
করোনায় দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। শনাক্ত হয়েছেন সাত হাজার ২১৩ জন। করোনা সংক্রমণের পর থেকে এটিই মৃত্যু ও শনাক্তের নতুন রেকর্ড। স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ মঙ্গলবার এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
করোনায় এ নিয়ে দেশে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৯ হাজার ৩৮৪ জন। আর মোট শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৬ লাখ ৫১ হাজার ৬৫২ জন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরে প্রথম আক্রান্ত শনাক্তের পর দ্রুত সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে নভেল করোনাভাইরাস। মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয় বিশ্বের অধিকাংশ এলাকা। বাংলাদেশে করোনাভাইরাস প্রথম শনাক্তের খবর জানানো হয় গত ৮ মার্চ। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর প্রথম মৃত্যুর খবর জানায় ১৮ মার্চ।
শুরুর দিকে রোগী শনাক্তের হার কম ছিল। তবে মে মাসের মাঝামাঝি থেকে হার বাড়তে শুরু করে। আগস্টের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত রোগী শনাক্তের হার ২০ শতাংশের ওপরে ছিল।
সংক্রমণ শনাক্ত ৬ লাখ পেরিয়ে যায় গত ১ এপ্রিল। পরদিন ৬ হাজার ৮৩০ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা এক দিনে সর্বোচ্চ।
চলতি বছরের ৩১ মার্চ করোনায় মৃত্যু ৯ হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে গত বছরের ৩০ জুন এক দিনে ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, যা এক দিনে সর্বোচ্চ।
আগস্টের পর মাস দুয়েক সংক্রমণ নিম্নমুখী ছিল। কিন্তু নভেম্বরের শুরুতে বাড়তে থাকে রোগী শনাক্তের হার ও মৃতের সংখ্যা। সবশেষ ডিসেম্বরে সংক্রমণের হার কমলেও এখন সংক্রমণ আরও ঊর্ধ্বমুখী।

করোনায় দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। শনাক্ত হয়েছেন সাত হাজার ২১৩ জন। করোনা সংক্রমণের পর থেকে এটিই মৃত্যু ও শনাক্তের নতুন রেকর্ড। স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ মঙ্গলবার এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
করোনায় এ নিয়ে দেশে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৯ হাজার ৩৮৪ জন। আর মোট শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৬ লাখ ৫১ হাজার ৬৫২ জন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরে প্রথম আক্রান্ত শনাক্তের পর দ্রুত সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে নভেল করোনাভাইরাস। মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয় বিশ্বের অধিকাংশ এলাকা। বাংলাদেশে করোনাভাইরাস প্রথম শনাক্তের খবর জানানো হয় গত ৮ মার্চ। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর প্রথম মৃত্যুর খবর জানায় ১৮ মার্চ।
শুরুর দিকে রোগী শনাক্তের হার কম ছিল। তবে মে মাসের মাঝামাঝি থেকে হার বাড়তে শুরু করে। আগস্টের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত রোগী শনাক্তের হার ২০ শতাংশের ওপরে ছিল।
সংক্রমণ শনাক্ত ৬ লাখ পেরিয়ে যায় গত ১ এপ্রিল। পরদিন ৬ হাজার ৮৩০ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা এক দিনে সর্বোচ্চ।
চলতি বছরের ৩১ মার্চ করোনায় মৃত্যু ৯ হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে গত বছরের ৩০ জুন এক দিনে ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, যা এক দিনে সর্বোচ্চ।
আগস্টের পর মাস দুয়েক সংক্রমণ নিম্নমুখী ছিল। কিন্তু নভেম্বরের শুরুতে বাড়তে থাকে রোগী শনাক্তের হার ও মৃতের সংখ্যা। সবশেষ ডিসেম্বরে সংক্রমণের হার কমলেও এখন সংক্রমণ আরও ঊর্ধ্বমুখী।

করোনায় দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। শনাক্ত হয়েছেন সাত হাজার ২১৩ জন। করোনা সংক্রমণের পর থেকে এটিই মৃত্যু ও শনাক্তের নতুন রেকর্ড। স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ মঙ্গলবার এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
করোনায় এ নিয়ে দেশে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৯ হাজার ৩৮৪ জন। আর মোট শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৬ লাখ ৫১ হাজার ৬৫২ জন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরে প্রথম আক্রান্ত শনাক্তের পর দ্রুত সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে নভেল করোনাভাইরাস। মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয় বিশ্বের অধিকাংশ এলাকা। বাংলাদেশে করোনাভাইরাস প্রথম শনাক্তের খবর জানানো হয় গত ৮ মার্চ। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর প্রথম মৃত্যুর খবর জানায় ১৮ মার্চ।
শুরুর দিকে রোগী শনাক্তের হার কম ছিল। তবে মে মাসের মাঝামাঝি থেকে হার বাড়তে শুরু করে। আগস্টের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত রোগী শনাক্তের হার ২০ শতাংশের ওপরে ছিল।
সংক্রমণ শনাক্ত ৬ লাখ পেরিয়ে যায় গত ১ এপ্রিল। পরদিন ৬ হাজার ৮৩০ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা এক দিনে সর্বোচ্চ।
চলতি বছরের ৩১ মার্চ করোনায় মৃত্যু ৯ হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে গত বছরের ৩০ জুন এক দিনে ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, যা এক দিনে সর্বোচ্চ।
আগস্টের পর মাস দুয়েক সংক্রমণ নিম্নমুখী ছিল। কিন্তু নভেম্বরের শুরুতে বাড়তে থাকে রোগী শনাক্তের হার ও মৃতের সংখ্যা। সবশেষ ডিসেম্বরে সংক্রমণের হার কমলেও এখন সংক্রমণ আরও ঊর্ধ্বমুখী।

