নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জালিয়াতির মাধ্যমে ফারমার্স ব্যাংক থেকে চার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাতের মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাকে (এস কে সিনহা) ১১ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম এই রায় দেন।
একই মামলায় অন্যান্য আট আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। দুজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথম সাবেক কোন বিচারপতিকে দুর্নীতির দায়ে কারাদণ্ড দেওয়া হলো। মানি লন্ডারিং আইনে সাত বছরের কারাদণ্ড এবং অর্থ আত্মসাতের দায়ে চার বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয় এস কে সিনহাকে। তবে উভয় সাজা একসঙ্গে চলবে বলে আদালত রায়ে উল্লেখ করেছেন। এ কারণে সাত বছরের সাজা খাটতে হবে এসকে সিনহা কে।
এস কে সিনহাসহ চারজন পলাতক থাকায় তাদের অনুপস্থিতিতে রায় ঘোষণা করা হয়। আদালত রায়ে উল্লেখ করেন, তারা গ্রেপ্তার হওয়ার পর অথবা আদালতে আত্মসমর্পণ করার পর তাদের ক্ষেত্রে এই রায় কার্যকর হবে।
আসামিদের মধ্যে ফারমার্স ব্যাংকের (বর্তমানে পদ্মা ব্যাংক) অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিশতী ওরফে বাবুল চিশতীকে অভিযোগ কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। জামিনপ্রাপ্ত অন্যান্য আসামি আদালতে হাজির ছিলেন।
মামলার অপর আসামিরা হলেন-ফারমার্স ব্যাংকের (বর্তমানে পদ্মা ব্যাংক) সাবেক ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট স্বপন কুমার রায়, ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট সাফিউদ্দিন আসকারী, ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. লুৎফুল হক, টাঙ্গাইলের বাসিন্দা মো. শাহজাহান, একই এলাকার নিরঞ্জন চন্দ্র সাহা, রনজিৎ চন্দ্র সাহা ও তার স্ত্রী সান্ত্রী রায়।
মোহাম্মদ শাহজাহান ও নিরঞ্জন চন্দ্র সাহা খালাস পেয়েছেন। ২০১৯ সালের ১০ জুলাই ঋণ জালিয়াতি ও চার কোটি টাকা আত্মসাতে জড়িত থাকার অভিযোগে এস কে সিনহাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-১ এ মামলা করা হয়। মামলার বাদী দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন।
২০১৯ সালের ১০ ডিসেম্বর আদালতে এস কে সিনহাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের পরিচালক বেনজীর আহমেদ। ২০২০ সালের ১৩ আগস্ট ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম এস কে সিনহাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে অসৎ উদ্দেশ্যে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে ফারমার্স ব্যাংকে ভুয়া ঋণ সৃষ্টি করে সেই টাকা বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তর, উত্তোলন ও পাচার করেছেন, যা দণ্ডবিধির ৪০৯ / ৪২০ / ১০৯ ধারা, ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারা এবং ২০১২ সালের মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ৪ (২) (৩) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
মামলার বিবরণে বলা হয়েছে, ২০১৬ সালের ৬ নভেম্বর আসামি শাহজাহান ও নিরঞ্জন চন্দ্র ফারমার্স ব্যাংকের গুলশান শাখায় আলাদা দুইটি অ্যাকাউন্ট খোলেন। ব্যবসা বাড়ানোর জন্য পরদিন তারা ওই ব্যাংক থেকে দুই কোটি টাকা করে মোট চার কোটি টাকা ঋণের আবেদন করেন।
তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এবং ঋণের আবেদনে উত্তরার ১০ নম্বর সেক্টরের ১২ নম্বর রোডের ৫১ নম্বর বাড়ির ঠিকানা ব্যবহার করা হয়, যার মালিক ছিলেন তখনকার প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা।
ঋণের জামানত হিসেবে আসামি রনজিৎ চন্দ্রের স্ত্রী সান্ত্রী রায়ের নামে সাভারের ৩২ শতাংশ জমির কথা উল্লেখ করা হয় ঋণের আবেদনে। ওই দম্পতি এস কে সিনহার পূর্ব পরিচিত ও ঘনিষ্ঠ বলে উল্লেখ করা হয়েছে মামলার এজাহারে।
ব্যাংকটির তৎকালীন এমডি এ কে এম শামীম কোনো ধরনের যাচাই-বাছাই ছাড়াই, ব্যাংকের নিয়ম-নীতি না মেনে, ক্ষমতার অপব্যবহার করে ঋণ দুটি অনুমোদন করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ৭ নভেম্বর ঋণের আবেদন হওয়ার পর 'অস্বাভাবিক দ্রুততার' সঙ্গে তা অনুমোদন করা হয়। পরদিন মোট চার কোটি টাকার দুটি পে-অর্ডার ইস্যু করা হয় এস কে সিনহার নামে। ৯ নভেম্বর সোনালী ব্যাংকের সুপ্রিম কোর্ট শাখায় এস কে সিনহার অ্যাকাউন্টে জমা হয়।
পরে বিভিন্ন সময়ে ক্যাশ, চেক ও পে-অর্ডারের মাধ্যমে ওই টাকা উত্তোলন করা হয়। এর মধ্যে এস কে সিনহার ভাইয়ের নামে শাহজালাল ব্যাংকের উত্তরা শাখার অ্যাকাউন্টে দুটি চেকে দুই কোটি ২৩ লাখ ৫৯ হাজার টাকা স্থানান্তর করা হয় ওই বছরের ২৮ নভেম্বর।
এজাহারে আরও বলা হয়, আসামি রনজিৎ চন্দ্র ঋণ দ্রুত অনুমোদনের জন্য প্রধান বিচারপতির প্রভাব ব্যবহার করেন। রনজিৎ চন্দ্রের ভাতিজা হলেন ঋণ গ্রহীতা নিরঞ্জন এবং অপর ঋণ গ্রহীতা শাহজাহান ও রনজিৎ ছোটবেলার বন্ধু। ঋণ গ্রহীতা দুইজনই অত্যন্ত গরিব ও দুস্থ। তারা কখনও ব্যবসা-বাণিজ্য করেননি।
সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় এবং কিছু পর্যবেক্ষণের কারণে ক্ষমতাসীনদের তোপের মুখে ২০১৭ সালের অক্টোবরের শুরুতে ছুটিতে যান তখনকার প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা। প্রথমে অস্ট্রেলিয়া যান। তারপর সিঙ্গাপুরে যান। সেখান থেকেই তিনি পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেন।
দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করে আসা বিচারপতি সিনহা যুক্তরাষ্ট্রে বসেই ২০১৮ সালে একটি বই প্রকাশ করেন। তাতে তিনি দাবি করেন, তাকে ‘পদত্যাগে বাধ্য করে নির্বাসনে’ পাঠানো হয়েছে।
ওই বছর ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়ে আবেদন করেছিলেন এস কে সিনহা। নিউ জার্সিতে ছোট ভাই অনন্ত কুমার সিনহার নামে কেনা একটি বাড়িতেই সে সময় তিনি থাকছিলেন।
পরে ২০১৯ সালের জুলাই মাসে খবর আসে সিনহা যুক্তরাষ্ট্র থেকে কানাডায় গিয়ে সেখানে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছেন। বিচারপতি সিনহা ছুটি নিয়ে বিদেশ যাওয়ার পর তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অর্থ পাচার, আর্থিক অনিয়ম ও নৈতিক স্খলনসহ সুনির্দিষ্ট ১১টি অভিযোগ পাওয়ার কথা সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল। বাকি বিষয়গুলো নিয়ে পরে আর কোনো অগ্রগতি হয়নি।

