নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে জালিয়াতির মাধ্যমে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) তৈরির অভিযোগে এক নির্বাচন কর্মকর্তা, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের জন্মনিবন্ধন সহকারীসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার (১২ নভেম্বর) দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-১-এ মামলাটি করেন সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক অংটি চৌধুরী।
মামলার আসামিরা হলেন চট্টগ্রাম নির্বাচন কার্যালয়ের সাবেক থানা নির্বাচন কর্মকর্তা ও বর্তমানে ফেনী নির্বাচন কার্যালয়ের অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ আশরাফুল আলম, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ৮ নম্বর শুলকবহর ওয়ার্ডের সাবেক জন্মনিবন্ধন সহকারী পিন্টু কুমার দে এবং জালিয়াতির মাধ্যমে যাঁর নামে এনআইডি তৈরি করা হয়—আবদুল জলিল নামের চট্টগ্রাম নগরীর দক্ষিণ হালিশহরের এক বাসিন্দা।
দুদক, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-১-এর উপপরিচালক সুবেল আহমেদ মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪২০, ৪৬৭, ৪৬৮, ৪৭১ ও ১০৯ এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, আবদুল জলিল ২০১১ সালের ২২ জুলাই চট্টগ্রাম নগরীর ৮ নম্বর শুলকবহর ওয়ার্ডে জন্মনিবন্ধন করেন। পরে ২০১৭ সালের ১৪ মে একই ব্যক্তি আবারও একই ওয়ার্ড থেকে জন্মনিবন্ধন করেন। সেই জন্মনিবন্ধনের ভিত্তিতে তিনি পরে চট্টগ্রাম নগরীর বন্দর থানা নির্বাচন কর্মকর্তা কার্যালয়ে আবেদন করে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) পান।
দুদকের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, আবদুল জলিল নির্বাচন কমিশনে জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধনের আবেদনে স্থায়ী ঠিকানা উল্লেখ করেছেন—চট্টগ্রামের পটিয়া পৌরসভা; কিন্তু নির্বাচন কমিশনে তিনি যে জন্মনিবন্ধন জমা দিয়েছেন, সেখানে স্থায়ী ঠিকানা উল্লেখ আছে—কক্সবাজার জেলার চৌফলদণ্ডী এবং বর্তমান ঠিকানা হিসেবে চট্টগ্রাম নগরীর শুলকবহর আব্দুল লতিফ রোড উল্লেখ আছে।
কিন্তু জন্মনিবন্ধনের তথ্য অনুযায়ী স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানায় আবদুল জলিল ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের কখনো বসবাসের কোনো তথ্য পায়নি দুদক। এ ছাড়া নির্বাচন কমিশনে আবেদন ফরমের ৪৬টি ঘরে তথ্য দেওয়ার ক্ষেত্রেও অনেক অসংগতি পেয়েছে দুদক। ফরমে মোবাইল নম্বর, ধর্ম, ভোটার তালিকায় বাদ পড়ার কারণ, শনাক্তকারীর জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, তথ্য সংগ্রহকারীর জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, সুপারভাইজারের জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, যাচাইকারীর জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ও ডাটা এন্ট্রি অপারেটরের জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বরের সংশ্লিষ্ট ঘরে কোনো তথ্য উল্লেখ না করে ঘরগুলো খালি রাখা হয়।
এ ছাড়া জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন ফরমের সঙ্গে আবদুল জলিল জমির কাগজ, জাতীয়তা সনদ, শিক্ষা সনদ, বিদ্যুৎ বিলের কপি ও প্রত্যয়নপত্র জমা দেননি। শুধু একটি জন্মনিবন্ধন জমা দিয়ে কোনো জাতীয়তা সনদ ছাড়াই তিনি জাতীয় পরিচয়পত্র পেয়েছেন। তিনি নির্বাচন কমিশনে যে জন্মসনদ জমা দিয়েছেন, সেটার যাচাইকারী ও নিবন্ধকের স্বাক্ষর দুদকের ফরেনসিক প্রতিবেদনে সঠিক পাওয়া যায়নি।
দুদকের অনুসন্ধানে আরও উঠে এসেছে, আবদুল জলিল ও তাঁর পূর্বপুরুষদের বাংলাদেশি নাগরিত্বের কোনো বৈধ রেকর্ডপত্র নেই। তাঁর কোনো জাতীয়তা সনদ নেই। তিনি কক্সবাজারের চৌফলদণ্ডীতে জন্মগ্রহণ করেছেন দাবি করলেও এর পক্ষে কোনো রেকর্ডপত্র নেই। তাঁর বাবা-মায়ের নামে কোনো ভূমির রেকর্ডপত্র নেই। আবার ভূমিহীন সনদও নেই। আবদুল জলিলের দাবি, তাঁর বাবা-মা ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ে মারা গেছেন। কিন্তু তাঁর কাছে তাঁদের কোনো মৃত্যুসনদ নেই।
মামলায় আরও অভিযোগ করা হয়েছে, আবদুল জলিল ২০১১ সালে বৈধ কোনো নথিপত্র জমা না দিয়ে চট্টগ্রাম নগরীর ৮ নম্বর শুলকবহর ওয়ার্ডের তৎকালীন জন্মনিবন্ধন সহকারী পিন্টু কুমারের সঙ্গে যোগসাজশ করে জন্মনিবন্ধন করেন। পরে ২০১৭ সালে একই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও জন্মনিবন্ধন সহকারীর স্বাক্ষর জাল করে জন্মনিবন্ধন করেন। এরপর নির্বাচন কর্মকর্তা আশরাফুল আলম নির্বাচন কমিশনে কোনো রেকর্ডপত্র জমা না দিয়ে কার্যালয়ের নিজের ব্যবহৃত ল্যাপটপ ব্যবহার করে জাল জন্মনিবন্ধন সনদ দিয়ে আবদুল জলিলের জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করে দেন।