করোনায় দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। শনাক্ত হয়েছেন সাত হাজার ২১৩ জন। করোনা সংক্রমণের পর থেকে এটিই মৃত্যু ও শনাক্তের নতুন রেকর্ড। স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ মঙ্গলবার এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
করোনায় এ নিয়ে দেশে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৯ হাজার ৩৮৪ জন। আর মোট শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৬ লাখ ৫১ হাজার ৬৫২ জন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরে প্রথম আক্রান্ত শনাক্তের পর দ্রুত সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে নভেল করোনাভাইরাস। মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয় বিশ্বের অধিকাংশ এলাকা। বাংলাদেশে করোনাভাইরাস প্রথম শনাক্তের খবর জানানো হয় গত ৮ মার্চ। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর প্রথম মৃত্যুর খবর জানায় ১৮ মার্চ।
শুরুর দিকে রোগী শনাক্তের হার কম ছিল। তবে মে মাসের মাঝামাঝি থেকে হার বাড়তে শুরু করে। আগস্টের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত রোগী শনাক্তের হার ২০ শতাংশের ওপরে ছিল।
সংক্রমণ শনাক্ত ৬ লাখ পেরিয়ে যায় গত ১ এপ্রিল। পরদিন ৬ হাজার ৮৩০ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা এক দিনে সর্বোচ্চ।
চলতি বছরের ৩১ মার্চ করোনায় মৃত্যু ৯ হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে গত বছরের ৩০ জুন এক দিনে ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, যা এক দিনে সর্বোচ্চ।
আগস্টের পর মাস দুয়েক সংক্রমণ নিম্নমুখী ছিল। কিন্তু নভেম্বরের শুরুতে বাড়তে থাকে রোগী শনাক্তের হার ও মৃতের সংখ্যা। সবশেষ ডিসেম্বরে সংক্রমণের হার কমলেও এখন সংক্রমণ আরও ঊর্ধ্বমুখী।

ঢাকা ও আশপাশের জেলার সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে আজ বুধবার সকাল থেকে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। আজ সকালে বিজিবি সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।
৮ মিনিট আগে
লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে মেঘনা নদীতে স্থানীয় যুবদল নেতা হেলাল উদ্দিন ও মো. কবির হোসেনের নিয়ন্ত্রণে নির্বিচারে মৎস্য নিধন চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তাঁদের মদদে অবৈধ ‘খচ্ছি জাল’ ব্যবহার করে প্রতিদিন মণকে মণ ঝাটকাসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা মারা পড়ছে।
১৫ মিনিট আগে
গাজীপুর মহানগরীর বাসন ও কাশিমপুর থানা এবং জেলার শ্রীপুর থানা এলাকায় গতকাল মঙ্গলবার গভীর রাতে ও আজ বুধবার ভোর পর্যন্ত সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা তিনটি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। বাস তিনটি সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। তবে হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
১ ঘণ্টা আগে
বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত থেকে জানা গেছে, উপমহাদেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগগুলোর মধ্যে ১৯৭০ সালের ঘূর্ণিঝড়ে স্মরণকালের সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি হয়। অসংখ্য জনপদ বিরানভূমিতে পরিণত হয়। উত্তাল মেঘনা নদী এবং তার শাখা-প্রশাখা রূপান্তরিত হয়েছিল লাশের ভাগাড়ে। সে এক ভয়াল দৃশ্য।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ঢাকা ও আশপাশের জেলার সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে আজ বুধবার সকাল থেকে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। আজ সকালে বিজিবি সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজিবি জনসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম জানান, সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রাজধানীতে ১২ প্লাটুন এবং ঢাকার বাইরে আরও ২ প্লাটুনসহ মোট ১৪ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
পরবর্তী নির্দেশনার আগ পর্যন্ত বিজিবি মোতায়েন থাকবে বলে জানান তিনি।
এরই অংশ হিসেবে আজ সকাল থেকে হাইকোর্ট, বাংলা একাডেমি ও হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়সহ রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও স্থাপনার সামনে বিজিবি সদস্যদের অবস্থান নিতে দেখা গেছে।
একইভাবে আজ ভোর থেকে রাজধানীর প্রধান প্রধান সড়কের বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও র্যাব সদস্যদের অবস্থান নিতে দেখা গেছে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আগামীকাল ১৩ নভেম্বর মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মামলার রায় ঘোষণার তারিখ জানাবেন। এ কারণে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ওই দিন ‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সম্ভাব্য নাশকতা ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
তবে নাশকতাকারীদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, আসন্ন ১৩ নভেম্বরকে সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ‘শক্ত অবস্থানে’ রয়েছে এবং কোনো ধরনের সন্ত্রাসীকে ছাড় দেওয়া হবে না।
সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থানে যানবাহনে আগুন দেওয়ার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রাস্তার পাশে জ্বালানি তেল বিক্রি বন্ধের সিদ্ধান্তের কথা জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, ‘রাস্তার পাশে তেল বিক্রি কিছুদিনের জন্য বন্ধ থাকবে। এই তেল দিয়ে অনেক সময় বিভিন্ন ধরনের অঘটন ঘটিয়ে ফেলে।’
তিনি ইঙ্গিত দেন, এই তেল ব্যবহার করেই নাশকতামূলক অগ্নিকাণ্ড ঘটানো হচ্ছে।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, সাম্প্রতিক অগ্নিসংযোগ ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় গোয়েন্দাদের কোনো ব্যর্থতা নেই। তাঁর মন্তব্য, ‘বড় ধরনের কোনো মিছিল হচ্ছে না। বাসে আগুন ও কয়েকটা জায়গায় ককটেল বিস্ফোরণ হয়েছে। এগুলো যাতে আর ঘটাতে না পারে, সে বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
এ সময় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও জনবহুল স্থানগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করার কথা উল্লেখ করেন তিনি। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল, মেট্রোরেল ও রেলওয়ে এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের কথা জানান উপদেষ্টা।
এ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘১৩ নভেম্বরের ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী শক্ত অবস্থান নিয়েছে। তারা শক্ত অবস্থানে থাকবে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকবে। কোনো আশঙ্কা এখানে নেই।’
তিনি জনগণের প্রতি সন্দেহভাজন কাউকে দেখলে সঙ্গে সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানানোর অনুরোধ করেন। উপদেষ্টা স্পষ্টভাবে বলেন, ‘সন্ত্রাসীদের কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না।’
এদিকে আগামী ১৩ নভেম্বর ‘ঢাকা লকডাউন’ ঘিরে নাগরিকদের আতঙ্কিত না হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাদ আলী। মঙ্গলবার বিকেলে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত ঢাকা মহানগরীর চলমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সংক্রান্ত বিষয়ে এক ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, কোনো আশঙ্কা নেই এবং চিন্তার কোনো কারণ নেই। ঢাকাবাসী আওয়ামী লীগের তৎপরতা রুখে দেবে। ওই দিন বিপুলসংখ্যক পুলিশ সদস্যসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ঢাকায় মোতায়েন থাকবে। ঢাকাবাসী যাতে আতঙ্ক না হয়, সে জন্য সবাইকে এই বার্তা দিতে চান বলেও জানান ডিএমপি কমিশনার।