জালিয়াতির মাধ্যমে ফারমার্স ব্যাংক থেকে চার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাতের মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাকে (এস কে সিনহা) ১১ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম এই রায় দেন।
একই মামলায় অন্যান্য আট আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। দুজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথম সাবেক কোন বিচারপতিকে দুর্নীতির দায়ে কারাদণ্ড দেওয়া হলো। মানি লন্ডারিং আইনে সাত বছরের কারাদণ্ড এবং অর্থ আত্মসাতের দায়ে চার বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয় এস কে সিনহাকে। তবে উভয় সাজা একসঙ্গে চলবে বলে আদালত রায়ে উল্লেখ করেছেন। এ কারণে সাত বছরের সাজা খাটতে হবে এসকে সিনহা কে।
এস কে সিনহাসহ চারজন পলাতক থাকায় তাদের অনুপস্থিতিতে রায় ঘোষণা করা হয়। আদালত রায়ে উল্লেখ করেন, তারা গ্রেপ্তার হওয়ার পর অথবা আদালতে আত্মসমর্পণ করার পর তাদের ক্ষেত্রে এই রায় কার্যকর হবে।
আসামিদের মধ্যে ফারমার্স ব্যাংকের (বর্তমানে পদ্মা ব্যাংক) অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিশতী ওরফে বাবুল চিশতীকে অভিযোগ কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। জামিনপ্রাপ্ত অন্যান্য আসামি আদালতে হাজির ছিলেন।
মামলার অপর আসামিরা হলেন-ফারমার্স ব্যাংকের (বর্তমানে পদ্মা ব্যাংক) সাবেক ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট স্বপন কুমার রায়, ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট সাফিউদ্দিন আসকারী, ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. লুৎফুল হক, টাঙ্গাইলের বাসিন্দা মো. শাহজাহান, একই এলাকার নিরঞ্জন চন্দ্র সাহা, রনজিৎ চন্দ্র সাহা ও তার স্ত্রী সান্ত্রী রায়।
মোহাম্মদ শাহজাহান ও নিরঞ্জন চন্দ্র সাহা খালাস পেয়েছেন। ২০১৯ সালের ১০ জুলাই ঋণ জালিয়াতি ও চার কোটি টাকা আত্মসাতে জড়িত থাকার অভিযোগে এস কে সিনহাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-১ এ মামলা করা হয়। মামলার বাদী দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন।
২০১৯ সালের ১০ ডিসেম্বর আদালতে এস কে সিনহাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের পরিচালক বেনজীর আহমেদ। ২০২০ সালের ১৩ আগস্ট ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম এস কে সিনহাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে অসৎ উদ্দেশ্যে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে ফারমার্স ব্যাংকে ভুয়া ঋণ সৃষ্টি করে সেই টাকা বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তর, উত্তোলন ও পাচার করেছেন, যা দণ্ডবিধির ৪০৯ / ৪২০ / ১০৯ ধারা, ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারা এবং ২০১২ সালের মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ৪ (২) (৩) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
মামলার বিবরণে বলা হয়েছে, ২০১৬ সালের ৬ নভেম্বর আসামি শাহজাহান ও নিরঞ্জন চন্দ্র ফারমার্স ব্যাংকের গুলশান শাখায় আলাদা দুইটি অ্যাকাউন্ট খোলেন। ব্যবসা বাড়ানোর জন্য পরদিন তারা ওই ব্যাংক থেকে দুই কোটি টাকা করে মোট চার কোটি টাকা ঋণের আবেদন করেন।
তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এবং ঋণের আবেদনে উত্তরার ১০ নম্বর সেক্টরের ১২ নম্বর রোডের ৫১ নম্বর বাড়ির ঠিকানা ব্যবহার করা হয়, যার মালিক ছিলেন তখনকার প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা।
ঋণের জামানত হিসেবে আসামি রনজিৎ চন্দ্রের স্ত্রী সান্ত্রী রায়ের নামে সাভারের ৩২ শতাংশ জমির কথা উল্লেখ করা হয় ঋণের আবেদনে। ওই দম্পতি এস কে সিনহার পূর্ব পরিচিত ও ঘনিষ্ঠ বলে উল্লেখ করা হয়েছে মামলার এজাহারে।
ব্যাংকটির তৎকালীন এমডি এ কে এম শামীম কোনো ধরনের যাচাই-বাছাই ছাড়াই, ব্যাংকের নিয়ম-নীতি না মেনে, ক্ষমতার অপব্যবহার করে ঋণ দুটি অনুমোদন করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ৭ নভেম্বর ঋণের আবেদন হওয়ার পর 'অস্বাভাবিক দ্রুততার' সঙ্গে তা অনুমোদন করা হয়। পরদিন মোট চার কোটি টাকার দুটি পে-অর্ডার ইস্যু করা হয় এস কে সিনহার নামে। ৯ নভেম্বর সোনালী ব্যাংকের সুপ্রিম কোর্ট শাখায় এস কে সিনহার অ্যাকাউন্টে জমা হয়।
পরে বিভিন্ন সময়ে ক্যাশ, চেক ও পে-অর্ডারের মাধ্যমে ওই টাকা উত্তোলন করা হয়। এর মধ্যে এস কে সিনহার ভাইয়ের নামে শাহজালাল ব্যাংকের উত্তরা শাখার অ্যাকাউন্টে দুটি চেকে দুই কোটি ২৩ লাখ ৫৯ হাজার টাকা স্থানান্তর করা হয় ওই বছরের ২৮ নভেম্বর।
এজাহারে আরও বলা হয়, আসামি রনজিৎ চন্দ্র ঋণ দ্রুত অনুমোদনের জন্য প্রধান বিচারপতির প্রভাব ব্যবহার করেন। রনজিৎ চন্দ্রের ভাতিজা হলেন ঋণ গ্রহীতা নিরঞ্জন এবং অপর ঋণ গ্রহীতা শাহজাহান ও রনজিৎ ছোটবেলার বন্ধু। ঋণ গ্রহীতা দুইজনই অত্যন্ত গরিব ও দুস্থ। তারা কখনও ব্যবসা-বাণিজ্য করেননি।
সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় এবং কিছু পর্যবেক্ষণের কারণে ক্ষমতাসীনদের তোপের মুখে ২০১৭ সালের অক্টোবরের শুরুতে ছুটিতে যান তখনকার প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা। প্রথমে অস্ট্রেলিয়া যান। তারপর সিঙ্গাপুরে যান। সেখান থেকেই তিনি পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেন।
দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করে আসা বিচারপতি সিনহা যুক্তরাষ্ট্রে বসেই ২০১৮ সালে একটি বই প্রকাশ করেন। তাতে তিনি দাবি করেন, তাকে ‘পদত্যাগে বাধ্য করে নির্বাসনে’ পাঠানো হয়েছে।
ওই বছর ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়ে আবেদন করেছিলেন এস কে সিনহা। নিউ জার্সিতে ছোট ভাই অনন্ত কুমার সিনহার নামে কেনা একটি বাড়িতেই সে সময় তিনি থাকছিলেন।
পরে ২০১৯ সালের জুলাই মাসে খবর আসে সিনহা যুক্তরাষ্ট্র থেকে কানাডায় গিয়ে সেখানে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছেন। বিচারপতি সিনহা ছুটি নিয়ে বিদেশ যাওয়ার পর তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অর্থ পাচার, আর্থিক অনিয়ম ও নৈতিক স্খলনসহ সুনির্দিষ্ট ১১টি অভিযোগ পাওয়ার কথা সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল। বাকি বিষয়গুলো নিয়ে পরে আর কোনো অগ্রগতি হয়নি।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জালিয়াতির মাধ্যমে ফারমার্স ব্যাংক থেকে চার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাতের মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাকে (এস কে সিনহা) ১১ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম এই রায় দেন।
