Ajker Patrika

ফানুস-আতশবাজিতে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে ইংরেজি নতুন বছর বরণ

কক্সবাজার প্রতিনিধি
আপডেট : ০১ জানুয়ারি ২০২২, ০৪: ০২
ফানুস-আতশবাজিতে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে ইংরেজি নতুন বছর বরণ

আকাশে আলোর ঝলকানি। কেউ ব্যস্ত ছবি তুলতে। কেউ বা ভিডিও ধারণ করে ধরে রাখছেন বর্ষবরণের স্মৃতি। ইংরেজি নতুন বছর বরণ উপলক্ষে অন্য বছরের মতো কনসার্ট বা গানবাজনার আয়োজন না থাকলেও এবার কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত হাজারো পর্যটকের উচ্ছ্বাসে প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছিল। 

২০২১ সালের শেষ সময়ে রাত ১১টায় কক্সবাজার শহরের কলাতলী সায়মন বিচে তেমন লোকসমাগম ছিল না। সময় গড়াতেই বাঁধ ভাঙা জোয়ারের মতো ছুটে আসে পর্যটক ও স্থানীয় লোকজন। 

ঘড়ির কাঁটা যখন রাত পৌনে ১২টা তখন পশ্চিমমুখী সৈকতের সব পয়েন্টে মানুষের স্রোত। সবার চোখ ছিল আকাশে। তখন আতশবাজি আর রংবেরঙের ফানুস উড়ছে। 

শান্ত সৈকতে ঢেউয়ের গর্জন নেই। তবে হাজার হাজার পর্যটকের উচ্ছ্বাস ছিল লক্ষণীয়। সমবেত সকলে পুরোনো বছরকে বিদায় জানিয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানায়। একই সুরে সকলে বলে উঠে 'হ্যাপি নিউ ইয়ার'। 

 এর আগে ইংরেজি নববর্ষ বরণকে কেন্দ্র করে থার্টি ফাস্ট নাইটে সমুদ্রসৈকত ও শহরের বিভিন্ন স্থানে সতর্ক অবস্থান নেয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। 

গতকাল শুক্রবার বিকেল থেকে সমুদ্রসৈকতসহ শহরের মোড়ে মোড়ে অবস্থান জেলা পুলিশ, র‍্যাব, গোয়েন্দা পুলিশ ও টুরিস্ট পুলিশের তৎপরতা বাড়ানো হয়। সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্ট, লাবণী  , কলাতলী মোড়সহ প্রতিটি প্রবেশ পথে বসানো হয়েছে চেকপোস্ট। 

রাত সাড়ে নয়টার দিকে কক্সবাজার র‍্যাব-১৫ এর সিপিসি কমান্ডার শেখ ইউছুপ আহমেদ বলেন, ইংরেজি নববর্ষ বরণ উপলক্ষে টহল জোরদার করা হয়েছে। যাতে আগত পর্যটকেরা কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার শিকার না হন।   

রাত সাড়ে ১০টার দিকে লাবণী পয়েন্টে দেখা যায় টুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা সন্দেহজনক যে কোনো  ব্যক্তিকে তল্লাশি করছেন। পাশাপাশি সৈকতের প্রবেশ মুখে বসিয়েছে তল্লাশি চৌকি। 

 টুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার জোনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহিউদ্দিন আহমেদ জানান, বর্ষবরণ উপলক্ষে আগত পর্যটকসহ সকলের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে তল্লাশি চৌকি বসানো হয়েছে। যাতে কোনো  অপরাধী চক্রের সদস্যরা সৈকতে প্রবেশ করতে না পারে। 

এ ছাড়া শহরের মোড়ে মোড়ে কাজ করছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সদস্যরা। তাদেরও যানবাহন তল্লাশি করতে দেখা যায়। 

কক্সবাজার জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ডিবির উপপরিদর্শক শরীফুল ইসলাম বলেন,  শহরে বেশ কয়েকটি টিম কাজ করছে। যে কোনো  যানবাহনের পাশাপাশি টমটম, মোটরসাইকেল, সিএনজি অটোরিকশা তল্লাশির ক্ষেত্রে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নতুন যুগের ১০টি সম্ভাবনাময় পেশা

জাকির নায়েক বিতর্কে ভারতের প্রতিক্রিয়ার যে জবাব দিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

সকাল থেকে রাজধানীতে তীব্র যানজট, কারণ জানাল ডিএমপি

ঢাকায় থাকেন শিক্ষিকা, ‘ভাড়াটে শিক্ষক’ দিয়ে পাঠদান ও হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর

আজকের রাশিফল: প্রাক্তনের ফেসবুক প্রোফাইল ঘাঁটবেন না, মুরাদ টাকলার সঙ্গে দেখা হবে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

গণপিটুনিতে নিহত সেই রূপলালের মেয়ের বিয়ে আজ

রংপুর প্রতিনিধি
রূপলালের বাড়ির সামনে বিয়ের গেট সাজানো হয়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
রূপলালের বাড়ির সামনে বিয়ের গেট সাজানো হয়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

তিন মাস আগে মেয়ের বিয়ের দিন ঠিক করার জন্য পথ ভুলে যাওয়া ভাগনি জামাইকে এগিয়ে আনতে গিয়ে মবের শিকার হয়ে গণপিটুনিতে প্রাণ হারান রূপলাল রবিদাস। সেই শোক মনে নিয়েই আজ রোববার তাঁর বড় মেয়ের বিয়ে হচ্ছে।

রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের ঘনিরামপুর গ্রামে রূপলালের বাড়িতে আজ সকাল থেকে চলছে ব্যস্ততা। সড়কে রঙিন গেট, উঠানে বাঁশের মাচা, মণ্ডপ, রঙিন কাপড়ের প্যান্ডেল, ধোঁয়া উঠছে রান্নার হাঁড়ি থেকে। বাইরে থেকে দেখলে মনে হয়, আনন্দঘন উৎসব, কিন্তু একটু কাছে গেলে বোঝা যায়—এই উৎসবের ভেতর পরিবারের সদস্যদের মনে লুকিয়ে রয়েছে রূপলালকে হারানোর গভীর ব্যথা।

রূপলালের পরিবার ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, গত ১০ আগস্ট রূপলালের বড় মেয়ে নুপুর রানীর বিয়ের দিন ঠিক করার কথা ছিল মিঠাপুকুর উপজেলার শ্যামপুর এলাকার এক তরুণের সঙ্গে। এ জন্য ৯ আগস্ট মিঠাপুকুর থেকে নিজের ভ্যান চালিয়ে আত্মীয় রূপলাল দাসের বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন ভাগনি জামাই প্রদীপ দাস। কিন্তু গ্রামের ভেতর দিয়ে রাস্তা না চেনায় প্রদীপ দাস সয়ার ইউনিয়নের কাজীরহাট এলাকায় এসে রূপলালকে ফোন করেন। রূপলাল সেখানে যান। তাঁরা দুজনে ভ্যানে চড়ে রূপলালের বাড়ি ঘনিরামপুর গ্রামের দিকে রওনা হন। রাত ৯টার দিকে তারাগঞ্জ-কাজীরহাট সড়কের বটতলা এলাকায় পৌঁছালে ভ্যান চোর সন্দেহে তাঁদের দুজনকে থামান স্থানীয় কয়েকজন। এরপর সেখানে লোক জড়ো হতে থাকে। একপর্যায়ে মব তৈরি করে রূপলাল দাস ও প্রদীপ দাসকে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় রূপলালের স্ত্রী হত্যা মামলা করলে পুলিশ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায়।

বাবার মৃত্যুর পর নুপুর রানীর বিয়ে বন্ধ হয়ে যায়। রূপলালকে হারিয়ে পুরো পরিবার দিশেহারা হয়ে পড়ে। তবে রূপলালের পরিবার জানিয়েছে, মেয়ের বিয়ের জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এক লাখ, তারাগঞ্জ হাটের ব্যবসায়ীরা ৭১ হাজার, উপজেলা বিএনপির পক্ষ থেকে ৭৫ হাজার, একটি সংগঠন থেকে এক লাখ টাকা টাকা পেয়েছে তারা। এ ছাড়া নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুজন ব্যক্তি রূপলালের ছেলে জয় রবিদাস ও ছোট মেয়ে রুপার পড়াশোনার দায়িত্ব নিয়েছেন। তাদের সমাজসেবা অধিদপ্তরের মাধ্যমেও শিক্ষাবৃত্তি দেওয়া হচ্ছে। ওই টাকায় তারা পড়াশোনা করছে।

রূপলালের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, ঘরের ভেতরে কনে নুপুর রবিদাস বসে আছেন বিয়ের শাড়িতে। মুখে বিয়ের সাজ, কিন্তু চোখ দুটো লাল। পাশে মা ভারতী রানী নীরবে অতিথি আপ্যায়নের প্রস্তুতি সামলাচ্ছেন।

রূপলালের স্ত্রী ভারতী রানী বলেন, ‘বেটির বিয়া ঠিক করার জন্য জামাইকে আনতে যাওয়া আমার নির্দোষ স্বামীক মিথ্যা অপবাদ দিয়া মারি ফেলছে। আজ বেটির বিয়া, ওর বাপ নাই চিন্তা করতেই বুকটা ফাটি যাওছে (যাচ্ছে)। ওমাক (রূপলাল) ছাড়া পুরা বাড়ি ফাঁকা ফাঁকা লাগেছে। কষ্টে ভেতরটা ভাঙি যাওছে।’

নুপুর বলেন, ‘বাবার খুব ইচ্ছে ছিল ধুমধাম আয়োজন করে আমার বিয়ে দেবে। এখন সব আয়োজন হচ্ছে, কিন্তু আমার মনে কেবল বাবার মুখটা ভাসে। বাবা নেই, কে আমাকে আশীর্বাদ দিবে। হত্যাকারীরা এখনো ধরা পড়েনি, হাটবাজারে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আমার বাবাকে যারা মেরেছে, আমি তাদের বিচার চাই।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুবেল রানা বলেন, ‘রূপলালের মেয়ের বিয়ের জন্য এক লাখ টাকা দেওয়া হযেছে। ছেলে ও ছোট মেয়ের জন্য শিক্ষাবৃত্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগে তারাগঞ্জ বাজারে রূপলালের ছেলের জন্য একটি দোকান দেওয়া হবে। আমরা সব সময় তাদের পাশে আছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নতুন যুগের ১০টি সম্ভাবনাময় পেশা

জাকির নায়েক বিতর্কে ভারতের প্রতিক্রিয়ার যে জবাব দিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

সকাল থেকে রাজধানীতে তীব্র যানজট, কারণ জানাল ডিএমপি

ঢাকায় থাকেন শিক্ষিকা, ‘ভাড়াটে শিক্ষক’ দিয়ে পাঠদান ও হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর

আজকের রাশিফল: প্রাক্তনের ফেসবুক প্রোফাইল ঘাঁটবেন না, মুরাদ টাকলার সঙ্গে দেখা হবে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ফুলবাড়ীতে প্রিপেইড মিটার স্থাপন বন্ধসহ প্রকল্প বাতিলের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম

ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি 
ফুলবাড়ীতে বিদ্যুতের প্রিপেইড মিটার স্থাপন বন্ধসহ প্রকল্প বাতিলের দাবিতে মানববন্ধনে গ্রাহকেরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
ফুলবাড়ীতে বিদ্যুতের প্রিপেইড মিটার স্থাপন বন্ধসহ প্রকল্প বাতিলের দাবিতে মানববন্ধনে গ্রাহকেরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

বিদ্যুতের প্রিপেইড মিটার স্থাপন বন্ধ এবং এ-সংক্রান্ত প্রকল্প বাতিলের দাবিতে দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান করেছেন স্থানীয় বিদ্যুৎ গ্রাহকেরা। আজ রোববার (২ নভেম্বর) বেলা ১১টায় ‘ফুলবাড়ীবাসী’ ব্যানারে পৌর শহরের নিমতলা মোড়ে দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। কর্মসূচিতে উপজেলার শত শত নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন। এ সময় তাঁরা এই প্রকল্প বন্ধ করতে নেসকোকে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেন।

সাংবাদিক আল আমীন বিন আমজাদের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য দেন ফুলবাড়ী উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাপ্তাহিক ফুলবাড়ী বার্তার সম্পাদক তাজমিলুর রহমান নয়ন, জাতীয় নাগরিক পার্টি দিনাজপুর জেলা শাখার যুগ্ম সমন্বয়কারী ইমরান চৌধুরী নিশাদ, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব আনোয়ারুল ইসলাম, পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহেদ ইসলাম, উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জিয়াবুর রহমানসহ আরও অনেকে।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বিগত হাসিনা সরকার বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে তাঁর শাসনামলে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করেছেন। বিদ্যুতের এনালগ মিটার থেকে ডিজিটাল মিটার নিতে গ্রাহকদের বাধ্য করেছেন। প্রিপেইড মিটার স্থাপন প্রকল্প মূলত তাঁদেরই লুটপাটের একটি প্রকল্প। ২০১৭ সালে এ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। এরপর হাসিনা সরকারের পতন হলেও তাঁদের থেকে যাওয়া দোসরেরা ওই প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে লুটপাটের ব্যবস্থা করছেন।

তাঁরা আরও বলেন, ফুলবাড়ীর শান্তিপ্রিয় মানুষ জানে কীভাবে আন্দোলন করতে হয়। তারা দেখিয়েছে কয়লাখনিবিরোধী আন্দোলন। সে সময় জীবন দিয়ে ফুলবাড়ী উন্মুক্ত কয়লাখনি প্রকল্প প্রতিহত করেছিল। যদি আবারও ফুলবাড়ীর জনগণের স্বার্থবিরোধী কোনো প্রকল্প গ্রহণ বা চাপিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করা হয়, তবে ফুলবাড়ীর জনগণ ঐক্যবদ্ধভাবেই তা প্রতিহত করবে। এতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে, এর দায়ভার নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানিকে (নেসকো) বহন করতে হবে।

আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রিপেইড মিটার স্থাপন বন্ধ ও প্রকল্প বাতিল করতে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। মানববন্ধন শেষে এই প্রকল্প বন্ধের দাবি-সংবলিত একটি স্মারকলিপি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর প্রদান করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নতুন যুগের ১০টি সম্ভাবনাময় পেশা

জাকির নায়েক বিতর্কে ভারতের প্রতিক্রিয়ার যে জবাব দিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

সকাল থেকে রাজধানীতে তীব্র যানজট, কারণ জানাল ডিএমপি

ঢাকায় থাকেন শিক্ষিকা, ‘ভাড়াটে শিক্ষক’ দিয়ে পাঠদান ও হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর

আজকের রাশিফল: প্রাক্তনের ফেসবুক প্রোফাইল ঘাঁটবেন না, মুরাদ টাকলার সঙ্গে দেখা হবে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ইবতেদায়ি শিক্ষকদের যমুনা অভিমুখে লংমার্চ আটকে দিল পুলিশ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে ইবতেদায়ি শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচি। ছবি: আজকের পত্রিকা
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে ইবতেদায়ি শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচি। ছবি: আজকের পত্রিকা

জাতীয়করণ, প্রাক-প্রাথমিক পদ সৃষ্টিসহ পাঁচ দফা দাবি আদায়ে ইবতেদায়ি শিক্ষকদের ‘লং মার্চ টু যমুনা’ আটকে দিয়েছে পুলিশ। আজ রোববার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে শিক্ষকেরা প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার দিকে পদযাত্রা নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে কদম ফোয়ারার মোড়ে তাদের আটকে দেয় পুলিশ। সেখানে পুলিশ ও শিক্ষকেরা মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছেন।

স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষক ঐক্য জোট আন্দোলন বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক শামসুল আলম দুপুর ৩টায় বলেন, ‘আমরা ২টার দিকে যমুনার উদ্দেশে পদযাত্রা শুরু করলে পুলিশ আমাদের কদম ফোয়ারার সামনে আটকে দিয়েছে। আমরা এখানেই অবস্থান ধরে রেখেছি।’

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে ইবতেদায়ি শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচি। ছবি: আজকের পত্রিকা
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে ইবতেদায়ি শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচি। ছবি: আজকের পত্রিকা

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এখানেই জোহরের নামাজ আদায় করেছি। আপাতত এখানেই অবস্থান করব। সরকারের প্রতি আহ্বান, বছরের শুরুতে দেওয়া জাতীয়করণের আশ্বাস দ্রুত বাস্তবায়ন করুন এবং আমাদের পাঁচ দফা দাবি মেনে নিন।’

সব ইবতেদায়ি মাদ্রাসা জাতীয়করণসহ ৫ দাবিতে গত ১৩ অক্টোবর থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষকেরা।

ইবতেদায়ি শিক্ষকদের দাবিগুলো হলো-

  • চলতি বছরের ২৮ জানুয়ারির জাতীয়করণের ঘোষণার দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে।
  • এমপিওভুক্তির লক্ষ্যে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ কর্তৃক প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রেরিত ১ হাজার ৮৯টি প্রতিষ্ঠানের ফাইল দ্রুত অনুমোদন দিতে হবে।
  • অনুদানবিহীন স্বীকৃত ইবতেদায়ি মাদ্রাসাগুলোর এমপিও আবেদনের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হবে।
  • প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ন্যায় প্রাক-প্রাথমিক পদ সৃষ্টি করতে হবে।
  • ইবতেদায়ি মাদ্রাসার জন্য আলাদা অধিদপ্তর স্থাপন করতে হবে।
Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নতুন যুগের ১০টি সম্ভাবনাময় পেশা

জাকির নায়েক বিতর্কে ভারতের প্রতিক্রিয়ার যে জবাব দিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

সকাল থেকে রাজধানীতে তীব্র যানজট, কারণ জানাল ডিএমপি

ঢাকায় থাকেন শিক্ষিকা, ‘ভাড়াটে শিক্ষক’ দিয়ে পাঠদান ও হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর

আজকের রাশিফল: প্রাক্তনের ফেসবুক প্রোফাইল ঘাঁটবেন না, মুরাদ টাকলার সঙ্গে দেখা হবে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সিংগাইরে শিক্ষক লাঞ্ছনার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ

সিংগাইর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি
আপডেট : ০২ নভেম্বর ২০২৫, ১৫: ৫৫
আজ দুপুরে বিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষার্থী মানিকগঞ্জ-হেমায়েতপুর আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করে। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ দুপুরে বিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষার্থী মানিকগঞ্জ-হেমায়েতপুর আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করে। ছবি: আজকের পত্রিকা

মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার জয়মন্টপ উচ্চবিদ্যালয়ে আল রোমান নামের এক শিক্ষককে শ্রেণিকক্ষে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করেছে শিক্ষার্থীরা। রোববার (২ নভেম্বর) দুপুরে বিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষার্থী মানিকগঞ্জ-হেমায়েতপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের জয়মন্টপ এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করে। এতে মহাসড়কের উভয় পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।

শিক্ষার্থীরা জানায়, বিদ্যালয়ের কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে শিক্ষক আল রোমানকে শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করে স্থানীয় সাদ্দাম হোসেনসহ একদল বহিরাগত ব্যক্তি শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। এই ঘটনার প্রতিবাদে তারা বিক্ষোভে নামে এবং অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে।

খবর পেয়ে পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচারের আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নেয়। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

সিংগাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌফিক আজম বলেন, বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ক্লাসে ফিরেছে। বর্তমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। খুব দ্রুত শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নতুন যুগের ১০টি সম্ভাবনাময় পেশা

জাকির নায়েক বিতর্কে ভারতের প্রতিক্রিয়ার যে জবাব দিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

সকাল থেকে রাজধানীতে তীব্র যানজট, কারণ জানাল ডিএমপি

ঢাকায় থাকেন শিক্ষিকা, ‘ভাড়াটে শিক্ষক’ দিয়ে পাঠদান ও হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর

আজকের রাশিফল: প্রাক্তনের ফেসবুক প্রোফাইল ঘাঁটবেন না, মুরাদ টাকলার সঙ্গে দেখা হবে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত