Ajker Patrika

রাউজানে যুবদল কর্মীকে হত্যায় তাঁর সহযোগী গ্রেপ্তার

রাউজান প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম 
গ্রেপ্তার মো. রাজু। ছবি: আজকের পত্রিকা
গ্রেপ্তার মো. রাজু। ছবি: আজকের পত্রিকা

চট্টগ্রামের রাউজানে যুবদল কর্মী আলমগীর ওরফে আলম হত্যার ঘটনায় মো. রাজু (২৮) নামের আরও এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার রাজু আলমের সহযোগী হিসেবে কাজ করতেন। গতকাল শনিবার রাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার যুবক রাউজান পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের রহমতপাড়ার মৃত নুর নবীর ছেলে।

রাউজান থানা-পুলিশ জানায়, আলমকে গুলি করার সময় তাঁর পেছনে একটি মোটরসাইকেলে ছিলেন রাজু। আলম হত্যা মামলার এজাহারে রাজুর নাম নেই।

তবে ঘটনার তদন্তে হত্যাকাণ্ডে তাঁর সম্পৃক্ততার তথ্য পাওয়া যায়।

রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, আলম হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আলমকে গুলি করার জন্য সন্ত্রাসীরা কবরস্থানে লুকিয়ে ছিলেন, তখন আলমের পেছনে একটি মোটরসাইকেলে ছিলেন রাজু। তিনি আলমগীরের সহযোগী হিসেবে পরিচিত। হত্যাকাণ্ডে তাঁর সম্পৃক্ততার তথ্য পাওয়া গেছে। তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে আলম হত্যা মামলায় চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রদলের সাবেক নেতা রাসেল খান (৪৩) এবং মো. হৃদয় (২৩) নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গত ২৫ অক্টোবর বিকেলে রাউজান পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের চারাবটতল বাজারসংলগ্ন রশিদরপাড়া সড়কের কায়কোবাদ জামে মসজিদের সামনে সন্ত্রাসীদের গুলিতে খুন হন যুবদল কর্মী আলম। ঘটনার দিন পাশের গ্রামের এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে দাওয়াত খেয়ে বাড়িতে ফিরছিলেন আলম। তাঁর স্ত্রী ও সন্তান পেছনে একটি অটোরিকশায় ছিলেন। কবরস্থানের ঝোপের মাঝে লুকিয়ে ছিলেন সন্ত্রাসীরা। আলম সেখানে আসতেই গুলি করে হত্যা নিশ্চিত করে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যান। এ ঘটনায় আলমের আত্মীয় মুহাম্মদ রিয়াদও (২৫) গুলিবিদ্ধ হন। এ ঘটনায় আলমের বাবা আবদুস সাত্তার বাদী হয়ে ২১ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা আরও ছয় থেকে সাতজনকে আসামি করে রাউজান থানায় মামলা করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...