একই মামলায় অন্যান্য আট আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। দুজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথম সাবেক কোন বিচারপতিকে দুর্নীতির দায়ে কারাদণ্ড দেওয়া হলো। মানি লন্ডারিং আইনে সাত বছরের কারাদণ্ড এবং অর্থ আত্মসাতের দায়ে চার বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয় এস কে সিনহাকে। তবে উভয় সাজা একসঙ্গে চলবে বলে আদালত রায়ে উল্লেখ করেছেন। এ কারণে সাত বছরের সাজা খাটতে হবে এসকে সিনহা কে।
এস কে সিনহাসহ চারজন পলাতক থাকায় তাদের অনুপস্থিতিতে রায় ঘোষণা করা হয়। আদালত রায়ে উল্লেখ করেন, তারা গ্রেপ্তার হওয়ার পর অথবা আদালতে আত্মসমর্পণ করার পর তাদের ক্ষেত্রে এই রায় কার্যকর হবে।
আসামিদের মধ্যে ফারমার্স ব্যাংকের (বর্তমানে পদ্মা ব্যাংক) অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিশতী ওরফে বাবুল চিশতীকে অভিযোগ কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। জামিনপ্রাপ্ত অন্যান্য আসামি আদালতে হাজির ছিলেন।
মামলার অপর আসামিরা হলেন-ফারমার্স ব্যাংকের (বর্তমানে পদ্মা ব্যাংক) সাবেক ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট স্বপন কুমার রায়, ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট সাফিউদ্দিন আসকারী, ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. লুৎফুল হক, টাঙ্গাইলের বাসিন্দা মো. শাহজাহান, একই এলাকার নিরঞ্জন চন্দ্র সাহা, রনজিৎ চন্দ্র সাহা ও তার স্ত্রী সান্ত্রী রায়।
মোহাম্মদ শাহজাহান ও নিরঞ্জন চন্দ্র সাহা খালাস পেয়েছেন। ২০১৯ সালের ১০ জুলাই ঋণ জালিয়াতি ও চার কোটি টাকা আত্মসাতে জড়িত থাকার অভিযোগে এস কে সিনহাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-১ এ মামলা করা হয়। মামলার বাদী দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন।
২০১৯ সালের ১০ ডিসেম্বর আদালতে এস কে সিনহাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের পরিচালক বেনজীর আহমেদ। ২০২০ সালের ১৩ আগস্ট ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম এস কে সিনহাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে অসৎ উদ্দেশ্যে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে ফারমার্স ব্যাংকে ভুয়া ঋণ সৃষ্টি করে সেই টাকা বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তর, উত্তোলন ও পাচার করেছেন, যা দণ্ডবিধির ৪০৯ / ৪২০ / ১০৯ ধারা, ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারা এবং ২০১২ সালের মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ৪ (২) (৩) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
মামলার বিবরণে বলা হয়েছে, ২০১৬ সালের ৬ নভেম্বর আসামি শাহজাহান ও নিরঞ্জন চন্দ্র ফারমার্স ব্যাংকের গুলশান শাখায় আলাদা দুইটি অ্যাকাউন্ট খোলেন। ব্যবসা বাড়ানোর জন্য পরদিন তারা ওই ব্যাংক থেকে দুই কোটি টাকা করে মোট চার কোটি টাকা ঋণের আবেদন করেন।
তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এবং ঋণের আবেদনে উত্তরার ১০ নম্বর সেক্টরের ১২ নম্বর রোডের ৫১ নম্বর বাড়ির ঠিকানা ব্যবহার করা হয়, যার মালিক ছিলেন তখনকার প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা।
ঋণের জামানত হিসেবে আসামি রনজিৎ চন্দ্রের স্ত্রী সান্ত্রী রায়ের নামে সাভারের ৩২ শতাংশ জমির কথা উল্লেখ করা হয় ঋণের আবেদনে। ওই দম্পতি এস কে সিনহার পূর্ব পরিচিত ও ঘনিষ্ঠ বলে উল্লেখ করা হয়েছে মামলার এজাহারে।
ব্যাংকটির তৎকালীন এমডি এ কে এম শামীম কোনো ধরনের যাচাই-বাছাই ছাড়াই, ব্যাংকের নিয়ম-নীতি না মেনে, ক্ষমতার অপব্যবহার করে ঋণ দুটি অনুমোদন করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ৭ নভেম্বর ঋণের আবেদন হওয়ার পর 'অস্বাভাবিক দ্রুততার' সঙ্গে তা অনুমোদন করা হয়। পরদিন মোট চার কোটি টাকার দুটি পে-অর্ডার ইস্যু করা হয় এস কে সিনহার নামে। ৯ নভেম্বর সোনালী ব্যাংকের সুপ্রিম কোর্ট শাখায় এস কে সিনহার অ্যাকাউন্টে জমা হয়।
পরে বিভিন্ন সময়ে ক্যাশ, চেক ও পে-অর্ডারের মাধ্যমে ওই টাকা উত্তোলন করা হয়। এর মধ্যে এস কে সিনহার ভাইয়ের নামে শাহজালাল ব্যাংকের উত্তরা শাখার অ্যাকাউন্টে দুটি চেকে দুই কোটি ২৩ লাখ ৫৯ হাজার টাকা স্থানান্তর করা হয় ওই বছরের ২৮ নভেম্বর।
এজাহারে আরও বলা হয়, আসামি রনজিৎ চন্দ্র ঋণ দ্রুত অনুমোদনের জন্য প্রধান বিচারপতির প্রভাব ব্যবহার করেন। রনজিৎ চন্দ্রের ভাতিজা হলেন ঋণ গ্রহীতা নিরঞ্জন এবং অপর ঋণ গ্রহীতা শাহজাহান ও রনজিৎ ছোটবেলার বন্ধু। ঋণ গ্রহীতা দুইজনই অত্যন্ত গরিব ও দুস্থ। তারা কখনও ব্যবসা-বাণিজ্য করেননি।
সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় এবং কিছু পর্যবেক্ষণের কারণে ক্ষমতাসীনদের তোপের মুখে ২০১৭ সালের অক্টোবরের শুরুতে ছুটিতে যান তখনকার প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা। প্রথমে অস্ট্রেলিয়া যান। তারপর সিঙ্গাপুরে যান। সেখান থেকেই তিনি পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেন।
দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করে আসা বিচারপতি সিনহা যুক্তরাষ্ট্রে বসেই ২০১৮ সালে একটি বই প্রকাশ করেন। তাতে তিনি দাবি করেন, তাকে ‘পদত্যাগে বাধ্য করে নির্বাসনে’ পাঠানো হয়েছে।
ওই বছর ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়ে আবেদন করেছিলেন এস কে সিনহা। নিউ জার্সিতে ছোট ভাই অনন্ত কুমার সিনহার নামে কেনা একটি বাড়িতেই সে সময় তিনি থাকছিলেন।
পরে ২০১৯ সালের জুলাই মাসে খবর আসে সিনহা যুক্তরাষ্ট্র থেকে কানাডায় গিয়ে সেখানে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছেন। বিচারপতি সিনহা ছুটি নিয়ে বিদেশ যাওয়ার পর তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অর্থ পাচার, আর্থিক অনিয়ম ও নৈতিক স্খলনসহ সুনির্দিষ্ট ১১টি অভিযোগ পাওয়ার কথা সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল। বাকি বিষয়গুলো নিয়ে পরে আর কোনো অগ্রগতি হয়নি।

