান্ত আইনি ভিত্তি দিতে গণভোটের আয়োজন করতে হবে। জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট আয়োজন করা হোক।’ তিনি এ সময় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সুস্থতার জন্য সবার কাছে দোয়া প্রার্থনা করেন।

এ ছাড়া বক্তব্য দেন খেলাফত মজলিসের সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন, নেজামে ইসলাম পার্টির মহাসচিব মুফতি মুসা বিন ইজহার, খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা ইউসুফ সাদেক হক্কানী, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির সহসভাপতি ইঞ্জিনিয়ার রাশেদ প্রধান, ডেভেলপমেন্ট পার্টির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আনোয়ারুল ইসলাম চাঁন, ইসলামী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল আউয়াল ও মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমাদ, জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ড. হামিদুর রহমান আযাদ প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...