কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান বলেছেন, যে অন্যায়, অবিচার ও দুর্নীতি করেছে আওয়ামী লীগ, তাদের পক্ষে আওয়ামী লীগের ‘আ’ লিখতেও ১০ বছর সময় লাগবে। যারা দেশকে লুট করেছে, তাদের আর মানুষ ভোট দেবে না।
তবে মুক্তিযুদ্ধের প্রশ্নে আমাদের বা আমার কোনো আপস নেই। জামায়াত যে মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতাসংগ্রামকে অস্বীকার করে, এর বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই চলবে। কারণ, আমি মুক্তিযোদ্ধা, আমি একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে কমান্ডার ছিলাম। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমানও একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা।’
আজ শনিবার (১৯ জুলাই) কিশোরগঞ্জের হাওর-অধ্যুষিত উপজেলা ইটনায় উপজেলা কৃষক দলের দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সব শক্তিকে বিএনপির নেতৃত্বে এক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে ফজলুর রহমান বলেন, ‘স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি জামায়াত-শিবির থেকে দেশবাসীকে সাবধান হতে হবে। এখনো মুক্তিযোদ্ধারা জীবিত আছে, এখনো ফজলুর রহমানেরা জীবিত আছে, প্রয়োজনের আবার যুদ্ধ হবে। কিন্তু আমার পূর্বপুরুষের রক্ত দিয়ে যে দেশ আমরা স্বাধীন করেছি, সেই স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধকে কোনো দিন বাদ দিতে পারব না। ভুলতে পারব না।’
তিনি উপস্থিত নেতা-কর্মীদের কাছে প্রশ্ন রাখেন, মুক্তিযুদ্ধ ঠিক, না বেঠিক; মুক্তিযুদ্ধ ভালো, না রাজাকার ভালো। তখন নেতা-কর্মীরা দুহাত তুলে জবাব দেন, মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধ ভালো। তখন নেতা-কর্মীরা সমস্বরে স্লোগান দেন, ‘জামাত শিবির রাজাকার, এ মুহূর্তে বাংলা ছাড়।’ ফজলুর রহমান তখন তাঁদের সঙ্গে গলা মেলান।
জামায়াত-শিবিরের কঠোর সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘তারা দাবি করে, এ দেশে মুক্তিযুদ্ধ বলে কিছু হয়নি। এটা ইন্ডিয়া গন্ডগোল লাগিয়ে দিয়েছে। অথচ আমার দেশের ৩০ লাখ লোক মরে গেছে। আমাদের এখানে এক দিনে ৫০০ লোককে গুলি করে হত্যা করেছে তারা। এরপরেও তারা বলে, মুক্তিযুদ্ধ হয় নাই এবং ছাত্রশিবির বলে, যারা অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করেছ, তাদের আল্লাহর কাছে মাফ চাইতে হবে। তখন আমি আর সহ্য করতে পারি নাই।’
কারণ, আমি এই এলাকার মুক্তিযোদ্ধাদের কমান্ডার ছিলাম। আমার নাম শুনলে রাজাকাররা ভয়ে পালিয়ে যেত। সেই রাজাকারের বাচ্চারা এখন যদি বলে, মুক্তিযুদ্ধ হয় নাই, আমি কি ছাইরা দিমু। ছাইড়া দিলে ৩০ লাখ শহীদের প্রতি বেইমানি করা হবে। তাদের রক্ত ও স্বপ্নের সঙ্গে বেইমানি করা হবে। কাজেই আমাকে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে দাঁড়াতেই হবে।’
তারেক রহমানকে নিয়ে বাজে স্লোগান দেওয়া সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ তারেক জিয়া সম্পর্কে এমন বাজে কথা বা বিশ্রী স্লোগান দেওয়ার সাহস পায়নি। যা জামায়াত-শিবির রাজাকাররা দিয়েছে। এ কারণে জামায়াত-শিবির থেকে সাবধান। রাজাকার, আলবদর থেকে সাবধান। আমরা এসব বাজে কথার কঠিন জবাব সময়ে দেব। ওরা নির্বাচন চায় না, এরা সচিবালয়, ডিসি অফিস, ইউএনও অফিস, থানা—সব দখলে নিয়েছে। তারা নাকি তাদের লোক। দেশকে বিপদে ফেলতেই তারা নানা ধরনের ষড়যন্ত্র করে চলেছে। তবে আমরা তা হতে দেব না।’
উপজেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক মো. হাবিবুল হান্নানের সভাপতিত্বে সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সালাউদ্দিন খান মিল্কী, জেলা বিএনপির সহসভাপতি উম্মে কুলসুম রেখা, যুগ্ম সম্পাদক আমিনুল ইসলাম রতন, জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক মাজহারুল ইসলাম, সদস্যসচিব ওবায়দুল্লাহ ওবায়েদ, উপজেলা বিএনপির সভাপতি এস এম কামাল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকুজ্জামান ঠাকুর স্বপন, যুগ্ম সম্পাদক পলাশ রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক তরিকুল ইসলাম জুয়েল, যুগ্ম সম্পাদক সুমেশ ঘোষ প্রমুখ। সঞ্চালনা করেন উপজেলা কৃষক দলের সদস্যসচিব মাহফুজুর রহমান ও যুগ্ম আহ্বায়ক মো. ছাইদুর রহমান।
বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান বলেছেন, যে অন্যায়, অবিচার ও দুর্নীতি করেছে আওয়ামী লীগ, তাদের পক্ষে আওয়ামী লীগের ‘আ’ লিখতেও ১০ বছর সময় লাগবে। যারা দেশকে লুট করেছে, তাদের আর মানুষ ভোট দেবে না।
তবে মুক্তিযুদ্ধের প্রশ্নে আমাদের বা আমার কোনো আপস নেই। জামায়াত যে মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতাসংগ্রামকে অস্বীকার করে, এর বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই চলবে। কারণ, আমি মুক্তিযোদ্ধা, আমি একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে কমান্ডার ছিলাম। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমানও একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা।’
আজ শনিবার (১৯ জুলাই) কিশোরগঞ্জের হাওর-অধ্যুষিত উপজেলা ইটনায় উপজেলা কৃষক দলের দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সব শক্তিকে বিএনপির নেতৃত্বে এক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে ফজলুর রহমান বলেন, ‘স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি জামায়াত-শিবির থেকে দেশবাসীকে সাবধান হতে হবে। এখনো মুক্তিযোদ্ধারা জীবিত আছে, এখনো ফজলুর রহমানেরা জীবিত আছে, প্রয়োজনের আবার যুদ্ধ হবে। কিন্তু আমার পূর্বপুরুষের রক্ত দিয়ে যে দেশ আমরা স্বাধীন করেছি, সেই স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধকে কোনো দিন বাদ দিতে পারব না। ভুলতে পারব না।’
তিনি উপস্থিত নেতা-কর্মীদের কাছে প্রশ্ন রাখেন, মুক্তিযুদ্ধ ঠিক, না বেঠিক; মুক্তিযুদ্ধ ভালো, না রাজাকার ভালো। তখন নেতা-কর্মীরা দুহাত তুলে জবাব দেন, মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধ ভালো। তখন নেতা-কর্মীরা সমস্বরে স্লোগান দেন, ‘জামাত শিবির রাজাকার, এ মুহূর্তে বাংলা ছাড়।’ ফজলুর রহমান তখন তাঁদের সঙ্গে গলা মেলান।
জামায়াত-শিবিরের কঠোর সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘তারা দাবি করে, এ দেশে মুক্তিযুদ্ধ বলে কিছু হয়নি। এটা ইন্ডিয়া গন্ডগোল লাগিয়ে দিয়েছে। অথচ আমার দেশের ৩০ লাখ লোক মরে গেছে। আমাদের এখানে এক দিনে ৫০০ লোককে গুলি করে হত্যা করেছে তারা। এরপরেও তারা বলে, মুক্তিযুদ্ধ হয় নাই এবং ছাত্রশিবির বলে, যারা অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করেছ, তাদের আল্লাহর কাছে মাফ চাইতে হবে। তখন আমি আর সহ্য করতে পারি নাই।’