জালিয়াতির মাধ্যমে ফারমার্স ব্যাংক থেকে চার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাতের মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাকে (এস কে সিনহা) ১১ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম এই রায় দেন।
একই মামলায় অন্যান্য আট আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। দুজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথম সাবেক কোন বিচারপতিকে দুর্নীতির দায়ে কারাদণ্ড দেওয়া হলো। মানি লন্ডারিং আইনে সাত বছরের কারাদণ্ড এবং অর্থ আত্মসাতের দায়ে চার বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয় এস কে সিনহাকে। তবে উভয় সাজা একসঙ্গে চলবে বলে আদালত রায়ে উল্লেখ করেছেন। এ কারণে সাত বছরের সাজা খাটতে হবে এসকে সিনহা কে।
এস কে সিনহাসহ চারজন পলাতক থাকায় তাদের অনুপস্থিতিতে রায় ঘোষণা করা হয়। আদালত রায়ে উল্লেখ করেন, তারা গ্রেপ্তার হওয়ার পর অথবা আদালতে আত্মসমর্পণ করার পর তাদের ক্ষেত্রে এই রায় কার্যকর হবে।
আসামিদের মধ্যে ফারমার্স ব্যাংকের (বর্তমানে পদ্মা ব্যাংক) অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিশতী ওরফে বাবুল চিশতীকে অভিযোগ কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। জামিনপ্রাপ্ত অন্যান্য আসামি আদালতে হাজির ছিলেন।
মামলার অপর আসামিরা হলেন-ফারমার্স ব্যাংকের (বর্তমানে পদ্মা ব্যাংক) সাবেক ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট স্বপন কুমার রায়, ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট সাফিউদ্দিন আসকারী, ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. লুৎফুল হক, টাঙ্গাইলের বাসিন্দা মো. শাহজাহান, একই এলাকার নিরঞ্জন চন্দ্র সাহা, রনজিৎ চন্দ্র সাহা ও তার স্ত্রী সান্ত্রী রায়।
মোহাম্মদ শাহজাহান ও নিরঞ্জন চন্দ্র সাহা খালাস পেয়েছেন। ২০১৯ সালের ১০ জুলাই ঋণ জালিয়াতি ও চার কোটি টাকা আত্মসাতে জড়িত থাকার অভিযোগে এস কে সিনহাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-১ এ মামলা করা হয়। মামলার বাদী দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন।
২০১৯ সালের ১০ ডিসেম্বর আদালতে এস কে সিনহাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের পরিচালক বেনজীর আহমেদ। ২০২০ সালের ১৩ আগস্ট ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম এস কে সিনহাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে অসৎ উদ্দেশ্যে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে ফারমার্স ব্যাংকে ভুয়া ঋণ সৃষ্টি করে সেই টাকা বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তর, উত্তোলন ও পাচার করেছেন, যা দণ্ডবিধির ৪০৯ / ৪২০ / ১০৯ ধারা, ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারা এবং ২০১২ সালের মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ৪ (২) (৩) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
মামলার বিবরণে বলা হয়েছে, ২০১৬ সালের ৬ নভেম্বর আসামি শাহজাহান ও নিরঞ্জন চন্দ্র ফারমার্স ব্যাংকের গুলশান শাখায় আলাদা দুইটি অ্যাকাউন্ট খোলেন। ব্যবসা বাড়ানোর জন্য পরদিন তারা ওই ব্যাংক থেকে দুই কোটি টাকা করে মোট চার কোটি টাকা ঋণের আবেদন করেন।
তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এবং ঋণের আবেদনে উত্তরার ১০ নম্বর সেক্টরের ১২ নম্বর রোডের ৫১ নম্বর বাড়ির ঠিকানা ব্যবহার করা হয়, যার মালিক ছিলেন তখনকার প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা।
ঋণের জামানত হিসেবে আসামি রনজিৎ চন্দ্রের স্ত্রী সান্ত্রী রায়ের নামে সাভারের ৩২ শতাংশ জমির কথা উল্লেখ করা হয় ঋণের আবেদনে। ওই দম্পতি এস কে সিনহার পূর্ব পরিচিত ও ঘনিষ্ঠ বলে উল্লেখ করা হয়েছে মামলার এজাহারে।
ব্যাংকটির তৎকালীন এমডি এ কে এম শামীম কোনো ধরনের যাচাই-বাছাই ছাড়াই, ব্যাংকের নিয়ম-নীতি না মেনে, ক্ষমতার অপব্যবহার করে ঋণ দুটি অনুমোদন করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ৭ নভেম্বর ঋণের আবেদন হওয়ার পর 'অস্বাভাবিক দ্রুততার' সঙ্গে তা অনুমোদন করা হয়। পরদিন মোট চার কোটি টাকার দুটি পে-অর্ডার ইস্যু করা হয় এস কে সিনহার নামে। ৯ নভেম্বর সোনালী ব্যাংকের সুপ্রিম কোর্ট শাখায় এস কে সিনহার অ্যাকাউন্টে জমা হয়।
পরে বিভিন্ন সময়ে ক্যাশ, চেক ও পে-অর্ডারের মাধ্যমে ওই টাকা উত্তোলন করা হয়। এর মধ্যে এস কে সিনহার ভাইয়ের নামে শাহজালাল ব্যাংকের উত্তরা শাখার অ্যাকাউন্টে দুটি চেকে দুই কোটি ২৩ লাখ ৫৯ হাজার টাকা স্থানান্তর করা হয় ওই বছরের ২৮ নভেম্বর।
এজাহারে আরও বলা হয়, আসামি রনজিৎ চন্দ্র ঋণ দ্রুত অনুমোদনের জন্য প্রধান বিচারপতির প্রভাব ব্যবহার করেন। রনজিৎ চন্দ্রের ভাতিজা হলেন ঋণ গ্রহীতা নিরঞ্জন এবং অপর ঋণ গ্রহীতা শাহজাহান ও রনজিৎ ছোটবেলার বন্ধু। ঋণ গ্রহীতা দুইজনই অত্যন্ত গরিব ও দুস্থ। তারা কখনও ব্যবসা-বাণিজ্য করেননি।
সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় এবং কিছু পর্যবেক্ষণের কারণে ক্ষমতাসীনদের তোপের মুখে ২০১৭ সালের অক্টোবরের শুরুতে ছুটিতে যান তখনকার প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা। প্রথমে অস্ট্রেলিয়া যান। তারপর সিঙ্গাপুরে যান। সেখান থেকেই তিনি পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেন।
দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করে আসা বিচারপতি সিনহা যুক্তরাষ্ট্রে বসেই ২০১৮ সালে একটি বই প্রকাশ করেন। তাতে তিনি দাবি করেন, তাকে ‘পদত্যাগে বাধ্য করে নির্বাসনে’ পাঠানো হয়েছে।
ওই বছর ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়ে আবেদন করেছিলেন এস কে সিনহা। নিউ জার্সিতে ছোট ভাই অনন্ত কুমার সিনহার নামে কেনা একটি বাড়িতেই সে সময় তিনি থাকছিলেন।
পরে ২০১৯ সালের জুলাই মাসে খবর আসে সিনহা যুক্তরাষ্ট্র থেকে কানাডায় গিয়ে সেখানে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছেন। বিচারপতি সিনহা ছুটি নিয়ে বিদেশ যাওয়ার পর তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অর্থ পাচার, আর্থিক অনিয়ম ও নৈতিক স্খলনসহ সুনির্দিষ্ট ১১টি অভিযোগ পাওয়ার কথা সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল। বাকি বিষয়গুলো নিয়ে পরে আর কোনো অগ্রগতি হয়নি।

নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলার আদর্শ পাড়া গ্রামের একাদশী রায় এখন পরিচিত ‘রায় রুপন্তী ভার্মি কম্পোস্ট’-এর সফল উদ্যোক্তা হিসেবে। স্বামীর সামান্য আয়ের ওপর নির্ভরশীলতা কাটিয়ে পরিবেশবান্ধব কেঁচো সার (ভার্মি কম্পোস্ট) উৎপাদন করে তিনি কৃষি উদ্যোক্তা হিসেবে নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
৮ মিনিট আগে
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের সাবেক এক নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে থেকে তাকে আটক করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মালেক।
৪১ মিনিট আগে
পুলিশ জানায়, লিমন তাসমিন নাহারের ছোট ভাই পরিচয় দিয়ে বাসায় ঢুকে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে চাকু বের করেন। তখন জজের স্ত্রী প্রাণভয়ে দৌঁড়ে রুমের ভেতর ঢুকে দরজা আটকে দেন। এ সময় লিমন দরজায় লাথি দিয়ে ভেঙে ভেতরে ঢুকলে জজের ছেলে তাওসিফও তার মাকে রক্ষা করার জন্য ঘরে ঢোকে।
১ ঘণ্টা আগে
নওগাঁয় সংসদীয় আসন ছয়টি। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে পাঁচটিতে সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে বিএনপি। প্রাথমিক নামের তালিকা ঘোষণার পর থেকে উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছে তিনটি আসনে। আরও প্রকাশ্যে এসেছে দলীয় কোন্দল।
৫ ঘণ্টা আগেডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধি

নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলার আদর্শ পাড়া গ্রামের একাদশী রায় এখন পরিচিত ‘রায় রুপন্তী ভার্মি কম্পোস্ট’-এর সফল উদ্যোক্তা হিসেবে। স্বামীর সামান্য আয়ের ওপর নির্ভরশীলতা কাটিয়ে পরিবেশবান্ধব কেঁচো সার (ভার্মি কম্পোস্ট) উৎপাদন করে তিনি কৃষি উদ্যোক্তা হিসেবে নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তাঁর এই উদ্যোগ শুধু পরিবারের জন্য আয়ের গুরুত্বপূর্ণ উৎসই তৈরি করেনি, স্থানীয় কৃষি অর্থনীতিতেও এনেছে নতুন মাত্রা।
একাদশী রায় জানান, একসময় দিনমজুর স্বামীর আয়ে সংসার চালানো কঠিন ছিল। কিন্তু গত বছর কৃষি অফিসের প্রশিক্ষণ নিয়ে তিনি কেঁচো সার উৎপাদন শুরু করেন। প্রথমে মাত্র ২টি রিং দিয়ে শুরু করলেও বর্তমানে তাঁর খামারে রয়েছে ১২টি রিং ও ৪টি বড় হাউস।
একাদশী রায় বলেন, ‘আগে অভাবে দিন কাটত। এখন প্রতি মাসে আমার খামার থেকে প্রায় ৪০ মণ সার উৎপাদিত হয়, যা বিক্রি করে মাসে প্রায় ৪০ হাজার টাকা আয় করছি। আমার কাজের মাধ্যমে পরিবেশের ক্ষতি কমানো যাচ্ছে এবং কৃষকেরাও সাশ্রয়ী ও বিষমুক্ত সার পাচ্ছেন।’
একাদশীর উৎপাদিত ভার্মি কম্পোস্ট কৃষকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। তাঁরা এটিকে সাশ্রয়ী, মাটির উর্বরতা শক্তি বৃদ্ধিকারী এবং ফলন সহায়ক হিসেবে দেখছেন।
স্থানীয় কৃষক অচিন্ত্য কুমার বলেন, রাসায়নিক সারের তুলনায় কেঁচো সার অনেক সাশ্রয়ী। এর ফলে ফলন ভালো হচ্ছে, এবং পরিবেশের ক্ষতিও কমে যাচ্ছে।
আরেক কৃষক হাবিবুর রহমান বলেন, ‘প্রাকৃতিক সার মাটির গুণ বাড়িয়ে দেয়। আমার জমিতে বিশেষ করে বেগুন, টমেটো এবং মরিচের ফলন আগের তুলনায় অনেক ভালো হয়েছে।’
কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, ভার্মি কম্পোস্ট তৈরিতে কোনো রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার করা হয় না। ১৫ দিনের পুরোনো গোবরকে কেঁচো খেয়ে যে মল ত্যাগ করে, তা থেকেই তৈরি হয় এই সার।
ডিমলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মীর হাসান আল বান্না বলেন, ‘আমরা স্থানীয় কৃষকদের কেঁচো সার উৎপাদনে উৎসাহিত করছি। এর ফলে কৃষকেরা লাভবান হচ্ছেন, আর কৃষি ক্ষেত্রে নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি হচ্ছে। একাদশী রায়ের সাফল্য স্থানীয় অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।’
উপজেলা কৃষিবিদ আবু নোমান সায়েম জানান, ভার্মি কম্পোস্ট সব ধরনের ফসলে ব্যবহার করা যায়। এটি মাটির উর্বরতা শক্তি বজায় রাখে এবং বিষমুক্ত খাদ্য উৎপাদনে সহায়ক।

নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলার আদর্শ পাড়া গ্রামের একাদশী রায় এখন পরিচিত ‘রায় রুপন্তী ভার্মি কম্পোস্ট’-এর সফল উদ্যোক্তা হিসেবে। স্বামীর সামান্য আয়ের ওপর নির্ভরশীলতা কাটিয়ে পরিবেশবান্ধব কেঁচো সার (ভার্মি কম্পোস্ট) উৎপাদন করে তিনি কৃষি উদ্যোক্তা হিসেবে নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তাঁর এই উদ্যোগ শুধু পরিবারের জন্য আয়ের গুরুত্বপূর্ণ উৎসই তৈরি করেনি, স্থানীয় কৃষি অর্থনীতিতেও এনেছে নতুন মাত্রা।
একাদশী রায় জানান, একসময় দিনমজুর স্বামীর আয়ে সংসার চালানো কঠিন ছিল। কিন্তু গত বছর কৃষি অফিসের প্রশিক্ষণ নিয়ে তিনি কেঁচো সার উৎপাদন শুরু করেন। প্রথমে মাত্র ২টি রিং দিয়ে শুরু করলেও বর্তমানে তাঁর খামারে রয়েছে ১২টি রিং ও ৪টি বড় হাউস।
একাদশী রায় বলেন, ‘আগে অভাবে দিন কাটত। এখন প্রতি মাসে আমার খামার থেকে প্রায় ৪০ মণ সার উৎপাদিত হয়, যা বিক্রি করে মাসে প্রায় ৪০ হাজার টাকা আয় করছি। আমার কাজের মাধ্যমে পরিবেশের ক্ষতি কমানো যাচ্ছে এবং কৃষকেরাও সাশ্রয়ী ও বিষমুক্ত সার পাচ্ছেন।’
একাদশীর উৎপাদিত ভার্মি কম্পোস্ট কৃষকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। তাঁরা এটিকে সাশ্রয়ী, মাটির উর্বরতা শক্তি বৃদ্ধিকারী এবং ফলন সহায়ক হিসেবে দেখছেন।
স্থানীয় কৃষক অচিন্ত্য কুমার বলেন, রাসায়নিক সারের তুলনায় কেঁচো সার অনেক সাশ্রয়ী। এর ফলে ফলন ভালো হচ্ছে, এবং পরিবেশের ক্ষতিও কমে যাচ্ছে।
আরেক কৃষক হাবিবুর রহমান বলেন, ‘প্রাকৃতিক সার মাটির গুণ বাড়িয়ে দেয়। আমার জমিতে বিশেষ করে বেগুন, টমেটো এবং মরিচের ফলন আগের তুলনায় অনেক ভালো হয়েছে।’
কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, ভার্মি কম্পোস্ট তৈরিতে কোনো রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার করা হয় না। ১৫ দিনের পুরোনো গোবরকে কেঁচো খেয়ে যে মল ত্যাগ করে, তা থেকেই তৈরি হয় এই সার।
ডিমলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মীর হাসান আল বান্না বলেন, ‘আমরা স্থানীয় কৃষকদের কেঁচো সার উৎপাদনে উৎসাহিত করছি। এর ফলে কৃষকেরা লাভবান হচ্ছেন, আর কৃষি ক্ষেত্রে নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি হচ্ছে। একাদশী রায়ের সাফল্য স্থানীয় অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।’
