Ajker Patrika

রাজাপুরে পরীক্ষা চলাকালে শ্রেণিকক্ষের ছাদ ধসে ৭ শিক্ষার্থী আহত

ঝালকাঠি প্রতিনিধি  
ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার মঠবাড়ী মোহাম্মাদিয়া দাখিল মাদ্রাসায় আজ রোববার সকালে পরীক্ষা চলাকালে শ্রেণিকক্ষের ছাদ ধসে পড়ে। ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হলেও সংস্কার হয়নি। ছবি: সংগৃহীত
ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার মঠবাড়ী মোহাম্মাদিয়া দাখিল মাদ্রাসায় আজ রোববার সকালে পরীক্ষা চলাকালে শ্রেণিকক্ষের ছাদ ধসে পড়ে। ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হলেও সংস্কার হয়নি। ছবি: সংগৃহীত

ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার মঠবাড়ী মোহাম্মাদিয়া দাখিল মাদ্রাসা ও ছালেহা বেগম এতিমখানায় পরীক্ষা চলাকালে শ্রেণিকক্ষের ছাদ ধসে সাত শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। আজ রোববার সকালে মাদ্রাসার দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষা চলাকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নবম ও দশম শ্রেণির পরীক্ষা চলছিল। এ সময় হঠাৎ ভবনের ছাদের পলেস্তারা ও বিমের অংশ খসে পড়ে। এতে কক্ষে থাকা সাত শিক্ষার্থী আহত হয়। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

পরীক্ষার কেন্দ্রে দায়িত্বরত শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, পরীক্ষা চলাকালে হঠাৎ একাধিক স্থানে ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ে। আহত শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে দ্রুত নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়।

দুর্ঘটনার পরপরই শিক্ষার্থীদের অভিভাবকেরা মাদ্রাসায় ছুটে আসেন। অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ভবনের জীর্ণ অবস্থার কথা বহুবার জানানো হলেও প্রশাসন কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি।

ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার মঠবাড়ী মোহাম্মাদিয়া দাখিল মাদ্রাসায় আজ রোববার সকালে পরীক্ষা চলাকালে শ্রেণিকক্ষের ছাদ ধসে পড়ে। ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হলেও সংস্কার হয়নি। ছবি: সংগৃহীত
ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার মঠবাড়ী মোহাম্মাদিয়া দাখিল মাদ্রাসায় আজ রোববার সকালে পরীক্ষা চলাকালে শ্রেণিকক্ষের ছাদ ধসে পড়ে। ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হলেও সংস্কার হয়নি। ছবি: সংগৃহীত

১৯৮৪ সালে প্রতিষ্ঠিত এই মাদ্রাসায় বর্তমানে প্রায় ৫০০ শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছে। ১৯৯৩-৯৪ অর্থবছরে নির্মিত একতলা ভবনটি বহুদিন ধরেই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। ছাদের ফাটল, দুর্বল পিলার ও প্লাস্টার খসে পড়া—এসব প্রায়ই ঘটে থাকে।

মাদ্রাসার সুপার মো. আব্দুল মন্নান বলেন, ‘বছরের পর বছর আমরা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন করেছি। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা ভবন পরিদর্শন করে ব্যবহার অনুপযোগী ঘোষণা করেছেন। কিন্তু তারপরও কোনো সংস্কার হয়নি, বরাদ্দও আসেনি। আজ শিক্ষার্থীরা আহত হয়েছে। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক।’

এ বিষয়ে রাজাপুরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাহুল চন্দের মোবাইল ফোনে কল করা হলেও তাঁর সাড়া মেলেনি।

শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের ঝালকাঠির সহকারী প্রকৌশলী মো. খাইরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়টি আমি আপনাদের মাধ্যমেই জানতে পেরেছি। সঙ্গে সঙ্গে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে এবং ভবনটি পরিদর্শনের জন্য প্রকৌশলীদের ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত