কুবি প্রতিনিধি
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) র্যাগিংয়ের দায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের পক্ষে আয়োজিত মানববন্ধনে খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে সাংবাদিকেরা দুর্ব্যবহারের মুখে পড়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে আজ রোববার ভুক্তভোগী সাংবাদিকেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
কুবির ১৮তম আবর্তনের ১২ শিক্ষার্থীকে র্যাগিংয়ের দায়ে বহিষ্কারের সাজা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বরে আজ সকালে ১৮তম আবর্তনের কয়েকজন শিক্ষার্থী এই মানববন্ধন করেন। সাংবাদিকদের অভিযোগ, মানববন্ধনে অংশ নেওয়া গণিত বিভাগের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের নাদিম রাহুল ও বাংলা বিভাগের একই বর্ষের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ ইউনুস আলী তাঁদের গালাগাল ও হুমকি দিয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ১৮ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা মানববন্ধনের জন্য একত্র হচ্ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকেরাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। একপর্যায়ে মানববন্ধনকারী একজন সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলে ওঠেন, ‘তোরা লাইনে দাঁড়াস না কেন?’ সাংবাদিক পরিচয় দেওয়ার পরেও তাঁদের অশ্রাব্য ভাষায় গালাগালি করেন এবং মারতে তেড়ে আসেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের এমসিজে নিউজের রিপোর্টার নিলয় সরকার বলেন, ‘গোলচত্বরে আমরা সাংবাদিকেরা নিউজ কাভারের উদ্দেশ্যে দাঁড়িয়েছিলাম। তখন ১৮তম আবর্তনের গণিত বিভাগের একজন শিক্ষার্থী সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, ‘‘তোরা লাইনে দাঁড়াস না কেন?’’ তখন তাঁকে জিজ্ঞেস করা হয়, ‘‘আপনি কাদের বলছেন?’’ তিনি বললেন, ‘‘তোদের বলছি।’’ আমরা সাংবাদিক পরিচয় দিলে তিনি বলেন, ‘‘বলছি তো কী হইছে?’’ তারপর উনার কাছে সব সাংবাদিক এমন আচরণের কারণ কী জানতে চাইলে ১৮তম আবর্তনের বাংলা বিভাগের ইউনুস গালিগালাজ করেন এবং সাংবাদিকদের আক্রমণাত্বকভাবে মারতে আসেন। এটি সাংবাদিকদের পেশাদারত্বকে হুমকির মুখে ফেলে। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।’
দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসের সাংবাদিক আকাশ আল মামুন বলেন, ‘ক্যাম্পাসে সাংবাদিকেরা শহীদ আব্দুল কাইয়ুম চত্বরে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তখন ১৮তম আবর্তনের গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী নাদিম সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘তোরা এখানে দাঁড়িয়ে আছিস কেন?’’ তিনি কন্টিনিউয়াসলি তুই-তুকারি করছিলেন। তখন সাংবাদিকেরা তাঁর কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে আরও কয়েকজন এসে সাংবাদিকদের বাধা দেন। নাদিম তখনো এমন আচরণ করছিলেন যেন তিনি সাংবাদিকদের মারবেন। এমন সময় একই সেশনের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী ইউনুস সাংবাদিক নিলয়কে মারার জন্য তেড়ে আসছিলেন।’
দ্য ঢাকা ডায়েরির ক্যাম্পাস প্রতিনিধি নুরুল হাকিম বাপ্পি বলেন, ‘আমি দায়িত্ব পালনের জন্য গোলচত্বরে গিয়েছিলাম। হঠাৎ কয়েকজন সাংবাদিক ভাইয়ের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের বাগ্বিতণ্ডা দেখা গেলে আমি তাদের কাছে কী হয়েছে জানতে চাই। এমন সময় তারা ধাক্কাধাক্কি শুরু করে। তখন আমার মনে হয়ছে, তারা ওখানে ঝামেলা করতে আসছে। আমরা তাদের সিনিয়র ও দায়িত্বরত সাংবাদিক হিসেবে যাই। তারা যে অ্যাপ্রোচে কথা বলছিল, মনে হয়েছে, তারা আমাদের ওপর হামলা করবে। শুরুতেই নাদিম নামের ছেলেটা তুই-তোকারি করছিল এবং ইউনুস আলী এসে সাংবাদিকদের গালি দিয়ে মারতে আসে। দায়িত্বরত সাংবাদিকের ওপর এমন হুমকির নিন্দা জানাচ্ছি এবং আশা করি, প্রশাসন এর যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।’