উপজেলা কৃষিবিদ আবু নোমান সায়েম জানান, ভার্মি কম্পোস্ট সব ধরনের ফসলে ব্যবহার করা যায়। এটি মাটির উর্বরতা শক্তি বজায় রাখে এবং বিষমুক্ত খাদ্য উৎপাদনে সহায়ক।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহাকে ১১ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম এ রায় ঘোষণা করেন।
০৯ নভেম্বর ২০২১
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের সাবেক এক নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে থেকে তাকে আটক করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মালেক।
৪১ মিনিট আগে
পুলিশ জানায়, লিমন তাসমিন নাহারের ছোট ভাই পরিচয় দিয়ে বাসায় ঢুকে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে চাকু বের করেন। তখন জজের স্ত্রী প্রাণভয়ে দৌঁড়ে রুমের ভেতর ঢুকে দরজা আটকে দেন। এ সময় লিমন দরজায় লাথি দিয়ে ভেঙে ভেতরে ঢুকলে জজের ছেলে তাওসিফও তার মাকে রক্ষা করার জন্য ঘরে ঢোকে।
১ ঘণ্টা আগে
নওগাঁয় সংসদীয় আসন ছয়টি। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে পাঁচটিতে সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে বিএনপি। প্রাথমিক নামের তালিকা ঘোষণার পর থেকে উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছে তিনটি আসনে। আরও প্রকাশ্যে এসেছে দলীয় কোন্দল।
৫ ঘণ্টা আগেরাবি প্রতিনিধি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের সাবেক এক নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে থেকে তাকে আটক করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মালেক।
আটককৃত সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শাহাদাত হোসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী। তিনি সৈয়দ আমীর আলী হল শাখা ছাত্রলীগের সদ্য সাবেক কমিটির সহ-সভাপতি ছিলেন।
আটকের বিষয়ে জানতে চাইলে নগরের মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মালেক বলেন, ‘স্থানীয় বাসিন্দাদের ফোন পেয়ে আমরা তাকে আটক করেছি। সে ছাত্রলীগের রাজনীতি করতো। তার নামে মামলাও আছে। কোন নাশকতার সঙ্গে জড়িত কিনা সেটা আমরা যাচাই-বাছাই করছি।’

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের সাবেক এক নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে থেকে তাকে আটক করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মালেক।
আটককৃত সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শাহাদাত হোসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী। তিনি সৈয়দ আমীর আলী হল শাখা ছাত্রলীগের সদ্য সাবেক কমিটির সহ-সভাপতি ছিলেন।
আটকের বিষয়ে জানতে চাইলে নগরের মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মালেক বলেন, ‘স্থানীয় বাসিন্দাদের ফোন পেয়ে আমরা তাকে আটক করেছি। সে ছাত্রলীগের রাজনীতি করতো। তার নামে মামলাও আছে। কোন নাশকতার সঙ্গে জড়িত কিনা সেটা আমরা যাচাই-বাছাই করছি।’

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহাকে ১১ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম এ রায় ঘোষণা করেন।
০৯ নভেম্বর ২০২১
নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলার আদর্শ পাড়া গ্রামের একাদশী রায় এখন পরিচিত ‘রায় রুপন্তী ভার্মি কম্পোস্ট’-এর সফল উদ্যোক্তা হিসেবে। স্বামীর সামান্য আয়ের ওপর নির্ভরশীলতা কাটিয়ে পরিবেশবান্ধব কেঁচো সার (ভার্মি কম্পোস্ট) উৎপাদন করে তিনি কৃষি উদ্যোক্তা হিসেবে নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
৮ মিনিট আগে
পুলিশ জানায়, লিমন তাসমিন নাহারের ছোট ভাই পরিচয় দিয়ে বাসায় ঢুকে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে চাকু বের করেন। তখন জজের স্ত্রী প্রাণভয়ে দৌঁড়ে রুমের ভেতর ঢুকে দরজা আটকে দেন। এ সময় লিমন দরজায় লাথি দিয়ে ভেঙে ভেতরে ঢুকলে জজের ছেলে তাওসিফও তার মাকে রক্ষা করার জন্য ঘরে ঢোকে।
১ ঘণ্টা আগে
নওগাঁয় সংসদীয় আসন ছয়টি। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে পাঁচটিতে সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে বিএনপি। প্রাথমিক নামের তালিকা ঘোষণার পর থেকে উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছে তিনটি আসনে। আরও প্রকাশ্যে এসেছে দলীয় কোন্দল।
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

রাজশাহী মহানগর দায়রা জজ আবদুর রহমানের স্ত্রী তাসমিন নাহার লুসীর (৪৪) কাছ থেকে টাকা নিতেন অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য লিমন মিয়া (৩৫)। টাকা দেওয়া বন্ধ করার কারণেই বিচারকের ছেলে তাওসিফ রহমান সুমনকে (১৬) খুন ও স্ত্রীকে ছুরিকাঘাত করার ঘটনা ঘটে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
পুলিশের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার লিমন মিয়ার (৩৫) সঙ্গে জজের স্ত্রীর পূর্ব পরিচয় ছিল। এর সূত্র ধরে বিভিন্ন সময় লিমন আর্থিক সহায়তা নিতেন। একপর্যায়ে টাকা দেওয়া বন্ধ করলে বিভিন্নভাবে ব্ল্যাক মেইল করা শুরু করেন। বৃহস্পতিবার বেলা আড়াইটার দিকে লিমন রাজশাহী নগরের ডাবতলা এলাকায় জজের ভাড়া বাসায় যান।
পুলিশ জানায়, লিমন তাসমিন নাহারের ছোট ভাই পরিচয় দিয়ে বাসায় ঢুকে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে চাকু বের করেন। তখন জজের স্ত্রী প্রাণভয়ে দৌঁড়ে রুমের ভেতর ঢুকে দরজা আটকে দেন। এ সময় লিমন দরজায় লাথি দিয়ে ভেঙে ভেতরে ঢুকলে জজের ছেলে তাওসিফও তার মাকে রক্ষা করার জন্য ঘরে ঢোকে। একপর্যায়ে লিমন জজের স্ত্রী এবং ছেলেকে ছুরিকাঘাত করেন। ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে লিমনও আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাওসিফকে মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশ জানিয়েছে, হামলাকারী ব্যক্তিকে পুলিশ পাহারায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বিচারকের স্ত্রীর সঙ্গে হামলাকারীর অর্থনৈতিক বিরোধের জেরেই এ ঘটনা ঘটেছে। তার বিরুদ্ধে রাজপাড়া থানায় মামলা করা হবে।

রাজশাহী মহানগর দায়রা জজ আবদুর রহমানের স্ত্রী তাসমিন নাহার লুসীর (৪৪) কাছ থেকে টাকা নিতেন অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য লিমন মিয়া (৩৫)। টাকা দেওয়া বন্ধ করার কারণেই বিচারকের ছেলে তাওসিফ রহমান সুমনকে (১৬) খুন ও স্ত্রীকে ছুরিকাঘাত করার ঘটনা ঘটে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