চট্টগ্রামে জালিয়াতির মাধ্যমে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) তৈরির অভিযোগে এক নির্বাচন কর্মকর্তা, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের জন্মনিবন্ধন সহকারীসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার (১২ নভেম্বর) দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-১-এ মামলাটি করেন সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক অংটি চৌধুরী।
মামলার আসামিরা হলেন চট্টগ্রাম নির্বাচন কার্যালয়ের সাবেক থানা নির্বাচন কর্মকর্তা ও বর্তমানে ফেনী নির্বাচন কার্যালয়ের অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ আশরাফুল আলম, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ৮ নম্বর শুলকবহর ওয়ার্ডের সাবেক জন্মনিবন্ধন সহকারী পিন্টু কুমার দে এবং জালিয়াতির মাধ্যমে যাঁর নামে এনআইডি তৈরি করা হয়—আবদুল জলিল নামের চট্টগ্রাম নগরীর দক্ষিণ হালিশহরের এক বাসিন্দা।
দুদক, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-১-এর উপপরিচালক সুবেল আহমেদ মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪২০, ৪৬৭, ৪৬৮, ৪৭১ ও ১০৯ এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, আবদুল জলিল ২০১১ সালের ২২ জুলাই চট্টগ্রাম নগরীর ৮ নম্বর শুলকবহর ওয়ার্ডে জন্মনিবন্ধন করেন। পরে ২০১৭ সালের ১৪ মে একই ব্যক্তি আবারও একই ওয়ার্ড থেকে জন্মনিবন্ধন করেন। সেই জন্মনিবন্ধনের ভিত্তিতে তিনি পরে চট্টগ্রাম নগরীর বন্দর থানা নির্বাচন কর্মকর্তা কার্যালয়ে আবেদন করে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) পান।
দুদকের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, আবদুল জলিল নির্বাচন কমিশনে জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধনের আবেদনে স্থায়ী ঠিকানা উল্লেখ করেছেন—চট্টগ্রামের পটিয়া পৌরসভা; কিন্তু নির্বাচন কমিশনে তিনি যে জন্মনিবন্ধন জমা দিয়েছেন, সেখানে স্থায়ী ঠিকানা উল্লেখ আছে—কক্সবাজার জেলার চৌফলদণ্ডী এবং বর্তমান ঠিকানা হিসেবে চট্টগ্রাম নগরীর শুলকবহর আব্দুল লতিফ রোড উল্লেখ আছে।
কিন্তু জন্মনিবন্ধনের তথ্য অনুযায়ী স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানায় আবদুল জলিল ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের কখনো বসবাসের কোনো তথ্য পায়নি দুদক। এ ছাড়া নির্বাচন কমিশনে আবেদন ফরমের ৪৬টি ঘরে তথ্য দেওয়ার ক্ষেত্রেও অনেক অসংগতি পেয়েছে দুদক। ফরমে মোবাইল নম্বর, ধর্ম, ভোটার তালিকায় বাদ পড়ার কারণ, শনাক্তকারীর জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, তথ্য সংগ্রহকারীর জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, সুপারভাইজারের জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, যাচাইকারীর জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ও ডাটা এন্ট্রি অপারেটরের জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বরের সংশ্লিষ্ট ঘরে কোনো তথ্য উল্লেখ না করে ঘরগুলো খালি রাখা হয়।
এ ছাড়া জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন ফরমের সঙ্গে আবদুল জলিল জমির কাগজ, জাতীয়তা সনদ, শিক্ষা সনদ, বিদ্যুৎ বিলের কপি ও প্রত্যয়নপত্র জমা দেননি। শুধু একটি জন্মনিবন্ধন জমা দিয়ে কোনো জাতীয়তা সনদ ছাড়াই তিনি জাতীয় পরিচয়পত্র পেয়েছেন। তিনি নির্বাচন কমিশনে যে জন্মসনদ জমা দিয়েছেন, সেটার যাচাইকারী ও নিবন্ধকের স্বাক্ষর দুদকের ফরেনসিক প্রতিবেদনে সঠিক পাওয়া যায়নি।
দুদকের অনুসন্ধানে আরও উঠে এসেছে, আবদুল জলিল ও তাঁর পূর্বপুরুষদের বাংলাদেশি নাগরিত্বের কোনো বৈধ রেকর্ডপত্র নেই। তাঁর কোনো জাতীয়তা সনদ নেই। তিনি কক্সবাজারের চৌফলদণ্ডীতে জন্মগ্রহণ করেছেন দাবি করলেও এর পক্ষে কোনো রেকর্ডপত্র নেই। তাঁর বাবা-মায়ের নামে কোনো ভূমির রেকর্ডপত্র নেই। আবার ভূমিহীন সনদও নেই। আবদুল জলিলের দাবি, তাঁর বাবা-মা ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ে মারা গেছেন। কিন্তু তাঁর কাছে তাঁদের কোনো মৃত্যুসনদ নেই।
মামলায় আরও অভিযোগ করা হয়েছে, আবদুল জলিল ২০১১ সালে বৈধ কোনো নথিপত্র জমা না দিয়ে চট্টগ্রাম নগরীর ৮ নম্বর শুলকবহর ওয়ার্ডের তৎকালীন জন্মনিবন্ধন সহকারী পিন্টু কুমারের সঙ্গে যোগসাজশ করে জন্মনিবন্ধন করেন। পরে ২০১৭ সালে একই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও জন্মনিবন্ধন সহকারীর স্বাক্ষর জাল করে জন্মনিবন্ধন করেন। এরপর নির্বাচন কর্মকর্তা আশরাফুল আলম নির্বাচন কমিশনে কোনো রেকর্ডপত্র জমা না দিয়ে কার্যালয়ের নিজের ব্যবহৃত ল্যাপটপ ব্যবহার করে জাল জন্মনিবন্ধন সনদ দিয়ে আবদুল জলিলের জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করে দেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে জালিয়াতির মাধ্যমে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) তৈরির অভিযোগে এক নির্বাচন কর্মকর্তা, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের জন্মনিবন্ধন সহকারীসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার (১২ নভেম্বর) দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-১-এ মামলাটি করেন সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক অংটি চৌধুরী।
মামলার আসামিরা হলেন চট্টগ্রাম নির্বাচন কার্যালয়ের সাবেক থানা নির্বাচন কর্মকর্তা ও বর্তমানে ফেনী নির্বাচন কার্যালয়ের অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ আশরাফুল আলম, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ৮ নম্বর শুলকবহর ওয়ার্ডের সাবেক জন্মনিবন্ধন সহকারী পিন্টু কুমার দে এবং জালিয়াতির মাধ্যমে যাঁর নামে এনআইডি তৈরি করা হয়—আবদুল জলিল নামের চট্টগ্রাম নগরীর দক্ষিণ হালিশহরের এক বাসিন্দা।
দুদক, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-১-এর উপপরিচালক সুবেল আহমেদ মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪২০, ৪৬৭, ৪৬৮, ৪৭১ ও ১০৯ এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, আবদুল জলিল ২০১১ সালের ২২ জুলাই চট্টগ্রাম নগরীর ৮ নম্বর শুলকবহর ওয়ার্ডে জন্মনিবন্ধন করেন। পরে ২০১৭ সালের ১৪ মে একই ব্যক্তি আবারও একই ওয়ার্ড থেকে জন্মনিবন্ধন করেন। সেই জন্মনিবন্ধনের ভিত্তিতে তিনি পরে চট্টগ্রাম নগরীর বন্দর থানা নির্বাচন কর্মকর্তা কার্যালয়ে আবেদন করে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) পান।
দুদকের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, আবদুল জলিল নির্বাচন কমিশনে জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধনের আবেদনে স্থায়ী ঠিকানা উল্লেখ করেছেন—চট্টগ্রামের পটিয়া পৌরসভা; কিন্তু নির্বাচন কমিশনে তিনি যে জন্মনিবন্ধন জমা দিয়েছেন, সেখানে স্থায়ী ঠিকানা উল্লেখ আছে—কক্সবাজার জেলার চৌফলদণ্ডী এবং বর্তমান ঠিকানা হিসেবে চট্টগ্রাম নগরীর শুলকবহর আব্দুল লতিফ রোড উল্লেখ আছে।
কিন্তু জন্মনিবন্ধনের তথ্য অনুযায়ী স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানায় আবদুল জলিল ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের কখনো বসবাসের কোনো তথ্য পায়নি দুদক। এ ছাড়া নির্বাচন কমিশনে আবেদন ফরমের ৪৬টি ঘরে তথ্য দেওয়ার ক্ষেত্রেও অনেক অসংগতি পেয়েছে দুদক। ফরমে মোবাইল নম্বর, ধর্ম, ভোটার তালিকায় বাদ পড়ার কারণ, শনাক্তকারীর জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, তথ্য সংগ্রহকারীর জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, সুপারভাইজারের জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, যাচাইকারীর জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ও ডাটা এন্ট্রি অপারেটরের জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বরের সংশ্লিষ্ট ঘরে কোনো তথ্য উল্লেখ না করে ঘরগুলো খালি রাখা হয়।
এ ছাড়া জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন ফরমের সঙ্গে আবদুল জলিল জমির কাগজ, জাতীয়তা সনদ, শিক্ষা সনদ, বিদ্যুৎ বিলের কপি ও প্রত্যয়নপত্র জমা দেননি। শুধু একটি জন্মনিবন্ধন জমা দিয়ে কোনো জাতীয়তা সনদ ছাড়াই তিনি জাতীয় পরিচয়পত্র পেয়েছেন। তিনি নির্বাচন কমিশনে যে জন্মসনদ জমা দিয়েছেন, সেটার যাচাইকারী ও নিবন্ধকের স্বাক্ষর দুদকের ফরেনসিক প্রতিবেদনে সঠিক পাওয়া যায়নি।
দুদকের অনুসন্ধানে আরও উঠে এসেছে, আবদুল জলিল ও তাঁর পূর্বপুরুষদের বাংলাদেশি নাগরিত্বের কোনো বৈধ রেকর্ডপত্র নেই। তাঁর কোনো জাতীয়তা সনদ নেই। তিনি কক্সবাজারের চৌফলদণ্ডীতে জন্মগ্রহণ করেছেন দাবি করলেও এর পক্ষে কোনো রেকর্ডপত্র নেই। তাঁর বাবা-মায়ের নামে কোনো ভূমির রেকর্ডপত্র নেই। আবার ভূমিহীন সনদও নেই। আবদুল জলিলের দাবি, তাঁর বাবা-মা ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ে মারা গেছেন। কিন্তু তাঁর কাছে তাঁদের কোনো মৃত্যুসনদ নেই।
মামলায় আরও অভিযোগ করা হয়েছে, আবদুল জলিল ২০১১ সালে বৈধ কোনো নথিপত্র জমা না দিয়ে চট্টগ্রাম নগরীর ৮ নম্বর শুলকবহর ওয়ার্ডের তৎকালীন জন্মনিবন্ধন সহকারী পিন্টু কুমারের সঙ্গে যোগসাজশ করে জন্মনিবন্ধন করেন। পরে ২০১৭ সালে একই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও জন্মনিবন্ধন সহকারীর স্বাক্ষর জাল করে জন্মনিবন্ধন করেন। এরপর নির্বাচন কর্মকর্তা আশরাফুল আলম নির্বাচন কমিশনে কোনো রেকর্ডপত্র জমা না দিয়ে কার্যালয়ের নিজের ব্যবহৃত ল্যাপটপ ব্যবহার করে জাল জন্মনিবন্ধন সনদ দিয়ে আবদুল জলিলের জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করে দেন।

চট্টগ্রামে জালিয়াতির মাধ্যমে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) তৈরির অভিযোগে এক নির্বাচন কর্মকর্তা, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের জন্মনিবন্ধন সহকারীসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার (১২ নভেম্বর) দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-১-এ মামলাটি করেন সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক অংটি চৌধুরী।
মামলার আসামিরা হলেন চট্টগ্রাম নির্বাচন কার্যালয়ের সাবেক থানা নির্বাচন কর্মকর্তা ও বর্তমানে ফেনী নির্বাচন কার্যালয়ের অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ আশরাফুল আলম, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ৮ নম্বর শুলকবহর ওয়ার্ডের সাবেক জন্মনিবন্ধন সহকারী পিন্টু কুমার দে এবং জালিয়াতির মাধ্যমে যাঁর নামে এনআইডি তৈরি করা হয়—আবদুল জলিল নামের চট্টগ্রাম নগরীর দক্ষিণ হালিশহরের এক বাসিন্দা।
দুদক, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-১-এর উপপরিচালক সুবেল আহমেদ মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪২০, ৪৬৭, ৪৬৮, ৪৭১ ও ১০৯ এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, আবদুল জলিল ২০১১ সালের ২২ জুলাই চট্টগ্রাম নগরীর ৮ নম্বর শুলকবহর ওয়ার্ডে জন্মনিবন্ধন করেন। পরে ২০১৭ সালের ১৪ মে একই ব্যক্তি আবারও একই ওয়ার্ড থেকে জন্মনিবন্ধন করেন। সেই জন্মনিবন্ধনের ভিত্তিতে তিনি পরে চট্টগ্রাম নগরীর বন্দর থানা নির্বাচন কর্মকর্তা কার্যালয়ে আবেদন করে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) পান।
দুদকের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, আবদুল জলিল নির্বাচন কমিশনে জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধনের আবেদনে স্থায়ী ঠিকানা উল্লেখ করেছেন—চট্টগ্রামের পটিয়া পৌরসভা; কিন্তু নির্বাচন কমিশনে তিনি যে জন্মনিবন্ধন জমা দিয়েছেন, সেখানে স্থায়ী ঠিকানা উল্লেখ আছে—কক্সবাজার জেলার চৌফলদণ্ডী এবং বর্তমান ঠিকানা হিসেবে চট্টগ্রাম নগরীর শুলকবহর আব্দুল লতিফ রোড উল্লেখ আছে।
কিন্তু জন্মনিবন্ধনের তথ্য অনুযায়ী স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানায় আবদুল জলিল ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের কখনো বসবাসের কোনো তথ্য পায়নি দুদক। এ ছাড়া নির্বাচন কমিশনে আবেদন ফরমের ৪৬টি ঘরে তথ্য দেওয়ার ক্ষেত্রেও অনেক অসংগতি পেয়েছে দুদক। ফরমে মোবাইল নম্বর, ধর্ম, ভোটার তালিকায় বাদ পড়ার কারণ, শনাক্তকারীর জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, তথ্য সংগ্রহকারীর জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, সুপারভাইজারের জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, যাচাইকারীর জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ও ডাটা এন্ট্রি অপারেটরের জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বরের সংশ্লিষ্ট ঘরে কোনো তথ্য উল্লেখ না করে ঘরগুলো খালি রাখা হয়।
এ ছাড়া জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন ফরমের সঙ্গে আবদুল জলিল জমির কাগজ, জাতীয়তা সনদ, শিক্ষা সনদ, বিদ্যুৎ বিলের কপি ও প্রত্যয়নপত্র জমা দেননি। শুধু একটি জন্মনিবন্ধন জমা দিয়ে কোনো জাতীয়তা সনদ ছাড়াই তিনি জাতীয় পরিচয়পত্র পেয়েছেন। তিনি নির্বাচন কমিশনে যে জন্মসনদ জমা দিয়েছেন, সেটার যাচাইকারী ও নিবন্ধকের স্বাক্ষর দুদকের ফরেনসিক প্রতিবেদনে সঠিক পাওয়া যায়নি।
দুদকের অনুসন্ধানে আরও উঠে এসেছে, আবদুল জলিল ও তাঁর পূর্বপুরুষদের বাংলাদেশি নাগরিত্বের কোনো বৈধ রেকর্ডপত্র নেই। তাঁর কোনো জাতীয়তা সনদ নেই। তিনি কক্সবাজারের চৌফলদণ্ডীতে জন্মগ্রহণ করেছেন দাবি করলেও এর পক্ষে কোনো রেকর্ডপত্র নেই। তাঁর বাবা-মায়ের নামে কোনো ভূমির রেকর্ডপত্র নেই। আবার ভূমিহীন সনদও নেই। আবদুল জলিলের দাবি, তাঁর বাবা-মা ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ে মারা গেছেন। কিন্তু তাঁর কাছে তাঁদের কোনো মৃত্যুসনদ নেই।
মামলায় আরও অভিযোগ করা হয়েছে, আবদুল জলিল ২০১১ সালে বৈধ কোনো নথিপত্র জমা না দিয়ে চট্টগ্রাম নগরীর ৮ নম্বর শুলকবহর ওয়ার্ডের তৎকালীন জন্মনিবন্ধন সহকারী পিন্টু কুমারের সঙ্গে যোগসাজশ করে জন্মনিবন্ধন করেন। পরে ২০১৭ সালে একই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও জন্মনিবন্ধন সহকারীর স্বাক্ষর জাল করে জন্মনিবন্ধন করেন। এরপর নির্বাচন কর্মকর্তা আশরাফুল আলম নির্বাচন কমিশনে কোনো রেকর্ডপত্র জমা না দিয়ে কার্যালয়ের নিজের ব্যবহৃত ল্যাপটপ ব্যবহার করে জাল জন্মনিবন্ধন সনদ দিয়ে আবদুল জলিলের জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করে দেন।