ঢাকা ও আশপাশের জেলার সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে আজ বুধবার সকাল থেকে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। আজ সকালে বিজিবি সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজিবি জনসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম জানান, সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রাজধানীতে ১২ প্লাটুন এবং ঢাকার বাইরে আরও ২ প্লাটুনসহ মোট ১৪ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
পরবর্তী নির্দেশনার আগ পর্যন্ত বিজিবি মোতায়েন থাকবে বলে জানান তিনি।
এরই অংশ হিসেবে আজ সকাল থেকে হাইকোর্ট, বাংলা একাডেমি ও হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়সহ রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও স্থাপনার সামনে বিজিবি সদস্যদের অবস্থান নিতে দেখা গেছে।
একইভাবে আজ ভোর থেকে রাজধানীর প্রধান প্রধান সড়কের বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও র্যাব সদস্যদের অবস্থান নিতে দেখা গেছে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আগামীকাল ১৩ নভেম্বর মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মামলার রায় ঘোষণার তারিখ জানাবেন। এ কারণে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ওই দিন ‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সম্ভাব্য নাশকতা ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
তবে নাশকতাকারীদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, আসন্ন ১৩ নভেম্বরকে সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ‘শক্ত অবস্থানে’ রয়েছে এবং কোনো ধরনের সন্ত্রাসীকে ছাড় দেওয়া হবে না।
সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থানে যানবাহনে আগুন দেওয়ার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রাস্তার পাশে জ্বালানি তেল বিক্রি বন্ধের সিদ্ধান্তের কথা জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, ‘রাস্তার পাশে তেল বিক্রি কিছুদিনের জন্য বন্ধ থাকবে। এই তেল দিয়ে অনেক সময় বিভিন্ন ধরনের অঘটন ঘটিয়ে ফেলে।’
তিনি ইঙ্গিত দেন, এই তেল ব্যবহার করেই নাশকতামূলক অগ্নিকাণ্ড ঘটানো হচ্ছে।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, সাম্প্রতিক অগ্নিসংযোগ ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় গোয়েন্দাদের কোনো ব্যর্থতা নেই। তাঁর মন্তব্য, ‘বড় ধরনের কোনো মিছিল হচ্ছে না। বাসে আগুন ও কয়েকটা জায়গায় ককটেল বিস্ফোরণ হয়েছে। এগুলো যাতে আর ঘটাতে না পারে, সে বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
এ সময় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও জনবহুল স্থানগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করার কথা উল্লেখ করেন তিনি। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল, মেট্রোরেল ও রেলওয়ে এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের কথা জানান উপদেষ্টা।
এ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘১৩ নভেম্বরের ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী শক্ত অবস্থান নিয়েছে। তারা শক্ত অবস্থানে থাকবে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকবে। কোনো আশঙ্কা এখানে নেই।’
তিনি জনগণের প্রতি সন্দেহভাজন কাউকে দেখলে সঙ্গে সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানানোর অনুরোধ করেন। উপদেষ্টা স্পষ্টভাবে বলেন, ‘সন্ত্রাসীদের কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না।’
এদিকে আগামী ১৩ নভেম্বর ‘ঢাকা লকডাউন’ ঘিরে নাগরিকদের আতঙ্কিত না হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাদ আলী। মঙ্গলবার বিকেলে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত ঢাকা মহানগরীর চলমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সংক্রান্ত বিষয়ে এক ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, কোনো আশঙ্কা নেই এবং চিন্তার কোনো কারণ নেই। ঢাকাবাসী আওয়ামী লীগের তৎপরতা রুখে দেবে। ওই দিন বিপুলসংখ্যক পুলিশ সদস্যসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ঢাকায় মোতায়েন থাকবে। ঢাকাবাসী যাতে আতঙ্ক না হয়, সে জন্য সবাইকে এই বার্তা দিতে চান বলেও জানান ডিএমপি কমিশনার।

করোনায় দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। শনাক্ত হয়েছেন সাত হাজার ২১৩ জন। করোনা সংক্রমণের পর থেকে এটিই মৃত্যু ও শনাক্তের নতুন রেকর্ড।
০৬ এপ্রিল ২০২১
লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে মেঘনা নদীতে স্থানীয় যুবদল নেতা হেলাল উদ্দিন ও মো. কবির হোসেনের নিয়ন্ত্রণে নির্বিচারে মৎস্য নিধন চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তাঁদের মদদে অবৈধ ‘খচ্ছি জাল’ ব্যবহার করে প্রতিদিন মণকে মণ ঝাটকাসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা মারা পড়ছে।
১৫ মিনিট আগে
গাজীপুর মহানগরীর বাসন ও কাশিমপুর থানা এবং জেলার শ্রীপুর থানা এলাকায় গতকাল মঙ্গলবার গভীর রাতে ও আজ বুধবার ভোর পর্যন্ত সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা তিনটি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। বাস তিনটি সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। তবে হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
১ ঘণ্টা আগে
বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত থেকে জানা গেছে, উপমহাদেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগগুলোর মধ্যে ১৯৭০ সালের ঘূর্ণিঝড়ে স্মরণকালের সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি হয়। অসংখ্য জনপদ বিরানভূমিতে পরিণত হয়। উত্তাল মেঘনা নদী এবং তার শাখা-প্রশাখা রূপান্তরিত হয়েছিল লাশের ভাগাড়ে। সে এক ভয়াল দৃশ্য।
২ ঘণ্টা আগেকমলনগর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি

লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে মেঘনা নদীতে স্থানীয় যুবদল নেতা হেলাল উদ্দিন ও মো. কবির হোসেনের নিয়ন্ত্রণে নির্বিচারে মৎস্য নিধন চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তাঁদের মদদে অবৈধ ‘খচ্ছি জাল’ ব্যবহার করে প্রতিদিন মণকে মণ ঝাটকাসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা মারা পড়ছে। এর ফলে নদীর জীববৈচিত্র্য ও ইলিশের অভয়াশ্রম মারাত্মক হুমকির মুখে পড়ছে।
অভিযোগ রয়েছে, যুবদল নেতা হেলাল সাহেবের হাট ও মাতাব্বর হাট এলাকায় একটি জেলে বাহিনীকে মদদ দেন। অভিযুক্ত হেলাল সাহেবের হাট ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি ও স্থানীয় ইউপি সদস্য। এই বাহিনী বিশেষ কায়দায় জোয়ার-ভাটার গতিপথে অবৈধ ‘খচ্ছি জাল’ পেতে নির্বিচারে মৎস্য সম্পদ নিধন করছে।
মতিরহাট এলাকায় যুবদল নেতা মো. কবির হোসেন এই অবৈধ কাজের নিয়ন্ত্রণ করেন। তিনি উপজেলা যুবদলের সদস্য। কালকিনি ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. আব্দুল খালেক নিশ্চিত করেন যে আক্কাস মাঝির নেতৃত্বে যে পাঁচটি নৌকায় মাছ ধরা হয়, তার পুরো নিয়ন্ত্রণ কবিরের হাতে। তিনি বলেন, তাদেরকে দিয়ে চুক্তিতে মাছ ধরানো হয় এবং প্রশাসনিক সকল ‘টেবিল ম্যানেজ’ করেন কবির।
মেঘনা নদীতে গিয়ে দেখা যায় এক ভয়াবহ চিত্র। মাতাব্বর হাটসহ আশেপাশে জেগে ওঠা চরে পাতা হয়েছে অবৈধ খচ্ছি জালের ফাঁদ। যত দূর চোখ যায়, খুঁটি আর জালে ঘেরা সেই দৃশ্য। বিস্তীর্ণ চরের চারপাশে মাটিতে পোঁতা হয়েছে শত শত খুঁটি, যার সঙ্গে বাঁধা রয়েছে মশারি জালের মতো বিশেষ জাল।
জোয়ারের সময় এই ফাঁদ পাতা জাল ডুবে যায়। কিন্তু ভাটা শুরু হতেই যখন চরের পানি নেমে যেতে থাকে, তখন জালগুলোতে আটকা পড়ে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। এ সময় মণকে মণ মাছের পোনা ও জলজ উদ্ভিদ নির্বিচারে ধ্বংস হয়।
কমলনগরের মেঘনা নদী ইলিশের একটি গুরুত্বপূর্ণ অভয়াশ্রম। এখানেই মা ইলিশ ডিম ছাড়ে, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত বেড়ে ওঠার আগেই খচ্ছি জালের ফাঁদে আটকে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে ইলিশের সেই পোনাগুলো। এই ধ্বংসযজ্ঞ চলতে থাকলে সরকারের ‘মা ইলিশ রক্ষা’ এবং ‘জাটকা রক্ষা অভিযান’ কোনোভাবেই সফল হবে না। দিনি দিন ইলিশসহ মাছের উৎপাদন কমতে থাকবে।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, মেঘনার বুকে জেগে ওঠা প্রায় দুই-তিন কিলোমিটার চরজুড়ে এই অবৈধ জালের ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে। এই ফাঁদে আটকা পড়া বড় মাছ জেলেরা সংগ্রহ করলেও বাকি মাছের পোনাগুলো চরের কাদামাটিতে আটকা পড়ে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।
মাছঘাট দখল ও চাঁদাবাজির কারণে হেলালকে দল থেকে বহিষ্কার করা হলেও পরে তিনি ‘রহস্যজনকভাবে’ নিজ পদে ফিরে আসেন এবং এর পর থেকে আরও বেপরোয়াভাবে এসব অবৈধ কর্মকাণ্ড চালাচ্ছেন।
অভিযোগ রয়েছে, এই যুবদল নেতারা মোটা অঙ্কের টাকায় বিভিন্ন টেবিল ম্যানেজ করে এসব করছেন। সাধারণ জেলেরা জানিয়েছেন, ‘নেতারা দল ও গায়ের জোরে নদীতে অবৈধ জাল দিয়ে মাছ মারছেন। আমরা ভয়ে মুখ খুলতে পারছি না। প্রতিবাদ করলে বিপদ।’
অবৈধ জালে মাছ ধ্বংসের বিষয়ে জানতে চাইলে যুবদল নেতা হেলাল মেম্বার সরাসরি কোনো উত্তর না দিয়ে বলেন, ‘আপনাদের সঙ্গে পরে একজন কথা বলবে।’ যুবদল নেতা কবির হোসেন তাঁর সম্পৃক্ততা অস্বীকার করে বলেন, ‘আমি কোনো মাছের ব্যবসা করি না, আমি কিছুই জানি না।’
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা তূর্য সাহা বলেন, ‘আমি ছুটিতে ছিলাম। এসেই বিষয়টি জানতে পেরে তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়েছি। এরই মধ্যে জালের বেশ কিছু খুঁটি অপসারণ করা হয়েছে। প্রয়োজনে আবারও অভিযান দিয়ে পুরোটা অপসারণ করা হবে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রাহাত উজ জামান বলেন, ‘যুবদল নেতার বিষয়ে অভিযোগ শুনেছি। মৎস্য কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে এবং আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’
সচেতন মহল অবিলম্বে এই অবৈধ খচ্ছি জাল বন্ধের দাবি জানিয়েছেন। তারা বলছেন, এই ধ্বংসযজ্ঞ চলতে থাকলে ইলিশসহ অন্যান্য মাছের উৎপাদন ব্যাপকভাবে কমে যাবে এবং সরকারের মা ইলিশ রক্ষা ও জাটকা রক্ষা অভিযান সফল হবে না। মৎস্য খাতকে রক্ষায় এই চক্রের মূল হোতাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন।

লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে মেঘনা নদীতে স্থানীয় যুবদল নেতা হেলাল উদ্দিন ও মো. কবির হোসেনের নিয়ন্ত্রণে নির্বিচারে মৎস্য নিধন চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তাঁদের মদদে অবৈধ ‘খচ্ছি জাল’ ব্যবহার করে প্রতিদিন মণকে মণ ঝাটকাসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা মারা পড়ছে। এর ফলে নদীর জীববৈচিত্র্য ও ইলিশের অভয়াশ্রম মারাত্মক হুমকির মুখে পড়ছে।
অভিযোগ রয়েছে, যুবদল নেতা হেলাল সাহেবের হাট ও মাতাব্বর হাট এলাকায় একটি জেলে বাহিনীকে মদদ দেন। অভিযুক্ত হেলাল সাহেবের হাট ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি ও স্থানীয় ইউপি সদস্য। এই বাহিনী বিশেষ কায়দায় জোয়ার-ভাটার গতিপথে অবৈধ ‘খচ্ছি জাল’ পেতে নির্বিচারে মৎস্য সম্পদ নিধন করছে।
মতিরহাট এলাকায় যুবদল নেতা মো. কবির হোসেন এই অবৈধ কাজের নিয়ন্ত্রণ করেন। তিনি উপজেলা যুবদলের সদস্য। কালকিনি ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. আব্দুল খালেক নিশ্চিত করেন যে আক্কাস মাঝির নেতৃত্বে যে পাঁচটি নৌকায় মাছ ধরা হয়, তার পুরো নিয়ন্ত্রণ কবিরের হাতে। তিনি বলেন, তাদেরকে দিয়ে চুক্তিতে মাছ ধরানো হয় এবং প্রশাসনিক সকল ‘টেবিল ম্যানেজ’ করেন কবির।
মেঘনা নদীতে গিয়ে দেখা যায় এক ভয়াবহ চিত্র। মাতাব্বর হাটসহ আশেপাশে জেগে ওঠা চরে পাতা হয়েছে অবৈধ খচ্ছি জালের ফাঁদ। যত দূর চোখ যায়, খুঁটি আর জালে ঘেরা সেই দৃশ্য। বিস্তীর্ণ চরের চারপাশে মাটিতে পোঁতা হয়েছে শত শত খুঁটি, যার সঙ্গে বাঁধা রয়েছে মশারি জালের মতো বিশেষ জাল।
জোয়ারের সময় এই ফাঁদ পাতা জাল ডুবে যায়। কিন্তু ভাটা শুরু হতেই যখন চরের পানি নেমে যেতে থাকে, তখন জালগুলোতে আটকা পড়ে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। এ সময় মণকে মণ মাছের পোনা ও জলজ উদ্ভিদ নির্বিচারে ধ্বংস হয়।
কমলনগরের মেঘনা নদী ইলিশের একটি গুরুত্বপূর্ণ অভয়াশ্রম। এখানেই মা ইলিশ ডিম ছাড়ে, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত বেড়ে ওঠার আগেই খচ্ছি জালের ফাঁদে আটকে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে ইলিশের সেই পোনাগুলো। এই ধ্বংসযজ্ঞ চলতে থাকলে সরকারের ‘মা ইলিশ রক্ষা’ এবং ‘জাটকা রক্ষা অভিযান’ কোনোভাবেই সফল হবে না। দিনি দিন ইলিশসহ মাছের উৎপাদন কমতে থাকবে।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, মেঘনার বুকে জেগে ওঠা প্রায় দুই-তিন কিলোমিটার চরজুড়ে এই অবৈধ জালের ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে। এই ফাঁদে আটকা পড়া বড় মাছ জেলেরা সংগ্রহ করলেও বাকি মাছের পোনাগুলো চরের কাদামাটিতে আটকা পড়ে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।
মাছঘাট দখল ও চাঁদাবাজির কারণে হেলালকে দল থেকে বহিষ্কার করা হলেও পরে তিনি ‘রহস্যজনকভাবে’ নিজ পদে ফিরে আসেন এবং এর পর থেকে আরও বেপরোয়াভাবে এসব অবৈধ কর্মকাণ্ড চালাচ্ছেন।
অভিযোগ রয়েছে, এই যুবদল নেতারা মোটা অঙ্কের টাকায় বিভিন্ন টেবিল ম্যানেজ করে এসব করছেন। সাধারণ জেলেরা জানিয়েছেন, ‘নেতারা দল ও গায়ের জোরে নদীতে অবৈধ জাল দিয়ে মাছ মারছেন। আমরা ভয়ে মুখ খুলতে পারছি না। প্রতিবাদ করলে বিপদ।’
অবৈধ জালে মাছ ধ্বংসের বিষয়ে জানতে চাইলে যুবদল নেতা হেলাল মেম্বার সরাসরি কোনো উত্তর না দিয়ে বলেন, ‘আপনাদের সঙ্গে পরে একজন কথা বলবে।’ যুবদল নেতা কবির হোসেন তাঁর সম্পৃক্ততা অস্বীকার করে বলেন, ‘আমি কোনো মাছের ব্যবসা করি না, আমি কিছুই জানি না।’
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা তূর্য সাহা বলেন, ‘আমি ছুটিতে ছিলাম। এসেই বিষয়টি জানতে পেরে তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়েছি। এরই মধ্যে জালের বেশ কিছু খুঁটি অপসারণ করা হয়েছে। প্রয়োজনে আবারও অভিযান দিয়ে পুরোটা অপসারণ করা হবে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রাহাত উজ জামান বলেন, ‘যুবদল নেতার বিষয়ে অভিযোগ শুনেছি। মৎস্য কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে এবং আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’
সচেতন মহল অবিলম্বে এই অবৈধ খচ্ছি জাল বন্ধের দাবি জানিয়েছেন। তারা বলছেন, এই ধ্বংসযজ্ঞ চলতে থাকলে ইলিশসহ অন্যান্য মাছের উৎপাদন ব্যাপকভাবে কমে যাবে এবং সরকারের মা ইলিশ রক্ষা ও জাটকা রক্ষা অভিযান সফল হবে না। মৎস্য খাতকে রক্ষায় এই চক্রের মূল হোতাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন।

করোনায় দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। শনাক্ত হয়েছেন সাত হাজার ২১৩ জন। করোনা সংক্রমণের পর থেকে এটিই মৃত্যু ও শনাক্তের নতুন রেকর্ড।
০৬ এপ্রিল ২০২১
ঢাকা ও আশপাশের জেলার সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে আজ বুধবার সকাল থেকে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। আজ সকালে বিজিবি সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।
৮ মিনিট আগে
গাজীপুর মহানগরীর বাসন ও কাশিমপুর থানা এবং জেলার শ্রীপুর থানা এলাকায় গতকাল মঙ্গলবার গভীর রাতে ও আজ বুধবার ভোর পর্যন্ত সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা তিনটি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। বাস তিনটি সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। তবে হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
১ ঘণ্টা আগে
বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত থেকে জানা গেছে, উপমহাদেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগগুলোর মধ্যে ১৯৭০ সালের ঘূর্ণিঝড়ে স্মরণকালের সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি হয়। অসংখ্য জনপদ বিরানভূমিতে পরিণত হয়। উত্তাল মেঘনা নদী এবং তার শাখা-প্রশাখা রূপান্তরিত হয়েছিল লাশের ভাগাড়ে। সে এক ভয়াল দৃশ্য।
২ ঘণ্টা আগেগাজীপুর প্রতিনিধি

গাজীপুর মহানগরীর বাসন ও কাশিমপুর থানা এবং জেলার শ্রীপুর থানা এলাকায় গতকাল মঙ্গলবার গভীর রাতে ও আজ বুধবার ভোর পর্যন্ত সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা তিনটি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। বাস তিনটি সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। তবে হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, আজ বুধবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে মহানগরীর বাসন থানাধীন ভোগড়া বাইপাস সংলগ্ন পেয়ারা বাগান এলাকায় ভিআইপি পরিবহনের একটি বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ভিআইপি পরিবহনের বাসটিতে কয়েকজন অজ্ঞাতপরিচয় দুর্বৃত্ত পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে পালিয়ে যায়।
স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেন, ঘটনাস্থলের কাছেই ফায়ার সার্ভিসের একটি স্টেশন থাকলেও আগুন লাগার পর সদস্যরা সময়মতো আগুন নিয়ন্ত্রণে এগিয়ে আসেননি।
তবে মডার্ন ফায়ার স্টেশন, ভোগড়ার স্টেশন অফিসার ইকবাল হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আগুন লাগার খবর পেয়ে আমরা নিরাপত্তার স্বার্থে প্রথমে পুলিশকে জানাই। পরে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস একসঙ্গে ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।’
তিনি আরও জানান, আগুন দেওয়ার সময় বাসে কোনো লোক ছিল না। ধারণা করা হচ্ছে, রাতে বাসটি সড়কের পাশে পার্ক করা ছিল।
এ ছাড়া গাজীপুরের শ্রীপুর থানাধীন বেড়াইদের চালা এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা একটি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। আজ ভোর ৪টা ৫০ মিনিটের দিকে বাসটিতে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে শ্রীপুর ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।

গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মামুন জানান, আগুনে বাসটির ইঞ্জিন ও সিট পুড়ে গেছে।
অন্যদিকে একই রাতে গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুর থানাধীন কালিয়াকৈর-নবীনগর সড়কের চক্রবর্তী এলাকায় রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা আরেকটি বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জ্যোতি ফিলিং স্টেশনের সামনে একটি যাত্রীবাহী বাস দাঁড়িয়ে ছিল। এ সময় একজন মিস্ত্রি বাসের নিচে শুয়ে মেরামতের কাজ করছিলেন। ঠিক তখনই একটি মোটরসাইকেলে করে দুই যুবক এসে বাসের পাশে থামে এবং মুহূর্তের মধ্যে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয় বাসিন্দারা দ্রুত এগিয়ে এসে আগুন নেভাতে সক্ষম হন। ফলে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি বা প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। তবে আগুনে বাসটির আসন ও কিছু যন্ত্রাংশ পুড়ে যায়। খবর পেয়ে কাশিমপুর থানা-পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
কাশিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, মঙ্গলবার রাতে দুর্বৃত্তরা মোটরসাইকেল নিয়ে এসে বাসটিতে আগুন ধরিয়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এতে কোনো প্রাণহানি হয়নি, তবে বাসের আংশিক ক্ষতি হয়েছে।
মনিরুজ্জামান জানান, ঘটনাটির তদন্ত চলছে এবং অগ্নিসংযোগকারীদের শনাক্তে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

গাজীপুর মহানগরীর বাসন ও কাশিমপুর থানা এবং জেলার শ্রীপুর থানা এলাকায় গতকাল মঙ্গলবার গভীর রাতে ও আজ বুধবার ভোর পর্যন্ত সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা তিনটি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। বাস তিনটি সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। তবে হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, আজ বুধবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে মহানগরীর বাসন থানাধীন ভোগড়া বাইপাস সংলগ্ন পেয়ারা বাগান এলাকায় ভিআইপি পরিবহনের একটি বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ভিআইপি পরিবহনের বাসটিতে কয়েকজন অজ্ঞাতপরিচয় দুর্বৃত্ত পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে পালিয়ে যায়।
স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেন, ঘটনাস্থলের কাছেই ফায়ার সার্ভিসের একটি স্টেশন থাকলেও আগুন লাগার পর সদস্যরা সময়মতো আগুন নিয়ন্ত্রণে এগিয়ে আসেননি।
তবে মডার্ন ফায়ার স্টেশন, ভোগড়ার স্টেশন অফিসার ইকবাল হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আগুন লাগার খবর পেয়ে আমরা নিরাপত্তার স্বার্থে প্রথমে পুলিশকে জানাই। পরে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস একসঙ্গে ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।’
তিনি আরও জানান, আগুন দেওয়ার সময় বাসে কোনো লোক ছিল না। ধারণা করা হচ্ছে, রাতে বাসটি সড়কের পাশে পার্ক করা ছিল।
এ ছাড়া গাজীপুরের শ্রীপুর থানাধীন বেড়াইদের চালা এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা একটি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। আজ ভোর ৪টা ৫০ মিনিটের দিকে বাসটিতে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে শ্রীপুর ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।

গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মামুন জানান, আগুনে বাসটির ইঞ্জিন ও সিট পুড়ে গেছে।
অন্যদিকে একই রাতে গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুর থানাধীন কালিয়াকৈর-নবীনগর সড়কের চক্রবর্তী এলাকায় রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা আরেকটি বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জ্যোতি ফিলিং স্টেশনের সামনে একটি যাত্রীবাহী বাস দাঁড়িয়ে ছিল। এ সময় একজন মিস্ত্রি বাসের নিচে শুয়ে মেরামতের কাজ করছিলেন। ঠিক তখনই একটি মোটরসাইকেলে করে দুই যুবক এসে বাসের পাশে থামে এবং মুহূর্তের মধ্যে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয় বাসিন্দারা দ্রুত এগিয়ে এসে আগুন নেভাতে সক্ষম হন। ফলে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি বা প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। তবে আগুনে বাসটির আসন ও কিছু যন্ত্রাংশ পুড়ে যায়। খবর পেয়ে কাশিমপুর থানা-পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
কাশিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, মঙ্গলবার রাতে দুর্বৃত্তরা মোটরসাইকেল নিয়ে এসে বাসটিতে আগুন ধরিয়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এতে কোনো প্রাণহানি হয়নি, তবে বাসের আংশিক ক্ষতি হয়েছে।
মনিরুজ্জামান জানান, ঘটনাটির তদন্ত চলছে এবং অগ্নিসংযোগকারীদের শনাক্তে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

করোনায় দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। শনাক্ত হয়েছেন সাত হাজার ২১৩ জন। করোনা সংক্রমণের পর থেকে এটিই মৃত্যু ও শনাক্তের নতুন রেকর্ড।
০৬ এপ্রিল ২০২১
ঢাকা ও আশপাশের জেলার সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে আজ বুধবার সকাল থেকে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। আজ সকালে বিজিবি সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।
৮ মিনিট আগে
লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে মেঘনা নদীতে স্থানীয় যুবদল নেতা হেলাল উদ্দিন ও মো. কবির হোসেনের নিয়ন্ত্রণে নির্বিচারে মৎস্য নিধন চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তাঁদের মদদে অবৈধ ‘খচ্ছি জাল’ ব্যবহার করে প্রতিদিন মণকে মণ ঝাটকাসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা মারা পড়ছে।
১৫ মিনিট আগে
বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত থেকে জানা গেছে, উপমহাদেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগগুলোর মধ্যে ১৯৭০ সালের ঘূর্ণিঝড়ে স্মরণকালের সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি হয়। অসংখ্য জনপদ বিরানভূমিতে পরিণত হয়। উত্তাল মেঘনা নদী এবং তার শাখা-প্রশাখা রূপান্তরিত হয়েছিল লাশের ভাগাড়ে। সে এক ভয়াল দৃশ্য।
২ ঘণ্টা আগেশিমুল চৌধুরী, ভোলা

আজ সেই ভয়াল ১২ নভেম্বর। বাংলাদেশের উপকূলবাসীর জীবনে ইতিহাসের এক শোকাবহ, বেদনাদায়ক ও বিভীষিকাময় দুঃস্বপ্নের দিন। ১৯৭০ সালের এই দিনে ১২ নম্বর মহাবিপৎসংকেত নিয়ে ধেয়ে আসা প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে লন্ডভন্ড হয়ে যায় উপকূলীয় দ্বীপ জেলা ভোলার জনজীবন। দিনটি স্মরণে আজ (১২ নভেম্বর) সকালে ভোলা প্রেসক্লাবে বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।
বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত থেকে জানা গেছে, উপমহাদেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগগুলোর মধ্যে ১৯৭০ সালের ঘূর্ণিঝড়ে স্মরণকালের সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি হয়। অসংখ্য জনপদ বিরানভূমিতে পরিণত হয়। স্বাধীনতার পর যে কয়টি ঘূর্ণিঝড় হয়েছে, তার মধ্যে ১৯৭০-এর ঘূর্ণিঝড় সবচেয়ে ভয়াবহ ও হিংস্র ছিল বলে মনে করেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
জলোচ্ছ্বাসের পর দেড় মাস ধরে স্বজন হারানোর কান্নায় উপকূলের আকাশ-বাতাস ভারী হয়ে উঠেছিল। উত্তাল মেঘনা নদী এবং তার শাখা-প্রশাখা রূপান্তরিত হয়েছিল লাশের ভাগাড়ে।
১৯৭০ সালের সেই ভয়াল দিনের স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে নাজিউর রহমান ডিগ্রি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এম ফারুকুর রহমান (৮২) বলেন, ‘১১ নভেম্বর সকাল থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে থাকে। পরদিন ১২ নভেম্বর আবহাওয়া আরও খারাপ হয়। রাত ১২টার পর থেকে প্রবল ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস শুরু হলো। আমার বাড়ির উঠানে প্রায় বুকসমান পানি ছিল।’
ফারুকুর রহমান আরও বলেন, পরদিন সকালে পানি কমলেও বেড়েছিল মানুষের আহাজারি। ভোলা সদর সড়কেও ছিল হাঁটুসমান পানি। বিভিন্ন গাছে মানুষের লাশ আর মৃত পশুপাখি ঝুলতে দেখা গেছে। কয়েক মাস মানুষ কোনো মাছ খায়নি।
প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়ের এই দিনকে প্রতিবছর ‘উপকূল দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়। উপকূলবাসী দীর্ঘদিন ধরে এই দিবসের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবি জানিয়ে আসছে।
কোস্টাল জার্নালিজম নেটওয়ার্ক (সিজেনেট) এবং চেঞ্জ ইনিশিয়েটিভের উদ্যোগে উপকূলের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় একযোগে উপকূল দিবস পালিত হচ্ছে। উপকূল দিবস বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী, উপকূল সাংবাদিক হিসেবে পরিচিত রফিকুল ইসলাম মন্টু বলেন, উপকূলবাসীর জীবনমান উন্নয়ন ঘটানোই এই দিবসের লক্ষ্য।
ভোলা জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা সৈয়দ মো. আজিম উদ্দিন জানান, ১৯৭০ সালে দুর্যোগকালে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র এবং আধুনিক সিগন্যাল ব্যবস্থা দুর্বল ছিল। তাই মানুষ ভালোভাবে প্রস্তুতি নিতে পারেনি এবং সচেতনতার অভাব ছিল। যার ফলে প্রাণহানি বেশি হয়।
আজিম উদ্দিন বলেন, এখন দেশে আধুনিক সিগন্যাল ব্যবস্থা ও ডিজিটাল তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার করা হচ্ছে এবং মানুষ আগের তুলনায় অনেক বেশি সচেতন। ভোলায়ও পর্যাপ্ত ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে।
আজিম উদ্দিন আরও বলেন, ভোলায় বর্তমানে ২২টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রের কাজ প্রায় সম্পন্ন। এ ছাড়া নতুন করে আরও ১২টি আশ্রয়কেন্দ্র দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্মাণ করা হবে। এই কেন্দ্রগুলো নির্মিত হলে উপকূলীয় এলাকার বহু মানুষ ও গবাদিপশু আশ্রয় নিতে পারবে।

আজ সেই ভয়াল ১২ নভেম্বর। বাংলাদেশের উপকূলবাসীর জীবনে ইতিহাসের এক শোকাবহ, বেদনাদায়ক ও বিভীষিকাময় দুঃস্বপ্নের দিন। ১৯৭০ সালের এই দিনে ১২ নম্বর মহাবিপৎসংকেত নিয়ে ধেয়ে আসা প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে লন্ডভন্ড হয়ে যায় উপকূলীয় দ্বীপ জেলা ভোলার জনজীবন। দিনটি স্মরণে আজ (১২ নভেম্বর) সকালে ভোলা প্রেসক্লাবে বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।
বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত থেকে জানা গেছে, উপমহাদেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগগুলোর মধ্যে ১৯৭০ সালের ঘূর্ণিঝড়ে স্মরণকালের সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি হয়। অসংখ্য জনপদ বিরানভূমিতে পরিণত হয়। স্বাধীনতার পর যে কয়টি ঘূর্ণিঝড় হয়েছে, তার মধ্যে ১৯৭০-এর ঘূর্ণিঝড় সবচেয়ে ভয়াবহ ও হিংস্র ছিল বলে মনে করেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
জলোচ্ছ্বাসের পর দেড় মাস ধরে স্বজন হারানোর কান্নায় উপকূলের আকাশ-বাতাস ভারী হয়ে উঠেছিল। উত্তাল মেঘনা নদী এবং তার শাখা-প্রশাখা রূপান্তরিত হয়েছিল লাশের ভাগাড়ে।
১৯৭০ সালের সেই ভয়াল দিনের স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে নাজিউর রহমান ডিগ্রি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এম ফারুকুর রহমান (৮২) বলেন, ‘১১ নভেম্বর সকাল থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে থাকে। পরদিন ১২ নভেম্বর আবহাওয়া আরও খারাপ হয়। রাত ১২টার পর থেকে প্রবল ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস শুরু হলো। আমার বাড়ির উঠানে প্রায় বুকসমান পানি ছিল।’
ফারুকুর রহমান আরও বলেন, পরদিন সকালে পানি কমলেও বেড়েছিল মানুষের আহাজারি। ভোলা সদর সড়কেও ছিল হাঁটুসমান পানি। বিভিন্ন গাছে মানুষের লাশ আর মৃত পশুপাখি ঝুলতে দেখা গেছে। কয়েক মাস মানুষ কোনো মাছ খায়নি।
প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়ের এই দিনকে প্রতিবছর ‘উপকূল দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়। উপকূলবাসী দীর্ঘদিন ধরে এই দিবসের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবি জানিয়ে আসছে।
কোস্টাল জার্নালিজম নেটওয়ার্ক (সিজেনেট) এবং চেঞ্জ ইনিশিয়েটিভের উদ্যোগে উপকূলের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় একযোগে উপকূল দিবস পালিত হচ্ছে। উপকূল দিবস বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী, উপকূল সাংবাদিক হিসেবে পরিচিত রফিকুল ইসলাম মন্টু বলেন, উপকূলবাসীর জীবনমান উন্নয়ন ঘটানোই এই দিবসের লক্ষ্য।
ভোলা জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা সৈয়দ মো. আজিম উদ্দিন জানান, ১৯৭০ সালে দুর্যোগকালে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র এবং আধুনিক সিগন্যাল ব্যবস্থা দুর্বল ছিল। তাই মানুষ ভালোভাবে প্রস্তুতি নিতে পারেনি এবং সচেতনতার অভাব ছিল। যার ফলে প্রাণহানি বেশি হয়।
আজিম উদ্দিন বলেন, এখন দেশে আধুনিক সিগন্যাল ব্যবস্থা ও ডিজিটাল তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার করা হচ্ছে এবং মানুষ আগের তুলনায় অনেক বেশি সচেতন। ভোলায়ও পর্যাপ্ত ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে।
আজিম উদ্দিন আরও বলেন, ভোলায় বর্তমানে ২২টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রের কাজ প্রায় সম্পন্ন। এ ছাড়া নতুন করে আরও ১২টি আশ্রয়কেন্দ্র দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্মাণ করা হবে। এই কেন্দ্রগুলো নির্মিত হলে উপকূলীয় এলাকার বহু মানুষ ও গবাদিপশু আশ্রয় নিতে পারবে।

করোনায় দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। শনাক্ত হয়েছেন সাত হাজার ২১৩ জন। করোনা সংক্রমণের পর থেকে এটিই মৃত্যু ও শনাক্তের নতুন রেকর্ড।
০৬ এপ্রিল ২০২১
ঢাকা ও আশপাশের জেলার সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে আজ বুধবার সকাল থেকে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। আজ সকালে বিজিবি সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।
৮ মিনিট আগে
লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে মেঘনা নদীতে স্থানীয় যুবদল নেতা হেলাল উদ্দিন ও মো. কবির হোসেনের নিয়ন্ত্রণে নির্বিচারে মৎস্য নিধন চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তাঁদের মদদে অবৈধ ‘খচ্ছি জাল’ ব্যবহার করে প্রতিদিন মণকে মণ ঝাটকাসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা মারা পড়ছে।
১৫ মিনিট আগে
গাজীপুর মহানগরীর বাসন ও কাশিমপুর থানা এবং জেলার শ্রীপুর থানা এলাকায় গতকাল মঙ্গলবার গভীর রাতে ও আজ বুধবার ভোর পর্যন্ত সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা তিনটি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। বাস তিনটি সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। তবে হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
১ ঘণ্টা আগে