পুলিশের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার লিমন মিয়ার (৩৫) সঙ্গে জজের স্ত্রীর পূর্ব পরিচয় ছিল। এর সূত্র ধরে বিভিন্ন সময় লিমন আর্থিক সহায়তা নিতেন। একপর্যায়ে টাকা দেওয়া বন্ধ করলে বিভিন্নভাবে ব্ল্যাক মেইল করা শুরু করেন। বৃহস্পতিবার বেলা আড়াইটার দিকে লিমন রাজশাহী নগরের ডাবতলা এলাকায় জজের ভাড়া বাসায় যান।
পুলিশ জানায়, লিমন তাসমিন নাহারের ছোট ভাই পরিচয় দিয়ে বাসায় ঢুকে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে চাকু বের করেন। তখন জজের স্ত্রী প্রাণভয়ে দৌঁড়ে রুমের ভেতর ঢুকে দরজা আটকে দেন। এ সময় লিমন দরজায় লাথি দিয়ে ভেঙে ভেতরে ঢুকলে জজের ছেলে তাওসিফও তার মাকে রক্ষা করার জন্য ঘরে ঢোকে। একপর্যায়ে লিমন জজের স্ত্রী এবং ছেলেকে ছুরিকাঘাত করেন। ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে লিমনও আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাওসিফকে মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশ জানিয়েছে, হামলাকারী ব্যক্তিকে পুলিশ পাহারায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বিচারকের স্ত্রীর সঙ্গে হামলাকারীর অর্থনৈতিক বিরোধের জেরেই এ ঘটনা ঘটেছে। তার বিরুদ্ধে রাজপাড়া থানায় মামলা করা হবে।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহাকে ১১ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম এ রায় ঘোষণা করেন।
০৯ নভেম্বর ২০২১
নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলার আদর্শ পাড়া গ্রামের একাদশী রায় এখন পরিচিত ‘রায় রুপন্তী ভার্মি কম্পোস্ট’-এর সফল উদ্যোক্তা হিসেবে। স্বামীর সামান্য আয়ের ওপর নির্ভরশীলতা কাটিয়ে পরিবেশবান্ধব কেঁচো সার (ভার্মি কম্পোস্ট) উৎপাদন করে তিনি কৃষি উদ্যোক্তা হিসেবে নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
৮ মিনিট আগে
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের সাবেক এক নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে থেকে তাকে আটক করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মালেক।
৪১ মিনিট আগে
নওগাঁয় সংসদীয় আসন ছয়টি। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে পাঁচটিতে সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে বিএনপি। প্রাথমিক নামের তালিকা ঘোষণার পর থেকে উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছে তিনটি আসনে। আরও প্রকাশ্যে এসেছে দলীয় কোন্দল।
৫ ঘণ্টা আগেনওগাঁ সংবাদদাতা

নওগাঁয় সংসদীয় আসন ছয়টি। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে পাঁচটিতে সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে বিএনপি। প্রাথমিক নামের তালিকা ঘোষণার পর থেকে উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছে তিনটি আসনে। আরও প্রকাশ্যে এসেছে দলীয় কোন্দল। মনোনয়নবঞ্চিত প্রার্থীদের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে দেখা দিয়েছে ক্ষোভ ও অসন্তোষ। প্রার্থী ঘোষণার পর একদিকে চলছে ধানের শীষের প্রচার-প্রচারণা; অন্যদিকে প্রার্থী বদলের দাবিতে বিক্ষোভ করছেন মনোনয়নবঞ্চিতদের কর্মী-সমর্থকেরা।
জানা গেছে, মনোনয়ন ঘোষণা করায় কর্মচাঞ্চল্য বেড়েছে নেতা-কর্মীদের মধ্যে। পছন্দের প্রার্থীর মনোনয়ন পাওয়ায় কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে উচ্ছ্বাস যেমন আছে, তেমনি মনোনয়নবঞ্চিত প্রার্থীদের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে দেখা দিয়েছে অসন্তোষ। মনোনয়ন ঘিরে আন্দোলনে নামায় ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। তবে নির্বাচনের আগে দলীয় বিবাদ মিটিয়ে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাবে এমন প্রত্যাশা স্থানীয়দের।
৩ নভেম্বর ২৩৭ জন সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে বিএনপি। এদিন নওগাঁর সংসদীয় ছয়টি আসনের মধ্যে পাঁচটিতে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়। এর পর থেকেই তিনটি (১, ৩ ও ৪) আসনে মনোনয়নবঞ্চিত প্রার্থীদের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে দেখা দেয় অসন্তোষ। শুরুতেই নওগাঁ-৪ (মান্দা) আসনে একরামুল বারী টিপুকে মনোনয়ন দেওয়ায় মান্দা উপজেলা বিএনপির সভাপতি এম এ মতিনের কর্মী-সমর্থকেরা প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন শুরু করেন। এরপর নওগাঁ-৩ (মহাদেবপুর-বদলগাছী) আসনে ফজলে হুদা বাবুলকে মনোনয়ন দেওয়ায় সাবেক ডেপুটি স্পিকার আখতার হামিদ সিদ্দিকীর ছেলে পারভেজ আরেফিন সিদ্দিকী জনির কর্মী-সমর্থক এবং নওগাঁ-১ (সাপাহার-পোরশা-নিয়ামতপুর) আসনে মোস্তাফিজুর রহমানকে মনোনয়ন দেওয়ায় নিয়ামতপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য ডা. ছালেক চৌধুরীর কর্মী-সমর্থকেরা বিক্ষোভ করেন। প্রতিদিনই চলছে প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে রাজপথে নেমে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন। তবে এরই মধ্যে ধানের শীষের প্রচার-প্রচারণা শুরু করেছেন দলীয় প্রার্থীরা।
মনোনয়নবঞ্চিতদের কর্মী-সমর্থকেরা বলছেন, আসনগুলোয় ত্যাগী ও যোগ্য নেতাদের বঞ্চিত করা হয়েছে। ফলে এই আসনগুলো বিএনপির হাতছাড়া হতে পারে। দ্রুত এসব আসনে মনোনয়ন পুনর্বিবেচনার দাবি তাঁদের। তবে যোগ্য প্রার্থীকে মনোনয়ন দিয়েছে দল, এমন দাবি করে আসনগুলোতে বিএনপির প্রার্থীরা বিপুল ভোটে জয়লাভ করবেন, সেই আশা মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের।
নওগাঁ-৪ আসনের মনোনয়নবঞ্চিত এম এ মতিন বলেন, ‘দলের নিবেদিত কর্মী হিসেবে হাইকমান্ড যে সিদ্ধান্ত দিয়েছে, আমি তা মেনে নিয়েছি। এরপরও দলের কিছু নেতা-কর্মী ও আমার কিছু সমর্থক আমাকে মনোনয়ন না দেওয়ায় কষ্ট পেয়েছে। তবে বিষয়টি সমাধান হয়ে যাবে।’
একই আসনের বিএনপির প্রার্থী ইকরামুল বারী বলেন, ‘দল আমার ওপর যে আস্থা ও বিশ্বাস রেখে মনোনয়ন দিয়েছে, এর প্রতিদান সবাইকে সঙ্গে নিয়েই দেব।’
নওগাঁ-৩ আসনের মনোনয়নবঞ্চিত পারভেজ আরেফিন সিদ্দিকী জনি বলেন, এই মনোনয়নই চূড়ান্ত নয়। রাজনীতি থেকে প্রয়াত আখতার হামিদ সিদ্দিকীর পরিবারকে মাইনাসের ষড়যন্ত্র চলছে। তাদের দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র এখনো সক্রিয়। সাধারণ ভোটারদের সঙ্গে নিয়ে ষড়যন্ত্রকারীদের রুখে দেওয়া হবে।
আসনের বিএনপির প্রার্থী ফজলে হুদা বাবুল বলেন, ‘মনোনয়ন না পাওয়ায় স্বাভাবিকভাবে যে কারও মন খারাপ হবে। আশা করি সব ঠিক হয়ে যাবে। সবাইকে নিয়েই ধানের শীষের পক্ষে কাজ করতে চাই। এরই মধ্যে প্রচার-প্রচারণা শুরু করেছি।’
সার্বিক বিষয়ে জেলা বিএনপির সভাপতি আবু বক্কর সিদ্দিক নান্নু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দলের নেতা তারেক রহমান যোগ্য নেতাদেরই মনোনীত করেছেন। বিএনপি একটি বড় দল হিসেবে সবাই আশা করে মনোনয়নের। তবে কোনো নেতা-কর্মী বেশি বাড়াবাড়ি করলে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

নওগাঁয় সংসদীয় আসন ছয়টি। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে পাঁচটিতে সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে বিএনপি। প্রাথমিক নামের তালিকা ঘোষণার পর থেকে উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছে তিনটি আসনে। আরও প্রকাশ্যে এসেছে দলীয় কোন্দল। মনোনয়নবঞ্চিত প্রার্থীদের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে দেখা দিয়েছে ক্ষোভ ও অসন্তোষ। প্রার্থী ঘোষণার পর একদিকে চলছে ধানের শীষের প্রচার-প্রচারণা; অন্যদিকে প্রার্থী বদলের দাবিতে বিক্ষোভ করছেন মনোনয়নবঞ্চিতদের কর্মী-সমর্থকেরা।
জানা গেছে, মনোনয়ন ঘোষণা করায় কর্মচাঞ্চল্য বেড়েছে নেতা-কর্মীদের মধ্যে। পছন্দের প্রার্থীর মনোনয়ন পাওয়ায় কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে উচ্ছ্বাস যেমন আছে, তেমনি মনোনয়নবঞ্চিত প্রার্থীদের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে দেখা দিয়েছে অসন্তোষ। মনোনয়ন ঘিরে আন্দোলনে নামায় ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। তবে নির্বাচনের আগে দলীয় বিবাদ মিটিয়ে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাবে এমন প্রত্যাশা স্থানীয়দের।
৩ নভেম্বর ২৩৭ জন সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে বিএনপি। এদিন নওগাঁর সংসদীয় ছয়টি আসনের মধ্যে পাঁচটিতে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়। এর পর থেকেই তিনটি (১, ৩ ও ৪) আসনে মনোনয়নবঞ্চিত প্রার্থীদের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে দেখা দেয় অসন্তোষ। শুরুতেই নওগাঁ-৪ (মান্দা) আসনে একরামুল বারী টিপুকে মনোনয়ন দেওয়ায় মান্দা উপজেলা বিএনপির সভাপতি এম এ মতিনের কর্মী-সমর্থকেরা প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন শুরু করেন। এরপর নওগাঁ-৩ (মহাদেবপুর-বদলগাছী) আসনে ফজলে হুদা বাবুলকে মনোনয়ন দেওয়ায় সাবেক ডেপুটি স্পিকার আখতার হামিদ সিদ্দিকীর ছেলে পারভেজ আরেফিন সিদ্দিকী জনির কর্মী-সমর্থক এবং নওগাঁ-১ (সাপাহার-পোরশা-নিয়ামতপুর) আসনে মোস্তাফিজুর রহমানকে মনোনয়ন দেওয়ায় নিয়ামতপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য ডা. ছালেক চৌধুরীর কর্মী-সমর্থকেরা বিক্ষোভ করেন। প্রতিদিনই চলছে প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে রাজপথে নেমে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন। তবে এরই মধ্যে ধানের শীষের প্রচার-প্রচারণা শুরু করেছেন দলীয় প্রার্থীরা।
মনোনয়নবঞ্চিতদের কর্মী-সমর্থকেরা বলছেন, আসনগুলোয় ত্যাগী ও যোগ্য নেতাদের বঞ্চিত করা হয়েছে। ফলে এই আসনগুলো বিএনপির হাতছাড়া হতে পারে। দ্রুত এসব আসনে মনোনয়ন পুনর্বিবেচনার দাবি তাঁদের। তবে যোগ্য প্রার্থীকে মনোনয়ন দিয়েছে দল, এমন দাবি করে আসনগুলোতে বিএনপির প্রার্থীরা বিপুল ভোটে জয়লাভ করবেন, সেই আশা মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের।
নওগাঁ-৪ আসনের মনোনয়নবঞ্চিত এম এ মতিন বলেন, ‘দলের নিবেদিত কর্মী হিসেবে হাইকমান্ড যে সিদ্ধান্ত দিয়েছে, আমি তা মেনে নিয়েছি। এরপরও দলের কিছু নেতা-কর্মী ও আমার কিছু সমর্থক আমাকে মনোনয়ন না দেওয়ায় কষ্ট পেয়েছে। তবে বিষয়টি সমাধান হয়ে যাবে।’
একই আসনের বিএনপির প্রার্থী ইকরামুল বারী বলেন, ‘দল আমার ওপর যে আস্থা ও বিশ্বাস রেখে মনোনয়ন দিয়েছে, এর প্রতিদান সবাইকে সঙ্গে নিয়েই দেব।’
নওগাঁ-৩ আসনের মনোনয়নবঞ্চিত পারভেজ আরেফিন সিদ্দিকী জনি বলেন, এই মনোনয়নই চূড়ান্ত নয়। রাজনীতি থেকে প্রয়াত আখতার হামিদ সিদ্দিকীর পরিবারকে মাইনাসের ষড়যন্ত্র চলছে। তাদের দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র এখনো সক্রিয়। সাধারণ ভোটারদের সঙ্গে নিয়ে ষড়যন্ত্রকারীদের রুখে দেওয়া হবে।
আসনের বিএনপির প্রার্থী ফজলে হুদা বাবুল বলেন, ‘মনোনয়ন না পাওয়ায় স্বাভাবিকভাবে যে কারও মন খারাপ হবে। আশা করি সব ঠিক হয়ে যাবে। সবাইকে নিয়েই ধানের শীষের পক্ষে কাজ করতে চাই। এরই মধ্যে প্রচার-প্রচারণা শুরু করেছি।’
সার্বিক বিষয়ে জেলা বিএনপির সভাপতি আবু বক্কর সিদ্দিক নান্নু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দলের নেতা তারেক রহমান যোগ্য নেতাদেরই মনোনীত করেছেন। বিএনপি একটি বড় দল হিসেবে সবাই আশা করে মনোনয়নের। তবে কোনো নেতা-কর্মী বেশি বাড়াবাড়ি করলে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহাকে ১১ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম এ রায় ঘোষণা করেন।
০৯ নভেম্বর ২০২১
নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলার আদর্শ পাড়া গ্রামের একাদশী রায় এখন পরিচিত ‘রায় রুপন্তী ভার্মি কম্পোস্ট’-এর সফল উদ্যোক্তা হিসেবে। স্বামীর সামান্য আয়ের ওপর নির্ভরশীলতা কাটিয়ে পরিবেশবান্ধব কেঁচো সার (ভার্মি কম্পোস্ট) উৎপাদন করে তিনি কৃষি উদ্যোক্তা হিসেবে নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
৮ মিনিট আগে
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের সাবেক এক নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে থেকে তাকে আটক করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মালেক।
৪১ মিনিট আগে
পুলিশ জানায়, লিমন তাসমিন নাহারের ছোট ভাই পরিচয় দিয়ে বাসায় ঢুকে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে চাকু বের করেন। তখন জজের স্ত্রী প্রাণভয়ে দৌঁড়ে রুমের ভেতর ঢুকে দরজা আটকে দেন। এ সময় লিমন দরজায় লাথি দিয়ে ভেঙে ভেতরে ঢুকলে জজের ছেলে তাওসিফও তার মাকে রক্ষা করার জন্য ঘরে ঢোকে।
১ ঘণ্টা আগে