নৌকায় চড়ে অবৈধভাবে লিবিয়া থেকে ইতালি যাওয়ার পথে তীব্র শীতে কাবু হয়ে সাগরেই মারা গেছেন মাদারীপুরের দুই যুবক। গতকাল মঙ্গলবার রাতে তাঁদের মৃত্যুর খবর জানতে পেরেছে পরিবার। এর পর থেকে তাঁদের পরিবারে চলছে শোকের মাতম।
৩৭ মিনিট আগে
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের লকডাউনকে (১৩ নভেম্বর) কেন্দ্র করে যেকোনো ধরনের নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড এড়াতে যশোরের বেনাপোল বন্দরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বন্দরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় প্রবেশে বাড়ানো হয়েছে নজরদারি। বন্দর ব্যবহারকারীদের পরিচয়পত্র ও সঙ্গে থাকা ব্যাগ তল্লাশির পর অনুমতি মিলছে বন্দরে...
১ ঘণ্টা আগে
কক্সবাজারের টেকনাফ উপকূলের বঙ্গোপসাগর থেকে মাছ শিকারের সময় ১৩ জন রোহিঙ্গা জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী সংগঠন আরাকান আর্মি। গতকাল মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) সকাল ১০টার দিকে সেন্ট মার্টিন দ্বীপের অদূরে বঙ্গোপসাগরে এ ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
জুলাইসহ দেশের সব গণহত্যার বিচার, জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি প্রদান ও আওয়ামী লীগের নাশকতা সৃষ্টির প্রতিবাদে রাজশাহীতে বিক্ষোভ-মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার (১২ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে রাজশাহীর সাহেববাজার জিরো পয়েন্টে ইসলামী ছাত্রশিবিরের রাজশাহী মহানগরের উদ্যোগে এ বিক্ষোভ-মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
১ ঘণ্টা আগেমাদারীপুর, প্রতিনিধি

নৌকায় চড়ে অবৈধভাবে লিবিয়া থেকে ইতালি যাওয়ার পথে তীব্র শীতে কাবু হয়ে সাগরেই মারা গেছেন মাদারীপুরের দুই যুবক। গতকাল মঙ্গলবার রাতে তাঁদের মৃত্যুর খবর জানতে পেরেছে পরিবার। এর পর থেকে তাঁদের পরিবারে চলছে শোকের মাতম।

মৃত যুবকেরা হলেন মাদারীপুর সদর উপজেলার ধুরাইল ইউনিয়নের চর বাজিতপুর গ্রামের লাল মিয়া ব্যাপারীর ছেলে জাফর ব্যাপারী (৪৫) এবং একই গ্রামের হামেদ আলী হাওলাদারের ছেলে সিরাজুল হাওলাদার (২৫)।
স্থানীয় ও মৃত যুবকদের পরিবার সূত্রে গেছে, গত ১ সেপ্টেম্বর ইতালি যাওয়ার জন্য মাদারীপুর ছাড়েন জাফর ব্যাপারী ও সিরাজুল হাওলাদার। কয়েকটি দেশ ঘুরে লিবিয়ায় পৌঁছান তাঁরা। লিবিয়ার দালালদের মাধ্যমে গত ১৪ অক্টোবর ইঞ্জিনচালিত নৌকায় ওঠেন জাফর, সিরাজুলসহ অর্ধশত যুবক। একপর্যায়ে সাগরে নৌকার তেল ফুরিয়ে যায়। পরে নৌকাটি ভাসতে থাকে সাগরে। সপ্তাহখানেক নৌকায় ভাসতে থাকার পর তীব্র শীতে সাগরেই মৃত্যু হয় জাফর, সিরাজুলসহ কয়েকজন যুবকের। প্রথমে তাঁদের মৃত্যুর খবর দালালেরা গোপন রাখেন। গতকাল রাতে লিবিয়ার দালালদের মাধ্যমে দুই যুবকের মৃত্যুর খবর জানতে পারে তাঁদের পরিবার।
মৃত যুবকদের পরিবার বলছে, মানব পাচারকারী চক্রের সদস্য চর বাজিতপুর গ্রামের চান্দু সরদারের ছেলে লোকমান সরদার। কয়েক মাস আগে লোকমানের দুই ছেলে সুজন ও সুমন অবৈধভাবে ইতালি যান। এর পর থেকে তিনি এলাকার মানুষকে খুব সহজে ইতালি নেওয়ার প্রলোভন দেখাতে থাকেন। তাঁর কথায় বিশ্বাস করে জাফর ও সিরাজুলের পরিবার তাঁকে ৩০ লাখ টাকা দেয়। কথা ছিল, কোনো ধরনের ঝুঁকি ছাড়াই জাফর ও সিরাজুলকে সরাসরি ইতালি পাঠাবেন লোকমান। সাগরপথে ইতালি পাঠানোর জন্য জাফর, সিরাজুলসহ অন্যদের ছোট নৌকায় তুলে দেন দালালেরা। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাগর পাড়ি দিয়ে ইতালিতে যাওয়ার পথে জাফর, সিরাজুল প্রাণ হারিয়েছেন।
মৃত জাফরের বাবা লাল মিয়া ব্যাপারী বলেন, ‘জাফরের এই মৃত্যু কিছুতেই মেনে নিতে পারছি না। দালাল লোকমান একসঙ্গে আমাদের কাছ থেকে ১৫ লাখ টাকা নিয়েছে। টাকা নেওয়ার সময় দালাল বলেছিল, কোনো ঝুঁকি ছাড়াই জাফরকে ইতালি পৌঁছে দিবেন। কিন্তু সাগরেই মৃত্যু হলো আমার ছেলে জাফর আর ওর সঙ্গে থাকা সিরাজুলের। এই ঘটনায় জড়িত লোকমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।’
এদিকে দুজনের মৃত্যুর খবর জানাজানি হওয়ার পর একই গ্রামের অভিযুক্ত দালাল লোকমান সরদার গা ঢাকা দিয়েছেন। তবে লোকমানের ছোট ভাইয়ের স্ত্রী ঝর্ণা আক্তার বলেন, ‘আমার ভাশুর কোনো দালাল নন, তাঁর দুই ছেলে ইতালি যাওয়ার পর এলাকার অনেকেই তাঁর কাছে আসেন। এতে তাঁর কোনো দোষ নেই। অন্য এক বড় দালাল আছেন, তিনিই সব জানেন। তাঁর পরিচয় আমরা জানি না। তবে লোকমান ভাই জানেন।’
মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে ইতালি যাওয়ার পথে লিবিয়ায় দুই যুবকের মৃত্যুর খবর জানতে পেরেছি। তবে এখনো তাঁদের পরিবার থেকে কেউ কিছু জানায়নি। এ ঘটনায় মৃত যুবকদের পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

নৌকায় চড়ে অবৈধভাবে লিবিয়া থেকে ইতালি যাওয়ার পথে তীব্র শীতে কাবু হয়ে সাগরেই মারা গেছেন মাদারীপুরের দুই যুবক। গতকাল মঙ্গলবার রাতে তাঁদের মৃত্যুর খবর জানতে পেরেছে পরিবার। এর পর থেকে তাঁদের পরিবারে চলছে শোকের মাতম।

মৃত যুবকেরা হলেন মাদারীপুর সদর উপজেলার ধুরাইল ইউনিয়নের চর বাজিতপুর গ্রামের লাল মিয়া ব্যাপারীর ছেলে জাফর ব্যাপারী (৪৫) এবং একই গ্রামের হামেদ আলী হাওলাদারের ছেলে সিরাজুল হাওলাদার (২৫)।
স্থানীয় ও মৃত যুবকদের পরিবার সূত্রে গেছে, গত ১ সেপ্টেম্বর ইতালি যাওয়ার জন্য মাদারীপুর ছাড়েন জাফর ব্যাপারী ও সিরাজুল হাওলাদার। কয়েকটি দেশ ঘুরে লিবিয়ায় পৌঁছান তাঁরা। লিবিয়ার দালালদের মাধ্যমে গত ১৪ অক্টোবর ইঞ্জিনচালিত নৌকায় ওঠেন জাফর, সিরাজুলসহ অর্ধশত যুবক। একপর্যায়ে সাগরে নৌকার তেল ফুরিয়ে যায়। পরে নৌকাটি ভাসতে থাকে সাগরে। সপ্তাহখানেক নৌকায় ভাসতে থাকার পর তীব্র শীতে সাগরেই মৃত্যু হয় জাফর, সিরাজুলসহ কয়েকজন যুবকের। প্রথমে তাঁদের মৃত্যুর খবর দালালেরা গোপন রাখেন। গতকাল রাতে লিবিয়ার দালালদের মাধ্যমে দুই যুবকের মৃত্যুর খবর জানতে পারে তাঁদের পরিবার।
মৃত যুবকদের পরিবার বলছে, মানব পাচারকারী চক্রের সদস্য চর বাজিতপুর গ্রামের চান্দু সরদারের ছেলে লোকমান সরদার। কয়েক মাস আগে লোকমানের দুই ছেলে সুজন ও সুমন অবৈধভাবে ইতালি যান। এর পর থেকে তিনি এলাকার মানুষকে খুব সহজে ইতালি নেওয়ার প্রলোভন দেখাতে থাকেন। তাঁর কথায় বিশ্বাস করে জাফর ও সিরাজুলের পরিবার তাঁকে ৩০ লাখ টাকা দেয়। কথা ছিল, কোনো ধরনের ঝুঁকি ছাড়াই জাফর ও সিরাজুলকে সরাসরি ইতালি পাঠাবেন লোকমান। সাগরপথে ইতালি পাঠানোর জন্য জাফর, সিরাজুলসহ অন্যদের ছোট নৌকায় তুলে দেন দালালেরা। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাগর পাড়ি দিয়ে ইতালিতে যাওয়ার পথে জাফর, সিরাজুল প্রাণ হারিয়েছেন।
মৃত জাফরের বাবা লাল মিয়া ব্যাপারী বলেন, ‘জাফরের এই মৃত্যু কিছুতেই মেনে নিতে পারছি না। দালাল লোকমান একসঙ্গে আমাদের কাছ থেকে ১৫ লাখ টাকা নিয়েছে। টাকা নেওয়ার সময় দালাল বলেছিল, কোনো ঝুঁকি ছাড়াই জাফরকে ইতালি পৌঁছে দিবেন। কিন্তু সাগরেই মৃত্যু হলো আমার ছেলে জাফর আর ওর সঙ্গে থাকা সিরাজুলের। এই ঘটনায় জড়িত লোকমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।’
এদিকে দুজনের মৃত্যুর খবর জানাজানি হওয়ার পর একই গ্রামের অভিযুক্ত দালাল লোকমান সরদার গা ঢাকা দিয়েছেন। তবে লোকমানের ছোট ভাইয়ের স্ত্রী ঝর্ণা আক্তার বলেন, ‘আমার ভাশুর কোনো দালাল নন, তাঁর দুই ছেলে ইতালি যাওয়ার পর এলাকার অনেকেই তাঁর কাছে আসেন। এতে তাঁর কোনো দোষ নেই। অন্য এক বড় দালাল আছেন, তিনিই সব জানেন। তাঁর পরিচয় আমরা জানি না। তবে লোকমান ভাই জানেন।’
মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে ইতালি যাওয়ার পথে লিবিয়ায় দুই যুবকের মৃত্যুর খবর জানতে পেরেছি। তবে এখনো তাঁদের পরিবার থেকে কেউ কিছু জানায়নি। এ ঘটনায় মৃত যুবকদের পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

চট্টগ্রামে জালিয়াতির মাধ্যমে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) তৈরির অভিযোগে এক নির্বাচন কর্মকর্তা, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের জন্মনিবন্ধন সহকারীসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ বুধবার (১২ নভেম্বর) দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-১-এ মামলাটি করেন সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ের
২ ঘণ্টা আগে
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের লকডাউনকে (১৩ নভেম্বর) কেন্দ্র করে যেকোনো ধরনের নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড এড়াতে যশোরের বেনাপোল বন্দরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বন্দরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় প্রবেশে বাড়ানো হয়েছে নজরদারি। বন্দর ব্যবহারকারীদের পরিচয়পত্র ও সঙ্গে থাকা ব্যাগ তল্লাশির পর অনুমতি মিলছে বন্দরে...
১ ঘণ্টা আগে
কক্সবাজারের টেকনাফ উপকূলের বঙ্গোপসাগর থেকে মাছ শিকারের সময় ১৩ জন রোহিঙ্গা জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী সংগঠন আরাকান আর্মি। গতকাল মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) সকাল ১০টার দিকে সেন্ট মার্টিন দ্বীপের অদূরে বঙ্গোপসাগরে এ ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
জুলাইসহ দেশের সব গণহত্যার বিচার, জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি প্রদান ও আওয়ামী লীগের নাশকতা সৃষ্টির প্রতিবাদে রাজশাহীতে বিক্ষোভ-মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার (১২ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে রাজশাহীর সাহেববাজার জিরো পয়েন্টে ইসলামী ছাত্রশিবিরের রাজশাহী মহানগরের উদ্যোগে এ বিক্ষোভ-মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
১ ঘণ্টা আগেবেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি

কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের লকডাউনকে (১৩ নভেম্বর) কেন্দ্র করে যেকোনো ধরনের নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড এড়াতে যশোরের বেনাপোল বন্দরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বন্দরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় প্রবেশে বাড়ানো হয়েছে নজরদারি। বন্দর ব্যবহারকারীদের পরিচয়পত্র ও সঙ্গে থাকা ব্যাগ তল্লাশির পর অনুমতি মিলছে বন্দরে ঢোকার।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বেনাপোল বন্দরের পরিচালক শামিম হোসেন জানান, এখন পর্যন্ত নাশকতার কোনো তথ্য গোয়েন্দা সংস্থার কাছে নেই। তবে বন্দরে নিরাপত্তাব্যবস্থা স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে জোরদার রাখা হয়েছে, যাতে কোনো ধরনের নাশকতা না ঘটে।
শামিম হোসেন আরও জানান, বন্দরের নিরাপত্তায় ১৬৩ জন আনসার, বেসরকারি নিরাপত্তা সংস্থার ১২৯ জন ও আর্মড ব্যাটালিয়ন পুলিশের ৪০ জন সদস্য নিয়োজিত রয়েছেন। এ ছাড়া বন্দরে ৩৭৫টি সিসি ক্যামেরায় সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ চলছে। বন্দর ফায়ার সার্ভিস টিমকে নাশকতামূলক ঘটনা রোধে সব সময় সজাগ রাখা হয়েছে।
জানা গেছে, জাতীয় নির্বাচনের আগে আবারও দেশে রাজনৈতিক অঙ্গনে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। গত কয়েক দিনে রাজধানীতে ১০টি বাসে আগুন ও ২০টি ককটেল বিস্ফোরণ হয়েছে। একজন বাসচালক নাশকতায় প্রাণ হারিয়েছেন। এতে নাশকতামূলক ঘটনা এড়াতে দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়।
আজ বুধবার (১২ নভেম্বর) আবারও চট্টগ্রাম বন্দর এলাকায় যেকোনো মিছিল, সভা-সমাবেশ, মানববন্ধন ও পথসভা আয়োজনের নিষেধাজ্ঞা বাড়িয়েছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ।
এ ছাড়া বিমানবন্দরগুলোতে সতর্কতা বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এসব আশঙ্কা থেকে দেশের সবচেয়ে বড় স্থলবন্দর বেনাপোলেও নেওয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তাব্যবস্থা।
বেনাপোল বন্দরের ৩৪টি পণ্যাগার ও কার্গো ভেহিকেল টার্মিনালে সব সময় প্রায় ২ লাখ টন পণ্য সংরক্ষিত থাকে। যার বাজারমূল্য কয়েক হাজার কোটি টাকা। এসব পণ্যের নিরাপত্তায় নিরাপত্তাকর্মী ও গোয়েন্দা সংস্থাকে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
জানতে চাইলে বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের দপ্তর সম্পাদক মো. মোস্তাফিজ্জোহা সেলিম বলেন, ‘নির্বাচনের আগে আবারও দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। এতে আমরা অনেকটা আতঙ্কিত। বন্দরে নিরাপত্তা বাড়ানো দরকার, যাতে দুর্বৃত্তরা নাশকতা ঘটাতে না পারে।’

কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের লকডাউনকে (১৩ নভেম্বর) কেন্দ্র করে যেকোনো ধরনের নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড এড়াতে যশোরের বেনাপোল বন্দরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বন্দরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় প্রবেশে বাড়ানো হয়েছে নজরদারি। বন্দর ব্যবহারকারীদের পরিচয়পত্র ও সঙ্গে থাকা ব্যাগ তল্লাশির পর অনুমতি মিলছে বন্দরে ঢোকার।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বেনাপোল বন্দরের পরিচালক শামিম হোসেন জানান, এখন পর্যন্ত নাশকতার কোনো তথ্য গোয়েন্দা সংস্থার কাছে নেই। তবে বন্দরে নিরাপত্তাব্যবস্থা স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে জোরদার রাখা হয়েছে, যাতে কোনো ধরনের নাশকতা না ঘটে।
শামিম হোসেন আরও জানান, বন্দরের নিরাপত্তায় ১৬৩ জন আনসার, বেসরকারি নিরাপত্তা সংস্থার ১২৯ জন ও আর্মড ব্যাটালিয়ন পুলিশের ৪০ জন সদস্য নিয়োজিত রয়েছেন। এ ছাড়া বন্দরে ৩৭৫টি সিসি ক্যামেরায় সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ চলছে। বন্দর ফায়ার সার্ভিস টিমকে নাশকতামূলক ঘটনা রোধে সব সময় সজাগ রাখা হয়েছে।
জানা গেছে, জাতীয় নির্বাচনের আগে আবারও দেশে রাজনৈতিক অঙ্গনে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। গত কয়েক দিনে রাজধানীতে ১০টি বাসে আগুন ও ২০টি ককটেল বিস্ফোরণ হয়েছে। একজন বাসচালক নাশকতায় প্রাণ হারিয়েছেন। এতে নাশকতামূলক ঘটনা এড়াতে দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়।
আজ বুধবার (১২ নভেম্বর) আবারও চট্টগ্রাম বন্দর এলাকায় যেকোনো মিছিল, সভা-সমাবেশ, মানববন্ধন ও পথসভা আয়োজনের নিষেধাজ্ঞা বাড়িয়েছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ।
এ ছাড়া বিমানবন্দরগুলোতে সতর্কতা বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এসব আশঙ্কা থেকে দেশের সবচেয়ে বড় স্থলবন্দর বেনাপোলেও নেওয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তাব্যবস্থা।
বেনাপোল বন্দরের ৩৪টি পণ্যাগার ও কার্গো ভেহিকেল টার্মিনালে সব সময় প্রায় ২ লাখ টন পণ্য সংরক্ষিত থাকে। যার বাজারমূল্য কয়েক হাজার কোটি টাকা। এসব পণ্যের নিরাপত্তায় নিরাপত্তাকর্মী ও গোয়েন্দা সংস্থাকে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
জানতে চাইলে বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের দপ্তর সম্পাদক মো. মোস্তাফিজ্জোহা সেলিম বলেন, ‘নির্বাচনের আগে আবারও দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। এতে আমরা অনেকটা আতঙ্কিত। বন্দরে নিরাপত্তা বাড়ানো দরকার, যাতে দুর্বৃত্তরা নাশকতা ঘটাতে না পারে।’

চট্টগ্রামে জালিয়াতির মাধ্যমে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) তৈরির অভিযোগে এক নির্বাচন কর্মকর্তা, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের জন্মনিবন্ধন সহকারীসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ বুধবার (১২ নভেম্বর) দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-১-এ মামলাটি করেন সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ের
২ ঘণ্টা আগে
নৌকায় চড়ে অবৈধভাবে লিবিয়া থেকে ইতালি যাওয়ার পথে তীব্র শীতে কাবু হয়ে সাগরেই মারা গেছেন মাদারীপুরের দুই যুবক। গতকাল মঙ্গলবার রাতে তাঁদের মৃত্যুর খবর জানতে পেরেছে পরিবার। এর পর থেকে তাঁদের পরিবারে চলছে শোকের মাতম।
৩৭ মিনিট আগে
কক্সবাজারের টেকনাফ উপকূলের বঙ্গোপসাগর থেকে মাছ শিকারের সময় ১৩ জন রোহিঙ্গা জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী সংগঠন আরাকান আর্মি। গতকাল মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) সকাল ১০টার দিকে সেন্ট মার্টিন দ্বীপের অদূরে বঙ্গোপসাগরে এ ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
জুলাইসহ দেশের সব গণহত্যার বিচার, জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি প্রদান ও আওয়ামী লীগের নাশকতা সৃষ্টির প্রতিবাদে রাজশাহীতে বিক্ষোভ-মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার (১২ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে রাজশাহীর সাহেববাজার জিরো পয়েন্টে ইসলামী ছাত্রশিবিরের রাজশাহী মহানগরের উদ্যোগে এ বিক্ষোভ-মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
১ ঘণ্টা আগেটেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি:

কক্সবাজারের টেকনাফ উপকূলের বঙ্গোপসাগর থেকে মাছ শিকারের সময় ১৩ জন রোহিঙ্গা জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী সংগঠন আরাকান আর্মি।
গতকাল মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) সকাল ১০টার দিকে সেন্ট মার্টিন দ্বীপের অদূরে বঙ্গোপসাগরে এ ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ পৌরসভা কায়ুকখালী বোট মালিক সমিতির সভাপতি সাজেদ আহমেদ
সাজেদ আহমেদ বলেন, ‘সকালে সাগরে মাছ ধরার সময় দুটি ট্রলারে থাকা জেলেদের ওপর স্পিডবোটযোগে হামলা চালায় আরাকান আর্মির সশস্ত্র সদস্যরা। তারা অস্ত্রের মুখে জেলেদের জিম্মি করে নিয়ে যায়। পরে স্থানীয় অন্যান্য জেলেদের মাধ্যমে আমরা খবর পেয়েছি।’
টেকনাফ পৌরসভার উত্তর জালিয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা মো. আরমানের মালিকানাধীন একটি ট্রলারসহ অন্তত ৬ জন রোহিঙ্গা জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে বলে জানা গেছে। অপর ট্রলারের মালিকের পরিচয় এখনো নিশ্চিত করা যায়নি।
এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, ‘ট্রলার মালিকদের কাছ থেকে আমরা জেলেদের আটকের খবর পেয়েছি। বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানানো হয়েছে। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।’

কক্সবাজারের টেকনাফ উপকূলের বঙ্গোপসাগর থেকে মাছ শিকারের সময় ১৩ জন রোহিঙ্গা জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী সংগঠন আরাকান আর্মি।
গতকাল মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) সকাল ১০টার দিকে সেন্ট মার্টিন দ্বীপের অদূরে বঙ্গোপসাগরে এ ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ পৌরসভা কায়ুকখালী বোট মালিক সমিতির সভাপতি সাজেদ আহমেদ
সাজেদ আহমেদ বলেন, ‘সকালে সাগরে মাছ ধরার সময় দুটি ট্রলারে থাকা জেলেদের ওপর স্পিডবোটযোগে হামলা চালায় আরাকান আর্মির সশস্ত্র সদস্যরা। তারা অস্ত্রের মুখে জেলেদের জিম্মি করে নিয়ে যায়। পরে স্থানীয় অন্যান্য জেলেদের মাধ্যমে আমরা খবর পেয়েছি।’
টেকনাফ পৌরসভার উত্তর জালিয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা মো. আরমানের মালিকানাধীন একটি ট্রলারসহ অন্তত ৬ জন রোহিঙ্গা জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে বলে জানা গেছে। অপর ট্রলারের মালিকের পরিচয় এখনো নিশ্চিত করা যায়নি।
এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, ‘ট্রলার মালিকদের কাছ থেকে আমরা জেলেদের আটকের খবর পেয়েছি। বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানানো হয়েছে। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।’

চট্টগ্রামে জালিয়াতির মাধ্যমে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) তৈরির অভিযোগে এক নির্বাচন কর্মকর্তা, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের জন্মনিবন্ধন সহকারীসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ বুধবার (১২ নভেম্বর) দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-১-এ মামলাটি করেন সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ের
২ ঘণ্টা আগে
নৌকায় চড়ে অবৈধভাবে লিবিয়া থেকে ইতালি যাওয়ার পথে তীব্র শীতে কাবু হয়ে সাগরেই মারা গেছেন মাদারীপুরের দুই যুবক। গতকাল মঙ্গলবার রাতে তাঁদের মৃত্যুর খবর জানতে পেরেছে পরিবার। এর পর থেকে তাঁদের পরিবারে চলছে শোকের মাতম।
৩৭ মিনিট আগে
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের লকডাউনকে (১৩ নভেম্বর) কেন্দ্র করে যেকোনো ধরনের নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড এড়াতে যশোরের বেনাপোল বন্দরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বন্দরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় প্রবেশে বাড়ানো হয়েছে নজরদারি। বন্দর ব্যবহারকারীদের পরিচয়পত্র ও সঙ্গে থাকা ব্যাগ তল্লাশির পর অনুমতি মিলছে বন্দরে...
১ ঘণ্টা আগে
জুলাইসহ দেশের সব গণহত্যার বিচার, জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি প্রদান ও আওয়ামী লীগের নাশকতা সৃষ্টির প্রতিবাদে রাজশাহীতে বিক্ষোভ-মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার (১২ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে রাজশাহীর সাহেববাজার জিরো পয়েন্টে ইসলামী ছাত্রশিবিরের রাজশাহী মহানগরের উদ্যোগে এ বিক্ষোভ-মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

জুলাইসহ দেশের সব গণহত্যার বিচার, জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দেওয়া ও আওয়ামী লীগের নাশকতা সৃষ্টির প্রতিবাদে রাজশাহীতে বিক্ষোভ-মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ বুধবার (১২ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে রাজশাহীর সাহেববাজার জিরো পয়েন্টে ইসলামী ছাত্রশিবিরের রাজশাহী মহানগরের উদ্যোগে এ বিক্ষোভ-মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
বিক্ষোভ-মিছিলে প্রধান অতিথি ছিলেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় ফাউন্ডেশন সম্পাদক আসাদুজ্জামান ভূঁইয়া।
উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী মহানগর সভাপতি মো. শামিম উদ্দিন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি ও রাকসুর ভিপি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ, রাজশাহী জেলা (পূর্ব) সভাপতি রুবেল আলী, রাজশাহী জেলা (পশ্চিম) সভাপতি মো. রেজওয়ান প্রমুখ।
সঞ্চালনা করেন রাজশাহী মহানগর সেক্রেটারি ইমরান নাজির।
মিছিল শেষে সমাবেশে বক্তারা বলেন, জুলাইসহ দেশের বিভিন্ন সময় সংঘটিত সব গণহত্যার সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি জুলাই সনদকে আইনি স্বীকৃতি দেওয়া এবং নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নাশকতা ও অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।

জুলাইসহ দেশের সব গণহত্যার বিচার, জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দেওয়া ও আওয়ামী লীগের নাশকতা সৃষ্টির প্রতিবাদে রাজশাহীতে বিক্ষোভ-মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ বুধবার (১২ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে রাজশাহীর সাহেববাজার জিরো পয়েন্টে ইসলামী ছাত্রশিবিরের রাজশাহী মহানগরের উদ্যোগে এ বিক্ষোভ-মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
বিক্ষোভ-মিছিলে প্রধান অতিথি ছিলেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় ফাউন্ডেশন সম্পাদক আসাদুজ্জামান ভূঁইয়া।
উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী মহানগর সভাপতি মো. শামিম উদ্দিন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি ও রাকসুর ভিপি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ, রাজশাহী জেলা (পূর্ব) সভাপতি রুবেল আলী, রাজশাহী জেলা (পশ্চিম) সভাপতি মো. রেজওয়ান প্রমুখ।
সঞ্চালনা করেন রাজশাহী মহানগর সেক্রেটারি ইমরান নাজির।
মিছিল শেষে সমাবেশে বক্তারা বলেন, জুলাইসহ দেশের বিভিন্ন সময় সংঘটিত সব গণহত্যার সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি জুলাই সনদকে আইনি স্বীকৃতি দেওয়া এবং নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নাশকতা ও অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।

চট্টগ্রামে জালিয়াতির মাধ্যমে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) তৈরির অভিযোগে এক নির্বাচন কর্মকর্তা, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের জন্মনিবন্ধন সহকারীসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ বুধবার (১২ নভেম্বর) দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-১-এ মামলাটি করেন সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ের
২ ঘণ্টা আগে
নৌকায় চড়ে অবৈধভাবে লিবিয়া থেকে ইতালি যাওয়ার পথে তীব্র শীতে কাবু হয়ে সাগরেই মারা গেছেন মাদারীপুরের দুই যুবক। গতকাল মঙ্গলবার রাতে তাঁদের মৃত্যুর খবর জানতে পেরেছে পরিবার। এর পর থেকে তাঁদের পরিবারে চলছে শোকের মাতম।
৩৭ মিনিট আগে
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের লকডাউনকে (১৩ নভেম্বর) কেন্দ্র করে যেকোনো ধরনের নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড এড়াতে যশোরের বেনাপোল বন্দরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বন্দরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় প্রবেশে বাড়ানো হয়েছে নজরদারি। বন্দর ব্যবহারকারীদের পরিচয়পত্র ও সঙ্গে থাকা ব্যাগ তল্লাশির পর অনুমতি মিলছে বন্দরে...
১ ঘণ্টা আগে
কক্সবাজারের টেকনাফ উপকূলের বঙ্গোপসাগর থেকে মাছ শিকারের সময় ১৩ জন রোহিঙ্গা জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী সংগঠন আরাকান আর্মি। গতকাল মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) সকাল ১০টার দিকে সেন্ট মার্টিন দ্বীপের অদূরে বঙ্গোপসাগরে এ ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে