Ajker Patrika

ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে মারধরের শিকার সেই সালমা কারাগারে

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আওয়ামী লীগের ‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচির মধ্যে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে গিয়ে মারধরের শিকার হওয়া সালমা ইসলামকে গত বছরের জুলাই হত্যাচেষ্টা মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকেলে ঢাকার আদালত প্রাঙ্গণে। ছবি: সংগৃহীত
আওয়ামী লীগের ‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচির মধ্যে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে গিয়ে মারধরের শিকার হওয়া সালমা ইসলামকে গত বছরের জুলাই হত্যাচেষ্টা মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকেলে ঢাকার আদালত প্রাঙ্গণে। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কে বঙ্গবন্ধুর বাড়ির সামনে মারধরের শিকার সালমা ইসলামকে জুলাই আন্দোলনের এক হত্যাচেষ্টা মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট পার্থ ভদ্র কারাগারে পাঠানোর এই আদেশ দেন।

ইউরোপিয়ান ইউনির্ভাসিটির বিবিএ তৃতীয় বর্ষের ছাত্র আবু সাইদ মু. সাইম হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে সালমাকে আদালতে হাজির করে ধানমন্ডি থানা-পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ধানমন্ডি মডেল থানার এসআই আনোয়ার মিয়া তাঁকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। সালমা ইসলামের পক্ষে তাঁর আইনজীবী আবুল হোসাইন পাটোয়ারী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী শামসুজ্জামান দিপু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গতকাল ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের সামনে ওই নারীকে পেটানোর ভিডিও অনলাইনে ছড়িয়ে পড়েছে। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া
গতকাল ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের সামনে ওই নারীকে পেটানোর ভিডিও অনলাইনে ছড়িয়ে পড়েছে। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

এর আগে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচির মধ্যে গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কের শেখ মুজিবুর রহমানে বাড়ির সামনে মারধরের শিকার হন সালমা ইসলাম। তাঁকে উদ্ধার করে পুলিশ হেফাজতে নেয়। পরে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়।

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, জুলাই আন্দোলনের সময় ১৯ জুলাই বেলা পৌনে ১১টার দিকে ধানমন্ডি থানার সাতমসজিদ রোডে মিছিলে অংশ নেন সাইম। সেখানে পিঠে গুলিবিদ্ধ হন তিনি। চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক সংসদ সদস্য ফেরদৌস আহমেদসহ ৩৭ জনের বিরুদ্ধে গত বছরের ১ ডিসেম্বর ধানমন্ডি মডেল থানায় মামলা করেন সাইম।

সালমা ইসলামকে এই মামলায় সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

প্রেমিকাকে দিয়ে আশরাফুলকে হানি ট্র্যাপে ফেলেন বন্ধু জরেজ

শাহরিয়ার হাসান, ঢাকা বদরগঞ্জ প্রতিনিধি 
আপডেট : ১৫ নভেম্বর ২০২৫, ০০: ১০
নিহত আশরাফুল হক ও জরেজ এর প্রেমিকা শামীমা। ছবি: সংগৃহীত
নিহত আশরাফুল হক ও জরেজ এর প্রেমিকা শামীমা। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর জাতীয় ঈদগাহের কাছ থেকে রংপুরের ব্যবসায়ী আশরাফুল হকের (৪৩) ২৬ টুকরা লাশ উদ্ধারের ঘটনায় তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধু জরেজুল ইসলাম (জরেজ) এবং তাঁর প্রেমিকা শামীমা জড়িত বলে দাবি করছে র‍্যাব। প্রাথমিকভাবে র‍্যাব ও পুলিশ উভয় সংস্থাই এর সঙ্গে আর্থিক বিষয়ের সম্পৃক্ততার কথাও জানিয়েছিল। এ ঘটনায় জরেজ ও তাঁর ‘প্রেমিকা’ শামীমাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। র‍্যাব বলছে, জরেজ প্রেমিকা শামীমাকে ব্যবহার করে আশরাফুলকে ফাঁদে ফেলে হত্যা করে।

আর জরেজকে গতকাল শুক্রবার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) কুমিল্লার দাউদকান্দি থেকে গ্রেপ্তার করেছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) মুখপাত্র তালেবুর রহমান।

এদিকে আশরাফুল হত্যার ঘটনায় গতকাল শাহবাগ থানায় মামলা হয়েছে। আশরাফুলের বোন আনজিনা বেগম জরেজ ও অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করেছেন। পরিবারের লোকজন বলেছেন, গত মঙ্গলবার আশরাফুল বন্ধু জরেজ মিয়ার সঙ্গেই ঢাকায় গিয়েছিলেন। তদন্তের শুরু থেকে জরেজুলকে সন্দেহভাজন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।

র‍্যাব বলেছে, আশরাফুল হককে খুন করে লাশ খণ্ড-বিখণ্ড করার ঘটনায় জরেজের প্রেমিকা শামীমাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁর কাছ থেকে হত্যায় ব্যবহৃত বেশ কিছু আলামত উদ্ধার করা হয়।

র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক উইং কমান্ডার এম জেড এম ইন্তেখাব চৌধুরী বলেন, জরেজ শামীমার মাধ্যমে আশরাফুলকে ডেকে নিয়ে আটকে রাখে এবং জোর করে আপত্তিকর অবস্থার ছবি তোলে। এভাবে সে চাপ দিয়ে আর্থিক স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা করে। একপর্যায়ে আশরাফুলকে হত্যা করে লাশ গুমের চেষ্টা করা হয়। আগামীকাল সংবাদ সম্মেলন করে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।

এর আগে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খালিদ মনসুর আজকের পত্রিকাকে বলেছিলেন, ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ, কল রেকর্ড এবং আশপাশের বিভিন্ন তথ্য বিশ্লেষণ করে জড়িতদের শনাক্তে কাজ চলছে। তবে গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত হত্যার কারণ বা ঘটনার সম্পূর্ণ বিবরণ বলা যাচ্ছে না।

গতকাল বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে আশরাফুল হকের খণ্ডিত মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। পরে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

বাড়িতে কান্নার রোল

আজকের পত্রিকার বদরগঞ্জ প্রতিনিধি গতকাল উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের শ্যামপুর নয়াপাড়া গ্রামের বাড়িতে গিয়ে শোকার্ত পরিবেশ দেখতে পান। উঠানে ছিলেন প্রতিবেশী ও আশপাশের গ্রামের মানুষ। পরিবারের সদস্যরা কাঁদছিলেন। আশরাফুলের বৃদ্ধ মা এছরা খাতুন মোবাইল ফোনে ছেলের লাশের ছবি দেখে বিলাপ করছিলেন, ‘নির্দোষ বাবাটাক কেন মারল? কেন টুকরা টুকরা করল? বাবা ছাড়া হামাক কায় দেখপে? কায় মাথাত হাত দিয়া দোয়া নিবে?’

পরিবারের সদস্যরা জানান, আশরাফুলের বন্ধু জরেজ দীর্ঘদিন মালয়েশিয়ায় থাকার পর দেড় মাস আগে দেশে ফেরেন। এর পর থেকে জরেজের সঙ্গে আশরাফুল নিয়মিত ওঠাবসা করছিলেন। সম্প্রতি জাপানে যাওয়ার জন্য জরেজ আশরাফুলের কাছে ১০ লাখ টাকা চান।

পরিবার জানিয়েছে, গত মঙ্গলবার বন্ধু জরেজের সঙ্গে ঢাকায় যাওয়ার আগে আশরাফুল ছয়-সাত হাজার বস্তা আলু বিক্রি করেন। অন্যদিকে জরেজের স্ত্রী উম্মে কুলসুম সাংবাদিকদের বলেছেন, মঙ্গলবার তাঁর স্বামী বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় চট্টগ্রামে যাওয়ার কথা বলেছিলেন। বুধবার চট্টগ্রামে পৌঁছানোর কথা ফোনে জানান। স্বামী ঢাকায় গিয়েছিলেন কি না, সে বিষয়ে তিনি কিছু জানতেন না।

আশরাফুলের ২৬ খণ্ড লাশ উদ্ধারের পর দেশজুড়ে তোলপাড় উঠলে জরেজের বাবা মোয়াজ্জেমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে পুলিশ।

বদরগঞ্জের গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শামছুল আলম বলেন, ‘আশরাফুল আগে হিলি স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানির ব্যবসা করত। পরে গ্রামে ফিরে জমিজমা কেনাবেচার কাজ শুরু করে। খুব ভালো ছেলে ছিল। কেন এমন হলো, বুঝতে পারছি না।’

স্থানীয় ইউপি সদস্য মাহফুজার রহমান বলেন, আশরাফুল গত সোমবারই ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ওয়ারিশান সনদ সংগ্রহ করেন।

গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর জাতীয় ঈদগাহ মাঠের গেটের কাছে রাস্তার পাশে রাখা দুটি ড্রামের একটি থেকে কালো পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় লাশের ২৬টি খণ্ড উদ্ধার করে পুলিশ। সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট আঙুলের ছাপ বিশ্লেষণ করে আশরাফুলের পরিচয় নিশ্চিত করে।

আশরাফুলের বোন আনজিনা বেগম বলেন, ‘আমরা বাড্ডায় থাকি। ফেসবুকে ছবি দেখে শাহবাগ থানায় যাই। সেখানে গিয়ে ভাইয়ের টুকরা টুকরা করা লাশ দেখি। আমার ভাইয়ের খুনের পেছনে যারা আছে, তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করতে হবে। জরেজকে ধরতে পারলেই সব পরিষ্কার হবে।’

বৃহস্পতিবার ছিল ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায়ের তারিখ ঘোষণার দিন। সেদিন কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ অনলাইনে ‘লকডাউন কর্মসূচি’ ঘোষণা করায় রাজধানীজুড়ে কঠোর নিরাপত্তা ছিল। হাইকোর্ট, জাতীয় ঈদগাহ এবং আশপাশে সারা দিন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর নজরদারি চলছিল। এই কঠোর নিরাপত্তার মধ্যেই সেখানে দুটি ড্রাম রেখে দেওয়ার ঘটনাকে রহস্যজনক মনে করছে পুলিশ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মুন্সিগঞ্জে কিশোর গুলিবিদ্ধ

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার মোল্লাকান্দি ইউনিয়নে এক কিশোর গুলিবিদ্ধ হয়েছে। আজ শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে গুলিতে গুরুতর আহত হয় নাজাত মোল্লা (১৭) নামের ওই কিশোর।

ঘটনার পর স্থানীয় বাসিন্দারা তাকে উদ্ধার করে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য নাজাতকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে বলে জানান জরুরি বিভাগের চিকিৎসক এ এস এম ফেরদৌস।

গুলিবিদ্ধ নাজাত মোল্লা সদর উপজেলার পূর্ব মাকহাটী গ্রামের দুইখ্যা মোল্লার ছেলে

নাজাত জানায়, স্কুলমাঠে খেলা শেষে বাড়ি ফেরার পথে হঠাৎ অন্ধকার থেকে তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। গুলি তার কোমরে লাগে। তবে কারা এ হামলা চালিয়েছে, তা সে দেখতে পায়নি।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল আলম বলেন, এক কিশোর গুলিবিদ্ধ হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানানো হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ছুরিকাঘাতে প্রবাসী যুবকের মৃত্যু

চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি 
আবু বক্কর ওরফে আসিফ। ছবি: সংগৃহীত
আবু বক্কর ওরফে আসিফ। ছবি: সংগৃহীত

শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ছুরিকাঘাতে আহত আবু বক্কর ওরফে আসিফ (২২) নামের সৌদিপ্রবাসী যুবক চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। পরিবারের দাবি, যুবকের স্ত্রীর সাবেক প্রেমিক এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন। এ ঘটনায় যুবকের স্ত্রীকেও আসামি করে মামলা করবে তারা।

নিহত আসিফ কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ঘোলপাশা ইউনিয়নের কেন্ডা গ্রামের মৃত ফটিক মিয়ার ছেলে। ৮ নভেম্বর আসিফ সদর দক্ষিণ উপজেলার আবদুল্লাহপুর গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে গেলে দুই ব্যক্তি তাঁকে ছুরিকাঘাত করেন।

নিহত আসিফের ছোট ভাই আরাফাত হোসেন জানান, তাঁর ভাই সৌদি আরবে থাকেন। দুই মাস আগে তিনি ছুটিতে দেশে আসেন। গত ২৭ অক্টোবর জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার আবদুল্লাহপুর গ্রামে বিয়ে করেন তিনি। ৮ নভেম্বর দুপুরে তিনি স্ত্রীকে নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে যান। এ দিন সন্ধ্যায় শ্যালককে নিয়ে বাজারে ঘুরতে যান আসিফ। বাজার করা শেষে হেঁটে শ্বশুরবাড়িতে ফিরছিলেন তিনি। আবদুল্লাহপুর এলাকায় সাদিয়া দারুল উলুম মাদ্রাসার সামনে পৌঁছালে সেখানে আগ থেকে ওত পেতে থাকা বাপ্পি ও পারভেজ নামের দুই যুবক আসিফকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে সদর দক্ষিণ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজধানীর বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে নেওয়া হয়। আজ সকালে সেখানে মারা যান তিনি।

আরাফাত হোসেন বলেন, ‘আমরা পরে জানতে পারি, বাপ্পি নামের এক যুবকের সঙ্গে ভাবির বিয়ের আগে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সেও জড়িত রয়েছে। এ ঘটনায় আমরা আদালতে ভাবিকে আসামি করে হত্যা মামলা করব।’

আরাফাত আরও বলেন, ‘ঘটনাটি ভিন্ন খাতে নিতে ভাবি সদর দক্ষিণ থানায় ছুরিকাঘাতের একটি মামলা করেছেন।

অভিযোগ সম্পর্কে আসিফের স্ত্রীর বাবা বলেন, ‘এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আমার মেয়ে কোনোভাবেই জড়িত নয়। বিয়ের আগে আমার মেয়ের সঙ্গে কারও প্রেমের সম্পর্ক ছিল না। আমার মেয়ে মোবাইল ফোনও ব্যবহার করত না। আমি হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।’

সদর দক্ষিণ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সেলিম বলেন, ‘ঘটনার দিন নিহত আসিফ শ্বশুরবাড়িতে যাওয়ার সময় অভিযুক্ত বাপ্পি ও পারভেজের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এর জেরে তারা আসিফকে ছুরিকাঘাত করে। অভিযুক্তরা খারাপ প্রকৃতির। আমরা ৮ নভেম্বর রাতেই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা নিই। শুনেছি, শুক্রবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় আসিফ মারা গেছেন। ইতিমধ্যে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে কাজ করছে।’ আসিফ হত্যায় তাঁর স্ত্রী জড়িত কি না—জানতে চাইলে ওসি বলেন, ‘এ ধরনের কোনো অভিযোগ আমরা এখনো পাইনি। মামলাটি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করা হচ্ছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

২৬ টুকরা আশরাফুল: মূল আসামি জরেজ ও তাঁর প্রেমিকা গ্রেপ্তার

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১৪ নভেম্বর ২০২৫, ২৩: ৪১
ইনসেটে আশরাফুল হক। ছবি: সংগৃহীত
ইনসেটে আশরাফুল হক। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর জাতীয় ঈদগাহের কাছে ড্রাম থেকে রংপুরের ব্যবসায়ী আশরাফুল হকের (৪৩) খণ্ডিত লাশ উদ্ধারের ঘটনায় মূল আসামিসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।

গ্রেপ্তার দুজনের মধ্যে আশরাফুলের বন্ধু জরেজ ও তাঁর প্রেমিকা শামীমা রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে জরেজকে কুমিল্লার দাউদকান্দি থেকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

এর আগে আজ শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) সকালে হত্যার ঘটনায় আশরাফুল হকের বোন আনজিনা বেগম শাহবাগ থানায় মামলা করেন। মামলায় আশরাফুলের বন্ধু জরেজ মিয়াকে প্রধান আসামি ও অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে।

জরেজের প্রেমিকা শামীমাকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে র‍্যাব। অন্যদিকে জরেজকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মুখপাত্র তালেবুর রহমান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত