Ajker Patrika

‘বায়রার’ ফখরুলকে কেন ছেড়ে দেওয়া হলো—তদন্ত কর্মকর্তাকে আদালতে তলব

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিজের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব ফখরুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিজের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব ফখরুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

মানব পাচার ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে হওয়া মামলায় জনশক্তি রপ্তানিকারকদের সংগঠনের (বায়রা) সাবেক যুগ্ম মহাসচিব ফখরুল ইসলামকে আটকের পর আদালতে না পাঠিয়ে থানা থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে কেন—তা জানতে চেয়েছেন আদালত।

আজ বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমান এ-সংক্রান্ত নির্দেশ দেন।

মামলার বাদীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এ নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বাদীর আইনজীবী আব্দুল খালেক মিলন।

আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে হাজির হয়ে এই কারণ জানাতে হবে বলে আদেশে উল্লেখ করেছেন আদালত।

‘ফখরুলকে গ্রেপ্তার ও ছেড়ে দেওয়া’-সংক্রান্ত গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন সংযুক্ত করে বাদী আদালতে আবেদন দাখিল করেন।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে জানা গেছে, গত সোমবার রাতে বিদেশ থেকে ফেরার সময় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ইমিগ্রেশন পুলিশ ফখরুলকে গ্রেপ্তার করে। কিন্তু কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বনানী থানা থেকে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

‘বায়রার’ সাবেক নেতা ফখরুল ইসলাম ও তাঁর সহযোগী জসিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে মানব পাচার ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ৪ নভেম্বর বনানী থানায় মামলাটি করা হয়। ৩ কোটি ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে আরইউএল ইন্টারন্যাশনালের ম্যানেজিং পার্টনার মো. রুবেল হোসেন মামলাটি করেন।

এজাহারে বলা হয়, ফখরুল ইসলাম ও জসিম উদ্দিন তাঁকে মালয়েশিয়ার নিউ ভিশন গ্রিন ল্যান্ড এসএনডি, চাই চাং ফুড ইন্ডাস্ট্রি এসএনডিসহ ভালো ভালো কোম্পানিতে শ্রমিক পাঠানোর মিথ্যা আশ্বাস দেন। মৌখিক চুক্তি অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ২৭ মে ৫৫ জন কর্মী মালয়েশিয়ায় পাঠানোর জন্য কর্মীপ্রতি ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা করে নগদ ৩ কোটি ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা তিনি আসামিদের হাতে তুলে দেন। এরপর আসামিরা ২৮ জন কর্মীকে মালয়েশিয়ায় পাঠালেও চুক্তি মোতাবেক কোম্পানিতে কাজ না দিয়ে তাঁদের অন্য জায়গায় নিয়ে আটকে রাখেন, ভয়ভীতি দেখিয়ে নির্যাতন করেন এবং পুনরায় টাকা দাবি করেন। বাদীর চাপের মুখে শ্রমিকদের ছেড়ে দিতে বাধ্য হলেও আসামিরা কাজের ব্যবস্থা করে দিতে পারেননি।

বর্তমানে আসামিদের কাছে বাদীর পাঠানো ২৮ জন কর্মীর সমস্যা সমাধান বা তাঁদের দেশে ফেরত আনার খরচ বাবদ এবং অন্যদের জন্য জমা দেওয়া আরও ১ কোটি ৪৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা পাওনা রয়েছে। আসামিরা সেই টাকা ফেরত না দিয়ে উল্টো ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