কারণ, আমি এই এলাকার মুক্তিযোদ্ধাদের কমান্ডার ছিলাম। আমার নাম শুনলে রাজাকাররা ভয়ে পালিয়ে যেত। সেই রাজাকারের বাচ্চারা এখন যদি বলে, মুক্তিযুদ্ধ হয় নাই, আমি কি ছাইরা দিমু। ছাইড়া দিলে ৩০ লাখ শহীদের প্রতি বেইমানি করা হবে। তাদের রক্ত ও স্বপ্নের সঙ্গে বেইমানি করা হবে। কাজেই আমাকে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে দাঁড়াতেই হবে।’
তারেক রহমানকে নিয়ে বাজে স্লোগান দেওয়া সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ তারেক জিয়া সম্পর্কে এমন বাজে কথা বা বিশ্রী স্লোগান দেওয়ার সাহস পায়নি। যা জামায়াত-শিবির রাজাকাররা দিয়েছে। এ কারণে জামায়াত-শিবির থেকে সাবধান। রাজাকার, আলবদর থেকে সাবধান। আমরা এসব বাজে কথার কঠিন জবাব সময়ে দেব। ওরা নির্বাচন চায় না, এরা সচিবালয়, ডিসি অফিস, ইউএনও অফিস, থানা—সব দখলে নিয়েছে। তারা নাকি তাদের লোক। দেশকে বিপদে ফেলতেই তারা নানা ধরনের ষড়যন্ত্র করে চলেছে। তবে আমরা তা হতে দেব না।’
উপজেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক মো. হাবিবুল হান্নানের সভাপতিত্বে সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সালাউদ্দিন খান মিল্কী, জেলা বিএনপির সহসভাপতি উম্মে কুলসুম রেখা, যুগ্ম সম্পাদক আমিনুল ইসলাম রতন, জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক মাজহারুল ইসলাম, সদস্যসচিব ওবায়দুল্লাহ ওবায়েদ, উপজেলা বিএনপির সভাপতি এস এম কামাল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকুজ্জামান ঠাকুর স্বপন, যুগ্ম সম্পাদক পলাশ রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক তরিকুল ইসলাম জুয়েল, যুগ্ম সম্পাদক সুমেশ ঘোষ প্রমুখ। সঞ্চালনা করেন উপজেলা কৃষক দলের সদস্যসচিব মাহফুজুর রহমান ও যুগ্ম আহ্বায়ক মো. ছাইদুর রহমান।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর জাতীয় সমাবেশকে কেন্দ্র করে গতকাল শনিবার রাজধানীর প্রবেশমুখগুলোতে দিনভর ছিল স্থবিরতা। এর প্রভাব পড়েছে নগরের অন্যান্য অংশে। প্রবেশমুখ-সংলগ্ন সড়কগুলোতে তীব্র যানজট থাকলেও অন্যত্র ছিল গণপরিবহনের সংকট। এতে ভোগান্তিতে পড়েন মানুষ।
১ ঘণ্টা আগেকুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশনস কোম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল) টেলিফোন এক্সচেঞ্জটি এখন গ্রাহকের বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখান থেকে একসময় নেওয়া ফোন সংযোগ এখন অধিকাংশ গ্রাহকের না থাকলেও প্রতি মাসে গুনতে হচ্ছে বিল। অন্যদিকে অল্প কয়েকটি ইন্টারনেট সংযোগেও সেবার...
১ ঘণ্টা আগেজয়পুরহাটের কালাই উপজেলার এলজিইডির সড়ক প্রশস্তকরণ ও দৃঢ়ীকরণ প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। সরকারি এ প্রকল্পের কাজে নিম্নমানের উপকরণ, সঠিকভাবে সেতু (সাঁকো) নির্মাণ না করা, এমনকি তিন ফসলি জমির মাটি খননযন্ত্র দিয়ে কেটে রাস্তার সাইড ফিলিং করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
১ ঘণ্টা আগে৫০০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৩ ফুট প্রস্থের র্যাটহোল (পরিত্যক্ত সুড়ঙ্গ)। কখনো হামাগুড়ি, কখনো নুয়ে হেঁটে র্যাটহোলে ঢুকে গাঁইতি, শাবল, বেলচা দিয়ে টুকরো টুকরো কয়লা তুলে বস্তায় ভরে নিয়ে আসেন শ্রমিকেরা। ঝুঁকি নিয়ে এভাবে কয়লা সংগ্রহের সময় ঘটে দুর্ঘটনা। সীমান্তের ওপার থেকে কয়লা আনতে গিয়ে সরকারি হিসাবেই...
১ ঘণ্টা আগে