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মোহাম্মদ ইউনুস আলী বলেন, ‘আমি মানববন্ধনে গিয়েছিলাম, যাতে আমার সহপাঠীদের বহিষ্কারের শাস্তি মওকুফ করা যায়। সেখানে নাদিমের সঙ্গে সাংবাদিক ভাইদের ঝামেলা দেখে আমি থামাতে যাই এবং আমার বন্ধুদের গালি দিয়ে সরিয়ে আনার চেষ্টা করি। কিন্তু সাংবাদিক ভাই মনে করেছেন, তাঁকে গালি দিয়েছি। বিষয়টা পুরোটা মিসআন্ডারস্ট্যান্ডিং।’
অভিযুক্ত আরেক শিক্ষার্থী নাদিম রাহুল বলেন, ‘আমার এমন আচরণ করা উচিত হয়নি। এর জন্য আমি লজ্জিত ও ক্ষমাপ্রার্থী।’
মানববন্ধনে মার্কেটিং বিভাগের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আকিব জামান সাংবাদিকদের হামলার ব্যাপারে বলেন, ‘সাংবাদিকদের সঙ্গে এমন আচরণ করা ভুল হয়েছে। এর জন্য আমরা ক্ষমাপ্রার্থী।’
এ ব্যাপারে প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আবদুল হাকিম বলেন, ‘আমি এ ব্যাপারে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। আমরা প্রক্টরিয়াল বডির সঙ্গে আলোচনা করে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।’
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) র্যাগিংয়ের দায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের পক্ষে আয়োজিত মানববন্ধনে খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে সাংবাদিকেরা দুর্ব্যবহারের মুখে পড়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে আজ রোববার ভুক্তভোগী সাংবাদিকেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
কুবির ১৮তম আবর্তনের ১২ শিক্ষার্থীকে র্যাগিংয়ের দায়ে বহিষ্কারের সাজা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বরে আজ সকালে ১৮তম আবর্তনের কয়েকজন শিক্ষার্থী এই মানববন্ধন করেন। সাংবাদিকদের অভিযোগ, মানববন্ধনে অংশ নেওয়া গণিত বিভাগের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের নাদিম রাহুল ও বাংলা বিভাগের একই বর্ষের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ ইউনুস আলী তাঁদের গালাগাল ও হুমকি দিয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ১৮ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা মানববন্ধনের জন্য একত্র হচ্ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকেরাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। একপর্যায়ে মানববন্ধনকারী একজন সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলে ওঠেন, ‘তোরা লাইনে দাঁড়াস না কেন?’ সাংবাদিক পরিচয় দেওয়ার পরেও তাঁদের অশ্রাব্য ভাষায় গালাগালি করেন এবং মারতে তেড়ে আসেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের এমসিজে নিউজের রিপোর্টার নিলয় সরকার বলেন, ‘গোলচত্বরে আমরা সাংবাদিকেরা নিউজ কাভারের উদ্দেশ্যে দাঁড়িয়েছিলাম। তখন ১৮তম আবর্তনের গণিত বিভাগের একজন শিক্ষার্থী সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, ‘‘তোরা লাইনে দাঁড়াস না কেন?’’ তখন তাঁকে জিজ্ঞেস করা হয়, ‘‘আপনি কাদের বলছেন?’’ তিনি বললেন, ‘‘তোদের বলছি।’’ আমরা সাংবাদিক পরিচয় দিলে তিনি বলেন, ‘‘বলছি তো কী হইছে?’’ তারপর উনার কাছে সব সাংবাদিক এমন আচরণের কারণ কী জানতে চাইলে ১৮তম আবর্তনের বাংলা বিভাগের ইউনুস গালিগালাজ করেন এবং সাংবাদিকদের আক্রমণাত্বকভাবে মারতে আসেন। এটি সাংবাদিকদের পেশাদারত্বকে হুমকির মুখে ফেলে। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।’
দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসের সাংবাদিক আকাশ আল মামুন বলেন, ‘ক্যাম্পাসে সাংবাদিকেরা শহীদ আব্দুল কাইয়ুম চত্বরে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তখন ১৮তম আবর্তনের গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী নাদিম সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘তোরা এখানে দাঁড়িয়ে আছিস কেন?’’ তিনি কন্টিনিউয়াসলি তুই-তুকারি করছিলেন। তখন সাংবাদিকেরা তাঁর কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে আরও কয়েকজন এসে সাংবাদিকদের বাধা দেন। নাদিম তখনো এমন আচরণ করছিলেন যেন তিনি সাংবাদিকদের মারবেন। এমন সময় একই সেশনের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী ইউনুস সাংবাদিক নিলয়কে মারার জন্য তেড়ে আসছিলেন।’
দ্য ঢাকা ডায়েরির ক্যাম্পাস প্রতিনিধি নুরুল হাকিম বাপ্পি বলেন, ‘আমি দায়িত্ব পালনের জন্য গোলচত্বরে গিয়েছিলাম। হঠাৎ কয়েকজন সাংবাদিক ভাইয়ের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের বাগ্বিতণ্ডা দেখা গেলে আমি তাদের কাছে কী হয়েছে জানতে চাই। এমন সময় তারা ধাক্কাধাক্কি শুরু করে। তখন আমার মনে হয়ছে, তারা ওখানে ঝামেলা করতে আসছে। আমরা তাদের সিনিয়র ও দায়িত্বরত সাংবাদিক হিসেবে যাই। তারা যে অ্যাপ্রোচে কথা বলছিল, মনে হয়েছে, তারা আমাদের ওপর হামলা করবে। শুরুতেই নাদিম নামের ছেলেটা তুই-তোকারি করছিল এবং ইউনুস আলী এসে সাংবাদিকদের গালি দিয়ে মারতে আসে। দায়িত্বরত সাংবাদিকের ওপর এমন হুমকির নিন্দা জানাচ্ছি এবং আশা করি, প্রশাসন এর যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।’
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মোহাম্মদ ইউনুস আলী বলেন, ‘আমি মানববন্ধনে গিয়েছিলাম, যাতে আমার সহপাঠীদের বহিষ্কারের শাস্তি মওকুফ করা যায়। সেখানে নাদিমের সঙ্গে সাংবাদিক ভাইদের ঝামেলা দেখে আমি থামাতে যাই এবং আমার বন্ধুদের গালি দিয়ে সরিয়ে আনার চেষ্টা করি। কিন্তু সাংবাদিক ভাই মনে করেছেন, তাঁকে গালি দিয়েছি। বিষয়টা পুরোটা মিসআন্ডারস্ট্যান্ডিং।’
অভিযুক্ত আরেক শিক্ষার্থী নাদিম রাহুল বলেন, ‘আমার এমন আচরণ করা উচিত হয়নি। এর জন্য আমি লজ্জিত ও ক্ষমাপ্রার্থী।’
মানববন্ধনে মার্কেটিং বিভাগের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আকিব জামান সাংবাদিকদের হামলার ব্যাপারে বলেন, ‘সাংবাদিকদের সঙ্গে এমন আচরণ করা ভুল হয়েছে। এর জন্য আমরা ক্ষমাপ্রার্থী।’
এ ব্যাপারে প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আবদুল হাকিম বলেন, ‘আমি এ ব্যাপারে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। আমরা প্রক্টরিয়াল বডির সঙ্গে আলোচনা করে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।’
মানব পাচার মামলায় সাত বিয়ে করা কুষ্টিয়ার সেই রবিজুল ইসলামকে (৪০) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ রোববার সকালে জেলার খোকসা উপজেলা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) থানা–পুলিশ।
১ সেকেন্ড আগেদেশে প্রথমবারের মতো রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আলোক শিক্ষালয়ে ‘বই পড়ি, স্বপ্ন আঁকি’ স্লোগানে অনুষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশ বুক অলিম্পিয়াড। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের নিয়ে মুক্ত আসরের উদ্যোগে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে বাংলাদেশ বুক অলিম্পিয়াড কমিটি। শিশু-কিশোরদের বই পড়ার অভ্যাস তৈরি করার জন্য এই অলিম্পিয়াড আয়
৩ মিনিট আগেখুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) ‘১৯ ব্যাচের উদ্যোগে জুলাই মাসের গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধর স্মরণে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। শহীদ মুগ্ধ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত ডিসিপ্লিনের ‘১৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন।
১০ মিনিট আগেনীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে সনাতন ধর্মাবলম্বী দুই পরিবারের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আজ রোববার (২০ জুলাই) দুপুরে এ সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষের পর একটি ঘরে অগ্নিসংযোগ ও একটি মন্দির ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে এক পরিবারের পক্ষ অবলম্বন করা আমজাদ হোসেন নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্
১৬ মিনিট আগে